স্পোর // উদ্ভিদের অযৌন জননের জন্য।।

স্পোর কী?

Spore একটি ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো অণুবীজ। Spore শব্দটি গ্রিক শব্দ Sporos থেকে এসেছে। Sporos অর্থ বীজ বা রেণু। 

স্পোর বলতে বিশেষ ধরনের অযৌন জনন কোষ বুঝায়।

স্পোর এককোষী বা বহুকোষী জনন একক যা মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নতুন জীবের জন্ম দিতে পারে।

স্পোর উৎপাদনের মাধ্যমে বংশরক্ষা এক ধরনের অযৌন জনন পদ্ধতি। প্রধানত নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

উদ্ভিদের দেহকোষ পরিবর্তিত হয়ে স্পোর বহনকারী একটি অঙ্গের সৃষ্টি করে। এদের বলা হয় অণুবীজথলি বা স্পোরাঞ্জিয়াম [ Sporangium; Gk. sporos = বীজ, রেণু; aggeion = পাত্র ]।

একটি অণুবীজথলিতে সাধারণত অসংখ্য স্পোর থাকে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে একটি থলিতে একটি স্পোর থাকতে পারে। Mucor নামক ছত্রাকে থলির মধ্যে অসংখ্য স্পোর উৎপন্ন হয়। 

আবার স্পোর অণুবীজথলির বাইরেও উৎপন্ন হতে পারে। এদেরকে বলা হয় বহিঃঅণুবীজ। বহিঃঅণুবীজের কোন কোনটি কনিডিয়াম (একবচন) নামে পরিচিত। Penicillium নামক ছত্রাক কনিডিয়া (বহুবচন) সৃষ্টির মাধ্যমে বংশ বৃদ্ধি করে।

জাতভেদে স্পোর সচল অথবা নিশ্চল হতে পারে। কখনো কখনো স্পোরগুলো একই প্রকার (Homosporus) এবং কোন কোন উদ্ভিদের স্পোরগুলো বিভিন্ন প্রকার (Heterosporus) হতে পারে। স্পোরের অংকুরোদগমের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নতুন উদ্ভিদ উৎপন্ন হয়।