প্রশ্ন: ব্যাকটেরিয়া কী?
উত্তর: ব্যাকটেরিয়া হলো আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত, অসবুজ, এককোষী আণুবীক্ষণিক জীব।
প্রশ্ন: কে সর্বপ্রথম ব্যাকটেরিয়া দেখতে পান?
উত্তর: বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক সর্ব প্রথম ব্যাকটেরিয়া দেখতে পান।
প্রশ্ন: ব্যাকটেরিয়া কোষের আকৃতি কেমন হতে পারে?
উত্তর: ব্যাকটেরিয়া কোষ গোলাকার, দণ্ডাকার, কমা আকার, প্যাঁচানো ইত্যাদি নানা ধরণের হতে পারে।
প্রশ্ন: দেহের আকার আকৃতির ভিত্তিতে ব্যাকটেরিয়াকে কীভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যায়?
উত্তর: দেহের আকার আকৃতির ভিত্তিতে ব্যাকটেরিয়াকে নিম্নরূপে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়:
ক) কক্কাস: কোনো কোনো ব্যাকটেরিয়া কোষের আকৃতি গোলাকার। এরা কক্কাস ব্যাকটেরিয়া। এরা এককভাবে অথবা দলবেঁধে থাকতে পারে, যেমন- নিউমোনিয়া রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া।
খ) ব্যাসিলাস: এরা দেখতে লম্বা দণ্ডের ন্যায়। ধনুষ্টংকার, রক্তামাশয় ইত্যাদি রোগ এরা সৃষ্টি করে।
গ) কমা: এরা বাঁকা দণ্ডের ন্যায় আকৃতির ব্যাকটেরিয়া। মানুষের কলেরা রোগের ব্যাকটেরিয়া এ ধরনের।
ঘ) স্পাইরিলাম: এ ধরণের ব্যাকটেরিয়ার আকৃতি প্যাঁচানো।
প্রশ্ন: গোলাকর আকৃতির ব্যাকটেরিয়াকে কী বলে?
উত্তর: কক্কাস।
প্রশ্ন: নিউমোনিয়া রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কেমন ধরনের? উত্তর: কক্কাস।
প্রশ্ন: ব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া দেখতে কেমন?
উত্তর: লম্বা দণ্ডের ন্যায়।
প্রশ্ন: ব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া মানবদেহে কী রোগ সৃষ্টি করে?
উত্তর: ধনুষ্টংকার, রক্তামাশয় প্রভৃতি রোগ।
প্রশ্ন: বাঁকা দণ্ডের ন্যায় আকৃতির ব্যাকটেরিয়াকে কী বলে?
উত্তর: কমা।
প্রশ্ন: কমা ব্যাকটেরিয়া মানবদেহে কী রোগ সৃষ্টি করে? উত্তর: কলেরা।
প্রশ্ন: ব্যাকটেরিয়া আমাদের কী উপকার করে?
উত্তর: ব্যাকটেরিয়া আমাদের নিম্নরূপে উপকার করে:
- মৃত জীবদেহ ও আবর্জনা পঁচাতে সাহায্য করে।
- একমাত্র ব্যাকটেরিয়াই প্রকৃতি থেকে মাটিতে নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে।
- পাট থেকে আঁশ ছাড়াতে ব্যাকটেরিয়ার সাহায্য নিতে হয়।
- বিভিন্ন জীবন রক্ষাকারী এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি হয়।
- ব্যাকটেরিয়া জীন প্রকৌশলের মূল ভিত্তি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জীবের কাঙ্খিত বৈশিষ্ট্য পাওয়ার জন্য জীনগত পরিবর্তনের কাজে ব্যাকটেরিয়াকে ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন: কিভাবে ব্যাকটেরিয়া জীবাণু দেহাভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হতে পারে?
উত্তর: ব্যাকটেরিয়া জীবাণু বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় দেহাভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হতে পারে। যেমন-
- অপরিষ্কার হাত জীবাণুর জন্য একটি সুবিধাজনক বাহন। যার মাধ্যমে সহজেই এরা মুখগহ্বরে ঢুকে যেতে পারে।
- আমরা যে জামা কাপড় ব্যবহার করি তাতে লেগে ব্যাকটেরিয়ার স্পোর স্থানান্তরিত হতে পারে।
- বাতাসে যে ধুলাবালি উড়ে বেড়ায় তার সাথে অতি সহজেই ব্যাকটেরিয়া বা তার স্পোর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে।
- হাত মেলানোর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া একজন থেকে অন্যজনে অতি সহজে স্থানান্তরিত হতে পারে।
- পঁচা ও বাসি খাদ্যের মাধ্যমে জীবাণু সহজেই ছড়ায়।