১. শারীরবৃত্ত্বীয় কাজের তারতম্যের উপর ভিত্তি করে একটি বহুকোষী জীবের কোষগুলোকে কতভাগে ভাগ করা যায়?
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. পাঁচ
উত্তর ঃ ক।
দেহকোষ ঃ
বহুকোষী জীবের যে সব কোষ শুধু জীবদেহ গঠন করে, জনন কাজে অংশগ্রহণ করে না, সেগুলোকে দেহকোষ বলে। মাইটোসিস বিভাজন প্রক্রিয়ায় পুরনো দেহকোষ নতুন দেহকোষ সৃষ্টি করে এবং এরা ডিপ্লয়েড।
জননকোষ ঃ
বহুকোষী জীবের যে সব কোষ শুধু জনন কাজে অংশগ্রহণ করে, সেগুলোকে জননকোষ বলে। জননকোষ দুরকম, যথা- শুক্রাণু ও ডিম্বাণু। এগুলো মায়োসিস প্রক্রিয়ায় যথাক্রমে শুক্রাণু মাতৃকোষ ও ডিম্বাণু মাতৃকোষ থেকে সৃষ্টি হয় এবং এরা হ্যাপ্লয়েড।
২. কে জীবনের ভৌত ভিত্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ক. সাইটোপ্লাজম
খ. নিউক্লিয়াস
গ. প্রোটোপ্লাজম
ঘ. ক্রোমোসোম
উত্তর ঃ গ
* প্রোটোপ্লাজমই উদ্ভিদ বা প্রাণিকোষ বা দেহের সকল মৌলিক জৈবিক কাজ সম্পন্ন করে থাকে।
৩. কিসের জৈবিক বৈশিষ্ট্যই জীবের বৈশিষ্ট্য ?
ক. সাইটোপ্লাজম
খ. নিউক্লিয়াস
গ. প্রোটোপ্লাজম
ঘ. ক্রোমোসোম
উত্তর ঃ গ
৪. একটি প্রাণিকোষ কতটি প্রোটোপ্লাজমীয় অংশ নিয়ে গঠিত ?
ক. দুইটি খ. তিনটি
গ. চারটি ঘ. পাঁচটি
উত্তর ঃ খ। যথা- ১। প্লাজমা মেমব্রেন, ২। সাইটোপ্লাজম এবং ৩। নিউক্লিয়াস।
৫. কিসের বহিঃস্তর পরিবর্তিত ও রূপান্তরিত হয়ে প্লাজমা মেমব্রেন সৃষ্টি করে ?
ক. নিউক্লিয়াসের
খ. মাইটোকন্ড্রিয়ার
গ.এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম
ঘ. সাইটোপ্লাজমের
উত্তর ঃ ঘ
৬. প্লাজমা মেমব্রেনের গঠন সংক্রান্ত ব্যাখ্যাদান প্রসঙ্গে ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে সিঙ্গার এবং নিকলসন প্রবর্তিত মডেলটি কি মডেল নামে পরিচিত।
ক. ডাবল হেলিক্স
খ. ফ্লুইড-মোজাইক
গ. পেলিকল
ঘ. কোনটিই নয়
উত্তর ঃ খ।
* এটি আধুনিকতম মডেল এবং এখনও পর্যন্ত সর্বজনগ্রাহ্য মডেল হিসেবে বিবেচিত।
৭. সিঙ্গার এবং নিকলসনের বর্ণনা অনুসারে, প্লাজমা মেমব্রেন কোন কোন অণুতে গঠিত।
ক. ফসফোলিপিড ও প্রোটিন
খ. ফসফোলিপিড
গ. প্রোটিন
ঘ. ফসফোলিপিড ও কার্বহাইড্রেট
উত্তর ঃ ক
৮. ফসফোলিপিড কতটি স্তরে বিন্যস্ত থাকে ?
ক. একটি খ. দুটি
গ. তিনটি ঘ. চারটি
উত্তর ঃ খ
* প্রত্যেক স্তরের ফসফোলিপিড অণুগুলো দুই প্রান্তবিশিষ্ট। একটি প্রান্তকে পানিগ্রাহী মস্তক এবং অন্য প্রান্তকে পানিবিদ্বেষী লেজ বলে।
৯. প্লাজমা মেমব্রেনের ফসফোলিপিড অণুর ফাঁকে ফাঁকে থাকে অণু।
ক. কার্বহাইড্রেট
খ. প্রোটিন
গ.কোলেস্টেরল
ঘ. নিউক্লিক এসিড
উত্তর ঃ গ
১০. কার্বোহাইড্রেট শৃঙ্খলগুলো সব সময় প্লাজমা ঝিল্লির কোথায় অবস্থান করে ?
ক. প্রান্তে
খ. মাঝে
গ. অন্তর্তলে
ঘ.বহির্তলে
উত্তর ঃ ঘ
১১. প্লাজমা মেমব্রেনের কাজ কোনটি ?
ক. কোষের বহিঃ ও অন্তঃ মাধ্যমের মধ্যে অভিস্রবণীয় প্রতিবন্ধকরূপে কাজ করা।
খ. বিভিন্ন কোষ অঙ্গাণু, যেমন- মাইটোকন্ড্রিয়া, গলগি বডি, নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ইত্যাদি সৃষ্টিতে সহায়তা করা।
গ. এনজাইম ও অ্যান্টিজেন ক্ষরণ করা।
ঘ. উপরের সবগুলো।
উত্তর ঃ ঘ
১২. সজীব কোষের সাইটোপ্লাজম কতটি অংশ নিয়ে গঠিত ?
ক. একটি খ. দুটি।
গ. তিনটি ঘ. চারটি
উত্তর ঃ খ। যথা ঃ (ক) সাইটোসল বা হায়ালোপ্লাজম এবং (খ) অঙ্গাণু।
১৩. ঘনত্ব অনুযায়ী সাইটোসলকে ভাগ করা যায় ?
ক. দুভাগে
খ. তিনভাগে
গ. চারভাগে
ঘ. পাঁচভাগে
উত্তর ঃ ক।(১) এক্টোপ্লাজম- প্লাজমা মেমব্রেন সংলগ্ন স্বচ্ছ স্তর; এবং (২) এন্ডোপ্লাজম - নিউক্লিয়ার মেমব্রেন সংলগ্ন ঘন, দানাদার স্তর।
১৪. কোষের বিভিন্ন বিপাক ক্রিয়ার প্রধান ক্রিয়াস্থল হিসেবে কাজ করে কোনটি ?
ক.মাইটোকন্ড্রিয়া
খ.গলগি বডি
গ. সাইটোসল
ঘ. রাইবোসোম
উত্তর ঃ গ
১৫. ঝিল্লিবদ্ধ কোষীয় অঙ্গাণু -
ক.মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিক্যুলাম
খ. গলগি বডি, লাইসোসোম
গ. ভ্যাকুওল, পারঅক্সিসোম
ঘ. রাইবোসোম, সেন্ট্রিওল
উত্তর ঃ ক,খ,গ
১৬. কোষের যাবতীয় জৈবনিক কাজ সম্পাদনের প্রয়োজনীয় শক্তির একমাত্র উৎস কোনটি?
ক.মাইটোকন্ড্রিয়া
খ.গলগি বডি
গ. সাইটোসল
ঘ. রাইবোসোম
উত্তর ঃ ক
১৭. কে সর্বপ্রথম মাইটোকন্ড্রিয়ার নামকরণ করেন?
ক. প্যালাডে
খ. কলিকার
গ. বেন্দা
ঘ. দুভে
উত্তর ঃ গ। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে।
১৮. ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে কে সর্বপ্রথম কোষের ভিতর মাইটোকন্ড্রিয়ার উপস্থিতি ঘোষণা করেন।
ক. প্যালাডে
খ. কলিকার
গ. বেন্দা
ঘ. দুভে
উত্তর ঃ খ
১৯. কোষ আয়তনের প্রায় কত % হচ্ছে মাইটোকন্ড্রিয়া ?
ক. ২০ খ. ৩০ গ. ৪০ ঘ. ৫০
উত্তর ঃ ক
২০. প্রত্যেক কোষে মাইটোকন্ড্রিয়ার সংখ্যা সাধারণত -
ক. ২০০ - ৩০০
খ. ৩০০ - ৪০০
গ. ৪০০- ৫০০
ঘ. ৫০০ - ৬০০
উত্তর ঃ ক। কোষের কার্যকারিতার উপরই এ সংখ্যা নির্ভর করে।
২১. মাইটোকন্ড্রিয়ার কাজ কোনটি ?
ক. শুক্রাণু ও ডিম্বাণু গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
খ. প্রোটিন সংশ্লেষ করে।
গ. স্নেহ বিপাকে অংশ গ্রহণ করে।
ঘ. কিছু পরিমাণ আরএনএ ও ডিএনএ উৎপন্ন করে।
উত্তর ঃ ক, গ, ঘ
২২. ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে কোষবিজ্ঞানী পোর্টার তার সহকর্মীদের সহযোগিতায় এটি আবিষ্কার করেন।
ক. রাইবোজোম
খ. অক্সিজোম
গ. এন্ডোপ্লাজমিক রেটিক্যুলাম
ঘ. লাইসোজোম
উত্তর ঃ গ
২৩. ইলেকট্রন অণুবীক্ষণযন্ত্রে এন্ডোপ্লাজমিক রেটিক্যুলামের নিম্নোক্ত তিন ধরনের গড়ন দেখা যায় ঃ
ক. সিস্টারনি, ভেসিকল, টিউবিউল
খ. সিস্টারনি, ভেসিকল, ভ্যাকুওল
গ. সিস্টারনি, ভেসিকল, পারঅক্সিজোম
ঘ. ভেসিকল, ভ্যাকুওল, টিউবিউল
উত্তর ঃ ক
২৪. কিসের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির উপর ভিত্তি করে এন্ডোপ্লাজমিক রেটিক্যুলামকে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
ক. লাইসোসোম
খ. রাইবোসোমের
গ. অক্সিজোম
ঘ. কোনটিই নয়
উত্তর ঃ খ।
এন্ডোপ্লাজমিক জালিকার গায়ে যখন রাইবোসোম দানা যুক্ত থাকে তখন তাকে অমসৃণ এবং রাইবোসোম না থাকলে মসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিক্যুলাম বলে।
২৫. এন্ডোপ্লাজমিক জালিকার কাজ কোনটি ?
ক. রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করে।
খ. প্রোটিন সংশ্লেষ করে।
গ. লিপিড ও স্টেরয়েড উৎপন্ন করে।
ঘ. সবগুলো
উত্তর ঃ ঘ। এছাড়াও
* বিভিন্ন কোষ-অঙ্গাণু সৃষ্টিতে অংশগ্রহণ করে।
* কিছু ক্ষেত্রে কোষের আকৃতি বজায় রাখতে গাঠনিক কংকাল হিসেবে কাজ করে।
২৬. গলগি বডি বা গলগি কমপ্লেক্স কোষের নিউক্লিয়াসের কাছাকাছি অবস্থিত এবং কি থেকে সৃষ্ট। মসৃন এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা
ক. অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা
খ. মসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা
গ. মাইটোকন্ড্রিয়া
ঘ. প্লাজমা মেমব্রেন
উত্তর ঃ খ
২৭. কত খ্রিস্টাব্দে ক্যামিলো গলগি সর্বপ্রথম পেঁচা ও বিড়ালের স্নায়ুকোষ নিরীক্ষণকালে গলগি বডি আবিষ্কার করেন?
ক. ১৮৯০
খ. ১৮৯৪
গ. ১৮৯৮
ঘ. ১৮৮০
উত্তর ঃ গ
২৮. ইলেকট্রন অণুবীক্ষণযন্ত্রে গলগি বডির কত ধরনের গঠন দেখা যায় ?
ক. দুই খ. তিন গ. চার ঘ. পাঁচ
উত্তর ঃ খ। সিস্টারনি, ভ্যাকুওল, ভেসিকল
২৯. গলগি বডির কাজ কোনটি ?
ক. অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণে অংশগ্রহণ করে।
খ. শুক্রাণু গঠনের সময় অ্যাক্রোসোম উৎপাদনে সহায়তা করে।
গ. ভিটামিন সি সঞ্চিত করে।
ঘ. লাইসোসোম গঠন করে।
উত্তর ঃ ক, খ, গ, ঘ
৩০. ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে দ্য দুভে ও তার সহযোগিরা এ কোষ অঙ্গাণুর নামকরণ করেন।
ক. রাইবোসোম
খ. গলগি বডি
গ. লাইসোসোম
ঘ. অক্সিজোম
উত্তর ঃ গ
৩১. লাইসোসোমের মধ্যে প্রায় কত রকম পাচনকারী এনজাইম পাওয়া যায় ?
ক. ৩০ খ. ৪০ গ. ৫০ ঘ. ৬০
উত্তর ঃ গ
৩২. ক্ষয়প্রাপ্ত কোষ-অঙ্গাণুকে পাচিত করা কোনটির কাজ?
ক. রাইবোসোম
খ. মাইটোকন্ড্রিয়া
গ. গলগি বডি
ঘ. লাইসোসোম
উত্তর ঃ ঘ।
৩৩. অন্তঃকোষীয় পরিপাকে সাহায্য করা নিম্নের কোনটির কাজ ?
ক. লাইসোসোম
খ. ভেসিকল
গ. পারঅক্সিজোম
ঘ. ভ্যাকুওল
উত্তর ঃ ঘ
৩৪. মানবদেহে দীর্ঘ -শৃঙ্খল ফ্যাটি অ্যাসিড জারণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে কোনটি?
ক. লাইসোসোম
খ. ভেসিকল
গ. পারঅক্সিজোম
ঘ. ভ্যাকুওল
উত্তর ঃ গ
৩৫. যেসব কোষে সংশ্লেষণ বেশি হয় সেসব কোষেই রাইবোসোমের আধিক্য দেখা যায়।
ক. আমিষ
খ. ভিটামিন
গ. গ্লুকোজ
ঘ. লিপিড
উত্তর ঃ ক
৩৬. ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে কে রাইবোসোম আবিষ্কার করেন?
ক. প্যালাডে
খ. কলিকার
গ. বেন্দা
ঘ. দুভে
উত্তর ঃ ক
৩৭. কোষের প্রোটিন ফ্যাক্টরী বলা হয় কোনটিকে?
ক. মাইটোকন্ড্রিয়া
খ. গলগি বডি
গ. লাইসোসোম
ঘ. রাইবোজোম
উত্তর ঃ ঘ
৩৮. নিম্নের কোন তথ্যটি সঠিক নয় ?
ক. সেন্ট্রিওলদুটি আবরণবিহীন।
খ. কোষ বিভাজনের সময় সেন্ট্রোস্ফিয়ার থেকেই অ্যাস্টার বিকিরিত হয়।
গ. বোভেরী ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট্রিওলের নামকরণ করেন
ঘ. স্নায়ুকোষে সেন্ট্রিওল সক্রিয় অবস্থায় থাকে।
উত্তর ঃ ঘ
৩৯. একটি কোষে কতটি সেন্ট্রিওল দেখা যায় ?
ক. দুই খ. তিন গ. চার ঘ. পাঁচ
উত্তর ঃ ক। দুটি সেন্ট্রিওলকে একত্রে ডিপ্লোসোম বলে।
৪০. নিম্নের কোনটি সেন্ট্রিওলের কাজ ?
ক. অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণে অংশগ্রহণ করে।
খ. শুক্রাণু গঠনের সময় অ্যাক্রোসোম উৎপাদনে সহায়তা করে।
গ. ভিটামিন সি সঞ্চিত করে।
ঘ. শুক্রাণুর লেজ গঠন করা।
উত্তর ঃ ঘ। এছাড়াও
* কোষ বিভাজনকালে মাকুতন্তু গঠন করা এবং ক্রোমোসোমের প্রান্তীয় গমনে সহায়তা করা।
* সিলিয়া ও ফ্লাজেলাযুক্ত কোষে সিলিয়া ও ফ্লাজেলার সৃষ্টি করা।
৪১. কোষের মস্তিষ্ক বলা হয় কোনটিকে ?
ক. মাইটোকন্ড্রিয়া
খ. রাইবোজোম
গ. নিউক্লিয়াস
ঘ. নিউক্লিওলাস
উত্তর ঃ গ
* নিউক্লিয়াস কোষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা কোষের বিভিন্ন বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। তাই নিউক্লিয়াসকে কোষের মস্তিষ্ক বলা হয়।
* নিউক্লিয়াসের মধ্যে জীবের বংশগতি পদার্থ অর্থাৎ ডিএনএ অবস্থিত।
৪২. কে কত খ্রিস্টাব্দে নিউক্লিয়াস আবিষ্কার করেন ? বিজ্ঞানী রবার্ট ব্রাউন ১৮৩১
ক. পোর্টার, ১৮৩১
খ. রবার্ট ব্রাউন, ১৮৩১
গ. পোর্টার, ১৮২৩
ঘ. রবার্ট ব্রাউন, ১৮২৩
উত্তর ঃ খ
৪৩. কোনটি নিউক্লিয়াসের কাজ নয় ?
ক. কোষের বংশগতি পদার্থ ক্রোমাটিন রূপে ধারণ করা।
খ. কোষ বিভাজনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।
গ. স্নেহ বিপাকে অংশ গ্রহণ করা।
ঘ. রাইবোসোম ও আরএনএ সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করে।
উত্তর ঃ গ। মাইটোকন্ড্রিয়ার কাজ।
৪৪. নিউক্লিয়ার মেমব্রেনে আবদ্ধ স্বচ্ছ, অর্ধতরল ও দানাদার তরল পদার্থকে কি বলে?
ক. নিউক্লিওপ্লাজম
খ. ক্যারিওলিম্ফ
গ. ক ও খ
ঘ. কোনটিই নয়
উত্তর ঃ গ
৪৫. নিউক্লিয়াসের সর্বাপেক্ষা ঘন অংশ যা স্ফীত ও সমৃদ্ধ, তাকে নিউক্লিওলাস বলে।
ক. প্রোটিন
খ. লিপিড
গ. ডিএনএ
ঘ. আরএনএ
উত্তর ঃ ঘ
৪৬. কোষচক্রের কোন দশায় নিউক্লিয়াসের ভেতর ডিএনএ এবং হিস্টোন ও নন-হিস্টোন প্রোটিননির্মিত যে সূত্রাকার গঠন দেখা যায়, তাকে ক্রোমাটিন বলে?
ক. প্রোফেজ
খ. মেটাফেজ
গ. অ্যানাফেজ
ঘ. ইন্টারফেজ
উত্তর ঃ ঘ
৪৭. ক্রোমাটিনের একককে কি বলে।
ক. নিউক্লিওসোম
খ. নিউক্লিওপ্লাজম
গ. নিউক্লিওলাস
ঘ. জীন
উত্তর ঃ ক
৪৮. কোনটি সঠিক?
ক. হেটারোক্রোমাটিন বংশগতি ক্ষেত্রে সক্রিয় ডিএনএ ধারণ করে।
খ. ইউক্রোমাটিন বলে বংশগতি ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় ডিএনএ ধারণ করে।
গ. ক্রোমাটিন কোষ বিভাজনের সময় ক্রোমোসোম গঠন করা।
ঘ. ইলেক্ট্রন অণুবীক্ষণযন্ত্রের নিচে ক্রোমাটিনকে দেখতে পুঁতির মালার মালার মতো দেখায়। পুঁতির মতো এ দানাগুলোই নিউক্লিওসোম।
উত্তর ঃ গ,ঘ
৪৯. কে সর্বপ্রথম ক্রোমোসোম আবিষ্কার করেন?
ক. রবার্ট হুক
খ. জর্জ বেনথাম
গ. স্ট্রাসবুর্গার
ঘ. রবার্ট ব্রাউন
উত্তর ঃ গ। ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে। ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী ভালডেয়ার সর্বপ্রথম ক্রোমোসোম নামটি ব্যবহার করেন।
৫০. ক্রোমোসোমের আঙ্গিক গঠন পর্যবেক্ষণের উপযুক্ত সময় মাইটোটিক কোষ বিভাজনের পর্যায়।
ক. প্রফেজ খ. প্রো-মেটাফেজ
গ. মেটাফেজ ঘ. ইন্টারফেজ
উত্তর ঃ গ
৫১. স্বল্পসংখ্যক ব্যতিক্রম ছাড়া প্রত্যেক ক্রোমোসোমে কতটি সেন্ট্রোমিয়ার থাকে।
ক. একটি
খ. দুইটি
গ. তিনটি
ঘ. চারটি
উত্তর ঃ ক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক সেন্ট্রোমিয়ারও থাকতে পারে।
৫২. ক্রোমোসোমের একপ্রান্তে সেকেন্ডারী কুঞ্চন থাকলে সংলগ্ন ক্ষুদ্র অংশটিকে কি বলে।
ক. প্রাইমারি কুঞ্চন
খ. স্যাটেলাইট
গ. গৌণ কুঞ্চন
ঘ. ক্রাওলাইট
উত্তর ঃ খ
৫৩.সেন্ট্রোমিয়ার এর অবস্থান অনুযায়ী ক্রোমোসোমকে কতভাগে ভাগ করা হয় ?
ক. তিন খ. চার
গ. পাঁচ ঘ. ছয়
উত্তর ঃ খ। যথা ঃ মেটাসেন্ট্রিক, সাবমেটাসেন্ট্রিক, অ্যাক্রোসেন্ট্রিক ও টেলোসেন্ট্রিক।
৫৪. ক্রোমোসোমে কোন প্রোটিন আছে?
ক. হিস্টোন খ. নন-হিস্টোন
গ. ক ও খ ঘ. কোনটিই নয়
উত্তর ঃ গ
৫৫. নিউক্লিওটাইডের পলিমারকে কি বলে?
ক. নিউক্লিওসাইড
খ. পিউরিন
গ. পাইরিমিডিন
ঘ. নিউক্লিক অ্যাসিড
উত্তর ঃ ঘ
৫৬. প্রকৃত জেনেটিক বস্তু কোনটি ?
ক. প্রোটিন
খ. নিউক্লিক এসিড
গ. ক ও খ
ঘ. রাইবোজ সুগার
উত্তর ঃ খ। বহু পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলে সর্বসম্মতিক্রমে প্রমাণিত হয়েছে- নিউক্লিক অ্যাসিডই প্রকৃত জেনেটিক বস্তু।
* নিউক্লিক অ্যাসিড দুধরনের - ডিএনএ এবং আরএনএ।
৫৭. নাইট্রোজেনযুক্ত বেস কত ধরনের ?
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. পাঁচ
উত্তর ঃ ক।* দুধরনের, যথা- পাইরিমিডিন ও পিউরিন।
৫৮. নিউক্লিক অ্যাসিডের উপ-একক বা মনোমারকে কি বলে?
ক. নিউক্লিওসাইড
খ. পিউরিন
গ. নিউক্লিওটাইড
ঘ. পাইরিমিডিন
উত্তর ঃ গ
৫৯. প্রত্যেক নিউক্লিক অ্যাসিডে কতটি বেস থাকে ?
ক. তিন খ. চার
গ. পাঁচ ঘ. ছয়
উত্তর ঃ খ । এর মধ্যে দুটি পাইরিমিডিন (সাইটোসিন ও থাইমিন বা সাইটোসিন ও ইউরাসিল) এবং দুটি পিউরিন বেস (অ্যাডেনিন ও গুয়ানিন)।
৬০. নিউক্লিক অ্যাসিডে কত ধরনের পেন্টোজ সুগার রয়েছে ?
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. পাঁচ
উত্তর ঃ ক। যথা- ডিঅক্সিরাইবোজ ও রাইবোজ।
৬১. আরএনএ-র ক্ষেত্রে কোনটি থাকে?
ক. রাইবোজ সুগার
খ. ডিঅক্সিরাইবোজ সুগার
গ. ক ও খ
ঘ. কোনটিই নয়
উত্তর ঃ ক (পার্থক্য ঃ ডিঅক্সিরাইবোজ সুগারের রিংয়ে ২য় অবস্থানে হাইড্রক্সিল গ্রুপ নেই, কিন্তু রাইবোজ সুগারে উপস্থিত)
৬২. একটি সুগারের সঙ্গে বেস যুক্ত হলে তাকে কি বলে?
ক. নিউক্লিওটাইড
খ. নিউক্লিওসাইড
গ. নিউক্লিক এসিড
ঘ. পলিনিউক্লিওটাইড
উত্তর ঃ খ
৬৩. নিউক্লিওসাইডের সাথে কি যুক্ত হলে তাকে নিউক্লিওটাইড বলে ?
ক. রাইবোজ সুগার
খ. হাইড্রক্সিল গ্রুপ
গ. ফসফেট গ্রুপ
ঘ. হাইড্রোজেন
উত্তর ঃ গ
৬৪. কোনটি ক্রোমোসোমের একমাত্র স্থায়ী রাসায়নিক পদার্থ ?
ক. ডিএনএ খ. আরএনএ
গ. রাইবোজ সুগার ঘ. খ ও গ
উত্তর ঃ ক। এবং বংশগতি বৈশিষ্ট্যের বাহক।
৬৫. নিম্নের কোনটি ডিএনএ তে থাকে না ?
ক. অ্যাডেনিন
খ. গুয়ানিন
গ. সাইটোসিন
ঘ. ইউরাসিল
উত্তর ঃ ঘ। থাইমিন থাকে।
৬৬. নিম্নের কোনটি সঠিক নয়?
ক. অ্যাডেনিন ও গুয়ানিনকে বলা হয় পিউরিন
খ. সাইটোসিন ও থাইমিনকে বলে পাইরিমিডিন
গ. ডিএনএ গঠিত হয় পাঁচ কার্বনবিশিষ্ট ডি-অক্সিরাইবোজ শর্করা দিয়ে
ঘ. এক অণু নিউক্লিওসাইডের সঙ্গে এক অণু অজৈব ফসফেট সংযুক্ত হয়ে দুই অণু নিউক্লিওটাইড গঠন করে।
উত্তর ঃ ঘ
৬৭. ডিএনএ ডাবল হেলিক্স মডেল কত সালে প্রদান করা হয়?
ক. ১৯৬৩ খ. ১৯৫৭
গ. ১৯৫৩ ঘ. ১৯৪৯
উত্তর ঃ গ। ওয়াটসন ও ক্রিক ১৯৫৩ সালে একটি মডেল প্রদান করেন এবং এ মডেল প্রস্তাবের জন্য তারা ১৯৬৩ সালে আরেক বিজ্ঞানী, উইলকিন্স সহ নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
৬৮. ডাবল হেলিক্স মডেলের সিঁড়ির দুদিকের হাতল নির্মিত হয় কি দিয়ে?
ক. রাইবোজ সুগার
খ. রাইবোজ সুগার ও ফসফেট
গ. ডিঅক্সিরাইবোজ সুগার
ঘ. ডিঅক্সিরাইবোজ ও ফসফেট
উত্তর ঃ ঘ। ধাপগুলো দুটি নাইট্রোজেন বেস (অ্যাডেনিন=থাইমিন, সাইটোসিন = গুয়ানিন) দিয়ে গঠিত।
৬৯.একটি নিউক্লিওটাইডের সুগারের ৫ম কার্বন অণুর সাথে ফসফেট যুক্ত থাকলে অপর নিউক্লিওটাইডের সুগারের কত তম কার্বন অণুর সাথে ফসফেট যুক্তহয়?
ক. ৩য় খ. ৪র্থ
গ. ৫ম ঘ. ১ম
উত্তর ঃ ক
৭০. ডিএনএ-র বেসগুলো কি দিয়ে যুক্ত হয়?
ক. হাইড্রোক্সিল গ্রুপ
খ. ফসফেট
গ. হাইড্রোজেন বন্ড
ঘ. পেন্টোজ সুগার
উত্তর ঃ গ
৭১. হেলিক্সের ব্যাস কত?
ক. ২০ অ্যাংস্ট্রম
খ. ৩০ অ্যাংস্ট্রম
গ. ৩৪ অ্যাংস্ট্রম
ঘ. ২৫ অ্যাংস্ট্রম
উত্তর ঃ ক।দৈর্ঘ্য বিভিন্ন হতে পারে।একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাঁচ প্রতি ৩৪ অ্যাংস্ট্রম দূরত্বে সম্পন্ন হয়। প্যাঁচটি হয় ডান থেকে বাঁদিকে। দশ নিউক্লিওটাইড জোড়ের পর একেকটি প্যাঁচ সম্পন্ন হয়। প্রতি প্যাঁচে থাকে প্রায় ২৫ টি হাইড্রোজেন বন্ড।বেস জোড়গুলো পরস্পর থেকে ৩.৪ অ্যাংস্ট্রম দূরত্বে অবস্থিত।
৭২. নিম্নের কোন কাজটি ডিএনএ-র নয়?
ক. ডিএনএ প্রোটিন সংশ্লেষণ করে।
খ. ডিএনএ প্রতিরূপ সৃষ্টির মাধ্যমে জীবের জাতিসত্ত্বা অটুট রাখে।
গ. ডিএনএ জীবের সকল বিপাকীয় কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে।
ঘ. ভিটামিন সি সঞ্চিত করে।
উত্তর ঃ ঘ
৭৩. প্রজাতি শনাক্তকরণে ভূমিকা রাখে কোনটি?
ক. ডিএনএ
খ. আরএনএ
গ. নিউক্লিওলাস
ঘ. ক্রোমোসোম
উত্তর ঃ ক
৭৪. ডিএনএ অণুর অনুলিপিকরণ বা প্রতিরূপ সৃষ্টিতে কত ধরনের প্রোটিন ও এনজাইম জড়িত থাকে?
ক.প্রায় ১০
খ. প্রায় ১৫
গ. প্রায় ২০
ঘ. প্রায় ২৫
উত্তর ঃ গ। এসব উপাদানকে একত্রে ডিএনএ রিপ্লিকেজ বলে।
৭৫. সাইটোপ্লাজম ছাড়াও কোষের কোথায় আরএনএ আছে?
ক. নিউক্লিয়াস
খ. মাইটোকন্ড্রিয়া
গ. রাইবোসোম
ঘ. উপরের সবগুলো
উত্তর ঃ ঘ
সব কোষেই আরএনএ পাওয়া যায়। নিউক্লিওলাস, ক্রোমোসোম, প্রভৃতি অঙ্গাণুতেও আরএনএ রয়েছে।
৭৬. কোষে প্রধানত কত প্রকার আরএনএ পাওয়া যায়?
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. পাঁচ
উত্তর ঃ খ
৭৭. সব ধরনের প্রোটিন সংশ্লেষণের মূল সংকেত সাইটোপ্লাজমে বহন করে -
ক. আরআরএনএ
খ. এমআরএনএ
গ. টিআরএনএ
ঘ. কোনটিই নয়
উত্তর ঃ খ
৭৮. কোষীয় আরএনএ-র প্রায় কত ভাগ আরআরএনএ?
ক. ৬০ খ. ৭০
গ. ৮০ ঘ. ৯০
উত্তর ঃ খ। কোষীয় আরএনএ-র প্রায় ২০ ভাগ টিআরএনএ।
৭৯. ক্ষরণকারী কোষ ও লাইসোসোম বেশি পাওয়া যায়।
ক. লোহিত রক্তকণিকায়
খ. শ্বেত রক্তকণিকায়
গ. অনুচক্রিকায়
ঘ. প্লাজমায়
উত্তর ঃ খ