প্রশ্ন: যক্ষ্মা রোগ কী?
উত্তর: যক্ষ্মা একটি অতি পরিচিত সংক্রামক রোগ।
প্রশ্ন: কারা যক্ষ্মা রোগের শিকার হয়?
উত্তর: যক্ষ্মা রোগ সহজে সংক্রমিত হয়। যারা অধিক পরিশ্রম করে, দুর্বল, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করে এবং অপুষ্টিতে ভোগে বা যক্ষ্মা রোগীর সাথে বাস করে তারা এ রোগের শিকার হয়ে থাকে।
প্রশ্ন: যক্ষ্মা রোগের কারণ কী?
উত্তর: এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে যক্ষ্মা রোগ হয়।
প্রশ্ন: যক্ষ্মা রোগের লক্ষণগুলো কী?
উত্তর: যক্ষ্মা হলে শরীরে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়:
- দেহের ওজন কমতে থাকে ও শরীর দুর্বল হতে থাকে।
- খুসখুসে কাশি হয়, কখনো কখনো কাশির সাথে রক্ত পড়তে পারে।
- বিকালের দিকে অল্প জ্বর হয়, রাত্রে শরীরে ঘাম হয়।
- বুক বা পিঠে ব্যথা হয়, মাঝে মাঝে পেটে অসুখ দেখা দেয়।
প্রশ্ন: যক্ষ্মা রোগের প্রতিকার কী?
উত্তর: যক্ষ্মা হলে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে:
- রোগীকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
- যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী, সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই চিকিৎসা বন্ধ করা যাবে না।
প্রশ্ন: যক্ষ্মা রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
উত্তর: নিম্নলিখিত উপায়ে যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধ করা যায়:
- যক্ষ্মা প্রতিষেধক টিকা হলো বিসিজি। জন্মের পর থেকে এক বছরের মধ্যে শিশুকে এই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। জন্মের পরপরই যত দ্রুত সম্ভব শিশুকে এ টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত।
- যক্ষ্মা রোগীকে পৃথক রাখতে হবে। সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা হলো হাসপাতালে পাঠানো। এতে সুচিকিৎসা নিশ্চিত হয়।
- রোগীর কফ-থুতু মাটিতে পুঁতে ফেলা দরকার। কারণ এসবে অসংখ্য জীবাণু থাকে।
- হাঁচি-কাশির সময় মুখ রুমাল দিয়ে ঢেকে নিতে হবে।
- যক্ষ্মা রোগীর কাছে শিশুদেরকে যেতে দেওয়া উচিত নয়।