ম্যালেরিয়ার জীবাণু সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এমসিকিউ

 ১. প্রতি বছর পৃথিবীতে ম্যালেরিয়া রোগে কত মিলয়ন লোক মারা যায়?

ক. ১ - ৩ খ. ২ - ৫

গ. ৩ - ৬ ঘ. ৮ - ১০

উত্তর ঃ ক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা -র হিসেব মতে প্রতিবছর ৩০০ - ৫০০ মিলিয়ন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয় এবং পৃথিবীর ৪০% মানুষ এখন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশংকায় রয়েছে।আর এ রোগটি যেহেতু মশাবাহিত, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ম্যালেরিয়াকে ‘পয়লা নম্বর গণশত্র“’ রূপে ঘোষণা দিয়েছে।

২. প্লাজমোডিয়াম গণের অধীনে প্রায় ............. টি প্রজাতি আছে যা মানুষসহ অন্যান্য প্রাণিদেহে ম্যালেরিয়া রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী।

ক. ৩০ খ. ৫০

গ. ৬০ ঘ. ৮০

উত্তর ঃ গ। এগুলোর মধ্যে মাত্র চারটি প্রজাতি মানুষের দেহে ম্যালেরিয়া সৃষ্টিতে সক্ষম।

৩. প্লাজমোডিয়াম ভিভ্যাক্স এর সুপ্তাবস্থা কত দিন?

ক. ৮ - ১৫ দিন খ. ১৮ - ৪০ দিন

গ. ১২ - ২০দিন ঘ. ১১ - ১৬ দিন

উত্তর ঃ গ।

৪. নিম্নের কোন প্রজাতিটি কোয়ারটান ম্যালেরিয়া সৃষ্টি করে?

ক. প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম খ. প্লাজমোডিয়াম ম্যালারি

গ. প্লাজমোডিয়াম ভিভ্যাক্স         ঘ. প্লাজমোডিয়াম ওভালি 

উত্তর ঃ খ।

৫. প্লাজমোডিয়াম ভিভ্যাক্স কর্তৃক সৃষ্ট বিনাইন টারশিয়ান ম্যালেরিয়া হলে কত ঘন্টা পর পর জ্বর আসে?

ক. ৩৬ খ. ৭২

গ. ৩৬ - ৪৮ ঘ. ৪৮

উত্তর ঃ ঘ।

৬. নিম্নের কোন বৈশিষ্ট্যটি ম্যালেরিয়ার জীবাণুর স্পোরোজয়েট দশায় দেখা যায় না?

ক. সামান্য বাঁকানো এবং উভয়প্রান্ত সুঁচালো।

খ. অগ্রপ্রান্তে অ্যাপিকাল কাপ নামে পেয়ালাকার একটি অংশ রয়েছে। তিনটি রিংয়ের মতো অংশে এটি গঠিত।

গ. যকৃতের কোষঝিল্লি বিগলনে সক্ষম এনজাইম ক্ষরণকারী রপট্রাই নামক একটি জোড়অঙ্গাণু উন্মুক্ত হয়।

ঘ. সাইটোপ্লাজমে হিমোজয়েন দানাপূর্ণ কতকগুলো খাদ্যগহ্বর রয়েছে।

উত্তর ঃ ঘ। ট্রফোজয়েট দশায় দেখা যায়।

৭. এই বৈশিষ্ট্যটি ট্রফোজয়েট দশার নয়?

ক. সামান্য বাঁকানো এবং উভয়প্রান্ত সুঁচালো।

খ. সাইটোপ্লাজমে এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা, মাইটোকন্ড্রিয়া ও গলগি বডি উপস্থিত।

গ. নিউক্লিয়াস বেশ বড় অকৃতির।

ঘ. দেহ দ্বিঝিল্লি বেষ্টিত।

উত্তর ঃ ক।

৮. প্লাজমোডিয়াম ভিভ্যাক্স এর জীবনচক্র সম্পন্ন হতে কতটি পোষক প্রয়োজন হয়?

ক. ১ খ. ২

গ. ৩ ঘ. ৪

উত্তর ঃ খ।(ক) মানুষ এবং (খ) মশকী। 

৯. কোন তথ্যটি সঠিক নয়?

ক. মানুষের যকৃত ও লোহিত রক্তকণিকায় প্লাজমোডিয়াম ভিভ্যাক্স- এর সাইজোগনি বা অযৌন জনন ঘটে।

খ. অ্যানোফিলিস গণের কয়েকটি প্রজাতির মশকীর দেহে পরজীবীর অযৌন প্রজনন সম্পন্ন হয়।

গ. পোষকের প্রচলিত সংজ্ঞানুযায়ী, মানুষ এ পরজীবীর মাধ্যমিক পোষক।

ঘ. মশকী এ পরজীবীর নির্দিষ্ট পোষক।

উত্তর ঃ খ। অ্যানোফিলিস গণের কয়েকটি প্রজাতির মশকীর দেহে পরজীবীর গ্যামিটোগনি বা যৌন প্রজনন (প্রধানত) সম্পন্ন হয়।

১০. অ্যানোফিলিস মশকীর লালাগ্রন্থিতে প্লাজমোডিয়াম এর কোন দশাটি পরিণত অবস্থায় সঞ্চিত থাকে?

ক. ট্রফোজয়েট খ. স্পোরোজয়েট

গ. মেরোজয়েট ঘ. সাইজন্ট

উত্তর ঃ খ।

১১. প্রতিটি ক্রিপ্টেজয়েটের নিউক্লিয়াস ক্রমাগত বিভক্ত হয়ে কয়েকদিনের মধ্যে অসংখ্য (প্রায় ১২০০) ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াস গঠন করে।পরজীবীর বহুনিউক্লিয়াসযুক্ত এ অবস্থার নাম -

ক. ট্রফোজয়েট খ. স্পোরোজয়েট

গ. মেরোজয়েট ঘ. সাইজন্ট

উত্তর ঃ ঘ।

১২. একেকটি সাইজন্ট থেকে মেরোজয়েট সৃষ্টি হয়-

ক. ৮০০ - ২০০০ খ. ১২০০ - ১৫০০

গ. ৮,০০০- ২০,০০০ ঘ. ৫০০০ - ৬০০০

উত্তর ঃ গ। স্পোরোজয়েট থেকে মেটাক্রিপ্টোমেরোজয়েট অবস্থায় পৌছতে পরজীবীর সাধারণত ৭-১০ দিন সময় লাগে।

মেরোজয়েটগুলো ম্যালেরিয়ার কোনো লক্ষণ প্রকাশ করা ছাড়াই বছরের পর বছর যকৃত কোষে সাইজোগনি চালিয়ে যেতে পারে।

১৩. সিগনেট রিং কোন পর্যায়ে সৃষ্টি হয়?

ক. এরিথ্রোসাইটিক সাইজোগনি খ. হেপাটিক সাইজোগনি

গ. গ্যামিটোগনি         ঘ. স্পোরোগনি

উত্তর ঃ ক।

১৪. কোন দশায় লোহিত কণিকার সাইটোপ্লাজমে সাফনার্স কণা দেখা যায়?

ক. মেরোজয়েট খ. স্পোরোজয়েট

গ. সাইজন্ট         ঘ. অ্যামিবয়েড ট্রফোজয়েট

উত্তর ঃ ঘ।

১৫. কোন দশায় পরজীবীর সাইটোপ্লাজমে হিমোজয়েন নামক পদার্থ জমা হয়?

ক. মেরোজয়েট খ. স্পোরোজয়েট

গ. সাইজন্ট         ঘ. অ্যামিবয়েড ট্রফোজয়েট

উত্তর ঃ গ।

১৬. সমগ্র এরিথ্রোসাইটিক সাইজোগনি চক্রটি ঘন্টার মধ্যে সম্পন্ন হয়।

ক. ৪৮-৭২ খ. ৭২ - ৯৬

গ. ৩৬ - ৪৮ ঘ. ২৪ - ৩৬

উত্তর ঃ ক।

১৭. মানুষের রক্তে গ্যামিটোসাইট কত দিনের বেশি বাঁচেনা?

ক. ১ খ. ৪

গ. ৫ ঘ. ৭

উত্তর ঃ ঘ।

১৮. মশকীর দেহে সংঘটিত ম্যালেরিয়ার পরজীবীর জীবনচক্রকে কতটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়?

ক. ১ খ. ২

গ. ৩ ঘ. ৪

উত্তর ঃ খ। যথা ঃ (ক) গ্যামিটোগনি ও (খ) স্পোরোগনি।

১৯. এই তথ্যটি সঠিক নয়?

ক. দংশনের মাধ্যমে অ্যানোফিলিস মশকী ম্যালেরিয়ার পরজীবীবাহী ব্যক্তির দেহ থেকে পরজীবীর বিভিন্ন ধাপসহ রক্ত শোষণ করে।

খ. ক্রপের পাচক রসের ক্রিয়ায় গ্যামিটোসাইট হজম হয়ে যায়।

গ. এক্সফ্ল্যাজেলেশন নামে এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক মাইক্রোগ্যামিটোসাইট ৪ - ৮ টি মাইক্রোগ্যামিট বা পুংগ্যামিট সৃষ্টি করে।

ঘ. প্রত্যেক ম্যাক্রোগ্যামিটোসাইট থেকে একটি ম্যাক্রোগ্যামিট বা স্ত্রীগ্যামিট সৃষ্টি হয়।

উত্তর ঃ খ। ক্রপের পাচক রসের ক্রিয়ায় গ্যামিটোসাইট ছাড়া পরজীবীর অন্য ধাপগুলো হজম হয়ে যায়।

২০. উওসিস্ট পরিণত হতে কত দিন সময় লাগে?

ক. ১০ - ১২ খ. ১০ - ২০

গ. ৩০ - ৪০ ঘ. ৪০ - ৫০

উত্তর ঃ খ।

২১. মশকীর ক্রপের প্রাচীরে উওসিস্টের অযৌন জননকে বলে-

ক. এরিথ্রোসাইটিক সাইজোগনি     খ. হেপাটিক সাইজোগনি

গ. গ্যামিটোগনি             ঘ. স্পোরোগনি

উত্তর ঃ ঘ।

২২. কোন তথ্যটি সঠিক নয়?

ক. ¯েপারোজয়েট হ্যাপ্লয়েড সংখ্যক ক্রোমোসোমবাহী।

খ. একটি মশকীর লালাগ্রন্থিতে প্রায় ৩,২৬,০০০ স্পোরোজয়েট থাকতে পারে।

গ. মশকীর লালাগ্রন্থিতে স্পোরোজয়েটগুলো প্রায় দুবছর অবস্থান করে।

ঘ. একটি উওসিস্টে প্রায় দশ হাজার স্পোরোজয়েট থাকতে পারে।

উত্তর ঃ গ। মশকীর লালাগ্রন্থিতে স্পোরোজয়েটগুলো প্রায় দুমাস অবস্থান করে। এ সময়ের ভেতর এরা আরও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ও সক্রিয় হয়ে উঠে।

২৩. ম্যালেরিয়ার বিশেষ লক্ষণ হচ্ছে জ্বর আসা এবং জ্বরের রয়েছে ............ টি দশা।

ক. ১ খ. ২

গ. ৩ ঘ. ৪

উত্তর ঃ গ।যথা- (১) শীতল দশা, (২) উষ্ণ দশা এবং (৩) ঘাম দশা।

২৪. মানবদেহে ম্যালেরিয়ার পরজীবী অনুপ্রবেশের কত সপ্তাহের মধ্যেই রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়?

ক. ১ - ২         খ. ২ - ৩

গ. ৩ - ৪ ঘ. ৪ - ৫

উত্তর ঃ খ।

২৫. মেরোজয়েটগুলো বহিরাগত বস্তু যা রক্তের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করে দেয়। এ বহিরাগত বস্তুগুলোকে ধ্বংস করার জন্য রক্তের শ্বেতকণিকা ............ নামক এক প্রকার পদার্থ ক্ষরণ করে।

ক. হিমোজয়েন খ. হেপারিন

গ. পাইরোজেন ঘ. হিপনোটক্সিন

উত্তর ঃ গ।

২৬.  আক্রান্ত প্লীহা থেকে ........... নামক এক প্রকার রস নিঃসৃত হয়, যা লোহিত কণিকাকে ধ্বংস করে।

ক. লাইসোলেসিথিন খ. হেপারিন

গ. পাইরোজেন         ঘ. হিপনোটক্সিন

উত্তর ঃ ক

 ২৭.  পরজীবী কর্তৃক সৃষ্ট .............. লোহিত কণিকায় হিমোলাইসিস বা বিগলন ঘটায়। 

ক. হিমোজয়েন খ. হেপারিন

গ. পাইরোজেন ঘ. হিমোলাইসিন

উত্তর ঃ ঘ।