প্রশ্ন: পানি কী? পানির প্রয়োজনীয়তা ও কাজ বর্ণনা কর।
উত্তর: পানি:
= পানি জীবন ধারণের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান।
= প্রাণীদেহের ৬০-৭০ ভাগই পানি।
= দেহ গঠনে পানির প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি।
= পানি অস্থি, মাংস, ত্বক, নখ, দাঁত ইত্যাদি কোষের ভিতরে ও বাইরে থাকে।
= প্রায় সব খাদ্যেই কম-বেশি পানি থাকে। তবে আমরা আলাদাভাবে পানি পান করে দেহের চাহিদা মেটাই।
= দেহ গঠন ছাড়াও পানি দেহের সব অভ্যন্তরীণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
= পানি ছাড়া দেহের ভিতরে কোনো রাসায়নিক ক্রিয়া হতে পারে না।
= পানি দেহে দ্রাবকরূপে কাজ করে।
= বিভিন্ন খনিজ লবণ পানিতে দ্রবীভূত থাকে।
= পানিতে দ্রবণীয় অবস্থায় খাদ্যের পরিপাক ক্রিয়া চলে।
= পানিতে দ্রবীভূত থেকেই খাদ্য উপাদান দেহে শোষিত হয়।
কাজ:
= পানির জন্যই রক্ত সঞ্চালন ও তাপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়।
= পানি দেহ থেকে দূষিত পদার্থ অপসারণ করে। যেমন- মূত্র ও ঘাম।
প্রশ্ন: দেহে কীভাবে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়? পানিশূন্যতার চিকিৎসা কী?
উত্তর:
পানিশূন্যতা:
কলেরা ও উদরাময় রোগে মলের সাথে বা বমির সাথে দেহ থেকে হঠাৎ বেশ কিছু পানি বের হয়ে যায়। ফলে দেহে পানি শূন্যতার সৃষ্টি হয়।
পানিশূন্যতার চিকিৎসা:
= কলেরা বা উদারাময় রোগ হলে রোগীকে স্যালাইন বা লবণ পানির শরবত খাওয়াতে হবে। এটা কলেরা বা উদরাময়ের সবচেয়ে সহজ চিকিৎসা। এছাড়া আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র কর্তৃক তৈরি খাওয়ার স্যালাইনের প্যাকেট পাওয়া যায়। প্যাকেটের স্যালাইন পানিতে গুলে রোগীকে খাওয়াতে হয়।
= সম্প্রতি শস্য স্যালাইন নামক আর একটি খাওয়ার স্যালাইন উদ্ভাবিত হয়েছে। ১ লিটার পানি, ৫০ গ্রাম চালের গুঁড়া ও এক চিমটি লবণ মিলিয়ে এ স্যালাইন তৈরি করা হয়।
প্রশ্ন: শুষ্কতা কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: শুষ্কতা:
কোনো কারণে দেহে পানির পরিমাণ কমে গেলে কোষগুলোতে পানির স্বল্পতা দেখা দেয়। কোষের পানি কমে গেলে অতিরিক্ত পিপাসা হয়, রক্তের চাপ কমে যায়, রক্ত সঞ্চালনে অসুবিধা হয়, বিপাক ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। পানির অভাবে দেহের ওজন কমে যায় এবং পেশি ও স্নায়ুকোষ দুর্বল হয়ে পড়ে। দেহে পানির পরিমাণ ২০ শতাংশের নিচে নেমে গেগে দেহের স্বাভাবিক কাজে বিঘ্ন ঘটে, ফলে রোগী অচেতন হয়ে পড়ে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।