১. গ্রন্থি এক ধরনের-
ক. রূপান্তরিত আবরণী কলা। খ. যোজক কলা
গ. পেশী কলা ঘ. চর্বি কলা
উত্তর ঃ ক।
২. ক্ষরণ পদ্ধতি ও ক্ষরণ নির্গমন নালীর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির ভিত্তিতে গ্রন্থি ......... প্রকার।
ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫
উত্তর ঃ ক। যথা ঃ ১। বহিঃক্ষরা গ্রন্থি এবং ২। অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি ।
৩. কোনটি বহিঃক্ষরা গ্রন্থি নয়?
ক. লালাগ্রন্থি খ. যকৃত
গ. অগ্ন্যাশয় ঘ. অ্যাড্রেনাল
উত্তর ঃ ঘ।
৪. কোনটি বহিঃক্ষরা গ্রন্থির কাজ নয়?
ক. এরা দেহের নির্দিষ্ট স্থানে সক্রিয় থাকে, সমগ্র দেহে কোনো প্রভাব বিস্তার করে না।
খ. এদের ক্ষরিত বস্তুর নাম হরমোন যা সরাসরি রক্তের বা লসিকার মাধ্যমে পরিবাহিত হয়।
গ. এ গ্রন্থির রস যেখানে নিঃসৃত হয় সেখানেই কিংবা ধারে-কাছেই কাজ করে।
ঘ. ক্ষরণ পরিবহনের জন্য এসব গ্রন্থির নিজস্ব নালী থাকে।
উত্তর ঃ খ। এদের ক্ষরিত বস্তর নাম এনজাইম।
৫. নিম্নের কোনটি অন্তক্ষরা গ্রন্থি নয়?
ক. লালাগ্রন্থি খ. থাইরয়েড
গ. অগ্ন্যাশয় ঘ. অ্যাড্রেনাল
উত্তর ঃ ঘ।
৬. অন্তক্ষরা গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য নয় কোনটি?
ক. ক্ষরণ পরিবহনের জন্য কোনো নালী থাকে না।
খ. এসব গ্রন্থি নিঃসৃত রস দূরবর্তী সুনির্দিষ্ট অঙ্গে/ অংশে ক্রিয়াশীল হয়।
গ. এদের ক্ষরিত বস্তুর নাম হরমোন
ঘ. গ্রন্থিগুলোতে অপেক্ষাকৃত বেশি রক্তনালীর মাধ্যমে যথেষ্ট রক্ত সরবরাহ হয়।
উত্তর ঃ গ। এনজাইম।
৭. কোন গ্রন্থিটি অন্তঃ ও বহিঃক্ষরা হিসেবে কাজ করে?
ক. লালাগ্রন্থি খ. থাইরয়েড
গ. অগ্ন্যাশয় ঘ. অ্যাড্রেনাল
উত্তর ঃ গ।
৮. এটি কৈশিক জালিকাসমৃদ্ধ লোম ফলিকলের সঙ্গে সংলগ্ন নাশপাতি আকৃতির গ্রন্থি যা করোটি ও মুখমন্ডলের ত্বকে বেশি পাওয়া যায়।
ক. লালাগ্রন্থি খ. থাইরয়েড
গ. সিবেসাস ঘ. অ্যাড্রেনাল
উত্তর ঃ গ।* এ গ্রন্থি নিঃসৃত তেলজাতীয় পদার্থকে সিবাম বলে।
* এতে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, মোম ও স্টেরয়েড।
৯. সেরুমিনাস গ্রন্থি কোথায় অবস্থান করে?
ক. ত্বকে খ. ঠোটে
গ. কর্ণকুহরে ঘ. চোখে
উত্তর ঃ গ।* কর্ণকূহরে অবস্থিত স্বেদ গ্রন্থিগুলো সেরুমেন নামক মোমজাতীয় পদার্থ ক্ষরণ করে। এসব গ্রন্থিকে সেরুমিনাস গ্রন্থি বলে।
* কর্ণকূহরে লোম ও মোমে বিভিন্ন ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ, জীবাণু ধূলাবালি আটকে যাওয়ায় কানের সংবেদনশীল পর্দা রক্ষা পায়। কানের এ ময়লাকে খইল বলে।
১০. মাইবোমিয়ান গ্রন্থি কোথায় অবস্থান করে?
ক. ত্বকে খ. ঠোটে
গ. কর্ণকুহরে ঘ. চোখের পাতায়
উত্তর ঃ ঘ। চোখের পাতায় টার্সাস নামে যোজক কলার প্লেটে। এ গ্রন্থি থেকে অক্ষিগোলকে তেল ক্ষরিত হয়।
১১. কোন গ্রন্থিটি দেহের সবখানে বিস্তৃত?
ক. ঘাম গ্রন্থি খ. সিবেসাস গ্রন্থি
গ. পিটুইটারী ঘ. অ্যাড্রেনাল
উত্তর ঃ ক। ঘামে থাকে পানি, সোডিয়াম ক্লোরাইড, ইউরিয়া, অ্যামোনিয়া, গ্লুকোজ ইত্যাদি। চোখের পাতার কিনারায় অবস্থিত লোম ফলিকলের গোড়ায় অবস্থিত ঘাম গ্রন্থিকে সিলিয়ারি গ্রন্থি বলে।
১২. দৈহিক তাপ নিয়ন্ত্রণ করে -
ক. ঘাম গ্রন্থি খ. সিবেসাস গ্রন্থি
গ. পিটুইটারী ঘ. অ্যাড্রেনাল
উত্তর ঃ ক । ঘাম গ্রন্থি দেহের অতিরিক্ত পানি, লবণ ও ইউরিয়া নিষ্কাশনের মাধ্যমে দেহে রক্তের পরিমাণ ও অম্ল-ক্ষারের সাম্যাবস্থা বজায় রাখে এবং দৈহিক তাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
১৩. কোনটি গন্ধ গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য নয়?
ক. ঘাম গ্রন্থি বা স্বেদ গ্রন্থি রূপান্তরিত হয়ে গন্ধ গ্রন্থিতে পরিণত হয়।
খ. কেবল স্ত্রী সদস্যে বয়ঃপ্রান্তিতে এ গ্রন্থি কার্যকর।
গ. বয়ঃসন্ধিকালে এ সব গ্রন্থির দ্রুত বিকাশ ঘটে।
ঘ. দেহের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত এ গ্রন্থির ক্ষরণ বিপরীত লিঙ্গের সদস্যকে আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে।
উত্তর ঃ খ।
১৪. এই গ্রন্থিটি এক ধরনের পরিবর্তিত সিবেসাস গ্রন্থি-
ক. ঘাম গ্রন্থি খ. স্তনগ্রন্থি
গ. পিটুইটারী ঘ. অ্যাড্রেনাল
উত্তর ঃ খ।
১৫. অশ্র“গ্রন্থির কাজ নয় কোনটি?
ক. অশ্র“ অক্ষিগোলককে সিক্ত রাখে।
খ. কর্ণিয়াকে পুষ্টির যোগান দেয়।
গ. বয়ঃসন্ধিকালে এ সব গ্রন্থির দ্রুত বিকাশ ঘটে।
ঘ. ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং বাইরের ধূলাবালি থেকে চোখকে রক্ষা করে।
উত্তর ঃ গ।
১৬. এটি দেহের সবচেয়ে বড় গ্রন্থি।
ক. লালাগ্রন্থি খ. যকৃত
গ. অগ্ন্যাশয় ঘ. অ্যাড্রেনাল
উত্তর ঃ ঘ।
১৭. এই গ্রন্থিটি দেহের অতিরিক্ত গ্লুকোজকে চর্বিতে পরিণত করে সঞ্চিত রাখে।
ক. লালাগ্রন্থি খ. যকৃত
গ. অগ্ন্যাশয় ঘ. অ্যাড্রেনাল
উত্তর ঃ খ।
১৮. এই গ্রন্থির নিঃসৃত রস রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ক. লালাগ্রন্থি খ. যকৃত
গ. অগ্ন্যাশয় ঘ. অ্যাড্রেনাল
উত্তর ঃ গ। ইনসুলিন রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
১৯. মানুষের উচ্চতা নিয়ন্ত্রণ করেÑ
ক. সোমাটোট্রাফক খ. অ্যাড্রিনোকর্টিকোট্রফিন
গ. গোনাডোট্রফিক ঘ. লিউকোট্রফিক
উত্তর ঃ ক।
২০. কোনটি পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়না?
ক. সোমাটোট্রাফিক খ. অ্যাড্রিনোকর্টিকোট্রফিন
গ. গোনাডোট্রফিক ঘ. অ্যাড্রেনালিন
উত্তর ঃ ঘ।
২১. শ্বাসনালীর উভয় পাশে কোন গ্রন্থির অবস্থান?
ক. পিটুইটারি খ. থাইরয়েড
গ. অ্যাড্রেনাল ঘ. পিনিয়াল
উত্তর ঃ খ।
২২. গ্লুকোজ ও শর্করা জাতীয় খাদ্যের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে-
ক. সোমাটোট্রাফিক খ. অ্যাড্রিনোকর্টিকোট্রফিন
গ. গোনাডোট্রফিক ঘ. গ্লুকোকর্টিকয়েড
উত্তর ঃ ঘ
২৩. এই হরমোনটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে-
ক. সোমাটোট্রাফিক খ. গ্লুকানন
গ. ইনসুলিন ঘ. গ্লুকোকর্টিকয়েড
উত্তর ঃ খ।
২৪. শুক্রাশয়ের অন্তঃক্ষরা কলা থেকে নিঃসৃত হয়-
ক. সোমাটোট্রাফিক খ. ইস্ট্রোজেন
গ. ইনসুলিন ঘ. টেস্টোস্টেরণ
উত্তর ঃ ঘ।
২৫. ডিম্বাশয়ের অন্তঃক্ষরা কলা থেকে নিঃসৃত হয়-
ক. সোমাটোট্রাফিক খ. ইস্ট্রোজেন
গ. ইনসুলিন ঘ. টেস্টোস্টেরণ
উত্তর ঃ খ।
২৬. রজঃচক্র পূরণ করার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখেÑ
ক. প্রোজেস্টেরণ খ. ইস্ট্রোজেন
গ. ইনসুলিন ঘ. টেস্টোস্টেরণ
উত্তর ঃ ক।