প্রাণীর বিভিন্নতা ও শ্রেণীবিন্যাস সম্পর্কিত প্রধান শব্দাবলীর (কি ওয়ার্ডস) অর্থ, সংজ্ঞা, উদাহরণ ইত্যাদি
প্রাণিবৈচিত্র্য: বৈচিত্র্য কথাটির অর্থ হলো ভিন্নতা। সে অর্থে প্রাণিবৈচিত্র্য হলো প্রাণীদের মধ্যে ভিন্নতা। এই ভিন্নতা বা বিভিন্নতা হতে পারে পৃথিবীর সমস্ত জলচর, স্থলচর ও খেচর প্রাণীদের মধ্যে। আর এই বৈচিত্র্য বা ভিন্নতা হতে পারে জিনগত, হতে পারে প্রজাতিগত, হতে পারে বাস্তুসংস্থানগত।
জিনগত বৈচিত্র্য: জিন হলো বংশধারা নিয়ন্ত্রণকারী একক। প্রাণীদের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে এই জিনের ভিন্নতাই হলো জিনগত বৈচিত্র্য। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় কবুতরের কথা। জিনগত পার্থক্যের কারণে কবুতরে রয়েছে অসংখ্য ভ্যারইটি।
প্রজাতিগত বৈচিত্র্য: সমগুণ এবং সমবৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জীবকুলকে বলা হয় একেকটি প্রজাতি। ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যে যে বৈচিত্র্য তাকে বলা হয় প্রজাতিগত বৈচিত্র্য। দুটি প্রজাতির প্রাণী কখনও একরকম হয় না। দেখা যায় যে, একই গণভুক্ত প্রজাতিগুলোর মধ্যে অনেক পার্থক্য দেখা যায় ক্রোমোজোম সংখ্যায় ও আঙ্গিক গঠনে।
বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য: পৃথিবীতে রয়েছে নানা ধরণের বসতি। এসব বসতি বায়োম নামে পরিচিত। রয়েছে বালুময় মরু বায়োম। রয়েছে বৃক্ষরাজি সমৃদ্ধ বনভূমি বায়োম। আবার রয়েছে ঘাসসমৃদ্ধ তৃণভূমি বায়োম। প্রতিটি বায়োমই ধারণ করে আছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমন্ডিত বৈচিত্র্যময় প্রাণীদের। আর ভিন্ন ভিন্ন বায়োমে বাসকারী জীবদের মধ্যে যে বৈচিত্র্য তাই হলো বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য।
জলচর: জলে চরে যে সকল জীব; স্থলচর: ডাঙায় বিচরণ করে এমন; খেচর : যা আকাশে উড়তে পারে।
পরিযায়ী: বাস্তুসংস্থানের পরিভাষায়, একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির প্রাণীদের এক পরিবেশ থেকে অন্য পরিবেশে বড় পরিসরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া।
শ্রেণিকরণ বা শ্রেণিবিন্যাস: শ্রেণিবিন্যাস হলো সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য অনুসারে প্রাণিদেরকে বিভিন্ন দল উপদলে বিন্যস্ত করার পদ্ধতি। প্রত্যেক প্রাণীরই থাকে নিজস্ব অনেক বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণ। আর প্রাণিদেহের এসব বৈশিষ্ট্য শ্রেণিবিন্যাসের সময় প্রাধান্য পায়।
তল: প্রাণিদেহের তল নির্দেশ করতে ব্যবহার করা হয় বিশেষ বিশেষ কিছু শব্দ। যেমন- মাথার প্রান্তের দিক বা প্রান্ত হলো সম্মুখ বা এন্টেরিয়র। পোস্টেরিয়র বা পশ্চাৎ হলো লেজের প্রান্তের দিক বা প্রান্ত। পৃষ্ঠীয় বা ডর্সাল হলো পৃষ্ঠভাগ বা পিঠ। তলদেশ বা পেট হলো অঙ্কীয় বা ভেন্ট্রাল। শরীরের পাশের দিক বা একপাশ বোঝাতে ব্যবহার করা হয় পার্শ্বীয় বা ল্যাটেরাল। আর দেহের মধ্যরেখা হলো মধ্যভাগ বা সাজিটাল।
ভ্রূণস্তর: যে সকল প্রাণীরা যৌন জননে অংশগ্রহণ করে তারে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াসের মিলনে সৃষ্টি হয় জাইগোট। এই জাইগোট ক্রমাগত ভাগ হয়ে পরিস্ফুটিত হতে থাকে। আর এভাবে বিভক্ত হয়ে সৃষ্টি করে ভ্রƒণের। ভ্রƒণের থাকে দুটি বা তিনটি কোষস্তর যেগুলোকে বলা হয় ভ্রƒণস্তর। এ সকল কোষস্তর থেকে ভবিষ্যতে পরিণত প্রাণীদের বিভিন্ন কলা এবং অঙ্গ পরিস্ফুটিত হয়।
ডিপ্লোব্লাস্টিক: কিছু কিছু প্রাণীর ভ্রƒনে কোষস্তরের সংখ্যা থাকে দুইটি। এ সকল প্রাণীদের বলা হয় দ্বিস্তরবিশিষ্ট বা ডিপ্লোব্লাস্টিক। এই দুটি স্তরের বাইরের স্তরটি এক্টোডার্ম এবং ভিতরের স্তরটি এন্ডোডার্ম নামে পরিচিত। এই দুই স্তরের মাঝে থাকে মেসোগ্লিয়া নামক একটি জেলির মতো অকোষীয় স্তর। নিডেরিয়া পর্বের প্রাণীরা দ্বিস্তরবিশিষ্ট হয়।
ট্রিপ্লোব্লাস্টিক বা ত্রিস্তরবিশিষ্ট প্রাণী: এদের ভ্রƒণের কোষগুলো তিনটি স্তরে সাজানো থাকে। নিডেরিয়া পরবর্তী সকল পর্বের প্রাণীরাই ত্রিস্তরবিশিষ্ট বা ট্রিপ্লোব্লাষ্টিক। এদের ভ্রƒণদেহের কোষগুলো এক্টোডার্ম, মেসোডার্ম ও এন্ডোডার্ম নামক তিনটি স্তরে সজ্জিত থাকে। আর এদের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সৃষ্টি হয় এই তিনটি স্তর থেকেই। এক্টোডার্ম থেকে সৃষ্টি হয় ত্বক বা এপিডার্মিস, স্নায়ুতন্ত্র, সংবেদী অঙ্গ। মেসোডার্ম সৃষ্টি করে পেশিতন্ত্র, কঙ্কালতন্ত্র, সংবহনতন্ত্র। আর এন্ডোডার্ম থেকে পৌষ্টিকতন্ত্র, শ্বসনতন্ত্র ইত্যাদি সৃষ্টি হয়।
খন্ডকায়ন/সেগমেন্টেশন: যদি কোনো প্রাণীর দেহ তার অনুলম্ব অক্ষ বরাবর একই রকম খন্ডকের ধারাবাহিক পুনরাবৃত্তির ফলে গঠিত হয় তখন তাকে খন্ডকায়ন বা মেটামেরিজম বলে। এক্ষেত্রে দেহ গঠনকারী প্রত্যেকটি অংশ হলো একেকটি খন্ডক বা মেটামেয়ার বা সোমাইট। খন্ডকায়ন হতে পারে বাহ্যিক আবার হতে পারে অভ্যন্তরীণ। যেমন- মানুষের কশেরুকা বা স্নায়ুগ্রন্থির খন্ডকায়ন হলো অভ্যন্তরীণ। অপরদিকে কেঁচোর খন্ডকায়ন বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় ধরনের হতে পারে। প্রথমোক্ত ধরনকে অপ্রকৃত-খন্ডকায়ন বা স্যুডো মেটামেরিজম এবং পরবর্তী ধরণটিকে প্রকৃত বা ট্রু মেটামেরিজম বলা হয়।
প্রতিসাম্য: প্রাণীদেহের মধ্যরেখা বরাবর তলের দুই পাশের একই রকম বা সমান আকার-আকৃতিবিশিষ্ট অংশ উপস্থিত থাকলে তাকে প্রতিসাম্য বলে। প্রতিসম প্রাণী হলো তারাই যাদের দেহকে কোনো না কোনো তল বা অক্ষ বরাবর একই রকম অংশে বিভক্ত করা যায়। আর অপ্রতিসম প্রাণী হলো তারাই যাদের দেহকে কোনো না কোনো তল বা অক্ষ বরাবর একই রকম অংশে বিভক্ত করা যায় না।
গোলীয় প্রতিসাম্য: একটি গোলককে কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত যে কোনো তল বরাবর একই রকম বা সমান অংশে বিভক্ত করা যায়। একইভাবে যদি কোনো প্রাণির বিভক্ত করা যায়, তখন তাকে বলা হয় গোলীয় প্রতিসাম্য। ভলভক্স, রেডিওলারিয়া, হেলিজোয়া ইত্যাদিতে এ ধরনের প্রতিসাম্য দেখতে পাওয়া যায়।
অরীয় প্রতিসাম্য: যদি কোনো প্রাণীর দেহকে তার কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর কেটে একই রকম দুইটি বা তারও অধিক অর্ধাংশে বিভক্ত করা যায়, তখন সে ধরনের প্রতিসাম্যকে বলা হয় অরীয় প্রতিসাম্য। এ ধরনের প্রাণীর উদাহরণ হলো হাইড্রা, জেলিফিশ, সী অ্যানিমন প্রভৃতি। এ ধরনের প্রাণীদের অনুলম্ব অক্ষের এক প্রান্তে মুখ অবস্থান করে।
দ্বি-অরীয় প্রতিসাম্য: কোনো কোনো প্রাণিদেহে কোনো একটি অঙ্গের সংখ্যা একটি অথবা দুইটি থাকে। এসকল প্রাণীরে অনুদৈর্ঘ্য অক্ষ বরাবর শুধুমাত্র দুইটি তল পরস্পরের সমকোণে অতিক্রম করে। আর এ কারণে এ সকল প্রাণীদের দেহকে ৪টি একই রকম অংশে ভাগ করা যায়। এ রকমের প্রতিসাম্যই হলো দ্বি-অরীয় প্রতিসাম্য। টিনোফেরা জাতীয় প্রাণীদের দেহ, উদাহরণস্বরূপ- সিওপ্লানা মৌলিকভাবে অরীয় প্রতিসম, কিন্তু দুটি কর্ষিকা থাকার কারণে এরা দ্বি-অরীয় প্রতিসম প্রাণী।
দ্বি-পার্শ্বীয় বা বাইল্যাটেরাল প্রতিসাম্য: এমন অনেক প্রাণী আছে যাদের দেহকে তাদের কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর শুধু একবার দুটি সদৃশ অংশে ভাগ করা যায়। এ ধরনের প্রতিসাম্যকে বলা হয় দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসাম্য। মানুষের শরীর দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসাম্যের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এয়াড়াও তেলাপোকা, ব্যাঙ, প্রভৃতি প্রাণীর দেহ দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসাম্য।
অপ্রতিসাম্য: অনেক প্রাণীর দেহ কোনো অক্ষ বা তল বরাবর ছেদ করে এশবারও সদৃশ দুটি অংশে বিভক্ত করা সম্ভব হয় না। এ ধরনের ঘটনাকে বলা হয় অপ্রতিসাম্য। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় স্পঞ্জ এবং শামুকের কথা।
সিলোম: ভ্রুণের মেসোডার্ম থেকে উদ্ভুত এমন দেহগহ্বর যা পেরিটোনিয়াম নামে মেসোডার্মাল কোষস্তরে আবৃত।
অ্যাসিলোমেট: এদের দেহে সিলোমের পরিবর্তে ভ্রুণীয় পরিস্ফুটনের সময় অন্তঃস্থ ফাঁকা স্থানটি ( ব্লাস্টোসিল ) মেসোডার্মাল স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা কোষে পূর্ণ থাকে। উদাহরণ- হাইড্রা, যকৃত কৃমি ইত্যাদি।
অপ্রকৃত-সিলোমেট: এই প্রাণীগুলো সিলোমবিহীন তবে ভ্রƒণের পরিস্ফুটনের সময় অন্তঃস্থ ফাঁকা স্থানটিকে (ব্লাস্টোসিল) ঘিরে কখনও কখনও মেসোডার্মাল কোষস্তর থাকে। উদাহরণ- চোখ কৃমি
প্রকৃত-সিলোমেট: ইউসিলোমেট হচ্ছে প্রকৃত সিলোমযুক্ত প্রাণী কারণ ভ্রƒণীয় মেসোডার্মের অভ্যন্তর থেকে গহ্বররূপে সিলোম উদ্ভূত হয় এবং চাপা, মেসোডার্মাল এপিথেলিয়াল কোষে গঠিত পেরিটোনিয়াম স্তরে সম্পূর্ণ বেষ্টিত থাকে। উদাহরণ- কেঁচো, মশা, সমুদ্র তারা, ইলিশ ইত্যাদি।
পরিফেরা পর্ব: পরিফেরা পর্বের প্রাণীদের দেহ অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত হয়ে থাকে। এই ছিদ্রগুলোকে অস্টিয়া বলা হয়। একবচনে অস্টিয়াকে অস্টিয়াম বলা হয়। তবে বহুকোষী হওয়া সত্ত্বেও এদের দেহের কোষগুলো কিন্তু সুবিন্যস্ত থাকে না।
নালিকাতন্ত্র: পরিফেরা পর্বের প্রাণীদের দেহে বিশেষ ধরনের পানি সংবহনতন্ত্র রয়েছে। যা নালিকাতন্ত্র নামে পরিচিত।
কোয়ানোসাইট: পরিফেরা পর্বের প্রাণীদের দেহে রয়েছে অনেক প্রকোষ্ঠ। এই প্রকোষ্ঠগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশেষ ধরনের ফ্ল্যাজেলাযুক্ত কোষ। এই কোষগুলো কোয়ানোসাইট নামে পরিচিত।
অসক্যুলাম: পরিফেরা পর্বের প্রাণীদের দেহের ভিতরে একটি প্রশস্ত গহ্বর থাকে। এই গহ্বরটি স্পঞ্জোসিল নামে পরিচিত। স্পঞ্জোসিল একটি বড় প্রান্তিক ছিদ্রপথ দ্বারা বাইরে উন্মুক্ত হয় এই ছিদ্রপথটিকে বলা হয় অসক্যুলাম।
ক্যালকেরিয়া: পরিফেরা পর্বের একটি শ্রেণি। এই শ্রেণির প্রাণিদের দেহের স্পিকিউল ক্যালসিয়াম কার্বনেট দ্বারা নির্মিত হয়। এই স্পিকিউলগুলি সূচাকার। এগুলি তিন বা চার রশ্মিবিশিষ্ট হয়ে থাকে। এদের নালীতন্ত্র অ্যাসকনয়েড, সাইকনয়েড বা লিউকনয়েড ধরনের।
হেক্সাক্টিনেলিডা: পরিফেরা পর্বের একটি শ্রেণি। এই শ্রেণির স্পিকিউল সিলিকানির্মিত। এই স্পিকিউলগুলি সাধারণত ৬ রশ্মিবিশিষ্ট এবং রশ্মিগুলো একটি কেন্দ্রীয় বিন্দু থেকে বিচ্ছুরিত হয়। এদের নালীতন্ত্র সাইকনয়েড অথবা লিউকনয়েড ধরনের হয়।
ডেমোস্পঞ্জি: পরিফেরা পর্বের একটি শ্রেণি। এই শ্রেণির প্রাণিদের স্পিকিউল সিলিকা বা স্পঞ্জিন তন্তু দ্বারা নির্মিত হয়। এদের নালীতন্ত্রের ধরণ হয় লিউকনয়েড।
নিডেরিয়া: একটি পর্বের নাম। দ্বিস্তরী বা ডিপ্লোব্লাস্টিক প্রাণী। এই পর্বের প্রাণীদের ভ্রূণদেহে এক্টোডার্ম ও এন্ডোডার্ম নামক দুটো কোষস্তর থাকে। স্তর দুটির মধ্যবর্তীস্থানে মেসোগ্লিয়া উপস্থিত।
সিলেন্টেরন বা গ্যাস্ট্রোভাস্কুলার গহ্বর: নিডেরিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহের অভ্যন্তরের গহ্বর যা একটিমাত্র ছিদ্রের মাধ্যমে দেহের বাইরে উন্মুক্ত হয়। ছিদ্রটি একাধারে মুখ ও পায়ু হিসেবে কাজ করে।
নিডোসাইট: নিডেরিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহত্বকে অবস্থিত বিশেষ ধরনের কোষ যা নিমাটোসিস্ট বহন করে।
হাইড্রোজোয়া: নিডেরিয়া পর্বের একটি শ্রেণি। এদের জীবনচক্রে পলিপ ও মেডুসা উভয় দশাই দেখা যায়। এদের মেসোগ্লিয়া অকোষীয় এবং মেডুসা ভেলাম যুক্ত।
স্কাইফোজোয়া: নিডেরিয়া পর্বের একটি শ্রেণি। এদের পলিপ দশা অনুপস্থিত বা স্বল্পস্থায়ী, মেডুসা দশাই প্রধান। মেসোগ্লিয়া কোষীয় ও পরিমাণে বিপুল; মেডুসা ভেলামবিহীন।
কিউবোজোয়া: নিডেরিয়া পর্বের একটি শ্রেণি। এদের পলিপ দশা সংক্ষিপ্ত। প্রস্থচ্ছেদে মেডুসি দেখতে চতুষ্কোণা। প্রতিটি কোণা থেকে একটি কর্ষিকা বা কয়েকটি কর্ষিকায় নির্মিত গুচ্ছ ঝুলে থাকে।
অ্যান্থোজোয়া: নিডেরিয়া পর্বের একটি শ্রেণি। এদের জীবনচক্রে শুধু পলিপ দশা দেখা যায়, মেডুসা দশা নেই। মেসোগ্লিয়া একটি মেসেনকাইমাল বা তন্তুময় যোজক কলা।
প্লাটিহেলমিন্থেস: প্রাণিজগতের একটি পর্বের নাম। এই পর্বের প্রাণিরা। ট্রিপলোব্লাস্টিক (ত্রিস্তরী) এবং অ্যাসিলোমেট (সিলোমবিহীন); একমাত্র পরিপাক নালীছাড়া অন্তঃস্থ আর কোনো দেহগহ্বর নেই। এদের দেহ নরম, লম্বা, পৃষ্ঠ-অঙ্কীয় তল বরাবর পাতা বা ফিতার মতো চ্যাপ্টা। রেচনতন্ত্র শিখাকোষ নিয়ে গঠিত। বিভিন্ন অঙ্গের ফাঁকে ফাঁকে প্যারেনকাইমা নামক যোজক কলা বা মেসেনকাইমে পূর্ণ থাকে।
টার্বেলারিয়া: প্লাটিহেলমিন্থেস পর্বের একটি শ্রেণি। এরা স্বাধীনজীবী। এদের এপিডার্মিস সিলিয়াযুক্ত; এতে দন্ডাকার র্যাবডাইট ও ক্ষরণকারী কোষ থাকে। এদের মুখ সাধারণত অংকীয়দেশে, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া অন্ত্রবিশিষ্ট।
ট্রিমাটোডা: প্লাটিহেলমিন্থেস পর্বের একটি শ্রেণি। এদের দেহাবরণ এপিডার্মিসবিহীন। এরা দ্বিপোষক-পরজীবী; প্রায় সব শ্রেণীর মেরুদন্ডী প্রাণীর পরজীবী।
মনোজেনিয়া: প্লাটিহেলমিন্থেস পর্বের একটি শ্রেণি। এরা একপোষক-পরজীবী (মাছের ত্বক ও ফুলকার পরজীবী)। এদের দেহাবরণ সিলিয়াবিহীন। এদের পশ্চাৎপ্রান্তে হুক ও চোষক থাকে।
সেস্টোডা: প্লাটিহেলমিন্থেস পর্বের একটি শ্রেণি। এরা দুই বা ততোধিক পোষক-পরজীবী (মেরুদন্ডী বা অমেরুদন্ডী প্রাণীর অন্তঃপরজীবী) থাকে। দেহ একসারি প্রোগ্লোটিড সমন্বয়ে গঠিত যার প্রতিটিতে পুং ও স্ত্রী জননন্ত্রের ১ টি বা ২ টি পূর্ণ সেটি থাকে। দেহের অগ্রপ্রান্তে সংবন্ধনকারী অঙ্গরূপে চোষক বা হুকসমন্বিত স্কোলেক্স রয়েছে। এদের পরিপাকতন্ত্র নেই।
নেমাটোডা: প্রাণিজগতের একটি পর্বের নাম। এই পর্বেও প্রাণীরা অধিকাংশই অন্তঃপরজীবী। এদের দেহ নলাকার, দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম ও দুদিক সুঁচালো। মুখচ্ছিদ্র সাধারণত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ওষ্ঠে পরিবৃত। দেহ ইলাস্টিন-নির্মিত কিউটিকল এ আবৃত। এদের দেহগহ্বর মেসোডার্মে আবৃত নয় বলে একে স্যুডোসিলোম (অপ্রকৃত সিলোম) বলে।
সেসারনেনটিয়া: নেমাটোডা পর্বের একটি শ্রেণি। এদের অ্যামফিড নামক সংবেদী অঙ্গ সুবিকশিত এবং অংকীয়দিকে প্যাঁচানো। এদেও গলবিলীয় ৩টি গ্রন্থি আছে। এদের কিছু সদস্য পশ্চাৎ অংশে সংবেদী অঙ্গরূপী ফ্যাসমিড বহন করে।
অ্যাডেনোফোরিয়া: প্লাটিহেলমিন্থেস পর্বের একটি শ্রেণি। অ্যামফিড সুবিকশিত, পকেটের মতো। ফ্যাসমিড নেই। গলবিলীয় গ্রন্থি ৫ টি বা তারও বেশি।
মোলাস্কা: প্রাণিজগতের একটি পর্বের নাম। এদের দেহ নরম, দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম, অখন্ডকায়িত এবং সুস্পষ্ট মাথাবিশিষ্ট। এদের অঙ্কীয় দেহপ্রাচীর মাংসল পদ এ বিশেষিত যা প্রধানত চলন অঙ্গ। এদের পৃষ্ঠীয় দেহপ্রাচীর ম্যান্টল নামক দুটি ভাঁজের সৃষ্টি করে যা ম্যান্টলগহ্বরকে ঘিরে রাখে, শ্বসন অঙ্গে পরিণত হয় এবং ক্যালকেরিয়াস খোলক ক্ষরণ করে। সিলোম শুধুমাত্র হৃৎযন্ত্রের চারপাশে, জননাঙ্গের গহ্বরে এবং বৃক্কে সীমাবদ্ধ থাকে। অধিকাংশের পরিপাকতন্ত্রে র্যাডুলা নামক অংশ রয়েছে।
কডোফোভিয়াটা: মোলাস্কা পর্বের একটি শ্রেণির নাম। এদের দেহ কৃমিসদৃশ এবং খোলক, মস্তক ও রেচনঅঙ্গ অনুপস্থিত। ম্যান্টল কাইটিনময় কিউটিকল ও চুনময় আঁইশযুক্ত।
পলিপ্ল্যাকোফোরা: মোলাস্কা পর্বের একটি শ্রেণির নাম। এদের দেহে দেহে পদ ও ফুলকা থাকে। খোলক ৮টি পৃষ্ঠীয় প্লেট নিয়ে গঠিত।
গ্যাস্ট্রোপোডা: মোলাস্কা পর্বের একটি শ্রেণির নাম। দেহ অপ্রতিসম এবং সাধারণত একটি প্যাঁচানো খোলকে বেষ্টিত; মাথা সুউন্নত। পদ বড় ও চাপা। একটি অথবা দুটি ফুলকা থাকে।
বাইভালভিয়া: মোলাস্কা পর্বের একটি শ্রেণির নাম। দেহ দুই খন্ডবিশিষ্ট; ম্যান্টলে বেষ্টিত। খোলক দুটি পার্শ্বীয় কপাটিকা নিয়ে গঠিত।
সেফালোপোডা: মোলাস্কা পর্বের একটি শ্রেণির নাম। এদের দেহ সুগঠিত মস্তক ও ধড়ে বিভক্ত। খোলক থাকে না বা সংক্ষিপ্ত। পদ কতকগুলো চোষকযুক্ত পেশল বাহু, কর্ষিকা ও একটি সাইফনে রূপান্তরিত হয়।
অ্যানেলিডা: প্রাণিজগতের একটি পর্বের নাম। এদের দেহ লম্বা, নলের মত, দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম, এপিথেলিয়াম নিঃসৃত পাতলা কিউটিকল দ্বারা আবৃত এবং প্রকৃত সিলোমযুক্ত। এদের প্রকৃত খন্ডকায়ন উপস্থিত। এদের নেফ্রিডিয়া নামের প্যাঁচানো নালিকা প্রধান রেচন অঙ্গ। চলন অঙ্গ কাইটিনময় সিটি বা প্যারাপোডিয়া। জীবনচক্রে ট্রোকোফোর লার্ভা থাকতে পারে।
পলিকিটা: অ্যানেলিডা পর্বের একটি শ্রেণি। এই শ্রেণির প্রাণিদের মস্তক উপাঙ্গযুক্ত ও স্পষ্ট। এদের দেহের প্রত্যেক খন্ডকে সিটিগুচ্ছবাহী একজোড়া করে প্যারাপোডিয়া থাকে। এদের ক্লাইটেলাম নেই।
ওলিগোকিটা: অ্যানেলিডা পর্বের একটি শ্রেণি। মস্তক উপাঙ্গবিহীন ও অস্পষ্ট। দেহের প্রায় প্রতিটি খন্ডে সিটি আছে তবে প্যারাপোডিয়া নেই। সুস্পষ্ট ক্লাইটেলাম থাকে।
হিরুডিনিয়া: অ্যানেলিডা পর্বের একটি শ্রেণি। এদের মস্তক উপাঙ্গবিহীন ও অস্পষ্ট। সিটি বা প্যারাপোডিয়া নেই। ক্লাইটেলাম অনুপস্থিত, দেহের উভয় প্রান্তে একটি করে চোষক থাকে।
আর্থ্রোপোডা: প্রাণিজগতের একটি পর্বের নাম। এদের দেহ দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম, খন্ডায়িত এবং ট্যাগমাটা-য় বিভক্ত। এদের কিউটিকল নির্মিত বহিঃকঙ্কাল রয়েছে যা নিয়মিত মোচিত হয়। সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গবিশিষ্ট; মস্তকে একজোড়া বা দুইজোড়া অ্যান্টেনা ও সাধারণত একজোড়া পুঞ্জাক্ষি থাকে। সিলোম সংক্ষিপ্ত এবং অধিকাংশ দেহগহ্বর রক্তে পূর্ণ হিমোসিল-এ পরিণত হয়। পতঙ্গদের রেচন অঙ্গ মালপিজিয়ান নালিকা। এ ছাড়াও রয়েছে কক্সাল গ্রন্থি, অ্যান্টেনাল গ্রন্থি বা ম্যাক্সিলারি গ্রন্থি।
অ্যারাকনিডা: আর্থ্রোপোডা পর্বের একটি শ্রেণির নাম। এই শ্রেণির প্রাণিদেও দেহ শিরোবক্ষ ও উদরে বিভক্ত। এদের চার জোড়া হাঁটিয়ে পদ রয়েছে। এদের ৮ টি সরলাক্ষি উপস্থিত। এদের শ্বসন অঙ্গ ফুলকা, ট্রাকিয়া বা বুক লাং।
ম্যালাকোস্ট্রাকা: আর্থ্রোপোডা পর্বের একটি শ্রেণির নাম। এদের ক্যারাপেস মস্তককে এবং বুকের অংশবিশেষ বা সম্পূর্ণ ঢেকে রাখে। আটটি বক্ষীয় ও ছটি উদরীয় খন্ডকযুক্ত; সকল খন্ডক উপাঙ্গযুক্ত। প্রথম ৩ টি বক্ষীয় উপাঙ্গ ম্যাক্সিলিপেডে পরিণত; উদরের শেষপ্রান্ত টেলসনযুক্ত।
ডিপ্লোপোডা: আর্থ্রোপোডা পর্বের একটি শ্রেণির নাম। এদের দেহ প্রায় নলাকার। মস্তকে খাটো অ্যান্টেনা ও সরল চক্ষু উপস্থিত। প্রতি দেহখন্ডে দুজোড়া করে খাটো পদ থাকে।
কিলোপোডা: দেহ উপর-নিচে চাপা। মস্তকে একজোড়া লম্বা অ্যান্টেনা রয়েছে। প্রতি দেহখন্ডকে একজোড়া পদ থাকে।
ইনসেক্টা: আর্থ্রোপোডা পর্বের একটি শ্রেণির নাম। দেহ সুস্পস্ট মস্তক, বক্ষ ও উদরে বিভক্ত। এদের একজোড়া অ্যান্টেনা থাকে। মস্তক ৬ টি একীভূত খন্ডে গঠিত।
একাইনোডার্মাটা: প্রাণিজগতের একটি পর্বের নাম। এই পর্বের প্রাণীদের মস্তক, মস্তিষ্ক ও রেচন অঙ্গ অনুপস্থিত। দেহ অখন্ডকায়িত; গোলাকার, নলাকার বা তারকাসদৃশ; পূর্ণাঙ্গ প্রাণী অরীয়, পঞ্চপার্শ্বীয় প্রতিসম, লার্ভা দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম। এদের অন্তঃকংকাল সিলীয় এপিথেলিয়ামে আবৃত। দেহের ভিতরে সিলোম থেকে সৃষ্ট অনন্য গড়নের পানি সংবহনতন্ত্র রয়েছে। এর সংশ্লিষ্ট নালিকা পদ এদের চলন অঙ্গ।
কর্ডাটা: প্রাণিজগতের একটি পর্বের নাম। এদের ভ্রূণ অবস্থায় অথবা সারা জীবন পৃষ্ঠ-মধ্যরেখা বরাবর দন্ডাকার ও স্থিতিস্থাপক নিরেট নটোকর্ড থাকে। উন্নত প্রাণিদের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় নটোকর্ড মেরুদন্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। এসব প্রাণিকে তখন মেরুদন্ডী প্রাণী বলে। নটোকর্ডের উপরে লম্ব অক্ষ বরাবর ফাঁপা, নলাকার, স্নায়ুরজ্জু বা নাভকর্ড থাকে। মেরুদন্ডী প্রাণিদের নার্ভকর্ডটি রূপান্তরিত হয়ে সম্মুখপ্রান্তে মস্তিষ্ক ও পশ্চাৎ প্রান্তে সুষুম্নাকান্ড গঠন করে। জীবনের কোনো না কোনো দশায় বা আজীবন গলবিলের দুপাশে কয়েক জোড়া ফুলকারন্ধ্র থাকে। উন্নত কর্ডেটে ফুলকারন্ধ্র থাকে না।
ইউরোকর্ডাটা: কর্ডাটা পর্বের একটি উপপর্ব। পরিণত প্রাণীতে নটোকর্ড থাকে না, কিন্তু লার্ভা দশায় কেবল লেজে নটোকর্ড অবস্থিত। পরিণত প্রাণী নিশ্চল; কিন্তু লার্ভা মুক্ত সাঁতারু। দেহ টিউনিক বা টেস্ট নামক আচ্ছাদনে আবৃত।
সেফালোকর্ডাটা: কর্ডাটা পর্বের একটি উপপর্ব। এদের নটোকর্ড ও নার্ভকর্ড দেহের সম্মুখ থেকে পশ্চাৎ প্রান্ত পর্যন্ত প্রসারিত এবং আজীবন স্থায়ী। সম্মুখ প্রান্তে ওরাল হুড এবং তাতে ওরাল সিরি থাকে। দেহের দুপাশে মায়োটোম পেশী পরপর সজ্জিত থাকে।
ভার্টিব্রাটাা: কর্ডাটা পর্বের একটি উপপর্ব। এদের নটোকর্ডটি কশেরুকাবিশিষ্ট মেরুদন্ড (অস্থিময় বা তরুণাস্থিময়) দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু মস্তিষ্ক ও সুষুম্না কান্ড গঠন করে এবং যথাক্রমে ক্রেনিয়াম ও মেরুদন্ডে আবদ্ধ থাকে। পার্শ্বীয় জোড় পাখনা বা পদ চলন অঙ্গ।
কনড্রিকথিস: কর্ডাটা পর্বের ভার্টিব্রাটা উপপর্বের একটি শ্রেণির নাম। এদের অন্তকংকাল তরুণাস্থিময় এবং দেহ অসংখ্য ক্ষুদ্র প্ল্যাকয়েড আঁইশে আবৃত। মাথার দুপাশে ৫ -৭ জোড়া ফুলকারন্ধ্র থাকে। লেজ হেটারোসার্কাল অর্থাৎ পৌচ্ছিক পাখনার অংশদুটি অসমান।
অ্যাকটিনোপটেরিজি: কর্ডাটা পর্বের ভার্টিব্রাটা উপপর্বের একটি শ্রেণির নাম। অন্তঃকংকাল অস্থিময় এবং দেহ সাইক্লয়েড ও টিনয়েড ধরনের আঁইশে আবৃত। মাথার দুপাশে একটি করে ফুলকারন্ধ্র যা কানকো দিয়ে আবৃত; পটকা আছে। লেজ হোমোসার্কাল ধরনের অর্থাৎ পৌচ্ছিক পাখনার অংশদুটি সমান।
সারকোপটেরিজি: কর্ডাটা পর্বের ভার্টিব্রাটা উপপর্বের একটি শ্রেণির নাম। অন্তঃকংকাল অস্থিময় এবং দেহ গ্যানয়েড ধরনের আঁইশে আবৃত। মাথার দুপাশে একটি করে ফুলকারন্ধ্র যা কানকো দিয়ে আবৃত, পটকা আছে। লেজ ডাইফিসার্কাল ধরনের অর্থাৎ পৃষ্ঠীয় ও অংকীয় পাখনা একীভূত হয়ে অভিন্ন ও নমনীয় পাখনা হিসেবে লেজ ঘিরে অবস্থিত।
অ্যামফিবিয়া: কর্ডাটা পর্বের ভার্টিব্রাটা উপপর্বের একটি শ্রেণির নাম। দেহত্বক নগ্ন, গ্রন্থিময় ও সিক্ত। লার্ভাদশায় ফুলকা ও পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় ফুসফুসের মাধ্যমে শ্বাসকার্য চালায়। অগ্রপদে চারটি ও পশ্চাৎপদে পাঁচটি করে আঙ্গুল থাকে।
রেপটাইলিয়া: কর্ডাটা পর্বের ভার্টিব্রাটা উপপর্বের একটি শ্রেণির নাম। এদের দেহ শুষ্ক এবং এপিডার্মিস উদ্ভূত আঁইশ বা শক্ত প্লেট দ্বারা আবৃত। এদের প্রতি পায়ে ৫ টি করে নখরযুক্ত আঙ্গুল থাকে। হৃৎপিন্ডের নিলয় অসম্পূর্ণভাবে দ্বিধাবিভক্ত।
অ্যাভিস: কর্ডাটা পর্বের ভার্টিব্রাটা উপপর্বের একটি শ্রেণির নাম। এদের দেহ পালকে আবৃত এবং অগ্রপদ দুটি ডানায় রূপান্তরিত। চোয়াল দন্তহীন চঞ্চুতে পরিণত হয়েছে। অস্থি হালকা ও বায়ুপূর্ণ।
ম্যামালিয়া: কর্ডাটা পর্বের ভার্টিব্রাটা উপপর্বের একটি শ্রেণির নাম। এদের দেহ লোমে আবৃত এবং বহিঃকর্ণ পিনা যুক্ত। এদের পরিণত স্ত্রী প্রাণীতে সক্রিয় স্তনগ্রন্থি থাকে। বক্ষ ও উদর গহ্বরের মাঝখানে ডায়াফ্রাম নামক পর্দা থাকে। মানুষসহ সকল উন্নত প্রাণি এই শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত