প্রশ্ন: প্রাকৃতিক পরিবেশে জীবদের মধ্যে কোথায়/কিসে মিল-অমিল রয়েছে?
উত্তর: সাংগঠনিক ও কার্যপ্রণালিতে।
ব্যাখ্যা: প্রাকৃতিক পরিবেশে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবদেহ থেকে শুরু করে অতি বৃহদাকার ও উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহের সাংগঠনিক এবং কার্যপ্রণালিতে প্রচুর মিল-অমিল রয়েছে।
প্রশ্ন: সকল জীবদেহের মধ্যে সাধারণ মিল বা সাদৃশ্যটি কোথায়?
উত্তর: জীবদেহ মাত্রই কোষ দ্বারা গঠিত।
প্রশ্ন: কোষ নিয়ে বিজ্ঞানীগণ অতীতে কি কাজ করেছেন?
উত্তর: বিগত কয়েকশ বছর ধরে বিজ্ঞানীগণ নিরলস প্রচেষ্টায় কোষের গঠন, আকৃতি, প্রকৃতি ও অন্যান্য বিষয়ে প্রচুর গবেষণামূলক কাজ করছেন।
প্রশ্ন: একটি জীবদেহের সব কোষের গঠন প্রকৃতি কেমন?
উত্তর: এক রকম নয় বরং ভিন্ন।
প্রশ্ন: কোষ সম্পর্কে ধারণা সুস্পষ্ট হয়েছে কিভাবে?
উত্তর: প্রথম দিকে যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে জীববিজ্ঞানীরা কোষের যে ধারণা পেয়েছিলেন তা ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কারের পর আরও সুষ্পষ্ট ও বিস্তারিত হয়েছে।
প্রশ্ন: প্রতিটি জীবদেহ কি দিয়ে গঠিত?
উত্তর: এক বা একাধিক কোষ দিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন: একটি আদর্শ উদ্ভিদকোষ প্রধানত কতটি অংশ নিয়ে গঠিত?
উত্তর: দুটি অংশ নিয়ে গঠিত- কোষপ্রাচীর এবং প্রোটোপ্লাজম।
প্রশ্ন: কোষ প্রাচীর কী?
উত্তর: উদ্ভিদকোষের কোষঝিল্লির বাইরে জড় পদার্থ দিয়ে তৈরি একটি পুরু প্রাচীর থাকে, একে কোষপ্রাচীর বলে।
প্রশ্ন: কোষপ্রাচীর কী দ্বারা তৈরি/গঠিত?
উত্তর: সেলুলোজ দ্বারা গঠিত।
প্রশ্ন: কোথায় কোষপ্রাচীর থাকে না? / কোন কোষে কোষপ্রাচীর থাকে না?
উত্তর: প্রাণিকোষে কোষ প্রাচীর থাকে না।
প্রশ্ন: প্রাণিকোষের আবরণটি কী দ্বারা গঠিত?
উত্তর: প্লাজমা পর্দা দ্বারা গঠিত।
প্রশ্ন: কোষপ্রাচীরের প্রধান কাজ কী?
উত্তর: কোষের সজীব অংশকে রক্ষা করা এবং কোষের সীমারেখা নির্দেশ করা কোষপ্রাচীরের প্রধান কাজ।
প্রশ্ন: প্রোটোপ্লাজম কী?
উত্তর: একটি কোষের অভ্যন্তরে অবস্থিত অর্ধতরল, জেলির মতো আঠালো ও দানাদার বর্ণহীন সজীব অংশকে প্রোটোপ্লাজম বলা হয়।
প্রশ্ন: জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলো কেন পরিলক্ষিত হয়?
উত্তর: প্রোটোপ্লাজমের নানাবিধ বিক্রিয়ার ফলে জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলো পরিলক্ষিত হয়।
প্রশ্ন: প্রোটোপ্লাজম কী দ্বারা গঠিত?
উত্তর: বিভিন্ন জৈব ও অজৈব যৌগ সমন্বয়ে গঠিত।
প্রশ্ন: প্রোটোপ্লাজমে পানির পরিমাণ কত?
উত্তর: সাধারণত শতকরা ৬৭ থেকে ৯০ ভাগ।
প্রশ্ন: প্রোটোপ্লাজম কী ধারণ করে?
উত্তর: প্রোটোপ্লাজম কোষের প্রধান দ্ুিট অংশ সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস ধারণ করে।
প্রশ্ন: সাইটোপ্লাজম কী?
উত্তর: কোষের প্রোটোপ্লাজমের নিউক্লিয়াসের বাহিরে জেলির মতো অংশকে সাইটোপ্লাজম বলে।
প্রশ্ন: সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু কী? / কোষীয় অঙ্গাণু কী?
উত্তর: কোষের সাইটোপ্লাজমের অভ্যন্তরে অবস্থিত কোষের বিভিন্ন জৈবনিক ক্রিয়াকলাপের সাথে সংশ্লিষ্ট সজীব বস্তুসমূহকে একত্রে সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু বলা হয়।
প্রশ্ন: একটি আদর্শ কোষে কোন অঙ্গাণুগুলো দেখা যায়?
উত্তর: একটি আদর্শ কোষে সাধারণত নিম্নলিখিত অঙ্গাণুগুলো দেখা যায়- ১. প্লাস্টিড, ২. মাইটোকন্ড্রিয়া, ৩. গলজি বডি, ৪. এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা, ৫. রাইবোজোম, ৬. লাইসোজোম ও ৭. সেন্ট্রিওল।
প্রশ্ন: সাইটোপ্লাজমের ধাত্রে কী থাকে?
উত্তর: কোষের সজীব অঙ্গাণু এবং নির্জীব বস্তুসমূহ।
প্রশ্ন: উদ্ভিদ কোষের নির্জীব বস্তুসমূহ কী ধরণের পদার্থ?
উত্তর: উদ্ভিদ কোষে নির্জীব বস্তুসমূহের মধ্যে আছে বিভিন্ন রকমের সঞ্চিত পদার্থ, বর্জ্য পদার্থ ও ক্ষরিত পদার্থ।
প্রশ্ন: কোষ গহ্বর কী?
উত্তর: কোষের সাইটোপ্লাজমে তরল পদার্থ অর্থাৎ কোষরসে পূর্ণ ছোট-বড় গহ্বর থাকে। এসব গহ্বরকে কোষগহ্বর বলে।
প্রশ্ন: কোন ধরণের কোষে কোষগহ্বর থাকে?
উত্তর: উদ্ভিদকোষে কোষগহ্বর বেশি থাকে এবং আকারে বড় হয়। প্রাণিকোষে সাধারণত কোষগহ্বর থাকে না তবে কোনো কোষে যদি থাকে তা আকারে খুব ছোট।
প্রশ্ন: কোষরস কী? / কোষরস কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তর: বিভিন্ন ধরণের জৈব এসিড, লবণ, শর্করা, আমিষ ইত্যাদি কোষ গহ্বরে দ্রবীভূত অবস্থায় থেকে কোষরস প্রস্তুত করে।
প্রশ্ন: সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত সুনির্দিষ্ট আবরণীযুক্ত সজীব বস্তুগুলো কি?
উত্তর: কোষ অঙ্গাণু।
প্রশ্ন: প্লাস্টিড কী?
উত্তর: সজীব উদ্ভিদকোষের সাইটোপ্লাজমে বর্ণহীন অথবা বর্ণযুক্ত গোলাকার বা ডিম্বাকার অঙ্গাণুকে প্লাস্টিড বলে। সাধারণত প্রাণিকোষে প্লাস্টিড নেই। এ অঙ্গাণুটি উদ্ভিদকোষের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য।
প্রশ্ন: উদ্ভিদে প্লাস্টিড কী ভূমিকা পালন করে?
উত্তর: প্লাস্টিড উদ্ভিদের খাদ্য সংশ্লেষে, বর্ণ গঠনে এবং খাদ্য সঞ্চয়ে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে।
প্রশ্ন: রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির উপর নির্ভর করে প্লাস্টিডকে প্রধানত কতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তর: দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা- (১) ক্রোমোপ্লাস্টিড বা বর্ণযুক্ত প্লাস্টিড এবং (২) লিউকোপ্লাস্টিড বা বর্ণহীন প্লাস্টিড।
প্রশ্ন: ক্রোমোপ্লাস্টিড কত প্রকার?
উত্তর: ক্রোমোপ্লাস্টিড দুই রকম- ক্লোরোপ্লাস্ট ও ক্রোমোপ্লাস্ট।
প্রশ্ন: প্লাস্টিডে কতটি অংশ পরিলক্ষিত হয়?
উত্তর: তিনটি অংশ পরিলক্ষিত হয়। যথা- আবরণী, স্ট্রোমা এবং গ্রানা।
প্রশ্ন: প্লাস্টিড সবুজবর্ণ ধারণ করে কেন?
উত্তর: প্লাস্টিডের মধ্যে ক্লোরোপ্লাস্টে সবুজ বর্ণের ক্লোরোফিল নামক রঞ্জক পদার্থ থাকায় সবুজ বর্ণ ধারন করে। সালোকসংশ্লেষণে সহায়তা করা এর প্রধান কাজ।
প্রশ্ন: কিসে ফুলের পাপড়ি ও ফলের ত্বকে বিভিন্ন বর্ণ বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে?
উত্তর: ক্রোমোপ্লাস্ট ফুলের পাপড়ি ও ফলের ত্বকে বিভিন্ন বর্ণবৈচিত্র্য সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন: সবুজ ফল পাকার সময় ক্লোরোপ্লাস্ট কিসে রূপান্তরিত হয়ে বর্ণ-বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে?
উত্তর: ক্রোমোপ্লাস্টে।
প্রশ্ন: টমেটোর লাল টকটকে রং কেন হয়?
উত্তর: ক্রোমোপ্লাস্টে অবস্থিত লাইকোপেন নামক রঞ্জক পদার্থের জন্য।
প্রশ্ন: ক্রোমোপ্লাস্টে কি কি বর্ণের রঞ্জক পদার্থ থাকে?
উত্তর: লাল, কমলা ও হলুদ বর্ণের ক্যারোটিনয়েড নামক রঞ্জক পদার্থ থাকে।
প্রশ্ন: লিউকোপ্লাস্টিড কোথায় থাকে?
উত্তর: উদ্ভিদের যেসব অংশে আলো পৌঁছায় না, সেসব অংশের কোষে লিউকোপ্লাস্টিড থাকে। যেমন মূলের কোষের প্লাস্টিড।
প্রশ্ন: সূর্যালোকের প্রভাবে লিউকোপ্লাস্টিড কিসে রূপান্তরিত হয়?
উত্তর: ক্লোরোপ্লাস্টে।
প্রশ্ন: সবুজ দুর্বাঘাস ইট দিয়ে কিছু দিন ঢাকা থাকলে কী ঘটনা ঘটে?
উত্তর: যদি সবুজ দুর্বাঘাস ইট দিয়ে কিছুদিন ঢাকা থাকে তবে ঘাসগুলো সাদা হয়ে যায়, কারণ ক্লোরোপ্লাস্টগুলো লিউকোপ্লাস্টে রূপান্তরিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে ইট সরিয়ে নিলে সূর্যের আলোয় ঘাসগুলো আবার সবুজ বর্ণের হয়ে যায়। এক ধরনের প্লাস্টিড রূপান্তরিত হয়ে অন্য ধরনের প্লাস্টিডে পরিণত হওয়ায় এ ধরণের ঘটনা ঘটে।
প্রশ্ন: মাইটোকণ্ড্রিয়া কী?
উত্তর: সজীব উদ্ভিদ ও প্রাণিকোষের সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট দন্ডাকার অঙ্গাণুগুলোকে মাইটোকন্ড্রিয়া বলে (এক বচনে মাইটোকন্ড্রিয়ন)।
প্রশ্ন: প্রতিটি মাইটোকন্ড্রিয়নে কতটি স্তরবিশিষ্ট পর্দা থাকে?
উত্তর: প্রতিটি মাইটোকণ্ড্রিয়ন দ্বিস্তর পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে ।
প্রশ্ন: ক্রিস্টি কী?
উত্তর: প্রতিটি মাইটোকণ্ড্রিয়ন দ্বিস্তর পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। এর বহিঃপর্দাটি মসৃণ। কিন্তু অন্তঃপর্দাটি আঙুলের মতো অনেক ভাঁজ সৃষ্টি করে। এদেরকে ক্রিস্টি বলে।
প্রশ্ন: মাইটোকণ্ড্রিয়াকে কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয় কেন?
উত্তর: জীবের যাবতীয় বিপাকীয় কাজের শক্তির উৎস হচ্ছে মাইটোকন্ড্রিয়া। এ জন্য মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের ‘পাওয়ার হাউস’ বলে।
প্রশ্ন: কোন ধরণের কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া বেশি থাকে?
উত্তর: সবুজ উদ্ভিদকোষে মাইটোকন্ড্রিয়ার সংখ্যা বেশি তবে প্রাণীর যকৃত কোষে এর সংখ্যা সহস্রাধিক।
প্রশ্ন: গলজি বডি কী?
উত্তর: গলজি বডি হলো পর্দাঘেরা গোলাকার বা সূত্রাকার অঙ্গাণু যা নিউক্লিয়াসের কাছে অবস্থান করে।
প্রশ্ন: গলজি বডির কাজ কী?
উত্তর: উৎসেচক, হরমোন ইত্যাদি ক্ষরণ করা।
প্রশ্ন: সেন্টিওল কী?
উত্তর: প্রাণিকোষের নিউক্লিয়াসের কাছে দুটি ফাঁপা নলাকারা বা দণ্ডাকার অঙ্গাণু দেখা যায়। এদেরকে সেন্ট্রিওল বলে।
প্রশ্ন: সেন্ট্রোজোম কী?
উত্তর: সেন্ট্রিওল সাধারণত একটি স্বচ্ছ দানাবিহীন সাইটোপ্লাজম দ্বারা আবৃত থাকে। এ অংশকে সেন্ট্রোজোম বলে।
প্রশ্ন: কোন ধরণের কোষে সেন্ট্রিওল অনুপাস্থিত?
উত্তর: উদ্ভিদকোষে সেন্ট্রিওল সাধারণত থাকে না, তবে নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদকোষে যেমন- ছত্রাকে থাকে।
প্রশ্ন: সেন্ট্রিওলের কাজ কী?
উত্তর: প্রাণিকোষ বিভাজনের সময় অ্যাস্টার গঠন করা সেন্ট্রিওলের প্রধান কাজ।
প্রশ্ন : নিউক্লিয়াস কী?
উত্তর : প্রোটোপ্লাজমে পর্দা দিয়ে বেষ্টিত সর্বাপেক্ষা ঘন বস্তুকে নিউক্লিয়াস বলে।
প্রশ্ন: প্রতিটি নিউক্লিয়াসে কতটি অংশ থাকে?
উত্তর: প্রতিটি নিউক্লিয়াস চারটি অংশের সবন্বয়ে গঠিত হয়। যথা- ১. নিউক্লিয়ার মেমব্রেন বা নিউক্লিয়ার পর্দা, ২. নিউক্লিওলাস, ৩. নিউক্লিও জালিকা, ৪. নিউক্লিওপ্লাজম।
প্রশ্ন: নিউক্লিয়াস- এর ভৌত গঠন পরীক্ষার প্রকৃত সময় কোনটি?
উত্তর: কোষ বিভাজন এর পূর্ব মুহূর্তে ইন্টারফেজ দশায়।
প্রশ্ন: নিউক্লিয়ার পর্দা কী?
উত্তর: সজীব ও দ্বিস্তরবিশিষ্ট পর্দা দিয়ে প্রতিটি নিউক্লিয়াস আবৃত থাকে, এই পর্দাকে নিউক্লিয়ার পর্দা বলে।
প্রশ্ন: নিউক্লিয়ার রন্ধ্র কী?
উত্তর: নিউক্লিয়ার পর্দা অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত। এসব ছিদ্রের নাম নিউক্লিয়ার রন্ধ্র।
প্রশ্ন: নিউক্লিয়ার পর্দা কী কাজ করে?
উত্তর: নিউক্লিয়ার পর্দা সাইটোপ্লাজম এর সাথে নিউক্লিয়াসের বিভিন্ন বস্তুর যোগাযোগ রক্ষা করে এবং নিউক্লিয়াসকে রক্ষণাবেক্ষণ করে।
প্রশ্ন: নিউক্লিওপ্লাজম কী?
উত্তর: নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরস্থ নিউক্লিয়ার মেমব্রেন নিয়ে আবৃত স্বচ্ছ, দানাদার ও জেলির মতো অর্ধতরল পদার্থটিকে নিউক্লিওপ্লাজম বা ক্যারিওলিম্ফ বলা হয়।
প্রশ্ন: নিউক্লিওপ্লাজমের কাজ কী?
উত্তর: নিউক্লিওপ্লাজমের প্রধান কাজ হলো-
(ক) নিউক্লিওলাস ও ক্রোমোজোমের মাতৃকা বা ধারক হিসেবে কাজ করা।
(খ) নিউক্লিয়াসের জৈবনিক কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করা।
প্রশ্ন: নিউক্লিওলাস কী?
উত্তর: নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে অবস্থিত ক্ষুদ্র, গোলাকার, উজ্জ্বল ও অপেক্ষাকৃত ঘন বস্তুটিকে নিউক্লিওলাস বলা হয়।
প্রশ্ন: একটি নিউক্লিয়াসে কতটি নিউক্লিওলাস থাকে?
উত্তর: সাধারণত একটি।
প্রশ্ন: নিউক্লিওলাস কী কাজ করে?
উত্তর: নিউক্লিওলাসের কাজ হলো-
(ক) বিভিন্ন প্রকার আরএনএ সংশ্লেষণ করা।
(খ) প্রোটিন সংশ্লেষণ ও সংরক্ষণ করা।
(গ) নিউক্লিওটাইডের ভাণ্ডার হিসেবে কাজ করা।
প্রশ্ন: নিউক্লিওজালিকা বা ক্রোমাটিন তন্তু কী?
উত্তর: নিউক্লিওপ্লাজমে ভাসমান অবস্থায় প্যাঁচানো সূতার মতো গঠনটিকে নিউক্লিওজালিকা বা ক্রোমাটিন জালিকা বলা হয়।
প্রশ্ন: কোষ বিভাজনের সময় নিউক্লিওজালিকার তন্তুময় গঠনটি কতগুলো টুকরায় পৃথক হয়ে যায়। প্রতিটি টুকরাকে কি বলা হয়?
উত্তর: ক্রোমোজোম বলা হয়।