উদ্ভিদের বাহ্যিক গঠন নিয়ে ছোট ছোট কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

 প্রশ্ন: মূলের প্রধান কাজ কী?      উত্তর: মূলের প্রধান কাজ হল গাছকে মাটির সঙ্গে আবদ্ধ রাখা।

প্রশ্ন: আকৃতিগত দিক থেকে রূপান্তরিত মূল কত প্রকার?

উত্তর: চার প্রকার, যথা- ১। মূলাকৃতি মূল, ২। গাজরাকৃতি মূল, ৩। শালগমাকৃতি মূল এবং ৪। কন্দাকৃতি মূল।

প্রশ্ন: মূলাকৃতি মূল কেমন হয়?

উত্তর: মূলাকৃতি মূল খাদ্য সঞ্চয় করে তাই প্রধান মূল মোটা ও রসাল হয়। এই মূলের মধ্যভাগ মোটা কিন্তু দুই প্রান্ত ক্রমশ সরু হয়। যেমন - মূলা।

প্রশ্ন: গাজরাকৃতি মূল কেমন হয়?

উত্তর: গাজরাকৃতি মূল খাদ্য সঞ্চয় করে তাই প্রধান মূলটি মোটা ও রসাল হয়। এই মূলের উপরের দিক মোটা এবং নিচের দিকে ক্রমশ সরু হয়ে যায়। যেমন- গাজর।

প্রশ্ন: শালগমাকৃতি মূল কেমন হয়?

প্রশ্ন: শালগমাকৃতি মূলের ক্ষেত্রে প্রধান মূলটির উপরের অংশ খাদ্য সঞ্চয়ের ফলে গোলাকার এবং নিচের অংশ হঠাৎ করে সরু হয়ে যায়। যেমন- শালগম।

প্রশ্ন: কন্দাকৃতি মূল কেমন হয়?

উত্তর: কন্দাকৃতি মূল খাদ্য সঞ্চয়ের ফলে কখনো কখনো প্রধান মূলটি অনিয়মিতভাবে মোটা হয়। এদের কোনো নির্দিষ্ট আকার বা আকৃতি নেই। যথা- সন্ধ্যামালতি।

প্রশ্ন: অস্থানিক মূল কেন রূপান্তরিত হয়?

উত্তর: অস্থানিক মূল সাধারণত তিন ধরনের কাজ করার জন্য রূপান্তরিত হয়ে থাকে, যথা- খাদ্য সঞ্চয়, যান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষা ও শারীরবৃত্তীয় কার্য সম্পাদন।

প্রশ্ন: কন্দাল মূল কী? 

উত্তর: অস্থানিক মূল কখনো অনিয়মিতভাবে স্ফীত হয়, এ ধরনের মূলকে বলা হয় কন্দাল মূল। যথা- মিষ্টি আলু।

প্রশ্ন: গুচ্ছিত কন্দমূল কী?

উত্তর: কিছু কিছু মূল কন্দাল মূলের মতো খাদ্য সঞ্চয়ের জন্য অনিয়মিতভাবে স্ফীত হয়। তবে স্ফীত মূলগুলো একটি গুচ্ছে অবস্থান করে কারণ, এক গুচ্ছ অস্থানিক মূলের সবগুলোই খাদ্য সঞ্চয়ের জন্য কন্দের মতো স্ফীত হয়ে থাকে এই জন্য এই মূলকে গুচ্ছিত কন্দমূল বলা হয়। খাদ্য সঞ্চয়ই এর প্রধান কাজ। উদাহরণ- শতমূলী ও ডালিয়া।

প্রশ্ন: নডুলুজ মূল কী?   উত্তর: যখন মূলের অগ্রভাগ খাদ্য সঞ্চয় করে স্ফীত হয় তখন তাকে নডুলুজ মূল বলে। যেমন- আমআদা।

প্রশ্ন: মালা আকৃতির মূল কী?

উত্তর: যখন কোনো অস্থানিক মূল পর্যায়ক্রমে স্ফীত ও সংকুচিত হয় তখন তাকে মালা আকৃতির মূল বলে। যথা- করলার মূল।

প্রশ্ন: যান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষার্থে রূপান্তরিত মূল উদ্ভিদকে কীভাবে সাহায্য করে?

উত্তর: যান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষার্থে রূপান্তরিত মূল উদ্ভিদকে মাটির উপর খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে, আরোহণ করতে বা পানিতে ভাসতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন: স্তম্ভমূল, ঠেসমূল, আরোহী মূল, ভাসমান মূল ইত্যাদি কীসের উদাহরণ?

উত্তর: উদ্ভিদের যান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষার্থে অস্থানিক মূলের রূপান্তরের উদাহরণ।

প্রশ্ন: স্তম্ভমূল কী?

উত্তর: স্তম্ভমূল হলো এক ধরনের অস্থানিক মূল যা কাণ্ড বা শাখা হতে উৎপন্ন হয়ে খাড়াভাবে নিচের দিকে নামতে নামতে মাটির মধ্যে প্রবেশ করে এবং মোটা হয়ে স্তম্ভের আকার ধারণ করে। বট গাছে এ ধরনের মূল থাকে।

প্রশ্ন: ঠেস মূল কী?

উত্তর: কোনো কোনো উদ্ভিদের প্রধান কাণ্ড দুর্বল হওয়ার কারণে সোজা ভাবে দাঁড়াতে পারে না। তাই কাণ্ডের গোড়ার দিক থেকে কতগুলো অস্থানিক মূল বের হয়ে তীর্যকভাবে মাটিতে প্রবেশ করে। এই মূলগুলোকে ঠেসমূল বলা হয়। যেমন- কেয়ার ঠেশ মূল।

প্রশ্ন: আরোহী মূল কী?

উত্তর: আরোহী মূল হলো দুর্বল কাণ্ডযুক্ত উদ্ভিদের পর্ব হতে উৎপন্ন হওয়া অস্থানিক মূল যা অন্য কোনো উদ্ভিদ বা অবলম্বনকে আঁকড়ে ধরে এবং উদ্ভিদটিকে উপরে উঠতে সাহায্য করে। যেমন- পান।

প্রশ্ন: শারীরবৃত্তীয় কার্য সাধনের জন্য মূলের কি কি ধরনের রূপান্তর ঘটে?

উত্তর: মূলের স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কাজ ছাড়াও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে শারীরবৃত্তীয় কাজ সমাধা করার জন্য অস্থানিক মূলের রূপান্তর ঘটে থাকে। এই রূপান্তরিত মূলগুলো হলো- পরাশ্রয়ী বায়বীয় মূল, পরজীবী বা শোষক মূল, শ্বাসমূল বা নিউমাটোফোর এবং জনন মূল।

প্রশ্ন: পরাশ্রয়ী বায়বীয় মূল কী?  উত্তর: এক প্রকার মূল বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প গ্রহণ করে। এদের বায়বীয় মূল বলে। যথা- রাস্না।

প্রশ্ন: পরজীবী বা শোষক মূল কী?

উত্তর: পরজীবী উদ্ভিদে ক্লোরোফিল থাকে না তাই খাদ্যের জন্য আশ্রয়দাতা উদ্ভিদের দেহে বিশেষ ধরনের মূল প্রবেশ করিয়ে খাদ্যরস শোষণ করে থাকে। এ মূলগুলোকে শোষক মূল বলে, যেমন- স্বর্ণলতা।

প্রশ্ন: শ্বাসমূল বা নিউমাটোফোর কী?

উত্তর: সমুদ্র উপকূলে লবণাক্ত ও কর্দমাক্ত মাটিতে উদ্ভিদের প্রধান মূল হতে শাখা মূল মাটির উপরে খাড়াভাবে উঠে আসে। এই সকল মূলে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। এই ধরনের রূপান্তরিত মূলকে শ্বাসমূল বা নিউমাটোফোর বলে। সুন্দরী, গরান প্রভৃতি গাছের এ ধরনের শ্বাসমূল দেখা যায়।

প্রশ্ন: কোন্ কোন্ উদ্ভিদের মূল প্রজননে অংশগ্রহণ করে?        উত্তর: মিষ্টি আলু, পটল, কাকরোল ইত্যাদি।

প্রশ্ন: কাণ্ডের রূপান্তর কাকে বলে?

উত্তর: আমরা জানি, কাণ্ড সাধারণত মাটির উপরে অবস্থান করে এবং পাতা, ফুল ও ফল ধারণ করে। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে সাধারণ কাজ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন করার জন্য কাণ্ডের আকৃতিগত ও অবস্থাগত পরিবর্তন ঘটে। এ ধরনের পরিবর্তনকে কাণ্ডের রূপান্তর বলে।

প্রশ্ন: অবস্থান অনুযায়ী রূপান্তরিত কাণ্ড কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর: অবস্থান অনুযায়ী রূপান্তরিত কাণ্ড তিন প্রকার, যথা- ১) ভূ-নিম্নস্থ ২) অর্ধ বায়বীয় ও ৩) বায়বীয়।

প্রশ্ন: ভূ-নিম্নস্থ রূপান্তরিত কাণ্ড কাকে বলে?

উত্তর: প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকা, খাদ্য সঞ্চয় এবং অঙ্গজ উপায়ে বংশবিস্তার করার জন্য কিছু কিছু উদ্ভিদের কাণ্ড মাটির নিচে বৃদ্ধি পায়। এ ধরনের কাণ্ডকে ভূ-নিম্নস্থ রূপান্তরিত কাণ্ড বলে।

প্রশ্ন: ভূ-নিম্নস্থ রূপান্তরিত কাণ্ড কত প্রকার?

উত্তর: ভূ-নিম্নস্থ রূপান্তরিত কাণ্ড চার প্রকারের, যথা- স্ফীত কন্দ, মৌলকাণ্ড বা রাইজোম, কন্দ ও গুড়িকন্দ।

প্রশ্ন: টিউবার বা স্ফীত কন্দ কী?

উত্তর: গোল আলু স্ফীতকন্দের উদাহরণ। স্ফীত কন্দে পর্ব, পর্বমধ্য, শল্কপত্র ও কাক্ষিক মুকুল থাকে। শল্কপত্রের কক্ষে গর্তের মতো অংশকে “চোখ” বলে। অনুকূল  ঋতুতে “চোখ” হতে কাক্ষিক মুকুল বৃদ্ধি পেয়ে নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি করে। খাদ্য সঞ্চয়ের জন্য স্ফীত হয়ে এরা গোলাকার রূপ ধারণ করে।

প্রশ্ন: রাইজোম কী?

উত্তর: আদা, হলুদ প্রভৃতি উদ্ভিদের কাণ্ড রাইজোম-জাতীয়। এরা মাটির নিচে খাদ্য সঞ্চয় করে সমান্তরাল বা খাড়াভাবে অবস্থান করে। এদের সুস্পষ্ট পর্ব ও পর্বমধ্য থাকে। পর্ব হতে শল্কপত্র ও অস্থানিক মূল এবং শল্কপত্রের কক্ষে কাক্ষিক মুকুল উৎপন্ন হয়।

প্রশ্ন: কন্দ বলতে কী বোঝ?

উত্তর: পিঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি উদ্ভিদের কাণ্ডকে কন্দ বলা হয়। এদের কাণ্ডটি খুবই ক্ষুদ্র, গোলাকার ও উত্তল। পর্ব ও পর্বমধ্যগুলো সংকুচিত। পুরু ও রসালো শল্কপত্রগুলো এমনভাবে অবস্থান করে যে কন্দটিকে দেখা যায় না। এ কাণ্ডের নিচের দিক থেকে প্রচুর অস্থানিক গুচ্ছমূল বের হয়।

প্রশ্ন: গুড়িকন্দ কী?

উত্তর: গুড়িকন্দ এক ধরনের ভূনিম্নস্থ রূপান্তরিক কাণ্ড যা আকারে বেশ বড় এবং আকৃতিতে প্রায় গোলাকার হয়। এতে সুস্পষ্ট পর্ব ও পর্বমধ্য থাকে। শল্কপত্রের কক্ষে উৎপন্ন পার্শ্ব বা কাক্ষিক মুকুলগুলি বড় হয় এবং শিশু গুড়িকন্দের সৃষ্টি করে। ওলকচু গুড়িকন্দের উদাহরণ।

প্রশ্ন: অর্ধবায়বীয় রূপান্তরিত কাণ্ড কী?

উত্তর: নরম কাণ্ডযুক্ত অর্থাৎ বিরুৎ উদ্ভিদে এক ধরনের বিশেষ শাখা উৎপন্ন হয়। এ শাখাগুলো অঙ্গজ প্রজননের মাধ্যমে নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি করে থাকে। মাটির উপরে বা সামান্য নিচে অবস্থিত এ ধরনের দুর্বল শায়িত রূপান্তরিত কাণ্ডকে অর্ধবায়বীয় কাণ্ড বলে।

প্রশ্ন: অর্ধবায়বীয় রূপান্তরিত কাণ্ড কত প্রকারের হতে পারে?

উত্তর: চার প্রকারের হতে পারে। যথা- রানার বা ধাবক, স্টোলন বা বক্র ধাবক, অফসেট, এবং সাকার বা ঊর্ধ্ব ধাবক।

প্রশ্ন: রানার বা ধাবক কী?

উত্তর: থানকুনি, দুর্বাঘাস, আমরুল ইত্যাদি উদ্ভিদের কাণ্ডের নিচের পর্বের কাক্ষিক মুকুল থেকে যে শায়িত শাখা জন্মায় তাকে ধাবক বলে।

প্রশ্ন: স্টোলন বা বক্র ধাবক কী?

উত্তর: স্টোলন বা বক্র ধাবক হলো এক ধরনের অর্ধবায়বীয় রূপান্তরিত কাণ্ড। এরা এক বিশেষ ধরনের ধাবক। কচু উদ্ভিদের গোড়া থেকে লম্বা শাখা বের হয়। এ শাখার শুধুমাত্র পর্বগুলি অস্থানিক মূলের সাহায্যে মাটি ধরে রেখে বাকি শাখাটি বক্রভাবে অবস্থান করে। কক্ষে সৃষ্ট মুকুল থেকে পরে নতুন উদ্ভিদ জন্মায়।

প্রশ্ন: অফসেট কী?

উত্তর: অফসেট হলো এক ধরনের অর্ধবায়বীয় রূপান্তরিত কাণ্ড। টোপাপানা, কচুরিপানা প্রভৃতি জলজ উদ্ভিদের পর্বমধ্যগুলো ছোট ও মোটা হওয়ার কারণে কাণ্ডকে খর্বাকৃতি দেখায়। এদের অফসেট বলে।

প্রশ্ন: চন্দ্রমল্লিকা, বাঁশ প্রভৃতি উদ্ভিদের শায়িত কাক্ষিক মুকুল থেকে উৎপন্ন হয়ে শাখাটির অগ্রভাগ মাটির উপরে চলে আসে এবং নূতন উদ্ভিদ উৎপন্ন করে। এগুলোকে কী বলে?      উত্তর: সাকার বা ঊর্ধ্ব ধাবক।

প্রশ্ন: বায়বীয় রূপান্তরিত কাণ্ড কেন রূপান্তরিত হয়?

উত্তর: বায়বীয় রূপান্তরিত কাণ্ড মাটির উপরে স্বাভাবিক কাণ্ডের মত অবস্থান করে কিন্তু বিশেষ ধরনের কাজ যেমন- খাদ্য তৈরি, অঙ্গজ প্রজনন, আত্মরক্ষা, আরোহণ ইত্যাদি কাজের জন্য রূপান্তরিত হয়ে থাকে।

প্রশ্ন: বায়বীয় রূপান্তরিত কাণ্ড কত প্রকারের হতে পারে?

উত্তর: চার প্রকারের হতে পারে। যথা: ফাইলোক্ল্যাড বা পর্ণ কাণ্ড, থর্ন বা শাখা কন্টক, স্টেম টেনড্রিল বা শাখা আকর্ষী এবং বুলবিল।

প্রশ্ন: ফাইলোক্ল্যাড বা পর্ণ কাণ্ড কী?

উত্তর: ফাইলোক্ল্যাড বা পর্ণ কাণ্ড পাতার মত চ্যাপ্টা ও সবুজ, যার ফলে এরা খাদ্য তৈরি করতে পারে। পাতাগুলো কাঁটায় পরিণত হয়ে উদ্ভিদের আত্মরক্ষার কাজ করে। ফনিমনসা জাতীয় উদ্ভিদ এ ধরনের কাণ্ডের উদাহরণ।

প্রশ্ন: থর্ন বা শাখা কন্টক কী?

উত্তর: থর্ন বা শাখা কন্টক হলো এক ধরনের বায়বীয় রূপান্তরিত কাণ্ড। অনেক সময় কাক্ষিক মুকুল শাখা মুকুল তৈরি না করে শক্ত ও সূঁচালো কাঁটায় রূপান্তরিত হয়। এগুলোই থর্ন বা শাখা কন্টক। বেল, ময়নাকাঁটা, মেহেদি ইত্যাদি উদ্ভিদে কাঁটার মতো শাখা কন্টক দেখা যায়।

প্রশ্ন: স্টেম টেনড্রিল বা শাখা আকর্ষী কী?

উত্তর: স্টেম টেনড্রিল বা শাখা আকর্ষী হলো এক ধরনের বায়বীয় রূপান্তরিত কাণ্ড। ঝুমকোলতা, হাড়জোড়া ইত্যাদি দুর্বল আরোহী উদ্ভিদের পত্রকক্ষ থেকে সূতার মতো সরু, লম্বা ও প্যাঁচানো যে অংশগুলো বের হয় তাকে শাখা আকর্ষী বলে। আকর্ষীতে পাতা উৎপন্ন হয় না।

প্রশ্ন: বুলবিল কী?

উত্তর: কোনো কোনো আরোহী উদ্ভিদের কাক্ষিক মুকুল শাখায় পরিণত না হয়ে প্রচুর খাদ্য সঞ্চয় করে গোলাকার মাংস পিণ্ডের আকার ধারণ করে। এরাই বুলবিল।

প্রশ্ন: আকর্ষী কী?

উত্তর: সম্পূর্ণ পাতা, পাতার শীর্ষভাগ অথবা পত্রক অনেক সময় প্যাঁচানো স্প্রিং-এর মতো রূপ ধারণ করে। এগুলো আকর্ষি। এর সাহায্যে গাছ কোনো কিছু আঁকড়ে ধরতে পারে। জংলী মটর গাছে এ ধরনের আকর্ষী দেখা যায়।

প্রশ্ন: পেঁয়াজ, রসুন বা ঘৃতকুমারী গাছের পাতা পুরু ও রসালো হয় কেন?     উত্তর: কারণ এসব পাতায় খাদ্য জমা থাকে।

প্রশ্ন: পতঙ্গ ফাঁদ কী?

প্রশ্ন: কলসি উদ্ভিদ ও ঝাঁঝি নামক জলজ উদ্ভিদের পাতা রূপান্তরিত হয়ে কলসি বা থলের মতো রূপ ধারণ করে। এর মধ্যে পোকামাকড় ঢুকলে কলসির ঢাকনাটি বন্ধ হয়ে যায়, পরে গাছ তার দেহ থেকে রস শুষে নেয়। এগুলোকে পতঙ্গ ফাঁদ বলা হয়।

প্রশ্ন: প্রজননের জন্য পাতা কীভাবে রূপান্তরিত হয়?

উত্তর: কোনো কোনো উদ্ভিদে পাতার কিনারা থেকে কুুঁড়ি গজায়। ধীরে ধীরে এসব কুঁড়ি থেকে নিচের দিকে গুচ্ছমূলও গজায়। কোনো এক সময় এরা মুক্ত হয়ে স্বাধীন উদ্ভিদের জন্ম দেয়। যেমন- পাথরকুঁচি।

প্রশ্ন: কণ্টক পত্র কী?       উত্তর: পাতা কখনো কাঁটায় রূপান্তরিত হয়, যথা- লেবু।

প্রশ্ন: শল্কপত্র কী?

উত্তর: কখনো কখনো ভূ-নিম্নস্থ কাণ্ডের পাতা পাতলা আঁশের মতো আকার ধারণ করে। এগুলোই শল্কপত্র। যেমন- আলু, আদা, হলুদ ইত্যাদি।

প্রশ্ন: রসাল শল্কপত্র কী কাজ করে?

উত্তর: রসাল শল্কপত্র খাদ্য সঞ্চয় করে এবং কাক্ষিক মুকুলকে রক্ষা করে। যেমন- পিঁয়াজের রসাল শল্কপত্র।


Comments