মানব কঙ্কালতন্ত্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ এমসিকিউ

১. নিম্নের কোন তথ্যটি সঠিক নয়?

ক. প্রোসিমিয়ান জাতীয় আদিমতম প্রাইমেট থেকে মানুষের উৎপত্তি ।

খ. মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যারা দুই পায়ে ভর দিয়ে সোজা হয়ে চলতে পারে।

গ. মানুষের হাতের বুড়ো আঙ্গুল অন্য চারটি আঙ্গুলের বিপরীতে অবস্থান করায় মানুষ সহজেই যেকোন সূক্ষ্ম জিনিস ধরে কাজ করতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যকে মুষ্টিবদ্ধতা বা অপোজেবল গ্রিপ বলে।

ঘ. মানুষের ত্রিমাত্রিক প্রতিবিম্ব দেখার ক্ষমতা নেই।

উত্তর ঃ ঘ। মানুষ মূলত দিবাচর বলে এদের দৃষ্টিশক্তি বিকশিত হয়েছে, ঘ্রাণশক্তির উপর নির্ভরশীলতা কমেছে। মানুষে দুচোখের মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক প্রতিবিম্ব দেখার ক্ষমতা আছে।

২. মানবদেহের কঙ্কালতন্ত্র কত ভাগে বিভক্ত?

ক. ২ খ. ৩ গ. ৪            ঘ. ৫

উত্তর ঃ খ। যথা ঃ১) বহিঃকঙ্কালতন্ত্র; ২) অন্তঃকঙ্কালতন্ত্র; ৩) স্পালাংকনিক কঙ্কালতন্ত্র।

৩. ল্যারিংস, ট্রাকিয়া, ব্রংকাই ইত্যাদি-

ক. বহিঃকঙ্কালতন্ত্র             খ. অন্তঃকঙ্কালতন্ত্র

গ. স্পালাংকনিক কঙ্কালতন্ত্র     ঘ. অক্ষীয় কঙ্কালতন্ত্র

উত্তর ঃ গ।

৪. কঙ্কালতন্ত্রের যে অস্থিগুলো দেহের লম্ব অক্ষ বরাবর অবস্থান করে কোমল, নমনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমূহকে ঘিরে রাখে এবং দেহকান্ডের গঠনগুলো সংযুক্ত করে অবলম্বন দান করে তাদের একত্রে অক্ষীয় কঙ্কাল বলে।

ক. বহিঃকঙ্কালতন্ত্র             খ. অন্তঃকঙ্কালতন্ত্র

গ. স্পালাংকনিক কঙ্কালতন্ত্র     ঘ. অক্ষীয় কঙ্কালতন্ত্র

উত্তর ঃ ঘ।

৫. অক্ষীয় কঙ্কালকে নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করা যায় ঃ

ক. ২ খ. ৩ গ. ৪         ঘ. ৫

উত্তর ঃ ক। (ক) করোটি এবং (খ) দেহকান্ড

৬. করোটির অস্থিসমূহ কত ভাগে বিভক্ত? 

ক. ২ খ. ৩ গ. ৪         ঘ. ৫

উত্তর ঃ ক। যথা ঃ করোটিকা বা খুলির অস্থি এবং মুখমন্ডলের অস্থি।

৭. করোটিকা কতটি সুগঠিত শক্ত ও মজবুত অস্থিপাত নিয়ে গঠিত?

ক. ৬ খ. ৭     গ. ৮ ঘ. ১০

উত্তর ঃ গ। ৬ ধরণের মোট ৮ টি।

৮. করোটিকার পাতগুলো একে অন্যের সাথে ....... সন্ধির মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে সংলগ্ন থাকে।

ক. গমফোসিস খ. সুচার

গ. সিমফাইসিস ঘ. সিনডেসমোসিস

উত্তর ঃ খ।

৯. এ অস্থিতে শ্রবণাঙ্গ, শ্র“তিনালী, ক্যারোটিড নালী ও মুখমন্ডলীয় স্নায়ুর নালী অবস্থান করে। 

ক. অক্সিপিটাল খ. ফ্রন্টাল

গ. স্ফেনয়েড         ঘ. টেমপোরাল

উত্তর ঃ ঘ।

১০. নিম্নের কোনটি যুগ্ম অস্থি?

ক. অক্সিপিটাল খ. ফ্রন্টাল

গ. স্ফেনয়েড         ঘ. টেমপোরাল

উত্তর ঃ ঘ।

১১. ইহা স্কোয়ামা, বেসিলার ও কন্ডাইলার নামক তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত।

ক. অক্সিপিটাল খ. ফ্রন্টাল

গ. স্ফেনয়েড         ঘ. টেমপোরাল

উত্তর ঃ ক। ইহা করোটিকার পশ্চাৎ ও অন্তর্ভাগে অবস্থিত একটি অযুগ্ম অস্থি। এতে ফোরামেন ম্যাগনাম নামক একটি ছিদ্র থাকে যার মধ্য দিয়ে সুষুম্নাকান্ড প্রসারিত হয়।

১২. এতে একটি গর্ত থাকে যার মধ্যে পিটুইটারী গ্রন্থি অবস্থান করে।

ক. অক্সিপিটাল খ. ফ্রন্টাল

গ. স্ফেনয়েড         ঘ. টেমপোরাল

উত্তর ঃ গ। এটি একটি দেহকান্ড ও তিন জোড়া উদগত অংশ নিয়ে গঠিত। উদগত অংশগুলোকে বড় ডানা, ছোট ডানা ও টেরিগয়েড প্রসেস বলে। এর পার্শ্বভাগ থেকে কতগুলো ডানা সদৃশ্য প্রবর্ধন বের হয়ে প্যারাইটাল ও ফ্রন্টাল অস্থির সাথে যুক্ত থাকে।

১৩. এটি একটি ছিদ্রাল আড়াআড়ি প্লেট, একটি অনুলম্ব প্লেট, দুটি অক্ষিকোটরীয় প্লেট এবং দুটি ল্যাবিরিন্থ নিয়ে গঠিত।

ক. অক্সিপিটাল খ. এথময়েড

গ. স্ফেনয়েড         ঘ. টেমপোরাল

উত্তর ঃ খ। প্রতিটি ল্যাবিরিন্থ কতকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বায়ু প্রকোষ্ঠে গঠিত। প্রকোষ্ঠগুলো পাতলা অস্থিময় প্লেটে পৃথকীকৃত। প্রতিটি ল্যাবিরিন্থের ভেতরের তল থেকে ঊর্ধ্ব ও মধ্য ন্যাসাল কংকা নামে দুটি বাঁকা অস্থিপ্লেট ঝুলে থাকে।

১৪. মুখমন্ডলের অস্থির সংখ্যা কত?

ক. ৬ খ. ৭         গ. ৮ ঘ. ১৪

উত্তর ঃ ঘ। ৮ ধরনের ১৪ টি।

১৫. মুখমন্ডলের এই দুটি একক অস্থি-

ক. ম্যাক্সিলা ও ভোমার

খ. ম্যান্ডিবল ও ন্যাসাল

গ. ন্যাসাল ও ভোমার

ঘ. ম্যান্ডিবল ও ভোমার

উত্তর ঃ ঘ।

১৬. মানুষের করোটির মোট অস্থি সংখ্যা-

ক. ১৪ খ. ২২ গ. ২৬ ঘ. ৩০

উত্তর ঃ খ। প্রত্যেক কানে ৩ টি করে ( ম্যালিয়াস, ইনকাস ও স্টেপিস মোট ৬ টি অস্থি আছে)। জিহ্বার পেছনদিরে বা গোড়ায় হাইওয়েড নামে একটি পাতলা অস্থিও থাকে। এতে মোট অস্থি সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯।

১৭. এটি একটি দেহকান্ড ও ৪ টি প্রবর্ধন নিয়ে গঠিত। প্রবর্ধনগুলো হচ্ছে Ñজাইগোম্যাটিক, প্যালেটাইন, ফ্রন্টাল ও অ্যালভিওলার।

ক. ম্যাক্সিলা খ. ম্যান্ডিবল 

গ. ন্যাসাল ঘ. ভোমার

উত্তর ঃ ক।

১৮. করোটির একমাত্র সঞ্চালনক্ষম অস্থি -

ক. ম্যাক্সিলা খ. ম্যান্ডিবল 

গ. ন্যাসাল ঘ. ভোমার

উত্তর ঃ খ। ইহা নিম্নচোয়াল গঠন করে।

ইহা একটি ইউ আকৃতির মূলদেহ এবং দুটি চওড়া রেমি(একবচনে র‌্যামাস) নিয়ে গঠিত।

মূলদেহ বেস ও অ্যালভিওলার প্রসেস নিয়ে গঠিত।

অ্যালভিওলার প্রসেসে দাঁতের গোড়া প্রোথিত থাকে।

১৯. চিবুক গঠন করে এবং অক্ষিকোঠরের পার্শ্বপ্রাচীর ও মেঝে গঠনে অংশ নেয় Ñ

ক. ম্যাক্সিলা খ. জাইগোম্যাটিক

গ. ন্যাসাল ঘ. ভোমার

উত্তর ঃ খ।

২০. ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি অবস্থান করে এই অস্থিতে-

ক. ম্যাক্সিলা খ. জাইগোম্যাটিক

গ. ল্যাক্রিমাল ঘ. ভোমার

উত্তর ঃ গ।

২১. কঠিন তালু ও নাসা গহ্বরের পার্শ্বীয় প্রাচীর নির্মাণ করে।

ক. প্যালেটাইন খ. জাইগোম্যাটিক

গ. ল্যাক্রিমাল         ঘ. ভোমার

উত্তর ঃ ক।

২২. ম্যান্ডিবল ও স্বরযন্ত্রের মাঝে অবস্থিত একটি ইউ আকৃতির অস্থি।

ক. প্যালেটাইন খ. জাইগোম্যাটিক

গ. ল্যাক্রিমাল         ঘ. হাইওয়েড

উত্তর ঃ ঘ।

২৩. শিশুদের ক্ষেত্রে তরুণাস্থি নির্মিত এবং পূর্ণবয়স্ক মানুষে ইহা অস্থিতে পরিণত হয়।

ক. প্যালেটাইন খ. জাইগোম্যাটিক

গ. ল্যাক্রিমাল         ঘ. হাইওয়েড

উত্তর ঃ ঘ।

২৪. একটি আদর্শ কশেরুকার ........ টি অংশ থাকে।

ক. ৬ খ. ৭         গ. ৮ ঘ. ১৪

উত্তর ঃ খ। এদের সকলের গঠন প্রায় একই রকম।

তবে মেরুদন্ডে অবস্থান এবং কাজের ভিত্তিতে এদের গঠনে কিছু পার্থক্য সৃষ্টি হয়।

২৫. কশেরুকার মূল দেহ -

ক. সেন্ট্রাম         খ. নিউরাল নালী

গ. নিউরাল আচ ঘ. ট্রান্সভার্স প্রসেস

উত্তর ঃ ক।

২৬. মানুষের সেন্ট্রামের উভয় প্রান্তই । 

ক. উত্তল খ. অবতল

গ. সমতল ঘ. গর্তযুক্ত

উত্তর ঃ গ। এধরনের সেন্ট্রামকে এসেলাস সেন্ট্রাম বলে।

২৭. কোনটি সঠিক নয়?

ক. নিউরাল নালী সেন্ট্রামের পৃষ্ঠীয় দিকে অবস্থিত। 

খ. নিউরাল নালী সুষুম্নাকান্ড ধারণ করে।

গ. নিউরাল নালীকে ঘিরে একজোড়া চ্যাপ্টা পাতের মতো অস্থি নিউরাল আর্চ।

ঘ. নিউরাল কাঁটা কশেরুকার অংকীয় দিক নির্দেশ করে।

উত্তর ঃ ঘ। নিউরাল কাঁটা কশেরুকার পৃষ্ঠীয় দিক নির্দেশ করে।

 ২৮. দেহে অবস্থান অনুযায়ী মানুষের মেরুদন্ডের কশেরুকাসমূহ কত ধরনের হয়?

ক. ২ খ. ৩ গ. ৪     ঘ. ৫

উত্তর ঃ ঘ।

২৯. গ্রীবাদেশীয় কশেরুকার সংখ্যা-

ক. ৬ খ. ৭     গ. ৮ ঘ. ১৪

উত্তর ঃ খ।

৩০. গ্রীবাদেশীয় ২য় কশেরুকা-

ক. অ্যাটলাস         খ. অ্যাক্সিস

গ. কক্কিক্স ঘ. স্যাক্রাম

উত্তর ঃ খ। প্রথমটিকে অ্যাটলাস এবং দ্বিতীয়টি কে অ্যাক্সিস বলে।

৩১. আদর্শ গ্রীবাদেশীয় কশেরুকা-

ক. ১ম থেকে ৭ম খ. ১ম থেকে ৫ম

গ. ৩য় থেকে ৭ম ঘ. ৩য় থেকে ৫ম

উত্তর ঃ গ। ১ম দুটি বাদে বাকি ৫ টি আদর্শ গ্রীবাদেশীয়। গঠন প্রায় একই রকম।

প্রতিটি গ্রীবাদেশীয় কশেরুকার একজোড়া করে ধমনী ছিদ্র থাকে।

৩২. অ্যাটলাস কোন অস্থির সাথে সুপিরিয়র আর্টিকুলার তল দিয়ে এবং দ্বিতীয় কশেরুকার সাথে ইনফিরিঢর আর্টিকুলার তল দিয়ে যুক্ত থাকে?

ক. অক্সিপিটাল খ. ফ্রন্টাল

গ. স্ফেনয়েড         ঘ. টেমপোরাল

উত্তর ঃ ক।

৩৩. বক্ষদেশীয় কশেরুকার সংখ্যা কত?

ক. ৬ খ. ১২ গ. ৮ ঘ. ১৪

উত্তর ঃ খ। বক্ষ অঞ্চলের ১২ টি কশেরুকা।

এগুলো এবং পর্শুকাগুলো মুক্ত হয়ে বক্ষ পিঞ্জর গঠন করে।

৩৪. উদর/কটিদেশীয় কশেরুকার সংখ্যা কত?

ক. ৫ খ. ৬ গ. ৮ ঘ. ১৪

উত্তর ঃ ক।

৩৫. কোন অংশের কশেরুকাগুলো সবচেয়ে বড়।

ক. গ্রীবাদেশীয় খ. শ্রোণীদেশীয়

গ. কটিদেশীয়         ঘ. বক্ষদেশীয়

উত্তর ঃ গ।

৩৬. শ্রোণীদেশীয় কশেরুকার সংখ্যা-

ক. ৫ খ. ৬ গ. ৮ ঘ. ১৪

উত্তর ঃ ক।

৩৭. এই অংশের কশেরুকাগুলো একসাথে মিলিত হয়ে স্যাক্রাম নামক একটা প্রায় ত্রিকোণাকার বৃহদাকার যৌগিক অস্থি গঠিত হয়।

ক. গ্রীবাদেশীয় খ. শ্রোণীদেশীয়

গ. কটিদেশীয়         ঘ. বক্ষদেশীয়

উত্তর ঃ খ।

৩৮. মানুষের মেরুদন্ডের শেষ চারটি কশেরুকা অবিচ্ছেদ্যভাবে মিলিত হয়ে একটা বৃহদাকার ত্রিভুজাকৃতির অস্থি গঠন করে। একে ......... বলে। 

ক. অ্যাটলাস         খ. অ্যাক্সিস

গ. কক্কিক্স ঘ. স্যাক্রাম

উত্তর ঃ গ। কক্কিক্সের শাব্দিক অর্থ পুচ্ছ

৩৯. মানুষের বক্ষপিঞ্জর একটি উরঃফলক, জোড়া পর্শুকা এবং ১২ টি বক্ষদেশীয় কশেরুকার সমন্বয়ে গঠিত।

ক. ৮ খ. ১০ গ. ১২ ঘ. ১৪

উত্তর ঃ গ। দেহের পর্শুকাগুলো একদিকে বক্ষদেশীয় কশেরুকা ও অন্যদিকে উরঃফলকের সাথে যুক্ত হয়ে যে খাঁচার মতো আকৃতি গঠন করে তাকে বক্ষপিঞ্জর বলে।

৪০. স্টার্ণাম বা উরঃফলক কতটি অংশে বিভক্ত?

ক. ২ খ. ৩ গ. ৪         ঘ. ৫

উত্তর ঃ খ। উপরের ত্রিকোণাকার অংশ বা মেনুব্রিয়াম, মাঝের অংশ বা দেহ এবং নিচের অংশ বা জিফয়েড প্রসেস।

৪১. উরঃফলকের উপরের কিনারায় একটি তথাকথিত জুগুলার নচ বা খাঁজ এবং পার্শ্বীয় কিনারায় ক্ল্যাভিকলের এবং জোড়া পর্শুকার খাঁজ থাকে।

ক. ৩ খ. ৫ গ. ৭         ঘ. ৯

উত্তর ঃ গ।

৪২. এগুলো আসল বা প্রকৃত পর্শুকা-

ক. ১ম ৫ জোড়া 

খ. ১ম ৭ জোড়া

গ. শেষের ৫ জোড়া

ঘ. শেষের ৭ জোড়া

উত্তর ঃ খ। পর্শুকার সম্মুখ প্রান্ত তরুনাস্থিময়। প্রথম ৭ জোড়া পর্শুকা এদের তরুণাস্থি দিয়ে উরঃফলকের সাথে যুক্ত থাকে। প্রচলিত ভাষায় তাদের আসল বা প্রকৃত পর্শুকা বলে। বাকি ৫ জোড়া ( ৮ম হতে দ্বাদশ ) উরঃফলকের সাথে যুক্ত নয় বলে এগুলোকে নকল পর্শুকা বলে।

৪৩. ........... পর্শুকা উপরিস্থিত ৭ম পর্শুকার তরুণাস্থির সাথে একীভূত হয়ে কোস্টাল আর্চ নির্মাণ করে।পর্শুকা ঃ 

ক. ৮ম         খ. ৮ম ও ৯ম

গ. ৮ম, ৯ম ও ১০ম ঘ. ৮ম, ৯ম, ১০ম ও ১১শ

উত্তর ঃ গ।

৪৪. এরা ভাসমান পর্শুকা-

ক. ৭ম ও ৮ম খ. ৮ম ও ৯ম

গ. ৯ম ও ১০ম ঘ. ১১শ ও ১২শ

উত্তর ঃ ঘ। একাদশ ও দ্বাদশ পর্শুকা সামনে মাংসপেশীতে উন্মুক্ত থাকে। এগুলোই সর্বাপেক্ষা সরল এবং ভাসমান পর্শুকা নামে অভিহিত।

৪৫. দেহের উভয় পাশের মোট .......... টি অস্থি ঊর্দ্ধাঙ্গের অন্তর্গত।

ক. ৩২ খ. ৪৪

গ. ৬০ ঘ. ৬৪

উত্তর ঃ ঘ।দেহের উভয় পাশের ৩২ টি করে মোট ৬৪ টি অস্থি ঊর্দ্ধাঙ্গের অন্তর্গত।

৪৬. মানুষের বক্ষ অস্থিচক্র কত জোড়া অস্থি নিয়ে গঠিত?

ক. ২ খ. ৩ গ. ৪         ঘ. ৫

উত্তর ঃ ক। যথা : একজোড়া ক্ল্যাভিকল ও একজোড়া স্ক্যাপুলা।

ক্ল্যাভিকল ঃ দেখতে ইটালিক এফ এর মতো বাঁকা অস্থি। 

একটি দেহ ও দুটি প্রান্ত, যথা স্টার্ণাল ( স্টার্ণামের ম্যানুব্রিয়ামে যুক্ত থাকে ) এবং অ্যাক্রোমিয়াল ( স্ক্যাপুলায় যুক্ত থাকে ) নিয়ে গঠিত।

স্ক্যাপুলা ঃ

* দেখতে চাপা ত্রিকোণাকার অস্থি।

* এর একটি সম্মুখ বা কোস্টাল তল, একটি পশ্চাৎ তল বা কোরাকয়েড ও অ্যাক্রেমিয়াল প্রসেস এবং গ্লেনয়েড গহ্বর নামে একটি সংযোগী অবতল আছে।

* সম্মুখ তল পর্শুকাগুলোর দিকে মুখ করে থাকে। এতে সাবস্ক্যাপুলার ফসা নামে একটি অবতল অংশ আছে।

* স্ক্যাপুলার কাঁটা অস্থির পশ্চাৎ তলকে সুপ্রাস্পাইনাস ও ইনফ্রাস্পাইনাস ফসায় বিভক্ত করে।

* গ্লেনয়েড গহ্বরে হিউমেরাসের মস্তক আটকানো থাকে।

৪৭. বাহুকে কতটি অঞ্চলে ভাগ করা যায়?

ক. ২ খ. ৩ গ. ৪     ঘ. ৫

উত্তর ঃ খ।  যথা: ঊর্দ্ধবাহু, সম্মুখবাহু এবং হাতের অস্থি।

৪৮. স্ক্যাপুলার গ্লেনয়েড গহ্বরে প্রবিষ্ট থাকে -

ক. হিউমেরাস         খ. রেডিয়াস

গ. আলনা ঘ. ফিমার

উত্তর ঃ ক।

৪৯. কোন অস্থিতে সার্জিকাল গ্রীবা থাকে?

ক. হিউমেরাস         খ. রেডিয়াস

গ. আলনা ঘ. ফিমার

উত্তর ঃ ক। ছোট ও বড় টিউবার্কল এবং এর মাঝখানে অ্যানাটমিক গ্রীবা নামে একটি খাঁজ আছে।

টিউবার্কলের নিচে যে সরু অংশ থেকে হিউমেরাসের মূল দেহ গঠিত হয় তাকে সার্জিকাল গ্রীবা বলে। কারণ, দুর্ঘটনায় এ অংশেই সচরাচর  ফাটল ধরে।

৫০. সম্মুখবাহু দুটি লম্বা, নলাকার ও ঘনসংলগ্ন অস্থি নিয়ে গঠিত। যথা:

ক. হিউমেরাস ও ফিমার     খ. আলনা ও রেডিয়াস

গ. টিবিয়া ও ফিবুলা     ঘ. কার্পাল ও মেটাকার্পাল

উত্তর ঃ খ

৫১. কতটি বিভিন্ন আকৃতির কার্পাল অস্থি দিয়ে কব্জি গঠিত?

ক. ৩ খ. ৫ গ. ৭     ঘ. ৮

উত্তর ঃ ঘ। দুসারিতে ৪ টি করে মোট ৮ টি ছোট ছোট বিভিন্ন আকৃতির কার্পাল অস্থি দিয়ে কব্জি গঠিত।

গোড়ার দিকের সারিতে থাকে স্ক্যাফয়েড ( নেভিকুলার ), লুনেট, ট্রাইকুয়েট্রাল ও পিসিফর্ম অস্থি।

প্রান্তের দিকে থাকে ট্র্রাপেজিয়াম, ট্রাপেজয়েড, ক্যাপিটেট ও হ্যামেট অস্থি।

৫২. করতলের অস্থিকে বলে।

ক. হিউমেরাস         খ. রেডিয়াস

গ. ফিবুলা ঘ. মেটাকার্পাল

উত্তর ঃ ঘ। মেটাকার্পাল অস্থির সংখ্যা ৫ টি।

৫৩.  আঙ্গুলের অস্থিগুলোকে বলে-

ক. ফ্যালাঞ্জেস খ. রেডিয়াস

গ. কার্পাল         ঘ. মেটাকার্পাল

উত্তর ঃ ক। একবচনে ফ্যালাংক্স। বৃদ্ধাঙ্গুলে ২ টি এবং অন্য আঙ্গুলগুলেতে ৩ টি ফ্যালাঞ্জেস থাকে।

৫৪. দেহের উভয় পাশের মোট ......... টি অস্থি নিম্নাঙ্গের অন্তর্গত।

ক. ৩২ খ. ৪২

গ. ৬০ ঘ. ৬২

উত্তর ঃ ঘ। ৩১ টি করে।শ্রোণী-অস্থিচক্র ও দুপা নিয়ে নিম্নাঙ্গ গঠিত।

৫৫. এটি ইলিয়াম, ইশ্চিয়াম ও পিউবিস অস্থি নিয়ে গঠিত।

ক. বক্ষ অস্থিচক্র খ. শ্রোণী অস্থিচক্র

গ. হিউমেরাস         ঘ. ফিবুলা

উত্তর ঃ খ। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষে অস্থিগুলো একত্রিত হয়ে নিতম্বাস্থি গঠন করে।

দুটি নিতম্বাস্থি একত্রে মিলে গঠিত হয় শ্রোণী অস্থিচক্র।

৫৬. কোথায় আর্কুয়েট রেখা, ইলিয়াক ফসা, গ্লুটিয়াল রেখা ও একটি অরিকুলার সংযোগী তল থাকে?

ক. ইলিয়াম খ. ইশ্চিয়াম

গ. পিউবিস ঘ. ইলিয়াম ও পিউবিস

উত্তর ঃ ক। 

৫৭.  ইলিয়াম, ইশ্চিয়াম ও পিউবিসের সংযোগস্থলে ............ নামে একটি অগভীর অংশ রয়েছে।

ক. র‌্যামাস খ. অ্যাসিটাবুলাম

গ. র‌্যামি ঘ. টিউবারোসিটি

উত্তর ঃ খ। 

৫৮. ঊর্দ্ধ পা এর অস্থিকে ফিমার বলে।

ক. হিউমেরাস         খ. রেডিয়াস

গ. আলনা ঘ. ফিমার

উত্তর ঃ ঘ।* এর ঊর্দ্ধপ্রান্তে একটি গোল মস্তক, গ্রীবা এবং ছোট ও বড় ট্রোকান্টর অবস্থিত।

* দেহটি শক্ত ও নলাকার।

* এর পশ্চাৎতল অমসৃণ আলযুক্ত।

* নিম্নপ্রান্ত দুটি কন্ডাইলবিশিষ্ট।

* দুটি কন্ডাইলের মাঝখানে থাকে আন্তঃকন্ডাইলার ছিদ্র, প্যাটেলার সংযোগী তল এবং দুপাশে একটি করে এপিকন্ডাইল নামে সামান্য উচু জায়গা।

৫৯. গোড়ালি ও পদতলের পৃষ্ঠভাগ গঠিত হয় .......... টি বিভিন্ন আকৃতির টার্সাল অস্থি দিয়ে।

ক. ৩ খ. ৫ গ. ৭         ঘ. ৮

উত্তর ঃ গ। টার্সাল অস্থিগুলোর মধ্যে থাকে একটি করে ক্যালকেনিয়াস, ট্যালাস, কিউবয়েড, নেভিকুলার ও তিনটি কুনিফর্ম অস্থি।

৬০. মেটাটার্সাল এর সংখ্যা .............. । এগুলো নলাকার ও সামান্য লম্বা এবং পদতল গঠন করে।

ক. ৩ খ. ৫ গ. ৭         ঘ. ৮

উত্তর ঃ গ। পায়ের আঙ্গুলের অস্থিগুলো ফ্যালাঞ্জেস। এগুলো হাতের আঙ্গুল অপেক্ষা খাটো। বৃদ্ধাঙ্গুল ২ টি এবং বাকি আঙ্গুলগুলো ৩ টি করে ফ্যালাঞ্জেসে গঠিত।

৬১. অস্থিসন্ধি তন্তুময় তরূণাস্থিতে পরিবৃত হয়।

ক. করোটির খ. মেরুদন্ডের

গ. বক্ষের ঘ. চোয়ালের

উত্তর ঃ ঘ। অস্থিসন্ধির বহির্ভাগ অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বচ্ছ তরুণাস্থিতে মোড়ানো থাকে।

৬২. অস্থিসন্ধি কত রকম?

ক. ৩ খ. ৫ গ. ৭         ঘ. ৮

উত্তর ঃ ক। যথা:  (১) তন্তুময় সন্ধি, (২) তরুণাস্থিময় সন্ধি এবং (৩) সাইনোভিয়াল সন্ধি।

৬৩. আকারের ভিত্তিতে তন্তুময় অস্থিসন্ধিকে নিম্নোক্ত উপভাগে ভাগ করা যায় ঃ

ক. ৩ খ. ৫ গ. ৭         ঘ. ৮

উত্তর ঃ ক।  (১) সুচার, (২) সিনডেসমোসিস, (৩) গমফোসিস।

৬৪. এ ধরনের সন্ধি কেবল করোটিকার অস্থিতে পাওয়া যায়।

ক. গমফোসিস খ. সুচার

গ. সিমফাইসিস ঘ. সিনডেসমোসিস

উত্তর ঃ খ। এ ক্ষেত্রে দুটি অস্থি পরস্পরের সঙ্গে একটি ঘন তন্তুময় কলার পাতলা স্তর ও দাঁতকাটা প্রান্ত দিয়ে যুক্ত থাকে।

৬৫. টিবিয়া ও ফিবুলার অস্থিসন্ধি এ ধরনের।

ক. গমফোসিস খ. সুচার

গ. সিমফাইসিস ঘ. সিনডেসমোসিস

উত্তর ঃ ঘ। এ ক্ষেত্রে দুটি অস্থি ঘন তন্তুময় যোজক কলার রজ্জু বা পাত দিয়ে পরস্পর ঘনসংবদ্ধ থাকে।

৬৬. এ সন্ধি কেবল দাঁত ও চোয়ালের মধ্যেই দেখা যায়।

ক. গমফোসিস খ. সুচার

গ. সিমফাইসিস ঘ. সিনডেসমোসিস

উত্তর ঃ ক।

৬৭. তরুণাস্থির প্রকৃতির ভিত্তিতে তরুণাস্থিময় অস্থিসন্ধিÑ 

ক. ২ খ. ৫ গ. ৭         ঘ. ৮

উত্তর ঃ ক। সিমফাইসিস ও সিনকন্ড্রোসিস।

৬৮. শ্রোণীদেশে পিউবিক সিমফাইসিস এবং দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী আন্তঃকশেরুকীয় চাকতি এ ধরনের অস্থিসন্ধি।

ক. গমফোসিস খ. সুচার

গ. সিমফাইসিস ঘ. সিনডেসমোসিস

উত্তর ঃ গ। এক্ষেত্রে অস্থিসন্ধিতে দুটি অস্থি স্বচ্ছ ও তন্তুময় তরুণাস্থির মাধ্যমে যুক্ত হয়।

৬৯. স্টার্ণামের সঙ্গে প্রথম পর্শুকার সন্ধি এবং বর্ধনশীল লম্বা হাড়ে এ ধরনের সন্ধি দেখা যায়।

ক. গমফোসিস খ. সিনকন্ড্রোসিস

গ. সিমফাইসিস ঘ. সিনডেসমোসিস

উত্তর ঃ খ। এক্ষেত্রে অস্থিসন্ধিতে স্বচ্ছ তরুণাস্থির একটি প্লেট দুটি অস্থিকে যুক্ত করে এবং সন্ধিটি হয় প্রায় অসঞ্চালনক্ষম।

৭০. সংযোগকারী তলের আকারের ভিত্তিতে সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি নিম্নোক্ত প্রকার ঃ

ক. ২ খ. ৬ গ. ৭         ঘ. ৮

উত্তর ঃ খ।

৭১. দুটি কার্পাল অস্থির মধ্যকার সংযোগ।

ক. সমতল         খ. বল ও কোটর

গ. কন্ডাইলয়েড ঘ. পিভট

উত্তর ঃ ক

৭২. কাঁধসন্ধি, উরুসন্ধি প্রভৃতি-

ক. সমতল         খ. বল ও কোটর

গ. কন্ডাইলয়েড ঘ. পিভট

উত্তর ঃ খ

৭৩. হাঁটু সন্ধি-

ক. সমতল         খ. বল ও কোটর

গ. কন্ডাইলয়েড ঘ. পিভট

উত্তর ঃ গ

৭৪. প্রথম দুটি সারভাইকাল (গ্রীবদেশীয়) কশেরুকার মধ্যকার অস্থিসন্ধি-

ক. সমতল         খ. বল ও কোটর

গ. কন্ডাইলয়েড ঘ. পিভট

উত্তর ঃ ঘ

৭৫. বৃদ্ধাঙ্গুলের কার্পাল ও মেটাকার্পালের মধ্যকার সন্ধি-

ক. স্যাডল         খ. বল ও কোটর

গ. কন্ডাইলয়েড ঘ. পিভট

উত্তর ঃ ক। স্যাডল(জিন-আকৃতির) অস্থিসন্ধি। এ সন্ধিতে অস্থির বিভিন্নমুখী সঞ্চালন সম্ভব হলেও ঘূর্ণন অত্যন্ত সীমিত।

৭৬. কনুইয়ের সন্ধি-

ক. স্যাডল         খ. হিঞ্জ(কব্জা)

গ. কন্ডাইলয়েড ঘ. পিভট

উত্তর ঃ খ। 

৭৭. ............ দিয়ে পেশী অস্থির সংগে যুক্ত থাকে।

ক. তরুণাস্থি         খ. হিঞ্জ(কব্জা)

গ. কন্ডাইলয়েড ঘ. কন্ডরা বা টেন্ডন

উত্তর ঃ খ।

৭৮. সম্মুখবাহুকে প্রসারিত করে -

ক. বাইসেপস খ. ডেলটয়েট

গ. ট্রাইসেপস ঘ. ল্যাটিসিমাস ডরসি

উত্তর ঃ গ। বাইসেপস - কনুই বা আঙুলকে বাঁকায়। এ ধরনের পেশী অঙ্গকে দুভাঁজ করে, অর্থাৎ পেশীর একাংশ অপর অংশের উপর বেঁকে যায়। এ পেশী ক্রিয়াকে ফ্লেক্সন বলে।

৭৯. ডেলটয়েড পেশী কি ধরনের?

ক. অ্যাবডাকটর খ. অ্যাডাকটর

গ. ডিপ্রেসর         ঘ. লিভেটর

উত্তর ঃ ক। এ পেশী দেহের অক্ষ থেকে দেহাঙ্গকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। এ পেশীক্রিয়াকে অ্যাবডাকসন বলে।

অ্যাডাকটর ঃ এ পেশী কোনো অঙ্গকে দেহ অক্ষের কাছে টেনে আনে। এ পেশীক্রিয়াকে অ্যাডাকসন বলে। যেমনÑ ল্যাটিসিমাস ডরসি।

৮০. এ পেশী কোনো অঙ্গকে নিচে নামায়Ñ

ক. অ্যাবডাকটর খ. অ্যাডাকটর

গ. ডিপ্রেসর         ঘ. লিভেটর

উত্তর ঃ ক।যেমন- ডিপ্রেসর ম্যানডিবুলা নামের পেশী নিচের চোয়াল নামিয়ে মুখগহ্বরকে উন্মুক্ত করে।

লিভেটর ঃ এটি ডিপ্রেসরের বিপরীত কাজ করে। অর্থাৎ কোনো অঙ্গকে নিচ থেকে উপরে তোলে। যেমনÑ ম্যাসিয়েটর নিচের চোয়াল উপরে তুলে মুখ বন্ধ করে।

৮১. এ পেশী অঙ্গকে প্রধান অক্ষের চারপাশে বা ডানে বাঁয়ে ঘোরায়।

ক. রোটেটর খ. অ্যাডাকটর

গ. ডিপ্রেসর ঘ. লিভেটর

উত্তর ঃ ক। রোটেটর পেশীর ক্রিয়াকে রোটেসন বলে। যেমনÑ পিরিফর্মিসÑ ফিমারকে উপরে তোলে বা ঘোরায়। অঙ্কদেশীয় ঘুর্ণন সংক্রান্ত পেশীকে প্রোনেটর এবং পৃষ্ঠদেশীয় ঘূর্ণন সংক্রান্ত পেশীকে সুপিনেটর বলে।