১. মানুষের চোখের বিভিন্ন অংশগুলোকে কতটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায় ?
ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫
উত্তর ঃ ক। যেমন- অক্ষিগোলক ও আনুষঙ্গিক অংশ।
২. প্রত্যেক অক্ষি গোলক কতটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত ?
ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫
উত্তর ঃ খ। অক্ষিগোলকের স্তর, লেন্স ও প্রকোষ্ঠ।
৩. স্কেলেরা বা স্কেলেরোটিক স্তর
ক. এটি অক্ষিগোলকের বাইরের সাদা, অসচ্ছ ও তন্তুময় স্তর।
খ. এটি অস্বচ্ছ হলেও চোখের সামনের দিকে খুব পাতলা ও স্বচ্ছ পর্দায় পরিণত হয়েছে।
গ. স্বচ্ছ পর্দাটির নাম কর্ণিয়া।
ঘ. কর্ণিয়াটি পুনরায় আরও একটি পাতলা স্বচ্ছ পর্দা বা কনজাংটিভায় আবৃত।
৪. কোনটি সঠিক নয়?
ক. স্কেলেরা চোখের আকৃতি রক্ষা করে, চোখকে সংরক্ষণ করে ও পেশী সংযুক্ত রাখে।
খ. কর্ণিয়ার মাধ্যমে চোখের ভেতর আলো প্রবেশ করে।
গ. কনজাংটিভা চোখকে ধূলাবালি, জীবাণু থেকে রক্ষা করে।
ঘ. স্কেলেরায় মেলানিন রঞ্জক থাকায় এটি কালো দেখায়।
উত্তর ঃ ঘ। কোরয়েড ঃ
* এটি স্কেলেরার নিচে অবস্থিত রক্তবাহিকাসমৃদ্ধ ও মেলানিন রঞ্জকে রঞ্জিত স্তর।
* মেলানিন রঞ্জক থাকায় এটি কালো দেখায়।
৫. চোখের ............ সাসপেন্সরী লিগামেন্ট দিয়ে সিলিয়ারী বডির সাথে যুক্ত।
ক. লেন্স খ. আইরিশ
গ. পিউপিল ঘ. রেটিনা
উত্তর ঃ ক। সিলিয়ারী বডি ঃ
* আইরিশ ও কোরয়েডের সংযোগস্থলে অবস্থিত স্থূল বলয়াকৃতি অংশকে সিলিয়ারী বডি বা সিলীয় অঙ্গ বলে।
* এটি সিলীয় বলয়, সিলীয় প্রবর্ধক ও সিলীয় পেশী দিয়ে গঠিত।
৬. উপযোজন ক্রিয়ায় অংশ নেয়Ñ
ক. লেন্স খ. আইরিশ
গ. পিউপিল ঘ. সিলিয়ারী বডি
উত্তর ঃ ঘ।* সিলীয় পেশীগুলো লেন্সের আকৃতি পরিবর্তন করে উপযোজন ক্রিয়ায় অংশ নেয়।
* সিলিয়ারী বডি অ্যাকুয়াস হিউমারও উৎপন্ন করে।
৭. পেশীর সংকোচন-প্রসারণ পিউপিলকে বড় ও ছোট করে, ফলে লেন্সে পরিমিত আলোর প্রবেশ নিশ্চিত হয়।
ক. লেন্স খ. আইরিশ
গ. পিউপিল ঘ. সিলিয়ারী বডি
উত্তর ঃ খ
৮. আইরিশের মধ্যস্থলে নামক একটি ছিদ্র থাকে।
ক. লেন্স খ. আইরিশ
গ. পিউপিল ঘ. সিলিয়ারী বডি
উত্তর ঃ গ
৯. মৃদু আলোকে পিউপিল ............... হয়।
ক. ছোট খ. বড়
গ. বন্ধ ঘ. একই রকম থাকে
উত্তর ঃ খ। এবং উজ্জ্বল বা তীব্র আলোতে পিউপিল ছোট হয়।
১০. এটি কোরয়েডের নিচে অবস্থিত এবং একমাত্র আলো সংবেদী অংশ।
ক. লেন্স খ. আইরিশ
গ. পিউপিল ঘ. রেটিনা
উত্তর ঃ ঘ।
১১. রেটিনায় কত ধরনের আলো সংবেদী কোষ আছে?
ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫
উত্তর ঃ ক। যথা- রড ও কোণ কোষ।
১২. রডকোষগুলো কেমন?
ক. লম্বাটে খ. কোণাকৃতি
গ. অনিয়ত ঘ. গোলাকৃতি
উত্তর ঃ ক। রডকোষগুলো লম্বাটে ও রোডপসিন নামক প্রোটিনযুক্ত।
কোণকোষগুলো কোণাকৃতি ও আয়োডপসিন নামক প্রোটিনযুক্ত।
১৩. চোখে রডকোষ ও কোণকোষের সংখ্যা যথাক্রমে প্রায় বার কোটি পঞ্চাশ লক্ষ এবং ........ লক্ষ।
ক. ৫০ খ. ৬০ গ. ৭০ ঘ. ৮০
উত্তর ঃ গ।
১৪. কোনটি সঠিক নয়?
ক. কোণকোষগুলো উজ্জ্বল আলোতে দর্শনের জন্য, রঙিন বস্তু দর্শনের জন্য এবং ছবির সঠিক বিশ্লেষণের জন্য উপযোগী।
খ. রডকোষগুলো অনুজ্জ্বল আলোতে দর্শনের উপযোগী।
গ. রেটিনা বস্তুর প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে।
ঘ. চার তিন ধরনের কোণকোষ আছে বলে মনে করা হয়।
উত্তর ঃ ঘ। প্রথম ধরনের কোণকোষ লাল রং, দ্বিতীয় ধরন সবুজ রং এবং তৃতীয় ধরন নীল রঙের জন্য।
তিন ধরনের কোষের সকলেই সমভাবে উদ্দীপ্ত হলে সাদা রং দৃষ্ট হয়।
১৫. অ্যাক্সনগুলো অক্ষিগোলকের যে বিন্দুতে মিলিত হয়ে অপটিক স্নায়ু গঠন করে, তাকে বলেÑ
ক. পীতবিন্দু খ. ফোবিয়া সেন্ট্রালিস
গ. অন্ধবিন্দু ঘ. গ্যাংগ্লিওনিক নিউরোন
উত্তর ঃ গ। ঐ স্থানে কোনো রডকোষ বা কোণকোষ থাকে না, তাই আলোক সংবেদী নয়।
১৬. এটি অতিরিক্ত আলো সংবেদী, তাই এখানে সবচেয়ে ভাল প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়।
ক. পীতবিন্দু খ. ফোবিয়া সেন্ট্রালিস
গ. অন্ধবিন্দু ঘ. অপটিক স্নায়ু
উত্তর ঃ ক ও খ। অন্ধবিন্দুর কাছাকাছি রেটিনার একটি অংশে প্রচুর কোণকোষ দেখা যায়, রডকোষ থাকে না।এ অংশকে পীতবিন্দু বা ফোরিয়া সেন্ট্রালিস বলে।
১৭. গ্যাংগ্লিওনিক নিউরনের অ্যাক্সনগুলো একত্রিত হয়ে অপটিক স্নায়ু তৈরি করে -
ক. পীতবিন্দু খ. ফোবিয়া সেন্ট্রালিস
গ. অন্ধবিন্দু ঘ. অপটিক স্নায়ু
উত্তর ঃ ঘ। রেটিনায় সৃষ্ট প্রতিবিম্ব অপটিক স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌছায়।
১৮. কোন তথ্যটি সঠিক নয়?
ক. লেন্সতন্তু (নিউক্লিয়াসবিহীন সরু লম্বা কোষ) লেন্সের পেছনের চেয়ে সামনের দিকে বেশি চাপা
খ. অল্প বয়সে লেন্স বেশি চাপা, হলদে ও দৃঢ় হয়, ফলে স্থিতিস্থাপকতা কম হয়।
গ. লেন্সে রক্ত সরবরাহ নেই।
ঘ. লেন্সের সাহায্যে আলোক রশ্মি বক্রতাপ্রাপ্ত হয়ে রেটিনায় নিক্ষিপ্ত হয়।
উত্তর ঃ খ। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি আরো চাপা, হলদে ও দৃঢ় হয়, ফলে এর স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়।
১৯. অক্ষিগোলকে তরল পদার্থ পূর্ণ ................... টি গহ্বর আছে।
ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫
উত্তর ঃ খ। প্রথম গহ্বর কর্ণিয়া ও আইরিশ, দ্বিতীয় গহ্বর আইরিশ ও লেন্স এবং তৃতীয় গহ্বর লেন্স ও রেটিনার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।
২০. নিচের একটি তথ্য সঠিক নয়-
ক. অক্ষিগোলকের প্রথম দুটি গহ্বর স্বচ্ছ ও পানির মতো তরল অ্যকুয়াস হিউমার এ পূর্ণ থাকে।
খ. তৃতীয় গহ্বরটি সবচেয়ে বড়। এ গহ্বর ভিট্রিয়াস হিউমার নামক জেলীর মতো তরল পদার্থে পূর্ণ।
গ. ভিট্রিয়াস হিউমার প্রকৃত পক্ষে ডিমের সাদা অংশের মতো ঘন কিন্তু স্বচ্ছ।
ঘ. অ্যাকুয়াস হিউমার রেটিনার দিকে আলোর প্রতিসরণে সাহায্য করে এবং অক্ষিগোলকের আকৃতি বজায় রাখে।
উত্তর ঃ ঘ। অ্যাকুয়াস হিউমার আলোর প্রতিসরণে সাহায্য করে, চোখের সম্মুখ অংশের আকৃতি ঠিক রাখে এবং লেন্স ও কর্ণিয়ায় পুষ্টি জোগায়।
২১. ভিট্রিয়াস হিউমারে কত ভাগ পানি থাকে?
ক. ৭০ খ. ৮০
গ. ৯০ ঘ. ৯৯
উত্তর ঃ ঘ। ৯৯% পানি এবং ১% কোলাজেন ও হায়াল্যুরোনিক অ্যাসিড এ ভিট্রিয়াস হিউমার গঠিত।
২২. জোড়া বিপরীতধর্মী অক্ষিপেশী দিয়ে প্রতিটি অক্ষিগোলক অক্ষিকোটরের সাথে যুক্ত থাকে।
ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫
উত্তর ঃ খ।
যথা- (ক) সুপরিয়র রেক্টাস, (খ) ইনফিরিয়র রেক্টাস, (গ) ইন্টার্নাল রেক্টাস, (ঘ) এক্সটার্নাল রেক্টাস, (ঙ) ইন্টার্নাল অবলিক এবং (চ) এক্সটার্নাল অবলিক।
২৩. চোখের পাতার লোমকে বলে-
ক. নেত্র পল্লব খ. অক্ষিপক্ষ
গ. আইব্রো ঘ. কনজাংটিভা
উত্তর ঃ খ
২৪. প্রত্যেক চোখে কত ধরনের গ্রন্থি থাকে?
ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫
উত্তর ঃ খ। যথা- (ক) অশ্র“গ্রন্থি, (খ) হার্ডেরিয়ান গ্রন্থি এবং (গ) মেবোমিয়ান গ্রন্থি।
* হার্ডেরিয়ান ও মেবোমিয়ান গ্রন্থির তৈলাক্ত ক্ষরণ নেত্রপল্লব ও কর্ণিয়াকে পিচ্ছিল রাখে।
* অশ্র“গ্রন্থি নিঃসৃত অশ্র“ নামে এক ধরনের লবণাক্ত ও জীবাণুরোধক তরল (লাইসোজাইম এনজাইম) ক্ষরণ করে কনজাংটিভা নরম, সিক্ত, পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখে।
২৫. বহিঃঅডিটরি মিটাস সম্পর্কে কোন তথ্যটি সঠিক নয়?
ক. পিনার কেন্দ্রে কানের বহিঃছিদ্র থেকে যে সরু নালীপথ কানের টিমপেনিক পর্দা পর্যন্ত বিস্তৃত তার নাম বহিঃঅডিটরি মিটাস।
খ. এর বাইরের দুই তৃতীয়াংশ তরুণাস্থি দিয়ে এবং এক-তৃতীয়াংশ অস্থিতে গঠিত।
গ. এটি মোমগ্রন্থি ও সূক্ষ্ম রোমযুক্ত ত্বকে আবৃত।
ঘ. এর সাথে মধ্যকর্ণের ম্যালিয়াস অস্থি যুক্ত থাকে।
উত্তর ঃ ঘ।
২৬. টিমপেনিক পর্দা সম্পর্কে এই তথ্যটি ভুল-
ক. এর বাইরের দিক অবতল, ভেতরের দিক উত্তল।
খ. এর সাথে মধ্যকর্ণের ম্যালিয়াস অস্থি যুক্ত থাকে।
গ. মধ্যকর্ণকে অন্তঃকর্ণ থেকে পৃথক করে রাখে।
ঘ. শব্দতরঙ্গে কেঁপে উঠে এবং শব্দতরঙ্গকে সমতলে মধ্যকর্ণে পরিবহন করে।
উত্তর ঃ গ। বহিঃকর্ণকে মধ্যকর্ণ থেকে।
২৭. এটি একটি অসম আকৃতির বায়ুপূর্ণ প্রকোষ্ঠ বিশেষ এবং করোটির টিমপেনিক বুলার ভেতর অবস্থিত।
ক. বহিঃঅডিটরি মিটাস খ. মধ্যকর্ণ
গ. অন্তকর্ণ ঘ. কোনটিই নয়
উত্তর ঃ খ
২৮. টিমপেনিক পর্দার উভয় পাশের বায়ুর চাপ সমান রাখেÑ
ক. মধ্যকর্ণ খ. কর্ণাস্থি
গ. অন্তকর্ণ ঘ. ইউস্টেশিয়ান নালী
উত্তর ঃ ঘ। ইউস্টেশিয়ান নালী ঃমধ্যকর্ণের অঙ্কীয়দেশ থেকে সৃষ্টি হয়ে গলবিল পর্যন্ত বিস্তৃত এটি একটি সরু নালী বিশেষ।
২৯. কিসের গহ্বরে কর্ণাস্থি অবস্থিত ?
ক. বহিঃঅডিটরি মিটাস খ. মধ্যকর্ণ
গ. অন্তকর্ণ ঘ. কোনটিই নয়
উত্তর ঃ খ
৩০. কর্ণাস্থি কতটি?
ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫
উত্তর ঃ খ।
৩১. ত্রিকোণা এ অস্থিটি একদিকে ইনকাসের সাথে অন্যদিকে, ফেনেস্ট্রা ওভালিস নামে ছিদ্রের গায়ে বসানো থাকে।
ক. ম্যালিয়াস খ. ইনকাস
গ. স্টেপিস ঘ. ক ও গ
উত্তর ঃ গ। অস্থিগুলো বহিঃকর্ণের টিমপেনিক পর্দা থেকে শব্দতরঙ্গ অন্তঃকর্ণের পেরিলিম্ফে বহন করে।
৩২. কোন তথ্যটি ভুল?
ক. মধ্যকর্ণের প্রাচীর পেরিওটিক অস্থিতে গঠিত, তবে সেখানে দুটি ছোট ছিদ্রপথ থাকে।
খ. উপরের দিকে ডিম্বাকার ছিদ্রকে ফেনেস্ট্রা ওভালিস এবং নিচের দিকের গোল ছিদ্রকে ফেনেস্ট্রা রোটান্ডা বলে।
গ. ফেনেস্ট্রা রোটান্ডার মাধ্যমে শব্দ মধ্যকর্ণ থেকে অন্তঃকর্ণে প্রবেশ করে।
ঘ. শব্দতরঙ্গ ককলিয়ায় প্রবেশের পর অবশেষে ফেনেস্ট্রা রোটান্ডার মাধ্যমে বাইরে চলে আসে।
উত্তর ঃ গ। ফেনেস্ট্রা ওভালিস।
৩৩. অন্তঃকর্ণের প্রধান অংশ -
ক. মেমব্রেনাস ল্যাবিরিন্থ খ. ইউট্রিকুলাস
গ. স্যাকুলাস ঘ. স্ক্যালা ভেস্টিবুলি
উত্তর ঃ ক। এটি অস্থিময় ল্যাবিরিন্থ এ পরিবেষ্টিত।
* মেমব্রেনাস ল্যবিরিন্থ এন্ডোলিম্ফ নামক তরলে এবং অস্থিময় ল্যারিরিন্থ পেরিলিম্ফ এ পূর্ণ।
৩৪. প্রত্যেক অন্তঃকর্ণ কতটি প্রকোষ্ঠ নিয়ে গঠিত?
ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫
উত্তর ঃ ক। প্রত্যেক অন্তঃকর্ণ দুটি প্রকোষ্ঠ নিয়ে গঠিত ঃ (১) ইউট্রিকুলাস এবং (২) স্যাকুলাস।
৩৫. এটি ভারসাম্য অঙ্গ-
ক. মেমব্রেনাস ল্যাবিরিন্থ খ. ইউট্রিকুলাস
গ. স্যাকুলাস ঘ. স্ক্যালা ভেস্টিবুলি
উত্তর ঃ খ।
৩৬. ইউট্রিকুলাসের সাথে কতটি অর্ধবৃত্তাকার নালী থাকে?
ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫
উত্তর ঃ খ।দুটি উলম্ব এবং একটি অনুভূমিকভাবে অবস্থিত মোট ৩ টি অর্ধবৃত্তাকার নালী থাকে।
৩৭. এটি শ্রবণ অঙ্গ-
ক. মেমব্রেনাস ল্যাবিরিন্থ খ. ইউট্রিকুলাস
গ. স্যাকুলাস ঘ. স্ক্যালা ভেস্টিবুলি
উত্তর ঃ গ।
৩৮. এটি অন্তঃকর্ণের নিচের দিকের প্রকোষ্ঠ যা অঙ্কীয়দেশ থেকে প্রলম্বিত এবং শামুকের খোলকের কতো প্যাঁচানো একটি নালিকার সৃষ্টি করেছে। একে ককলিয়া বলে।
ক. মেমব্রেনাস ল্যাবিরিন্থ খ. ইউট্রিকুলাস
গ. স্যাকুলাস ঘ. স্ক্যালা ভেস্টিবুলি
উত্তর ঃ গ।
৩৯. ককলিয়া কতটি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত?
ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫
উত্তর ঃ খ। ঃ উপরে পেরিলিম্ফে পূর্ণ স্ক্যালা ভেস্টিবুলি, মাঝে এন্ডোলিম্ফ পূর্ণ স্ক্যালা মিডিয়া এবং নিচে পেরিলিম্ফে পূর্ণ স্ক্যালা টিমপেনি।
স্ক্যাল মিডিয়া উপরে রেসনার এর ঝিল্লি ও নিচে বেসিলার ঝিল্লিতে আবদ্ধ।
বেসিলার ঝিল্লির উপরের কিছু এপিথেলিয়াল কোষ রূপান্তরিত হয়ে সংবেদী অর্গ্যান অব কর্টি গঠন করেছে।
এগুলোর সংবেদী রোমও ক্যুপুলায় আবৃত।
একেবারে শীর্ষে ককলিয়ার ঊর্দ্ধ ও নিম্ন প্রকোষ্ঠ একটি সরু নলাকার অংশের সাহায্যে পরস্পর যুক্ত। এর নাম হেলিকোট্রিমা।