বড় উদ্ভিদের কান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কাঠ সাধারণত কালো, খয়েরী, লাল প্রভৃতি বর্ণের হয়। কারণ এ অংশের কাঠ ক্যাম্বিয়াম বলয় হতে আগে সৃষ্টি হয় এবং বয়স বেশি হওয়ার কারণে এত ট্যানিন, রেজিন, আঁঠা, গঁদ, তৈলাক্ত পদার্থ প্রভৃতি জমা হয়। ট্যানিন, রেজিন, আঁঠা, গঁদ প্রভৃতি পদার্থ জমা হওয়ার ফলে এ অংশের কাঠের কোষগুলোর গহ্বর বন্ধ হয়ে যায়, ফলে এই কোষগুলো আর পানি ও খনিজ লবণ পরিবহন করতে পারে না। কিন্তু এই অংশটি অত্যন্ত শক্ত ও মজবুত হয় এবং ভারবহনের টিস্যু হিসেবে কাজ করে। উদ্ভিদের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত অধিকতর শক্ত কাঠ যা পানি ও খনিজ লবণ পরিবহনে অক্ষম তাকে সার কাঠ বা হার্ট উড বলা হয়।
পক্ষান্তরে, সার কাঠের চারদিকে অবস্থিত কাঠ অপেক্ষাকৃত পরে সৃষ্টি হয়। ফলে এ অংশের কোষগুলোর গহ্বর ট্যানিন, রেজিন, গঁদ প্রভৃতি পদার্থ জমা হয়ে বন্ধ হয়ে যায়নি। তাই এ অংশটি পানি ও খনিজ লবণ পরিবহন করে। ট্যানিন, রেজিন, গঁদ প্রভৃতি জমা না হওয়ার কারণে এ অংশের কাঠ হালকা বর্ণের হয়। এ কাঠ কম শক্ত। এ কাঠকেই বলা হয় অসার কাঠ বা স্যাপ উড।
পক্ষান্তরে, সার কাঠের চারদিকে অবস্থিত কাঠ অপেক্ষাকৃত পরে সৃষ্টি হয়। ফলে এ অংশের কোষগুলোর গহ্বর ট্যানিন, রেজিন, গঁদ প্রভৃতি পদার্থ জমা হয়ে বন্ধ হয়ে যায়নি। তাই এ অংশটি পানি ও খনিজ লবণ পরিবহন করে। ট্যানিন, রেজিন, গঁদ প্রভৃতি জমা না হওয়ার কারণে এ অংশের কাঠ হালকা বর্ণের হয়। এ কাঠ কম শক্ত। এ কাঠকেই বলা হয় অসার কাঠ বা স্যাপ উড।