কোষ বিভাজন সম্পর্কিত এমসিকিউ

১। কোষ বিভাজনের ফলে সৃষ্ট নতুন কোষকে বলে-

(ক) মাতৃকোষ (খ) অপত্য কোষ (গ) জনন কোষ (ঘ) হ্যাপ্লয়েড কোষ উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: এবং যে কোষটি থেকে অপত্য কোষ সৃষ্টি হয় সে কোষটি হলো মাতৃকোষ (mother cell)। 

২। কে সর্বপ্রথম কোষ বিভাজন লক্ষ্য করেন?

(ক) ওয়াল্টার ফ্লেমিং (খ) লিউয়েন হুক (গ) রবার্ট হুক (ঘ) উইলিয়াম হার্ভে উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: Walter Flemming ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে সামুদ্রিক স্যালামান্ডার (Triturus maculosa) কোষে প্রথম কোষ বিভাজন লক্ষ্য করেন।

৩। জীব জগতে কত প্রকার কোষ বিভাজন দেখা যায়?

(ক) দুই (খ) তিন (গ) চার (ঘ) পাঁচ উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: অ্যামাইটোসিস বা প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন, মাইটোসিস বা সমীকরণিক কোষ বিভাজন এবং মায়োসিস বা হ্রাসমূল কোষ বিভাজন।

৪। যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম কোনো জটিল মাধ্যমিক পর্যায় ছাড়াই সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য (শিশু) কোষের সৃষ্টি করে তাকে বলে-

(ক) অ্যামাইটোসিস বা প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন (খ) মাইটোসিস বা সমীকরণিক কোষ বিভাজন

(গ) মায়োসিস বা হ্রাসমূল কোষ বিভাজন (ঘ) ক অথবা খ উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই সরাসরি মাতৃকোষের বিভাজন ঘটে থাকে। এক্ষেত্রে নিউক্লিয়াসটি প্রত্যক্ষভাবে সরাসরি দু’অংশে ভাগ হয়। নিউক্লিয়াসটি প্রথমে লম্বা হয় ও মাঝখানে ভাগ হয়ে দুটি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। পরে কোষটির মধ্যভাগে একটি চক্রাকার গর্ত ভেতরের দিকে ঢুকে গিয়ে পরিশেষে দু’ভাগে ভাগ করে ফেলে। ফলে একটি কোষ দুটি অপত্য কোষে পরিণত হয়। প্রতিটি অপত্য কোষ ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে মাতৃকোষের অনুরূপ আকৃতি লাভ করে।

৫। নিচের কোনটিতে অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন দেখা যায়?

(ক) ঈস্ট (খ) অ্যামিবা (গ) হাইড্রা (ঘ) ক ও খ উত্তর: (ঘ)

ব্যাখ্যা: কতক ঈস্ট, অ্যামিবা প্রভৃতি এককোষী জীবে এ প্রকার কোষ বিভাজন দেখা যায়। ব্যাকটেরিয়ার দ্বি-ভাজন প্রক্রিয়াও কতকটা অ্যামাইটোসিস এর মতোই। উভয় প্রক্রিয়া প্রায় সমার্থক।

৬। কোন বিজ্ঞানীর মতে, অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়া থেকেই জটিল ও উন্নত কোষ বিভাজন পদ্ধতির উৎপত্তি হয়েছে?

(ক) রবার্ট হুক (খ) লিউয়েন হুক (গ) ল্যামার্ক (ঘ) স্ট্রাসবার্জার উত্তর: (ঘ)

ব্যাখ্যা: বিজ্ঞানী স্ট্রাসবার্জার (১৮৯২) এর মতে, অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়া থেকেই জটিল ও উন্নত কোষ বিভাজন পদ্ধতির উৎপত্তি হয়েছে।

কোনো কোনো এককোষী জীবের সংখ্যাবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ।

৭। প্রকৃতকোষী জীবদেহ গঠনের কোষ বিভাজন হলো-

(ক) অ্যামাইটোসিস (খ) মাইটোসিস (গ) মিয়োসিস (ঘ) ক ও খ     উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: মাইটোসিস কোষ বিভাজনে একটি প্রকৃত কোষের প্রতিটি ক্রোমোসোমের একটি করে ক্রোমাটিড দু’দিকে দু’মেরুতে সরে গিয়ে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াসের সৃষ্টি করে। পরে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াসের মধ্যবর্তী স্থানে উদ্ভিদকোষে কোষপ্রাচীর সৃষ্টির মাধ্যমে এবং প্রাণিকোষে প্লাজমামেমব্রেন ভেতরের দিকে ঢুকে গিয়ে সাইটোপ্লাজম দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায় এবং দুটি অপত্য কোষে পরিণত হয়।

৮। মাইটোসিস কোষ বিভাজনে নিউক্লিয়াসের বিভাজনকে কি বলে?

(ক) ক্যারিওকাইনেসিস (খ) সাইটোকাইনেসিস (গ) প্লাজমোসিস (ঘ) গ্লাইকোলাইসিস উত্তর: (ক)

৯। মাইটোসিস কোষ বিভাজনে সাইটোপ্লাজমের বিভাজনকে কি বলে?

(ক) ক্যারিওকাইনেসিস     (খ) সাইটোকাইনেসিস 

(গ) প্লাজমোসিস                 (ঘ) গ্লাইকোলাইসিস                                 উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয়াসের বিভাজনকে বলা হয় ক্যারিওকাইনেসিস এবং সাইটোপ্লাজমের বিভাজনকে বলা হয় সাইটোকাইনেসিস। এ প্রক্রিয়ায় বিভক্ত কোষে ক্রোমোসোমের সংখ্যাগত, আকৃতিগত ও গুণগত কোনো পরিবর্তন ঘটে না অর্থাৎ নতুন দুটি কোষের প্রতিটিতে ক্রোমোসোমের সংখ্যা, গুণাগুণ ও গঠনাকৃতি মাতৃকোষের ক্রোমোসোমের সংখ্যা, গুণাগুণ ও গঠনাকৃতির অনুরূপ থাকে।

১০। মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয়াস ও ক্রোমোসোম কতবার করে বিভক্ত হয়?

(ক) উভয়ই একবার (খ) নিউক্লিয়াস দুইবার কিন্তু ক্রোমোসোম একবার

(গ) উভয়ই দুইবার         (ঘ) উভয়ই অসংখ্যবার উত্তর: (ক)

১১। নিউক্লিয়াসের বিভাজন প্রথম দেখতে পেয়েছিলেন-

(ক) ফ্লেমিং (খ) শ্লাইখার (গ) রবার্ট হুক (ঘ) টর্টি উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: এবং নাম দেন ক্যারিওকাইনেসিস।

১২। মাইটোসিস কোষ বিভাজন নামকরণ করেন কে?

(ক) ওয়াল্টার ফ্লেমিং (খ) স্ট্রাসবার্জার (গ) টর্টি (ঘ) লিউয়েন হুক উত্তর: (ক)

১৩। মাইটোসিস কোথায় ঘটে?

(ক) উদ্ভিদের দেহ কোষে (খ) প্রাণীর দেহ কোষে

(গ) উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহ কোষে (ঘ) উদ্ভিদ ও প্রাণীর জনন মাতৃকোষে         উত্তর: (গ)

ব্যাখ্যা: মাইটোসিস প্রাণী ও উদ্ভিদের বিভাজন ক্ষমতাসম্পন্ন দৈহিক কোষে ঘটে থাকে, যেমন- উদ্ভিদের কান্ড বা তার শাখা-প্রশাখার শীর্ষ, মূলের বর্ধিষ্ণু শীর্ষ, ক্যাম্বিয়াম প্রভৃতি অঞ্চলে মাইটোসিস হয়ে থাকে। জীবদেহের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মাইটোসিস প্রক্রিয়ারই ফল। 

১৪। জননাঙ্গের গঠন এবং বৃদ্ধি কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে?

(ক) অ্যামাইটোসিস (খ) মাইটোসিস (গ) মিয়োসিস (ঘ) ক ও খ         উত্তর: (খ)

১৫। মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় প্রতিটি ক্রোমোসোম লম্বালম্বিভাবে তথা অনুদৈর্ঘ্যে কতটি ক্রোমাটিডে বিভক্ত হয়?

(ক) ২টি (খ) ৪টি (গ) ৬টি (ঘ) ৮টি উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: প্রতিটি ক্রোমাটিড তথা অপত্য ক্রোমোসোম তার নিকটস্থ মেরুতে পৌঁছে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াসের সৃষ্টি করে। কাজেই দুটি অপত্য কোষেই ক্রোমোসোম সংখ্যা সমান থাকে।

১৬। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য কোনটি?

(ক) অপত্য কোষগুলো মাতৃকোষের সমগুণসম্পন্ন হয়, কারণ জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রক জিনসমূহ বহনকারী ক্রোমোসোমগুলোর প্রতিটি লম্বালম্বিভাবে বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষের নিউক্লিয়াসে যায়

(খ) অপত্য কোষের ক্রোমোসোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোসোম সংখ্যার সমান থাকে

(গ) অপত্য কোষ বৃদ্ধি পেয়ে মাতৃকোষের সমান আয়তনের হয় 

(ঘ) ক,খ,গ                     উত্তর: (ঘ)

১৭। কোষচক্রের প্রবর্তন করেন-

(ক) হাওয়ার্থ ও পেল্ক (খ) ওয়াল্টার ফ্লেমিং (গ) স্লাইখার (ঘ) স্লেইডেন উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: একটি সুস্থ বর্ধিষ্ণু কোষের জীবন শুরু হয় মাতৃকোষের বিভাজনের ফলে তার সৃষ্টির মাধ্যমে এবং শেষ হয় বিভাজিত হয়ে অপত্য কোষ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে। একটি কোষ সৃষ্টি, এর বৃদ্ধি এবং পরবর্তীতে বিভাজনÑ এ তিনটি কাজ যে চক্রের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় তাকে বলা হয় কোষ চক্র। হাওয়ার্ড ও পেল্ক এই কোষ চক্রের প্রস্তাব করেন। এই চক্রটি বার বার চলতেই থাকে।

১৮। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির দেহে কত ট্রিলিয়ন কোষ থাকে?

(ক) ৫০ (খ) ১০০ (গ) ১৫০ (ঘ) ২০০ উত্তর: (খ)

১৯। নিচের কোন তথ্যটি সঠিক?

(ক) কোষ বিভাজনের জন্য প্রয়োজন অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রয়োজনীয় সিগনাল বা সংকেত

(খ) কিছু কোষ আছে যারা দ্রুত বিভাজনের জন্য বিশেষায়িত (যেমন ভ্রƒণ কোষ, মূল ও কান্ডের শীর্ষ মেরিস্টেম কোষ)

(গ) কিছু কোষ আছে প্রয়োজনীয় উদ্দীপনা পেলে বিভাজিত হতে পারে

(ঘ) ক,খ,গ                                                                                         উত্তর: (ঘ)

২০। অনেক কোষ আছে কখনো বিভক্ত হয় না, যেমন-

(ক) মানুষের পূর্ণাঙ্গ লাল রক্ত কোষ     (খ) পেশিকোষ ও স্নায়ুকোষ 

(গ) উদ্ভিদের স্থায়ী কোষসমূহ             (ঘ) ক,খ,গ                                                 উত্তর: (ঘ)

২১। কোষ চক্র কতটি প্রধান ধাপে বিভক্ত?

(ক) ২টি (খ) ৩টি (গ) ৪টি (ঘ) ৫টি উত্তর: (ক)

২২। কোষের বিভাজনরত অবস্থাকে বলা হয় এম ফেজ বা মাইটোসিস এবং দুটি এম. ফেজ-এর মধ্যবর্তী অবিভাজন অবস্থাকে বলা হয়-

(ক) ইনারফেজ     (খ) ইন্টারফেজ 

(গ) এন ফেজ     (ঘ) সিস্টেমিক ফেজ                         উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: এম. ফেজ এবং ইন্টারফেজ পর্যায়ক্রমিকভাবে পরপর এসে কোষ চক্র সম্পন্ন করে।

২৩। কোষ চক্রের মোট সময়ের কত ভাগ এম. ফেজ-এ ব্যয় হয়?

(ক) ৫-১০ (খ) ২০-৩০ (গ) ৪০-৫০ (ঘ) ৪০-৬০ উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: বাকি ৯০-৯৫ ভাগ সময় ব্যয় হয় ইন্টারফেজ অবস্থায়। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, কোনো নির্দিষ্ট সময়ে মাত্র অল্পসংখ্যক কোষ মাইটোসিস পর্যায়ে থাকে এবং অধিকাংশ সময় অধিকাংশ কোষই ইন্টারফেজ পর্যায়ে থাকে।

২৪। কোষ চক্র নিয়ন্ত্রিত হয়-

(ক) একটি জেনেটিক প্রোগ্রাম দ্বারা (খ) একটি এনজাইম দ্বারা

(গ) আলো, তাপ প্রভৃতি দ্বারা         (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ক)

২৫। কোষ চক্রে অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনা প্রদান করে-

(ক) হরমোন                         (খ) এনজাইম 

(গ) সাইক্লিন-Cdk যৌগ     (ঘ) ক,খ,গ                         উত্তর: (গ)

২৬। কোষ চক্রে বাহ্যিক উদ্দীপক-

(ক) বিভিন্ন হরমোন             (খ) গ্রোথ ফ্যাক্টর 

(গ) ক ও খ                         (ঘ) সাইক্লিন-Cdk যৌগ                 উত্তর: (গ)

২৭। আমাদের দেহের কোনো স্থান কেটে গেলে রক্তের ............... একটি গ্রোথ ফ্যাক্টর তৈরি করে যার উদ্দীপনায় চারপাশের কোষ বিভাজিত হয়ে ক্ষতস্থান জোড়া লাগিয়ে দেয়।

(ক) লোহিত রক্ত কণিকা     (খ) শ্বেত রক্ত কণিকা 

(গ) অনুচক্রিকা                 (ঘ) ক ও খ                                 উত্তর: (গ)

২৮। দেহের ইমিউন সিস্টেমের জন্য দরকারি কোষসমূহ বিভাজিত হওয়ার জন্য শ্বেত রক্তকণিকা একটি গ্রোথ ফ্যাক্টর তৈরি করে দেয়।

(ক) লোহিত রক্ত কণিকা     (খ) শ্বেত রক্ত কণিকা 

(গ) অনুচক্রিকা                 (ঘ) ক ও খ                                 উত্তর: (খ)

২৯। Bone marrow- তে লোহিত রক্তকণিকা কোষ সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ‘.....................’ erythropoietin তৈরি করে।

(ক) যকৃত (খ) কিডনি (গ) ফুসফুস (ঘ) প্লীহা উত্তর: (খ)

৩০। ইন্টারফেজ উপপর্যায়কে কতটি উপপর্যায়ে ভাগ করা যায়?

(ক) ২টি (খ) ৩টি (গ) ৪টি (ঘ) ৫টি উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: ইন্টারফেজ-কে সাধারণত ৩টি উপ-পর্যায়ে ভাগ করা হয়; যথা- G1, S  এবং G2। টার্গেট কোষের (যে কোষ বিভাজিত হবে) সার্ফেসে বিশেষ রিসেপ্টর প্রোটিনের সাথে গ্রোথ ফ্যাক্টর সংযুক্ত হয়ে কোষ চক্র শুরু করার নির্দেশ দান করে।

৩১। বিপাকীয় নিউক্লিয়াস বলা হয়-

(ক) এম ফেজে কোষের নিউক্লিয়াসকে

(খ) মায়োসিস কোষ বিভাজনরত কোষের নিউক্লিয়াসকে

(গ) ইন্টারফেজ অবস্থায় কোষের নিউক্লিয়াসকে

(ঘ) উপরের কোনটিই নয়                                                         উত্তর: (গ)

ব্যাখ্যা: ইন্টারফেজ অবস্থাটি বেশ দীর্ঘ। পরবর্তী বিভাজন পর্যায়টিকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইন্টারফেজ অবস্থায় নিউক্লিয়াসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ক্রিয়া-বিক্রিয়া ঘটে থাকে। তাই ইন্টারফেজ অবস্থায় কোষের নিউক্লিয়াসকে বলা হয় বিপাকীয় নিউক্লিয়াস। এক কথায় বলা যায় এম. ফেজ (মাইটোসিস)-কে সুসম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয় ইন্টারফেজ অবস্থায়।

৩২। একটি কোষ পরবর্তীতে বিভাজন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে কিনা, তার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় কোন উপপর্যায়ে?

(ক) গ্যাপ১ (খ) গ্যাপ২ (গ) সিনথেসিস (ঘ) ক ও খ উত্তর: (ক)

৩৩। G1-এর প্রথমেই ................... নামক এক প্রকার প্রোটিন তৈরি হয় যা Cdk (Cyclin dependent kinase) এর সাথে যুক্ত হয়ে সমগ্র প্রক্রিয়ার গতি ত্বরান্বিত ও নিয়ন্ত্রণ করে।

(ক) মায়োলিন (খ) সাইক্লিন (গ) কিউটিন (ঘ) ক ও খ উত্তর: (খ)

৩৪। G1 দশায় ফসফোরাইলেশন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে-

(ক) বিভিন্ন হরমোন (খ) গ্রোথ ফ্যাক্টর (গ) ক ও খ (ঘ) Cdk উত্তর: (ঘ)

৩৫। এ সময় প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রোটিন, RNA এবং DNA প্রতিলিপনের সকল উপাদান তৈরি হয়-

(ক) গ্যাপ১ (খ) গ্যাপ২ (গ) সিনথেসিস (ঘ) ক ও খ উত্তর: (ক)

৩৬। যে কোষটি আর বিভাজিত হবে না তা এক সপ্তাহ বা এক বছর অর্থাৎ আমৃত্যু ................ উপপর্যায়েই আবদ্ধ হয়ে যায়।

(ক) গ্যাপ১ (খ) গ্যাপ২ (গ) সিনথেসিস (ঘ) ক ও খ উত্তর: (ক)

৩৭। মোট কোষ চক্রের কত ভাগ সময় গ্যাপ১ উপপর্যায়ে ব্যয় হয়?

(ক) ৫-১০ (খ) ২০-৩০ (গ) ৩০-৪০ (ঘ) ৪০-৬০ উত্তর: (গ)

৩৮। এই উপপর্যায়ের প্রধান কাজ হলো নিউক্লিয়াসে ক্রোমোসোমস্থ DNA সূত্রের প্রতিলিপন-

(ক) গ্যাপ১ (খ) গ্যাপ২ (গ) সিনথেসিস (ঘ) ক ও খ উত্তর: (গ)

ব্যাখ্যা: পরবর্তী উপ-পর্যায়ে প্রবেশের আগেই DNA প্রতিলিপন সম্পন্ন হয়।

৩৯। মোট কোষ চক্রের কত ভাগ সময় সিনথেসিস উপপর্যায়ে ব্যয় হয়?

(ক) ৫-১০ (খ) ১০-২০ (গ) ৩০-৪০ (ঘ) ৩০-৫০ উত্তর: (ঘ)

৪০। এটি হলো এম. ফেজ-এ (মাইটোসিস দশা) প্রবেশ করার প্রস্তুতি পর্যায়।

(ক) গ্যাপ১ (খ) গ্যাপ২ (গ) সিনথেসিস (ঘ) ক ও খ উত্তর: (খ)

৪১। এই উপপর্যায়ের প্রধান কাজ হলো মাইক্রোটিউবিউল গঠনকারী পদার্থ সংশ্লেষণ যা দিয়ে মাইটোসিস পর্যায়ে স্পিন্ডল তন্তু তৈরি হবে।

(ক) গ্যাপ১ (খ) গ্যাপ২ (গ) সিনথেসিস (ঘ) ক ও খ উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: একটি সেন্ট্রোসোম থেকে দুটি সেন্ট্রোসোম-এ পরিণত হয়। সেন্ট্রোসোম মাইক্রোটিউবিউল তৈরি সূচনা করে।

৪২। বিভাজন প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি (ATP) কোন পর্যায়ে তৈরি হয়?

(ক) গ্যাপ১ (খ) গ্যাপ২ (গ) সিনথেসিস (ঘ) ক ও খ উত্তর: (খ)

৪৩। G2 থেকে মাইটোসিস-এ প্রবেশ করতে হলে কি প্রয়োজন-

(ক) ম্যাচুরেশন প্রোমোটিং ফ্যাক্টর (MPF) নামক প্রোটিন (খ) বিভিন্ন হরমোন 

(গ) গ্রোথ ফ্যাক্টর                                 (ঘ) খ ও গ         উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: কিছু সংখ্যক কোষ G2 উপপর্যায়ে এসেও আটকা পড়ে যায়, আর কখনো বিভাজন পর্যায়ে প্রবেশ করে না।

৪৪। মোট কোষ চক্রের কত ভাগ সময় গ্যাপ২ উপপর্যায়ে ব্যয় হয়?

(ক) ৫-১০ (খ) ১০-২০ (গ) ৩০-৪০ (ঘ) ৩০-৫০ উত্তর: (খ)

৪৫। G1 থেকে S-উপপর্যায় এবং S-উপপর্যায় থেকে G2-তে স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজন হয়-

(ক) ম্যাচুরেশন প্রোমোটিং ফ্যাক্টর (MPF) নামক প্রোটিন (খ) বিভিন্ন হরমোন 

(গ) Cdk প্রোটিনের অ্যাক্টিভেশন                 (ঘ) খ ও গ উত্তর: (গ)

৪৬। জীব জীবনে ইন্টারফেজ-এর গুরুত্বের অন্তর্ভূক্ত-

(ক) কোষটি পরবর্তী কোষ বিভাজনে অংশগ্রহণ করবে কিনা তা ইন্টারফেজ-এর প্রথম দিকেই ঠিক হয়

(খ) পরবর্তী কোষ বিভাজনের জন্য প্রোটিন, RNA ও DNA প্রতিলিপনের সকল উপাদান তৈরি হয়

(গ) DNA প্রতিলিপন হয় 

(ঘ) ক,খ,গ                 উত্তর: (ঘ)

৪৭। কোষ চক্রের ইন্টারফেজ দশার গুরুত্বের ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক?

(ক) কোষ বিভাজনের প্রয়োজনীয় স্পিন্ডল তন্তু তৈরির জন্য মাইক্রোটিউবিউলস সৃষ্টি হয়।

(খ) কোষ বিভাজনের প্রয়োজনীয় শক্তি (ATP) তৈরি হয়।

(গ) ইন্টারফেজ পর্যায় না থাকলে বিভাজন পর্যায় সম্পন্ন হবে না।

(ঘ) ক,খ,গ                 উত্তর: (ঘ)

৪৮। কোনটি সঠিক নয়?

(ক) কোষ চক্র না হলে এককোষী বা বহুকোষী কোনো জীবেরই বংশবৃদ্ধি হবে না

(খ) কোষ চক্রের ইন্টারফেজ-এর প্রস্তুতির কারণেই মায়োসিস হয়

(গ) প্রতিটি জীবে স্বাভাবিক কোষ চক্র ঐ জীবের স্বাভাবিক বৃদ্ধি সম্পন্ন করে

(ঘ) অস্বাভাবিক অর্থাৎ অনিয়ন্ত্রিত কোষ চক্র জীবদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ব্যাহত করে। এমনকি ক্যান্সার রোগ সৃষ্টি করে থাকে।

উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: কোষ চক্রের ইন্টারফেজ-এর প্রস্তুতির কারণেই মাইটোসিস হয় জীবের বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটায়, প্রজননঅঙ্গ তৈরি করে এবং ক্ষয়পূরণ করে। 

৪৯। কোষ চক্র G2 ফেজ থেকে কোন পর্যায়ে প্রবেশ করে?

(ক) মাইটোসিস (খ) মায়োসিস (গ) অ্যামাইটোসিস (ঘ) ক অথবা খ উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: একটি জটিল প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয়াসের বিভাজন ও পুনঃগঠন, সাইটোপ্লাজমের নতুন দুই কোষে গমন, সেলমেমব্রেন এবং উদ্ভিদ কোষে কোষ প্রাচীর গঠনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ দুটি অপত্য কোষ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে এম পর্যায় সমাপ্ত হয়।

৫০। কোষ চক্রের মোট সময়ের মাত্র কত ভাগ সময় ব্যয় হয় মাইটোটিক ফেজের জন্য?

(ক) ৫-১০ (খ) ১০-২০ (গ) ৩০-৪০ (ঘ) ৩০-৫০ উত্তর: (ক)

৫১। সম্পূর্ণ মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কতটি প্রধান ভাগে বিভক্ত?

(ক) দুটি (খ) তিনটি (গ) চারটি (ঘ) পাঁচটি উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: ক্যারিওকাইনেসিস (Karyokinesis)- নিউক্লিয়াসের বিভাজন এবং সাইটোকাইনেসিস (Cytokinesis)- সাইটোপ্লাজমের বিভাজন।

৫২। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের যে বৃহৎ এবং জটিল পর্যায়ে একটি মাতৃকোষের অভ্যন্তরে একটি নিউক্লিয়াস থেকে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াস উৎপন্ন হয়, তাকে কি বলে?

(ক) সাইটোকাইনেসিস (খ) ক্যারিওকাইনেসিস

(গ) মায়োসিস         (ঘ) ইন্টারফেজ উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: মাইটোসিস বলতে মূলত ক্যরিওকাইনেসিসকেই বোঝানো হয়ে থাকে।

৫৩। মাইটোসিস-এর প্রথম পর্যায়কে বলে-

(ক) প্রোফেজ বা আদ্যপর্যায় (খ) মেটাফেজ

(গ) অ্যানাফেজ (ঘ) টেলোফেজ উত্তর: (ক)

৫৪। প্রোফেজ পর্যায়ের ক্ষেত্রে সঠিক নয়-

(ক) কোষের নিউক্লিয়াস আকারে বড় হয়

(খ) নিউক্লিয়াস, বিশেষ করে ক্রোমোসেমগুলোতে জল-বিয়োজন (dehydration) আরম্ভ হয়

(গ) ক্রমাগত জল বিয়োজনের ফলে ক্রোমোসোমগুলো সংকুচিত হতে থাকে।

(ঘ) এ পর্যয়ের প্রথম দিকে নিউক্লিয়োলাস এবং নিউক্লিয়ার এনভেলপের বিলুপ্তি ঘটতে থাকে।

উত্তর: (ঘ)

ব্যাখ্যা: ক্রমাগত জল বিয়োজনের ফলে ক্রোমোসোমগুলো সংকুচিত হতে থাকে ফলে ক্রমাগত খাটো ও মোটা হয়, রং ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং স্পষ্ট হতে স্পষ্টতরভাবে দৃষ্টিগোচর হয়। এ পর্যয়ের শেষের দিকে নিউক্লিয়োলাস এবং নিউক্লিয়ার এনভেলপের বিলুপ্তি ঘটতে থাকে।

৫৫। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের প্রোফেজ দশার ক্ষেত্রে নিচের শুন্যস্থানে বসবে-

সাইক্লিন ডিপেনডেন্ট কাইনেজ কর্তৃক কতক ............... ফসফোরাইলেশনের কারণে ক্রোমোসোম সংকোচন শুরু হয় এবং কতক ............... ফসফোরাইলেশনের কারণে নিউক্লিয়ার এনভেলপের বিলুপ্তি ঘটতে থাকে।

(ক) হরমোনের (খ) লিপিডের (গ) প্রোটিনের (ঘ) কোনটিই নয় উত্তর: (গ)

৫৬। মাইটোসিসের প্রোফেজ পর্যায়ে প্রতিটি ক্রোমোসোম সেন্ট্রোমিয়ার ব্যাতীত লম্বালম্বিভাবে (অনুদৈর্ঘ্য)ে দুটি সূত্রে বিভক্ত থাকে। প্রতিটি সূত্রকে বলা হয়-

(ক) ক্রোমাটিন (খ) ক্রোমাটিড (গ) ক্রোমোমিয়ার (ঘ) ক্রোমোনেমা উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: ক্রোমোসোমগুলো আদ্যপর্যায়ে ক্রোামাটিডে বিভক্ত হলেও আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রে সাধারণত অবিভক্তই মনে হয়। এ পর্যায়ে স্পিন্ডল তন্তু সৃষ্টির সূচনা ঘটে।

৫৭। মাইটোসিসের প্রোফেজ পর্যায়ের পরবর্তী এবং মেটাফেজ পর্যায়ের অগ্রবর্তী পর্যায়কে বলে-

(ক) মেটাফেজ (খ) প্রো-মেটাফেজ (গ) অ্যানাফেজ (ঘ) টেলোফেজ উত্তর: (খ)

৫৮। মাইটোসিসের এই পর্যায়ে নিউক্লিয়োলাসের বিলুপ্তি ঘটে-

(ক) মেটাফেজ (খ) প্রো-মেটাফেজ (গ) অ্যানাফেজ (ঘ) টেলোফেজ উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: প্রোফেজের একেবারে শেষদিকে উদ্ভিদকোষে কতগুলো তন্তুময় প্রোটিনের সমন্বয়ে দু’মেরুযুক্ত স্পিন্ডল যন্ত্রের (spindle apparatus) সৃষ্টি হয়। এই পর্যায়ের প্রথম দিকেই স্পিন্ডল যন্ত্রের তন্তুগুলোর আঘাতে নিউক্লিয়ার এনভেলপ বিলুপ্ত হতে থাকে এবং এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই পর্যায়ে নিউক্লিয়োলাসেরও বিলুপ্তি ঘটে।

৫৯। স্পিন্ডল যন্ত্রের দু’মেরুর মধ্যবর্তী স্থানকে কি বলে?

(ক) ইকুয়েটর বা বিষুবীয় অঞ্চল         (খ) মধ্যাঞ্চল 

(গ) প্রধান অঞ্চল                                 (ঘ) কোনটিই নয়     উত্তর: (ক)

৬০। স্পিন্ডল যন্ত্রের তন্তুগুলো এক মেরু হতে অপর মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত। এদেরকে বলা হয়-

(ক) ট্রাকসন ফাইবার     (খ) স্পিন্ডল ফাইবার 

(গ) মাইকোফাইব্রিল     (ঘ) অ্যাস্টার তন্তু                             উত্তর: (খ)

৬১। প্রো-মেটাফেজ পর্যায়ে ক্রোমোসোমের সেন্ট্রোমিয়ার স্পিন্ডল যন্ত্রের নির্দিষ্ট তন্তুর সাথে সংযুক্ত হয়। এসময় ক্রোমোসোম একটু আন্দোলিত হয় যাকে ...................... বলা হয়ে থাকে।

(ক) ক্রোমোনেমীয় নৃত্য (খ) ক্রোমোসোমীয় নৃত্য

(গ) ক অথবা খ         (ঘ) কোনটিই নয়     উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: আসলে ক্রোমোসোমগুলো বিষুবীয় অঞ্চলের দিকে যেতে থাকে।

৬২। ক্রোমোসোমের সেন্ট্রোমিয়ার সংযুক্তকারী তন্তুকে বলা হয়-

(ক) ট্রাকসন ফাইবার (খ) স্পিন্ডল ফাইবার 

(গ) মাইকোফাইব্রিল (ঘ) ক অথবা খ উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: স্পিন্ডল ফাইবার সেন্ট্রোমিয়ারের কাইনেটোকোরের মটর প্রোটিনে সংযুক্ত হয়। এই প্রোটিন ATP ভেঙ্গে ADP ও Pi সৃষ্টি করে এবং শক্তি নির্গত করে। এই শক্তি খরচ করে ক্রোমোসোম মাইক্রোটিউবিউল ধরে চলতে থাকে।

৬৩। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের প্রোমেটাফেজ পর্যায়ে প্রাণিকোষে স্পিন্ডল যন্ত্র সৃষ্টি ছাড়াও পূর্বে বিভক্ত সেন্ট্রিয়োল দু’মেরুতে অবস্থান করে এবং সে স্থান হতে ............. বিচ্ছুরিত হয়।

(ক) ট্রাকসন ফাইবার     (খ) স্পিন্ডল ফাইবার 

(গ) মাইকোফাইব্রিল     (ঘ) অ্যাস্টার তন্তু                                        উত্তর: (ঘ)

৬৪। মাইটোসিসের কোন পর্যায়ের শেষ ভাগে প্রতিটি সেন্ট্রোমিয়ার সম্পূর্ণ বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য সেন্ট্রোমিয়ার সৃষ্টি করে?

(ক) মেটাফেজ     (খ) প্রো-মেটাফেজ 

(গ) অ্যানাফেজ     (ঘ) টেলোফেজ                                 উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: এ পর্যায়ের প্রথমেই সমস্ত ক্রোমোসোম স্পিন্ডল যন্ত্রের বিষুবীয় অঞ্চলে এসে অবস্থান করে। স্পিন্ডল যন্ত্রের দু’মেরুর মর্ধবর্তী স্থানকে বিষুবীয় বা নিরক্ষীয় অঞ্চল বলা হয়। স্পিন্ডল যন্ত্রের বিষুবীয় অঞ্চলে ক্রোমোসোমের বিন্যস্ত হওয়াকে মেটাকাইনেসিস বলে। এ পর্যায়ে ক্রোমাটিডগুলো সবচেয়ে বেশি মোটা, খাটো ও স্পষ্ট দেখা যায়। এ পর্যায়ে কোষে ক্রোমোসোম সংখ্যা, আকার ও আকৃতি নির্ণয় করা যায়। মেটাফেজ পর্যায়ের শেষ ভাগে প্রতিটি সেন্ট্রোমিয়ার সম্পূর্ণ বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য সেন্ট্রোমিয়ার সৃষ্টি করে।

৬৫। মাইটোসিসের কোনটি গতিপর্যায়?

(ক) মেটাফেজ (খ) প্রো-মেটাফেজ (গ) অ্যানাফেজ (ঘ) টেলোফেজ উত্তর: (গ)

ব্যাখ্যা: সেন্ট্রোমিয়ার পৃথক হওয়ার সাথে সাথে অ্যানাফেজ পর্যায় শুরু হয়। এ পর্যায়ে অপত্য ক্রোমোসোমসমূহ বিষুবীয় অঞ্চল থেকে মেরুমুখী চলতে শুরু করে। সেন্ট্রোমিয়ারের পূর্ণ বিভক্তির ফলে প্রতিটি ক্রোমাটিড একটি অপত্য ক্রোমোসোমে পরিণত হয় এবং প্রতিটি অপত্য ক্রোমোসোম এদের নিকটস্থ মেরুর দিকে ধাবিত হয়। অপত্য ক্রোমোসোমের মেরু অভিমুখী চলনে সেন্ট্রোমিয়ারই অগ্রগামী থাকে এবং বাহুদ্বয় অনুগামী হয়, ফলে সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুযায়ী ক্রোমোসোমগুলো ইংরেজি V (মেটাসেন্ট্রিক), L (সাবমেটাসেন্ট্রিক), J (অ্যাক্রোসেন্ট্রিক) ও I (টেলোসেন্ট্রিক) অক্ষরের মতো দেখায়। অপত্য ক্রোমোসোমগুলো মেরুর কাছাকাছি পৌঁছালেই অ্যানাফেজ তথা গতিপর্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।

৬৬। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের অন্তপর্যায় কোনটি?

(ক) মেটাফেজ (খ) প্রো-মেটাফেজ (গ) অ্যানাফেজ (ঘ) টেলোফেজ উত্তর: (ঘ)

ব্যাখ্যা: কোষ বিভাজনের এ পর্যায়ে অপত্য ক্রোমোসোমসমূহ দুই বিপরীত মেরুতে স্থির অবস্থান নেয়। এ পর্যায়ে ক্রোমোসোমগুলোতে আবার জলযোজন (hydration) ঘটে। ফলে এরা ক্রমান্বয়ে প্রসারিত হয়। ক্রোমোসোমগুলো ক্রমশ সরু ও লম্বা হতে থাকে এবং অদৃশ্য অস্পষ্ট হতে থাকে। এ পর্যয়ের শেষের দিকে দুই মেরুতে ক্রোমোসোমগুলোর চারদিকে নিউক্লিয়ার এনভেলপ এবং স্যাট ক্রোমোসোমের গৌণ কুঞ্চনে নিউক্লিয়োলাসের পুনঃআবির্ভাব ঘটে। ফলে দু’মেরুতে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াসের সৃষ্টি হয়। স্পিন্ডল ফাইবারগুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।

৬৭। উদ্ভিদ কোষে সাইটোকাইনেসিস ঘটে-

(ক) কোষপ্লেট সৃষ্টির মাধ্যমে

(খ) কোষ প্রাচীর সৃষ্টির মাধ্যমে

(গ) কোষপ্লেট অথবা কোষপ্রাচীর সৃষ্টির মাধ্যমে

(ঘ) কোষপ্লেট ও কোষপ্রাচীর সৃষ্টির মাধ্যমে উত্তর: (ঘ)

ব্যাখ্যা: টেলোফেজ পর্যায়ের শেষের দিকে সাইটোকাইনেসিস আরম্ভ হয়। বিভাজনরত কোষের সাইটোপ্লাজম দু’ভাগে বিভক্ত হওয়াই সাইটোকাইনেসিস। উদ্ভিদ কোষে সাইটোকাইনেসিস ঘটে কোষপ্লেট ও কোষ প্রাচীর সৃষ্টির মাধ্যমে। উদ্ভদ কোষে স্পিন্ডল যন্ত্রের বিষুবীয় অঞ্চল ক্রমশ প্রশস্ত হয়ে কোষ প্রাচীরকে স্পর্শ করে। সূত্রগুলো অদৃশ্য হয়ে যায়। বিষুবীয় অঞ্চলেই লাইসোসোমের ন্যায় ফ্র্যাগমোসোম জমা হয় এবং পরে এরা মিলিত হয়ে প্লাজমালেমা নামক ঝিল্লির সৃষ্টি করে। এরা কোষপ্লেট সৃষ্টিতে সাহায্য করে। কোষপ্লেটের ওপর হেমিসেলুলোজ ও অন্যান্য দ্রব্য জমা হয়ে কোষপ্রাচীর গঠন করে। কোষপ্রাচীর গঠনের ফলে মাতৃকোষটি পরবর্তীতে দু’ভাগে ভাগ হয়ে দুটি অপত্য কোষের জন্ম হয়।

৬৮। প্রাণিকোষে সাইটোকাইনেসিস ঘটে-

(ক) কোষপ্লেট সৃষ্টির মাধ্যমে

(খ) কোষ প্রাচীর সৃষ্টির মাধ্যমে

(গ) কোষপ্লেট অথবা কোষপ্রাচীর সৃষ্টির মাধ্যমে

(ঘ) কোষঝিল্লিটি গর্তের ন্যায় ভেতরের দিকে ঢুকে গিয়ে                                 উত্তর: (ঘ)

ব্যাখ্যা: প্রাণীর ক্ষেত্রে স্পিন্ডল যন্ত্রের বিষুবীয় অঞ্চল বরাবর কোষঝিল্লিটি গর্তের ন্যায় ভেতরের দিকে ঢুকে যায় এবং এ গর্ত সব দিক হতে ক্রমান্বয়ে গভীরতর হয়ে মাঝখানে একত্রে মিলিত হয়, ফলে কোষটি দু’ভাগে ভাগ হয়ে পড়ে। প্রোটিন actinএবং myosin কোষঝিল্লির এই খাঁজ সৃষ্টিতে সহায়তা করে।

৬৯। মুক্ত নিউক্লিয়ার বিভাজনের ফসল কোনটি?

(ক) তালের শাস             (খ) নাড়িকেলের খোসা

(গ) ডিমের সাদা অংশ     (ঘ) ডাবের পানি উত্তর: (ঘ)

ব্যাখ্যা: সাইটোকাইনেসিস না হলে (এবং ক্যারিওকাইনেসিস চলতে থাকলে) একই কোষে বহু নিউক্লিয়াসের সৃষ্টি হয়। একে বলা হয় মুক্ত নিউক্লিয়ার বিভাজন (free nuclear division)। ডাবের পানি মুক্ত নিউক্লিয়ার বিভাজনের ফসল। কোনো  কোনো শৈবাল, ছত্রাক ও প্রাণিকোষে ক্যারিওকাইনেসিস ঘটে কিন্তু সাইটোকাইনেসিস ঘটে না। এর ফলে একটি কোষে বহু নিউক্লিয়াস উৎপন্ন হয়। এ ধরনের উদ্ভিদ কোষকে সিনোসাইটিক (coenocytic) এবং প্রাণিকোষকে প্লাজমোডিয়াম বলে।

৭০। জীবদেহে মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে নিচের কোন তথ্যটি সঠিক নয়?

(ক) বহুকোষী জীবে জাইগোট নামক একটি মাত্র কোষের মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে বহুকোষী দেহ গঠিত হয়

(খ) কতক বহুকোষী সুকেন্দ্রিক জীবে মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বংশবৃদ্ধি ঘটে।

(গ) মাইটোসিস বিভাজনের ফলেই বহুকোষী জীবের জননাঙ্গ সৃষ্টি হয়, ফলে বংশবৃদ্ধির ক্রমধারা বজায় রাখতে পারে।

(ঘ) জনন কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হলে মাইটোসিস প্রক্রিয়া আবশ্যক।

উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: কতক এককোষী সুকেন্দ্রিক জীবে মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বংশবৃদ্ধি ঘটে (যেমন- Chlamydomonas)।

৭১। এ বিভাজন প্রক্রিয়ার ফলে কোষের স্বাভাবিক আকার, আকৃতি, আয়তন ইত্যাদি গুণাগুণ বজায় থাকে-

(ক) মাইটোসিস (খ) মায়োসিস (গ) অ্যামাইটোসিস (ঘ) ক অথবা খ উত্তর: (ক)

৭২। সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত বিভিন্ন ক্ষুদ্রাঙ্গ (অঙ্গাণু) ও রাসায়নিক উপাদানের সাহায্যে .............. কোষের বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।

(ক) কোষপ্রাচীর (খ) নিউক্লিয়াস (গ) প্লাজমামেমব্রেন (ঘ) ক ও গ উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত বিভিন্ন ক্ষুদ্রাঙ্গ (অঙ্গাণু) ও রাসায়নিক উপাদানের সাহায্যে নিউক্লিয়াস কোষের বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কোষ বিভাজনের কারণে প্রতিটি কোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমের মধ্যকার পরিমাণগত ও নিয়ন্ত্রণগত ভারসাম্য রক্ষিত হয়।

৭৩। কোন তথ্যটি সঠিক?

(ক) মাইটোসিস কোষ বিভাজনের কারণে দেহের সব কোষে সমসংখ্যক ও সমগুণসম্পন্ন ক্রোমোসোম থাকে।

(খ) জীবকোষে অনেক কোষ আছে যাদের আয়ুষ্কাল নির্দিষ্ট। এই কোষ বিনষ্ট হলে মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কোষ বিভাজন দ্বারা পূরণ হয়।

(গ) মাইটোসিস বিভাজনের ফলে জীবজগতের গুণগত বৈশিষ্ট্যের স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

(ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)

৭৪। নিচের কোন কোষের জীবনকাল অতি সীমিত?

(ক) মানুষের লোহিত রক্ত কোষ         (খ) কর্নিয়ার বাইরের কোষ 

(গ) ক ও খ                                         (ঘ) পেশি কোষ     উত্তর: (গ)

ব্যাখ্যা: কিছু কিছু অতিপ্রয়োজনীয় কোষের জীবনকাল অতি সীমিত (যেমন- মানুষের লোহিত রক্ত কোষ এবং কর্নিয়ার বাইরের কোষ)। এগুলো ক্রমাগত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে এ কোষগুলোর পুনরুৎপাদন ঘটে।

৭৫। কোষকে বিভাজন হতে বিরত রাখে-

(ক) P53 নামক প্রোটিন

(খ) সাইক্লিন-Cdk

(গ) বিভিন্ন প্রকার হরমোন

(ঘ) বিভিন্ন প্রকার এনজাইম উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: কোষের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিভিন্ন ফ্যাক্টর দ্বারা মাইটোসিস নিয়ন্ত্রিত হয়। কোনো কারণে এই নিয়ন্ত্রণ অকার্যকর হলে অনিয়ন্ত্রিত মাইটোসিস ঘটে থাকে, ফলে টিউমার ও ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। ক্যান্সার কোষে সাইক্লিন-Cdk নিয়ন্ত্রণ বিনষ্ট হয়ে যায়। P53 নামক প্রোটিন সাধারণত কোষকে বিভাজন হতে বিরত রাখার ভূমিকা রাখে। এটি defective হলে (মানুষের প্রায় অর্ধেক সংখ্যক কোষেই defective P53  আছে) কোষ চক্র নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এর ফলে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। মানুষের অধিক হারে ক্যান্সার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভবত এটি একটি কারণ। কোষ বিভাজনের জন্য কিছু গ্রোথ ফ্যাক্টর কাজ করে। ক্যান্সার কোষ তাদের গ্রোথ ফ্যাক্টর নিজেরাই তৈরি করে নেয়, অথবা বিভাজনের জন্য এদের কোনো গ্রোথ ফ্যাক্টর লাগে না।

৭৬। কতটি উপায়ে কোষের মৃত্যু ঘটে? 

(ক) ২টি (খ) ৩টি (গ) ৪টি (ঘ) ৫টি উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: বহুকোষী জীবদেহে প্রতিদিন অনেক কোষের মুত্যু ঘটে। কোষ বিভাজনের মাধ্যমে তা পূরণ করতে হয়। মানব দেহে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ কোষের মুত্যু ঘটে। দুটি উপায়ে কোষের মৃত্যু ঘটে। একটি হলো Necrosis, অপরটি হলো Apoptosis.

৭৭। Necrosis

(ক) কোষে পুষ্টির অভাব হলে কোষ মরে যায় (খ) বিষাক্ত দ্রব্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোষ মরে যায়

(গ) কোষের জেনেটিক্যালি নিয়ন্ত্রিত মৃত্যু (ঘ) ক ও খ উত্তর: (ঘ)

৭৮। Apoptosis হলো-

(ক) পুষ্টির অভাবে কোষ মরে যাওয়া (খ) বিষাক্ত দ্রব্যের কারণে কোষ মরে যাওয়া

(গ) কোষের জেনেটিক্যালি নিয়ন্ত্রিত মৃত্যু (ঘ) ক ও খ উত্তর: (গ)

ব্যাখ্যা: কোনো কোষ জীবদেহ বা অঙ্গের জন্য এখন প্রয়োজন নেই তাই এদের ধ্বংস হতে হয়। যেমন মানুষের ভ্রƒণাবস্থায় পাতলা টিস্যু দিয়ে হাতের সকল আঙ্গুল লাগানো থাকে। পরে মাঝখানের টিস্যু ধ্বংসের মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে পাঁচটি আঙ্গুল পৃথক হয়। একটি কোষ যত বেশি দিন বাঁচবে ততই তা ক্ষতিগ্রস্ত (damage) হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় যা থেকে সহজেই ক্যান্সার হতে পারে। তাই এদের ধ্বংস বা মৃত্যু হওয়া দরকার। এটি সাধারণত আমাদের রক্ত এবং অন্ত্রের এপিথেলিয়াল কোষের ব্যাপারে প্রযোজ্য, কারণ এরা প্রতিনিয়ত উচ্চমাত্রার বিষাক্ত পদার্থে উন্মুক্ত হয়।

৭৯। আমাদের দেহে প্রতিদিন যে লক্ষ লক্ষ কোষের মুত্যু হয়, তার অধিকাংশই-

(ক) রক্ত কোষ             (খ) অন্ত্রের এপিথেলিয়াম লাইনিং-এর কোষ 

(গ) ক ও খ                 (ঘ) অস্থিকোষ                                                     উত্তর: (গ)

৮০। হ্রাসমূলক বিভাজনকে সর্বপ্রথম Miosis (মিয়োসিস বা মিওসিস) বলে অভিহিত করেন-

(ক) বেনেডিন ও হাউসার     (খ) সোয়ান ও স্লেইডেন 

(গ) ফার্মার ও মুর                 (ঘ) ড্যানিয়েলি ও ড্যাভসন                             উত্তর: (গ)

ব্যাখ্যা: বেনেডিন এবং হাউসার Ascaris  কৃমির গ্যামিটে হ্যাপ্লয়েড সংখ্যক ক্রোমোসোম আবিষ্কার করেন। ১৮৮৩ সনে। স্ট্রাসবুর্গার ১৮৮৮ সনে পুষ্পক উদ্ভিদের জনন মাতৃকোষের ক্রোমোসোমে হ্রাসমূলক বিভাজন লক্ষ্য করেন। ১৯০৫ সনে ফার্মার ও মুর সর্বপ্রথম হ্রাসমূলক বিভাজনকে Miosis (মিয়োসিস বা মিওসিস) বলেন। পরবর্তীতে গ্রিক মূল শব্দের (meioum = to lessen) ওপর ভিত্তি করে এর বানান করা হয় Meiosis অর্থাৎ মায়োসিস। এখন এটি মায়োসিস হিসেবেই উচ্চারিত।

৮১। কোথায় মায়োসিস হয়?

(ক) জনন মাতৃকোষে     (খ) আদিকোষে 

(গ) পেশিকোষে             (ঘ) স্নায়ু কোষে                                     উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: সর্বদা জনন মাতৃকোষে (meiocyte) সম্পন্ন হয়। কখনো দৈহিক কোষে হয় না এবং সর্বদাই 2n সংখ্যক ক্রোমোসোমবিশিষ্ট কোষে হয়। নিম্ন শ্রেণির জীবে (হ্যাপ্লয়েড) মায়োসিস হয় নিষেকের পর জাইগোটে, আর উচ্চ শ্রেণির জীবে (ডিপ্লয়েড) মায়োসিস হয় নিষেকের পূর্বে জনন মাতৃকোষ হতে গ্যামিট সৃষ্টিকালে।

৮২। কায়াজমা সৃষ্টি ও ক্রসিংওভার হয় বলে হোমোলোগাস ক্রোমোসোমের মধ্যে ‘..................’ বিনিময় ঘটে।

(ক) জিন     (খ) আরএনএ     (গ) ক্রোমোজোম     (ঘ) ক,খ ও গ     উত্তর: (ক)

৮৩। ক্রোমোসোমের স্বতন্ত্র বিন্যাস ঘটে-

(ক) মাইটোসিসে (খ) মায়োসিসে (গ) অ্যামাইটোসিসে (ঘ) ক ও খ     উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: ক্রসিংওভার ও ক্রোমোসোমের স্বতন্ত্র বিন্যাস ঘটে বলে এ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন কোষগুলো কখনো মাতৃকোষের সমগুণ সম্পন্ন হয় না।

৮৪। জীবসমূহের মধ্যে বৈচিত্র্য সৃষ্টির উপায়-

(ক) মাইটোসিস (খ) মায়োসিস (গ) অ্যামাইটোসিস (ঘ) ক ও খ     উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: মায়োসিস শেষে সৃষ্ট নতুন কোষে নতুন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের আবির্ভাব ঘটে। বংশগতিতে বিশেষত প্রকরণ সৃষ্টিতে এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। মায়োসিস হলো জীবসমূহের মধ্যে বৈচিত্র্য সৃষ্টির একটি উপায়।

৮৫। মায়োসিস প্রক্রিয়ায় DNA-এর দ্বিত্বন হয় কখন?

(ক) প্রোফেজ-১ এর পূর্বে                             (খ) প্রোফেজ-১ এর পরে 

(গ) প্রোফেজ-১ এর পূর্বে অথবা পরে         (ঘ) উপরের কোনটিই নয়                             উত্তর: (ক)

৮৬। মায়োসিস কোষ বিভাজনে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ-

(ক) মায়োসিস-১             (খ) মায়োসিস-২ 

(গ) অ্যানাফেজ             (ঘ) টেলোফেজ                     উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: মায়োসিস কোষ বিভাজনে মায়োসিস-১ই সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এ পর্যায়েই ক্রোমোসোম সংখ্যা অর্ধেকে হ্রাস পায় এবং সমসংস্থ ক্রোমোসোমের মধ্যে অংশের পারস্পরিক বিনিময় (ক্রসিং ওভার) ঘটে। মায়োসিস-১ কে চারটি পর্যায়ে ভাগ করা হয় যথা: প্রোফেজ-১, মেটাফেজ-১, অ্যানাফেজ-১ ও টেলোফেজ-১।

৮৭। মানুষের শুক্রাশয়ে মায়োটিক প্রোফেজ-এ সময় লাগে-

(ক) ১দিন (খ) ১সপ্তাহ (গ) ১মাস (ঘ) ১ বছর উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: মায়োসিস-১ এর প্রথম পর্যায় হলো প্রোফেজ-১। প্রোফেজ পর্যায়টি অনেক দীর্ঘ হয়। মানুষের শুক্রাশয়-এ মায়োটিক প্রোফেজ-এ সময় লাগে এক সপ্তাহ, বিভাজনটি সম্পন্ন হতে সময় লাগে প্রায় এক মাস। প্রোফেজ শুরু হওয়ার আগেই DNA প্রতিলিপিত হয়, তবে দৃষ্টিগোচর হয় না।

৮৮। এই উপপর্যায়ে ক্রোমোসোমগুলো চিকন সুতার মত সংকুচিত ও পুরু হয়-

(ক) লেপ্টোটিন         (খ) জাইগোটিন 

(গ) প্যাকাইটিন         (ঘ) ডায়াকাইনেসিস                         উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: নিউক্লিয়াসের জলবিয়োজনের মাধ্যমেই শুরু হয় লেপ্টোটিন উপ-পর্যায়। ক্রমাগত জলবিয়োজনের ফলে চিকন সুতার ন্যায় ক্রোমোসোমগুলোও ক্রমান্বয়ে সংকুচিত ও পুরু হতে থাকে এবং অধিকতর রঞ্জক ধারণ ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়। ফলে ক্রোমোসোমগুলো আলোক 

অণুবীক্ষণে দৃষ্টিগোচর এবং ক্রোমোসোমে বহু ক্রোমোমিয়ার দেখা যায়। ক্রোমোসোমগুলো অবিভক্ত ও দীর্ঘ থাকে। জলবিয়োজন ও ক্রোমোসোম সংকোচন চলতে থাকে। 

৮৯। মায়োসিস কোষ বিভাজনের প্রোফেজ পর্যায়ের কোন উপপর্যায়ে প্রাণিকোষে বুকে তৈরি হয়?

(ক) লেপ্টোটিন (খ) জাইগোটিন (গ) প্যাকাইটিন (ঘ) ডায়াকাইনেসিস উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: প্রাণিকোষে এ উপ-পর্যায়ে সেন্ট্রোমিয়ারগুলো সাধারণত নিউক্লীয় ঝিল্লির সন্নিকটে এক স্থানে এসে জড়ো হওয়ায় ক্রোমোসোমগুলোকে একত্রে একটি ফুলের তোড়ার মতো দেখায়। তাই অনেক সময় একে বুকে (bouquet) বলা হয়। ক্রোমোসোমের এ প্রকার বিন্যাসকে পোলারাইজড বিন্যাস বলে।

৯০। মায়োসিস কোষ বিভাজনের প্রোফেজ পর্যায়ের কোন উপপর্যায়ে হোমোলোগাস ক্রোমোসোম একটি জোড়ার সৃষ্টি করে?

(ক) লেপ্টোটিন (খ) জাইগোটিন (গ) প্যাকাইটিন (ঘ) ডায়াকাইনেসিস     উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: এ উপপর্যায়ে হোমোলোগাস ক্রোমোসোম (একটি ‘মাতা’ হতে আগত এবং অন্যটি ‘পিতা’ হতে আগত) একটি জোড়ার সৃষ্টি করে। হোমোলোগাস ক্রোমোসোমদ্বয়ের মধ্যে পরস্পর আকর্ষণই এ জোড়া সৃষ্টির কারণ। জোড়া সৃষ্টি কার্য ক্রোমোসোমদ্বয়ের একপ্রান্ত হতে আরম্ভ হয়ে অন্যপ্রান্তে শেষ হতে পারে, অথবা সেন্ট্রোমিয়ারদ্বয়ের মধ্যে আরম্ভ হয়ে দু’দিকে ক্রমান্বয়ে বিস্তার লাভ করতে পারে, অথবা স্থানে স্থানে আরম্ভ হতে পারে।

৯১। দুটি হোমোলোগাস ক্রোমোসোমের মধ্যে জোড় সৃষ্টি হওয়াকে বলে-

(ক) সিনারজিড (খ) সিন্যাপসিস (গ) বাইভ্যালেন্ট (ঘ) প্লাজমিড উত্তর: (খ) 

ব্যাখ্যা: দুটি হোমোলোগাস ক্রোমোসোমের মধ্যে জোড় সৃষ্টি হওয়াকে বলে সিন্যাপসিস। প্রতিটি জোড়বাঁধা ক্রোমোসোম জোড়াকে বাইভেলেন্ট (bivalent) বলে। কোষে যতগুলো ক্রোমোসোম থাকবে তার অর্ধেক সংখ্যক বাইভেলেন্ট সৃষ্টি হবে। নিউক্লিয়োলাস এবং নিউক্লিয়ার এনভেলপ তখনো দেখা যায়।

৯২। প্যাকাইটিন উপদশায় প্রতি বাইভেলেন্টে দুটি সেন্ট্রোমিয়ার এবং চারটি ক্রোমাটিড থাকে। এ অবস্থাকে বলে

(ক) ট্রায়োজ (খ) টেট্রোজ (গ) টেট্রাড (ঘ) ট্রায়াসিক উত্তর: (গ)

ব্যাখ্যা: ক্রমাগত সংকোচনের ফলে এ উপ-পর্যায়ে ক্রোমোসোমগুলোকে আরও খাটো ও মোটা দেখা যায়। এ পর্যায়ে সর্বপ্রথম বাইভেলেন্টের প্রতিটি ক্রোমোসোমকে সেন্ট্রোমিয়ার ব্যতীত অনুদৈর্ঘ্যে দুটি ক্রোমাটিডে বিভক্ত দেখা যায়, অর্থাৎ প্রতি বাইভেলেন্টে দুটি সেন্ট্রোমিয়ার এবং চারটি ক্রোমাটিড থাকে। এ অবস্থাকে টেট্রাড বলে। প্যাকাইটিনের পূর্বে প্রতিটি ক্রোমোসোমের দুটি করে ক্রোমাটিড দৃষ্টিগোচর হয় না। একই ক্রোমোসোমের দুটি ক্রোমটিডকে সিস্টার ক্রোমাটিড বলে এবং একই জোড়ার দুটি ভিন্ন ক্রোমোসোমের ক্রোমাটিডকে নন-সিস্টার ক্রোমাটিড বলে।

৯৩। প্যাকাইটিন উপদশায় দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের ‘X’ আকৃতির বা ক্রস চিহ্নের মতো জোড়াস্থলকে বলে-

(ক) কায়াজমা (খ) ক্রসিং ওভার (গ) টেট্রাড (ঘ) ক অথবা খ উত্তর: (ক)

ব্যাখ্যা: প্যাকাইটিন উপপর্যায়ের শেষের দিকে বাইভেলেন্টের যে কোনো দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিড সম্ভবত একই স্থানে ভেঙে গিয়ে পুনরায় একটির সাথে অন্যটির জোড়া লাগে। ফলে ঐ জোড়ার স্থানে একটি ইংরেজি ‘X’ আকৃতির বা ক্রস চিহ্নের মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়। দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের ‘X’ আকৃতির বা ক্রস চিহ্নের মতো জোড়াস্থলকে একবচনে কায়াজমা (গ্রিক Chiasma = cross) এবং বহুবচনে কায়াজমাটা বলে। নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে পরস্পর অংশের বিনিময়কে ক্রসিং ওভার বা ক্রস ওভার বলে। কোনো কোনো বাইভেলেন্টে (বিশেষ করে যদি খাটো হয়) কায়াজমা একেবারেই উৎপন্ন না হতে পারে; আবার কোনো কোনো বাইভেলেন্টে (বিশেষ করে 

যদি দীর্ঘ হয়) একাধিকও হতে পারে। কায়াজমাটা সৃষ্টির ফলে যে ক্রসিং ওভার হয় তাতে ক্রোমোসোমে গুণগত পরিবর্তন সাধিত হয়। এ পর্যায়েও নিউক্লিয়োলাস এবং নিউক্লিয়ার এনভেলপ দেখা যায়।

৯৪। প্রোফেজ-১ এর কোন উপ-পর্যায়ে নিউক্লিয়োলাস অদৃশ্য হয়?

(ক) লেপ্টোটিন (খ) জাইগোটিন (গ) প্যাকাইটিন (ঘ) ডায়াকাইনেসিস উত্তর: (ঘ)

৯৫। মায়োসিস-১ এর শেষ পর্যায় কোনটি?

(ক) প্রোফেজ-১ (খ) মেটাফেজ-১ (গ) এনাফেজ-১ (ঘ) টেলোফেজ-১ উত্তর: (ঘ)

৯৬। অনেক প্রজাতিতে ........................ ঘটে না।

(ক) প্রোফেজ-১ (খ) মেটাফেজ-১

(গ) এনাফেজ-১ (ঘ) টেলোফেজ-১ উত্তর: (ঘ)

৯৭। মায়োসিস প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয়াসের প্রথম ও দ্বিতীয় বিভক্তির অন্তর্বর্তীকালীন বা মধ্যবর্তী সময়কে বলে-

(ক) ইন্টারকাইনেসিস                                             (খ) সাইটোকাইনেসিস-১ 

(গ) ইন্টারকাইনেসিস বা সাইটোকাইনেসিস-১     (ঘ) ইন্টারফেজ         উত্তর: (গ)

ব্যাখ্যা: এ সময়ে প্রয়োজনীয় RNA, প্রোটিন ইত্যাদি সংশ্লেষিত হয়। DNA- র প্রতিরূপ বা অনুলিপন ঘটে না।

৯৮। এটি মূলত মাইটোসিস বিভাজন-

(ক) মায়োসিস-১     (খ) মায়োসিস-২ 

(গ) ক ও খ             (ঘ) কোনটিই নয়                 উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: মায়োসিস-২ এর প্রধান তাৎপর্য হলো দুটি কোষ হতে চারটি কোষের উৎপত্তি। এটি মূলত মাইটোসিস বিভাজন। মাইটোসিসের সময় DNA অণুর যে প্রতিরূপ সৃষ্টি হয় তা এখানে প্রয়োজন হয়না, কারণ প্রক্রিয়াটি প্রোফেজ-১ ধাপের আগেই সম্পন্ন হয়ে যায়। মায়োসিস-২ কে প্রোফেজ-২, মেটাফেজ-২, অ্যানাফেজ-২ এবং টেলোফেজ-২ এ চারটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়।

৯৯। প্রজাতিতে ক্রোমোসোম সংখ্যা ধ্রুব রাখা কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্ভব?

(ক) অ্যামাইটোসিস (খ) মাইটোসিস (গ) মায়োসিস (ঘ) খ ও গ উত্তর: (গ)

ব্যাখ্যা: প্রজাতিতে বংশানুক্রমে ক্রোমোসোম সংখ্যা ধ্রুব (constant) রাখা কেবলমাত্র এ প্রক্রিয়ার জন্য সম্ভব হচ্ছে। হ্যাপ্লয়েড উদ্ভিদে জাইগোটে এবং ডিপ্লয়েড উদ্ভিদে জনন মাতৃকোষে মায়োসিস না ঘটলে পিতা-মাতা হতে সন্তান-সন্ততিতে ক্রমাগতভাবে পুরুষানুক্রমে ক্রোমোসোম সংখ্যা দ্বিগুণ, চারগুণ, আটগুণ, ষোলগুণ এভাবে বৃদ্ধি পেয়ে জীবজগতে একটি আমূল পরিবর্তন ঘটে যেতো এবং পরিণামে জীবজগৎ ধ্বংস হয়ে যেতো।

১০০। যে সকল জীবের জীবনচক্রে জনুক্রম আছে সেখানে ................. প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে।

(ক) অ্যামাইটোসিস (খ) মাইটোসিস

(গ) মায়োসিস (ঘ) ক ও গ উত্তর: (গ)

১০১। মেন্ডেলের সূত্রের ব্যাখ্যা দেয়া .............. ছাড়া সম্ভব নয়।

(ক) অ্যামাইটোসিস (খ) মাইটোসিস (গ) মায়োসিস (ঘ) ক ও গ উত্তর: (গ)

১০২। কে সর্বপ্রথম ক্রসিং ওভার সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন?

(ক) সোয়ান (খ) মর্গান

(গ) হাউসার (ঘ) ল্যামার্ক                 উত্তর: (খ)

ব্যাখ্যা: মায়োসিস-১ এর প্যাকাইটিন উপ-পর্যায়ে এক জোড়া সমসংস্থ ক্রোমোসোমের দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিড-এর মধ্যে অংশের বিনিময় হওয়াকে ক্রসিং ওভার বলে। ক্রসিং ওভারের ফলে ক্রোমোসোমের জিনসমূহের মূল বিন্যাসের পরিবর্তন ঘটে এবং লিঙ্কড জিনসমূহের মধ্যে নতুন সমন্বয় (combination) তৈরি হয়। থমাস হান্ট মর্গান ১৯০৯ সালে ভূট্টা উদ্ভিদে প্রথম ক্রসিং ওভার সম্পর্কে ধারণা দেন। ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি নোবেল পুরষ্কার পান। 

১০৩। ক্রসিং ওভারের গুরুত্ব কোনটি?

(ক) ক্রসিং ওভারের ফলে দুটি ক্রোমাটিডের মধ্যে অংশের বিনিময় ঘটে, ফলে জিনগত পরিবর্তন সাধিত হয়।

(খ) জিনগত পরিবর্তন সাধনের ফলে সৃষ্ট জীবে বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন সাধিত হয়।

(গ) বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন দ্বারা সৃষ্টিকূলে আসে বৈচিত্র্য, সৃষ্টি হয় নতুন পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা, কখনো সৃষ্টি হয় নতুন প্রজাতি।

(ঘ) ক,খ,গ          উত্তর: (ঘ)

১০৪। ফসলি উদ্ভিদের ক্রমাগত উন্নতি করা যায়-

(ক) মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে (খ) অ্যামাইটোসিসের মাধ্যমে

(গ) ক্রসিং ওভারের মাধ্যমে                 (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (গ)

ব্যাখ্যা: ক্রসিং ওভারের মাধ্যমে  উন্নত বৈশিষ্ট্য বিশিষ্ট নতুন প্রকরণ সৃষ্টি করা যায়। এভাবেই ফসলি উদ্ভিদের ক্রমাগত উন্নতি সাধন করা হয়। কৃত্রিম উপায়ে ক্রসিং ওভার ঘটিয়ে বংশগতিতে পরিবর্তন আনা সম্ভব। কাজেই প্রজননবিদ্যায় ক্রসিং ওভারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। গবেষণার ক্ষেত্রেও ক্রসিং ওভারের গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, ক্রোমোসোমে জিনের রেখাকার বিন্যাস প্রমাণে বা ক্রোমোসোম ম্যাপিং-এ ক্রসিং ওভার বৈশিষ্ট্য ব্যবহৃত হয়।