@@ কোষের পাওয়ার হাউস বা শক্তিঘর কোনটি?
(ক) নিউক্লিয়াস (খ) মাইটোকন্ড্রিয়া (গ) রাইবোসোম (ঘ) লাইসোসোম উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: প্রকৃত জীবকোষের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গাণু হলো মাইটোকন্ড্রিয়া। কোষের যাবতীয় জৈবনিক কাজের শক্তি সরবরাহ করে বলে মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের ‘পাওয়ার হাউস’ বা শক্তিঘর বলা হয়।
@@ মাইটোকন্ড্রিয়াতে নিচের কোন প্রক্রিয়াটি ঘটে?
(ক) ক্রেবস চক্র (খ) ফ্যাটি অ্যাসিড চক্র (গ) ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট প্রক্রিয়া (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: এ অঙ্গাণুতে ক্রেবস চক্র, ফ্যাটি অ্যাসিড চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট প্রক্রিয়া প্রভৃতি ঘটে থাকে। দ্বিস্তরবিশিষ্ট আবরণী ঝিল্লি দ্বারা সীমিত সাইটোপ্লাজমস্থ যে অঙ্গাণুতে ক্রেবস্ চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদি ঘটে থাকে এবং শক্তি উৎপন্ন হয় সেই অঙ্গাণুকে মাইটোকন্ড্রিয়া বলে।
@@ মাইটোকন্ড্রিয়া আবিষ্কার করেন কে?
(ক) ফ্লেমিং (খ) অল্টম্যান (গ) বেন্ডা (ঘ) কলিকার উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: কলিকার ১৮৫০ সালে আলোক অণুবীক্ষণের সাহায্যে সাইটোপ্লাজমে নানা আকৃতিবিশিষ্ট এসব অঙ্গাণু আবিষ্কার করেন।
@@ মাইটোকন্ড্রিয়া নামকরণ করেন কে?
(ক) ফ্লেমিং (খ) অল্টম্যান (গ) বেন্ডা (ঘ) কলিকার উত্তর: (গ)
@@ কোষ আয়তনের কত ভাগ মাইটোকন্ড্রিয়া?
(ক) ১০ (খ) ২০ (গ) ৪০ (ঘ) ৫০ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: কোষের সাইটোপ্লাজমে এরা বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করে, কোষ আয়তনের প্রায় ২০ ভাগ হলো মাইটোকন্ড্রিয়া। বিভাজনের মাধ্যমে এদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়ে থাকে। কোষে একটিমাত্র মাইটোকন্ড্রিয়ন (বহুবচনে- মাইটোকন্ড্রিয়া) থাকলে তা কোষ বিভাজনের সাথেই বিভাজিত হয়ে থাকে।
@@ একটি কোষে গড়ে কতটি মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে?
(ক) ১০০-২০০টি (খ) ২০০-৩০০টি (গ) ৩০০-৪০০টি (ঘ) ৪০০-৫০০টি উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: প্রকারভেদে প্রতি কোষে এক হতে একাধিক থাকতে পারে। সাধারণত গড়ে প্রতি কোষে ৩০০ হতে ৪০০ টি মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে। [যকৃত কোষে ১০০০ বা ততোধিক থাকে। অ্যামিবা-তে আরও বেশি থাকে।]
@@ মাইটোকন্ড্রিয়ার আকৃতি কেমন হতে পারে?
(ক) বৃত্তাকার (খ) দন্ডাকার (গ) সূত্রাকার (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: আকৃতিতে এরা বৃত্তাকার, দন্ডাকার, তন্তুকার (সূত্রাকার), তারকাকার ও কুন্ডলী আকার হতে পারে।
@@ সূত্রাকার মাইটোকন্ড্রিয়ার দৈর্ঘ্য কত হতে পারে?
(ক) ২০-৩০ মাইক্রন (খ) ৩০-৪০ মাইক্রন (গ) ৪০-৭০ মাইক্রন (ঘ) ৫০-৯০ মাইক্রন উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: বৃত্তাকার মাইটোকন্ড্রিয়ার ব্যাস ০.২-২.০ মাইক্রন। সূত্রাকার মাইটোকন্ড্রিয়ার দৈর্ঘ্য ৪০ থেকে ৭০ মাইক্রন। দন্ডাকার মাইটোকন্ড্রিয়ার দৈর্ঘ্য ৯ মাইক্রন ও প্রস্থ ০.৫ মাইক্রন পর্যন্ত হতে পারে।
@@ প্রতিটি মাইটোকন্ড্রিয়ন .................. বাইলেয়ারের দুটি মেমব্রেন নিয়ে গঠিত।
(ক) লিপোপ্রোটিন (খ) ফসফোলিপিড (গ) গ্লাইকোপ্রোটিন (ঘ) সালফোলিপিড উত্তর: (ক)
@@ মাইটোকন্ড্রিয়ার ভেতরের প্রকোষ্ঠের ধাত্র পদার্থকে কি বলে?
(ক) পিনোসাইটিক ফোস্কা (খ) পিট পেয়ার (গ) ম্যাট্রিক্স (ঘ) মাইক্রোভিলাই উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: দুই মেমব্রেনের মাঝখানের ফাঁকা স্থানকে বলা হয় বহিস্থ কক্ষ বা আন্তঃমেমব্রেন ফাঁক এবং ভেতরের মেমব্রেন দিয়ে আবদ্ধ অঞ্চলকে বলা হয় অভ্যন্তরীণ কক্ষ। ভেতরের প্রকোষ্ঠ জেলীর ন্যায় ঘন সমসত্ত্ব পদার্থ বা ধাত্র দ্বারা পূর্ণ থাকে। এই ধাত্র পদার্থকে ম্যাট্রিক্স বলে।
@@ মাইটোকন্ড্রিয়ার ভেতরের মেমব্রেনটি নির্দিষ্ট ব্যবধানে ভেতরের দিকে ভাঁজ হয়ে আঙ্গুলের মতো যে প্রবর্ধক সৃষ্টি তার নাম-
(ক) পিনোসাইটিক ফোস্কা (খ) পিট (গ) ক্রিস্টি (ঘ) মাইক্রোভিলাই উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: বাইরের মেমব্রেন সোজা কিন্তু ভেতরের মেমব্রেনটি নির্দিষ্ট ব্যবধানে ভেতরের দিকে ভাঁজ হয়ে আঙ্গুলের মতো প্রবর্ধক সৃষ্টি করে। প্রবর্ধিত অংশকে ক্রিস্টি বলে। এদের সংখ্যা ও আকৃতি বিভিন্ন কোষে বিভিন্ন রকম হয়। এগুলো মাইটোকন্ড্রিয়ার ধাত্রকে কতকগুলো অসম্পূর্ণ প্রকোষ্ঠে বিভক্ত করে। ক্রিস্টির মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানকে অন্তঃক্রিস্টি স্থান বলে-যা বহিঃপ্রকোষ্ঠের সাথে সংযুক্ত।
@@ মাইটোকন্ড্রিয়ার অন্তঃআবরণীর অন্তর্গাত্রে অতি সূক্ষ্ম অসংখ্য দানা লেগে থাকে। এদের ............. বলে।
(ক) পিনোসাইটিক ফোস্কা (খ) পিট (গ) ক্রিস্টি (ঘ) অক্সিসোম উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: অক্সিজোম বৃন্তক বা অবৃন্তক হতে পারে। বৃন্তক অক্সিজোম মস্তক, বোঁটা ও ভূমি নিয়ে গঠিত হয়ে থাকে।
@@ মাইটোকন্ড্রিয়ার কোথায় এটিপি সংশ্লেষিত হয়?
(ক) ম্যাট্রিক্সে (খ) ডিএনএতে (গ) ক্রিস্টিতে (ঘ) অক্সিসোমে উত্তর: (গ)
@@ মাইটোকন্ড্রিয়ার নিজস্ব ........................ আছে।
(ক) বৃত্তাকার ডিএনএ (খ) রাইবোসোম (গ) নিউক্লিয়াস (ঘ) ক ও খ উত্তর: (ঘ)
@@ মাইটোকন্ড্রিয়ার শুষ্ক ওজনের কতভাগ প্রোটিন?
(ক) ৪০% (খ) ৫০% (গ) ৬৫% (ঘ) ৮০% উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: মাইটোকন্ড্রিয়ার শুষ্ক ওজনের প্রায় ৬৫% প্রোটিন, ২৯% গ্লিসারাইডসমূহ, ৪% লেসিথিন ও সেফালিন এবং ২% কোলেস্টেরল। লিপিডের মধ্যে ৯০% হচ্ছে ফসফোলিপিড, বাকি ১০% ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন ঊ এবং কিছু অজৈব পদার্থ।
@@ মাইটোকন্ড্রিয়ার ঝিল্লি ................. সমৃদ্ধ।
(ক) ফসফো-লিপিড (খ) সালফো-লিপিড (গ) গ্লাইকো-প্রোটিন (ঘ) লিপো-প্রোটিন উত্তর: (ঘ)
@@ মাইটোকন্ড্রিয়াতে প্রায় কত প্রকারের একজাইম ও কো-এনজাইম আছে?
(ক) ২০ (খ) ৫০ (গ) ৭০ (ঘ) ১০০ উত্তর: (ঘ)
@@ মাইটোকন্ড্রিয়ার কাজ কোনটি?
(ক) কোষের যাবতীয় কাজের জন্য শক্তি উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ করা।
(খ) শ্বসনের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম, কো-এনজাইম প্রভৃতি ধারণ করা।
(গ) শ্বসনের বিভিন্ন পর্যায় যেমন- ক্রেবস্ চক্র, ইলেক্ট্রন ট্রান্সপোর্ট, অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন সম্পন্ন করা।
(ঘ) উপরের সবগুলো উত্তর: (ঘ)
@@ মাইটোকন্ড্রিয়ার কাজ-
(ক) নিজস্ব DNA, RNA উৎপন্ন করা এবং বংশগতিতে ভূমিকা রাখা।
(খ) প্রোটিন সংশ্লেষ ও স্নেহ বিপাকে সাহায্য করা।
(গ) এরা Ca, K প্রভৃতি পদার্থের সক্রিয় পরিবহনে সক্ষম। (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
@@ নিচের কোন কাজটি মাইটোকন্ড্রিয়ার?
(ক) শুক্রাণু ও ডিম্বাণু গঠনে অংশগ্রহণ করা।
(খ) কোষের বিভিন্ন অংশে ক্যালসিয়াম আয়নের সঠিক ঘনত্ব রক্ষা করা।
(গ) কোষের পূর্বনির্ধারিত মৃত্যু (apoptosis) নিয়ন্ত্রণ করা। (ঘ) উপরের সবগুলো উত্তর: (ঘ)
@@ রক্ত কণিকা ও হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করা এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যাটায়ন, যেমন- Ca2+, S2+, Fe2+, Mn2+ ইত্যাদি সঞ্চিত রাখা কোন অঙ্গাণুটির কাজ?
(ক) মাইটোকন্ড্রিয়া (খ) ক্লোরোপ্লাস্ট (গ) এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (ঘ) রাইবোসোম উত্তর: (ক)
@@ কোষের এন্ডোসিমবায়োন্ট কোনটি?
(ক) মাইটোকন্ড্রিয়া (খ) ক্লোরোপ্লাস্ট (গ) এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (ঘ) ক ও খ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: ইউক্যারিয়টিক কোষে বিদ্যমান ক্লোরোপ্লাস্ট ও মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের এন্ডোসিমবায়োন্ট হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। ধারণা করা হয় ইউক্যারিয়টিক কোষ দ্বারা এন্ডোফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় ভক্ষণকৃত সামান্য কিছু ব্যাক্টেরিয়া থেকে বিবর্তিত হয়ে এসব অঙ্গাণুর উৎপত্তি হয়েছে।
@@ মাইটোকন্ড্রিয়নের কর্মধায়ক কোনটি?
(ক) বহিঃগঠন (খ) অন্তর্গঠন (গ) ক ও খ (ঘ) কোনটিই নয় উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: মাইটোকন্ড্রিয়ার বাইরের মেমব্রেনটি মূলত রক্ষণাত্মক ভূমিকা পালন করে। ভেতরের অংশকে রক্ষা করাই এর প্রধান কাজ। শক্তি উৎপাদন কাজটি সংঘটিত হয় ভেতরের মেমব্রেন দ্বারা সৃষ্ট ক্রিস্টিতে। ক্রিস্টিতে ইলেক্ট্রন ট্রান্সপোর্ট চেইনের সব উপাদান সজ্জিত থাকে এবং এখানেই শক্তি উৎপন্ন হয়। কাজেই মাইটোকন্ড্রিয়ার বহিঃগঠন রক্ষণাত্মক এবং অন্তর্গঠন কর্মধায়ক।
Comments
Post a Comment