তেলাপোকা/আরশোলা সম্পর্কে কিছু এমসিকিউ
১. তেলাপোকার দেহ প্রতিসম?
ক. অরীয় খ. দ্বিপার্শ্বীয়
গ. গোলীয় ঘ. অপ্রতিসাম্য
উত্তর ঃ খ
২. তেলাপোকার কাইটিনযুক্ত কিউটিকলগুলো কি নামে পরিচিত?
ক. স্কেলেরাইট খ. এক্সোকিউটিকল
গ. টার্গাম ঘ. স্টার্ণাম
উত্তর ঃ ক
৩. স্কেলেরাইটের পৃষ্ঠদেশীয় অংশকে এবং বক্ষদেশীয় অংশকে বলে।
ক. স্টার্ণাম ও টার্গাম খ. টার্গাম ও স্টার্ণাম
গ. এপি ও এক্সো কিউটিকল ঘ. এপি ও এন্ডো কিউটিকল
উত্তর ঃ খ
৪. কিউটিকলের প্রস্থচ্ছেদে তিনটি স্তর দেখা যায়, যা কি নামক কোষস্তর থেকে নিঃসৃত রসে গঠিত?
ক. এপিডার্মিস খ. গ্যাস্ট্রোডার্মিস
গ. এন্ডোডার্মিস ঘ. হাইপোডার্মিস
উত্তর ঃ ঘ। তিনটি স্তর- যথাক্রমে এপিকিউটিকল, এক্সোকিউটিকল এবং এন্ডোকিউটিকল নামে পরিচিত।
৫. তেলাপোকার দেহ খন্ডকায়িত, দেহকে প্রধানত অঞ্চলে ভাগ করা যায়।
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. পাঁচ
উত্তর ঃ খ। যথা ঃ মস্তক, বক্ষ এবং উদর।
৬. তেলাপোকার মস্তক কতটি খন্ডকের সমন্বয়ে গঠিত?
ক. ৪ টি খ. ৫ টি
গ. ৬ টি ঘ. ৩ টি
উত্তর ঃ গ। ১) পেছনে ও উপরের দিকে এপিক্রেনিয়াম,
২) কপালের দিকে ত্রিকোণাকার ফ্রন্স,
৩) ফ্রন্সের সম্মুখে আয়তাকার ক্লাইপিয়াস এবং
৪) ফ্রন্সে দুপাশে দুটি জেনা।
৭. আরশোলার মস্তকে কতটি পুঞ্জাক্ষি থাকে?
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. এক
উত্তর ঃ ক। একজোড়া অ্যান্টেনা এবং মুখোপাঙ্গ বহন থাকে।
৮. পুঞ্জাক্ষির দুপাশে দুটি সাদা দাগ থাকে। এদের কি বলে ?
ক. ফেনেস্ট্রা খ. ক্লাইপিয়াস
গ. জেনা ঘ. ফ্রন্স
উত্তর ঃ ক। যা আদি ওসেলাস বা সরল অক্ষি-র প্রতিনিধিত্ব করে।
৯. আলোর তীব্রতাগ্রাহীর কাজ করে কোনটি?
ক. ফেনেস্ট্রা খ. ক্লাইপিয়াস
গ. জেনা ঘ. ফ্রন্স
উত্তর ঃ ক
১০. তেলাপোকার অ্যান্টেনা প্রায় কতটি খন্ডে বিভক্ত থাকে?
ক. ৬০ - ৭০ খ. ৭৫ - ৯০
গ. ৯০ - ১০০ ঘ. অসংখ্য
উত্তর ঃ খ
১১. নিচের কোন তথ্যটি সঠিক নয়?
ক. পুঞ্জাক্ষির সম্মুখে, মাথার দুপাশে দুটি লম্বা সুতার মতো অ্যান্টেনা থাকে।
খ. অ্যান্টেনা স্পর্শ, ঘ্রাণ ও শব্দ তরঙ্গ অনুভব করে।
গ. অ্যান্টেনার কিছু খন্ড সূক্ষ্ম স্নায়ুরোমযুক্ত।
ঘ. তেলাপোকা ইচ্ছে মতো অ্যন্টেনা নাড়াতে পারে।
উত্তর ঃ গ। সকল খন্ড।
১২. কোনটি সত্য নয়?
ক. তেলাপোকার মুখোপাঙ্গ শুধুমাত্র খাদ্য চর্বনে ব্যবহৃত হয়
খ. ল্যাব্রাম বা ঊর্দ্ধোষ্ঠ মস্তকের পৃষ্ঠদেশে অবস্থিত প্রশস্ত পাতলা পর্দার মতো ঝুলন্ত অংশ যা ক্লাইপিয়াসের সাথে লাগানো থাকে
গ. ল্যাব্রামের তলদেশে মুখছিদ্র অবস্থিত।
ঘ. ধৃত খাদ্যবস্তু কর্তন ও চর্বন করা ল্যাব্রামের কাজ।
উত্তর ঃ ঘ। খাবার ধরে রাখতে, ম্যান্ডিবলের দিকে ঠেলে দিতে ও স্বাদ গ্রহণে সাহায্য করে। তেলাপোকার মুখোপাঙ্গকে চর্বন-উপযোগী বা ম্যান্ডিবুলেট মুখোপাঙ্গ বলা হয়।
১৩. ম্যান্ডিবল মস্তকের কোন অংশের সাথে যুক্ত থাকে?
ক. ক্লাইপিয়াস ও ফ্রন্স খ. ক্লাইপিয়াস
গ. ফ্রন্স ঘ. এপিক্রেনিয়াম ও জেনা
উত্তর ঃ ক। কন্ডাইল নামক অংশ দিয়ে যুক্ত।
১৪. তেলাপোকার প্রত্যেক চোয়ালের গোড়ায় ভেতরের দিকে এবং বাইরের দিকে পেশীগুচ্ছ থাকে।
ক. অ্যাবডাকটর, অ্যাডাকটর
খ. অ্যাডাকটর, অ্যাবডাকটর
গ. স্টার্ণাম ও টার্গাম
ঘ. টার্গাম ও স্টার্ণাম
উত্তর ঃ খ
১৫. আরশোলার প্রথম ম্যাক্সিলার অংশ নয় কোনটি?
ক. কার্ডো খ. স্টাইপস
গ. ল্যাসিনিয়া ঘ. মেন্টাম
উত্তর ঃ ঘ। অন্য দুটি খন্ড গ্যালিয়া ও ম্যাক্সিলারী পাল্প।
১৬. নিম্নের কোনটি দ্বিতীয় ম্যাক্সিলার অংশ?
ক. কার্ডো খ. স্টাইপস
গ. ল্যাসিনিয়া ঘ. মেন্টাম
উত্তর ঃ ঘ।
১৭. নিম্নের কোনটি দ্বিতীয় ম্যাক্সিলার অংশ নয়?
ক. সাবমেন্টাম খ. মেন্টাম
গ. প্রিমেন্টাম ঘ. গ্যালিয়া
উত্তর ঃ ঘ
১৮. দ্বিতীয় ম্যাক্সিলার কোন অংশ থেকে তিন খন্ডবিশিষ্ট দুটি ল্যাবিয়াল পাল্প সৃষ্টি হয়েছে?
ক. সাবমেন্টাম খ. মেন্টাম
গ. প্রিমেন্টাম ঘ. খ ও গ
উত্তর ঃ গ
১৯. প্যারাগ্লোসা ও গ্লোসা নামক দুটি খন্ড পাশাপাশি অবস্থান করে কোথায়?
ক. ল্যাবিয়াল পাল্পের ভেতরের দিকে
খ. সাবমেন্টামের ভেতরের দিকে
গ. মেন্টামের ভেতরের দিকে
ঘ. ল্যাসিনিয়ার ভেতরের দিকে
উত্তর ঃ ক
২০. তেলাপোকার বক্ষ কতটি খন্ডে বিভক্ত?
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. পাঁচ
উত্তর ঃ খ। যথা- (১) অগ্রবক্ষ, (২) মধ্যবক্ষ এবং (৩) পশ্চাৎবক্ষ।
২১. তেলাপোকার বক্ষের কোথায় একজোড়া করে মোট দুজোড়া পাতলা কিউটিকল নির্মিত ডানা আছে?
ক. মধ্য ও পশ্চাৎবক্ষের পিঠের দিকে
খ. মধ্য পিঠের দিকে
গ. পশ্চাৎবক্ষের পিঠের দিকে
ঘ. অগ্র ও মধ্যবক্ষের পিঠের দিকে
উত্তর ঃ ক
২২. তেলাপোকার অগ্রবক্ষের টার্গাম অংশটিকে কি বলে?
ক. মেটানোটাম খ. মেসোনোটাম
গ. প্রিনোটাম ঘ. প্রোনোটাম
উত্তর ঃ ঘ
* অগ্রবক্ষের টার্গাম অংশটি বেশ বড়, চওড়া, অনেকটা ত্রিকোণাকার।
* একে প্রোনোটাম বলে এবং পিঠের সম্মুখভাগকে ঢালের মতো ঢেকে রাখে।
* মধ্য ও পশ্চাৎ বক্ষের টার্গাম অংশকে যথাক্রমে মেসোনোটাম এবং মেটানোটাম বলে।
২৩. তেলাপোকার ৩ জোড়া হাটিয়ে পা বক্ষের কোথায় থাকে?
ক. ১ম খন্ডে খ. ২য় খন্ডে
গ. ৩য় খন্ডে ঘ. প্রত্যেক খন্ডে
উত্তর ঃ ঘ।
২৪. তেলাপোকার প্রতিটি পা কতটি খন্ডে বিভক্ত?
ক. তিন খ. চার
গ. পাঁচ ঘ. ছয়
উত্তর ঃ গ।
প্রতিটি পা ৫ খন্ডে বিভক্ত, যথাÑ একবারে গোড়ায় স্থূল, তিনকোণা কক্সা; এর পরের ত্রিভূজাকার ক্ষুদ্র ট্রোক্যান্টর; পরের লম্বা, নলাকার ও দৃঢ় ফিমার; তার পরবর্তী সরু টিবিয়া এবং সবশেষে নড়নক্ষম ও ক্রমান্বয়ে সাজানো পাঁচটি ক্ষুদ্র খন্ডবিশিষ্ট টার্সাস।
২৫. টার্সাসের শেষ খন্ডককে কি বলে?
ক. প্রিটার্সাস খ. পালভিলাস
গ. অ্যানাল সারকি ঘ. গোনাপোফাইসিস
উত্তর ঃ ক
* টার্সাসের প্রতি দুই খন্ডের অঙ্কীয় সন্ধিস্থলে একটি করে প্লাটুলা নামে নরম মখমলের মতো গদি আছে। শেষ খন্ডককে প্রিটার্সাস বলে। এর অগ্রভাগে একজোড়া বাঁকা নখর থাকে। দুই নখরের মাঝখানে থাকে পালভিলাস নামে নরম ও রোমযুক্ত গদি।
২৬. নিম্নের কোন তথ্যটি সঠিক নয়?
ক. তেলাপোকার বাহ্যত খন্ডায়িত।
খ. তেলাপোকার উদর দশটি খন্ডকে গঠিত।
গ. শেষের দু একটি খন্ড ছাড়া বাকিগুলো উপাঙ্গবিহীন।
ঘ. পুরুষ তেলাপোকার অষ্টম ও নবম খন্ডদুটি সপ্তম খন্ডের নিচে ঢাকা থাকে।
উত্তর ঃ ঘ।স্ত্রী তেলাপোকার অষ্টম ও নবম খন্ডদুটি সপ্তম খন্ডের নিচে ঢাকা থাকে।
২৭. তেলাপোকার দশম খন্ডটি বেশ ছোট এবং এর উভয় পাশে যে দুটি বহুখন্ডবিশিষ্ট উপাঙ্গ রয়েছে তাকে বলে। অ্যানাল সারকি
ক. অ্যানাল স্টাইল খ. গোনাপোফাইসিস
গ. অ্যানাল সারকি ঘ. পালভিলাস
উত্তর ঃ গ।
* পুরুষ তেলাপোকার নবম খন্ডের উভয় পাশে দুটি ছোট ও সরু উপাঙ্গ অছে, একে অ্যানাল স্টাইল বলে।
* জননরন্ধ্রকে বেষ্টন করে কতকগুলো হুক বা প্লেট থাকে, এদের বলে গোনাপোফাইসিস।
২৮. তেলাপোকার উদরের কততম খন্ডের নিচে পায়ু অবস্থিত?
ক. ৭ম খ. অষ্টম
গ. ৯ম ঘ. ১০ম
উত্তর ঃ ঘ
২৯. তেলাপোকার উদরীয়খন্ডের দুপাশে একটি করে গ্রন্থি আছে। এ থেকে তীব্র গন্ধ নিঃসৃত হয়।
ক. ৪র্থ ও ৫ম খ. ৫ম ও ৬ষ্ঠ
গ. ৬ষ্ঠ ও ৭ম ঘ. ৭ম ও ৮ম
উত্তর ঃ খ
৩০. স্ত্রী তেলাপোকার জননরন্ধ্র কোথায় থাকে?
ক. নবম ও দশম খন্ডের সংযোগস্থলের অঙ্কীয়দেশে।
খ. ৮ম ও নবম খন্ডের সংযোগস্থলের অঙ্কীয়দেশে।
গ. অষ্টম খন্ডের অঙ্কীয়দেশের মাঝখানে
ঘ. ৭ম খন্ডের অঙ্কীয়দেশের মাঝখানে।
উত্তর ঃ গ। নবম ও দশম খন্ডের সংযোগস্থলের অঙ্কীয়দেশে পুংজননছিদ্র অবস্থিত।
৩১. তেলাপোকার পৌষ্টিকতন্ত্রে কতটি লালাগ্রন্থি আছে?
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. এক
উত্তর ঃ ক
৩২. তেলাপোকার পৌষ্টিকনালী প্রধান কতটি অংশে বিভক্ত? যথাÑ তিনটি
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. এক
উত্তর ঃ খ
(ক) স্টোমোডিয়াম বা অগ্রান্ত্র,
(খ) মেসেন্টেরণ বা মধ্যান্ত্র এবং
(গ) প্রোক্টোডিয়াম বা পশ্চাদান্ত্র।
৩৩. তেলাপোকার মুখবিবরটি কি নামে পরিচিত?
ক. সিবেরিয়াম খ. পালভিলাস
গ. অ্যানাল সারকি ঘ. গোনাপোফাইসিস
উত্তর ঃ ক
* তেলাপোকায় কার্যকর মুখবিবর নেই কারণ মুখোপাঙ্গ পরিবেষ্টিত মুখবিবরটি মুখের সম্মুখে অবস্থিত। একে অগ্রমুখ প্রকোষ্ঠ বা সিবেরিয়াম বলে।
৩৪. তেলাপোকায় ক্রপ উদরীয় খন্ডক পর্যন্ত বিস্তৃত।
ক. ৩য় বা ৪র্থ খ. ৪র্থ বা ৫ম
গ. ৫ম বা ৬ষ্ঠ ঘ. ৭ম বা ৮ম
উত্তর ঃ ক
৩৫. তেলাপোকার গিজার্ড পরবর্তী অংশটি কি নামে পরিচিত?
ক.স্টোমোডিয়াম খ. মেসেন্টেরণ
গ. প্রোক্টোডিয়াম ঘ. অন্ননালী
উত্তর ঃ খ
৩৬. কোনটি সঠিক নয়?
ক. গিজার্ডের শেষ প্রান্ত ও মেসেন্টেরণের সংযোগস্থলে ১৭- ১৮টি বদ্ধ, সরু হেপাটিক সিকা থাকে।
খ. মেসেন্টেরণের শেষ প্রান্তে অসংখ্য হলুদ রঙের মালপিজিয়ান নালিকা দেখা যায়।
গ. হেপাটিক সিকা এনজাইম ক্ষরণ করে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে।
ঘ. মেসেন্টেরণে খাদ্যবস্তুর পরিপাক ও শোষণ ঘটে।
উত্তর ঃ ক। ৭-৮টি।
৩৭. পাচিত খাদ্যবস্তুর অবশিষ্টাংশ পানিসহ শোষণ করা কোনটির কাজ?
ক. রেকটাম খ. ইলিয়াম
গ. কোলন ঘ. পায়ু
উত্তর ঃ গ
৩৮. মল থেকে অতিরিক্ত পানি, খনিজ লবণ, অ্যামাইনো এসিড শোষণ করা এবং অপাচ্য অংশ সাময়িক জমা রাখা এর কাজ।
ক. রেকটাম খ. ইলিয়াম
গ. কোলন ঘ. পায়ু
উত্তর ঃ ক
৩৯. তেলাপোকার লালার কোন এনজাইমটি খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে?
ক. মিউসিন খ. ট্রিপসিন
গ. লাইপেজ ঘ. জাইমেজ
উত্তর ঃ ঘ
* লালার মিউসিন খাদ্যবস্তুকে পিচ্ছিল করে এবং জাইমেজ এনজাইম খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে।
৪০. কোনটি সঠিক নয়?
ক.তেলাপোকা সর্বভুক প্রাণী।
খ. এদের খাবারে শর্করা, আমিষ ও স্নেহজাতীয় সমস্ত উপাদানই থাকে।
গ. মেসেন্টেরনে পরিপাক শুরু হয়।
ঘ. তেলাপোকার লালারসে অ্যামাইলেজ, কাইটিনেজ ও সেলুলেজ এনজাইম থাকে।
উত্তর ঃ গ। ক্রপেই পরিপাক শুরু হয়।
৪১. থেকে আন্ত্রিকরস গিজার্ডের মাধ্যমে উল্টোদিকে প্রবাহিত হয়ে ক্রপে পৌছায়।
ক. রেকটাম খ. ইলিয়াম
গ. কোলন ঘ. মেসেন্টেরণ
উত্তর ঃ ঘ
৪২. তেলাপোকার আন্ত্রিক রসে কোনগুলো থাকে না?
ক. ট্রিপসিন, প্রোটিয়েজ ও পেপটাইডেজ
খ. ইনভারটেজ, মলটেজ ও ল্যাক্টেজ
গ. প্রোটিওলাইটিক, লাইপোলাইটিক এনজাইম
ঘ. পেপসিন ও জাইমেজ
উত্তর ঃ ঘ
৪৩. কোনটি সঠিক নয়?
ক. গিজার্ডে খাদ্যের কোন পরিপাক ঘটে না।
খ. তেলাপোকার গিজার্ডের গহ্বরে কিছু ব্যাকটেরিয়া ও এককোষী ছত্রাক বাস করে যারা সেলুলেজ এনজাইম সৃষ্টি করে।
গ. গিজার্ডের স্টোমোডিয়াম কপাটিকা খাদ্যকণার পশ্চাৎমুখী প্রবাহ রোধ করে।
ঘ. বেশীরভাগ পরিপাককৃত খাদ্যবস্তুই মেসেন্টেরণের কোষীয় প্রাচীরে পরিশোষিত হয়।
উত্তর ঃ খ। তেলাপোকার মেসেন্টেরণ গহ্বরে কিছু ব্যাকটেরিয়া ও এককোষী ছত্রাক বাস করে যারা সেলুলেজ এনজাইম সৃষ্টি করে সেলুলোজ খাদ্যের পরিপাক ঘটায়।
৪৪. গ্লুকোজ কোথায় শোষিত হয়?
ক. হেপাটিক সিকার প্রাচীরে।
খ. মেসেন্টেরনে
গ. মালপিজিয়ান নালিকার অভ্যন্তরে
ঘ. ক্রপে
উত্তর ঃ ক
৪৫. তেলাপোকার রক্ত সংবহনতন্ত্রকে কতটি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়?
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. পাঁচ
উত্তর ঃ গ। যথা-
(১) হিমোসিল
(২) হিমোলিম্ফ বা রক্ত
(৩) পৃষ্ঠীয় বাহিকা
(৪) সহায়ক স্পন্দনশীল অঙ্গ
৪৬. কোনটি সঠিক নয়?
ক. হিমোসিল পেরিটোনিয়ামে আবৃত থাকে না
খ. হিমোসিল রক্তপূর্ণ থাকে।
গ. তেলাপোকার হিমোসিল দুটি পর্দা দ্বারা বিভক্ত।
ঘ. তেলাপোকর হিমোসিলে দুটি প্রকোষ্ঠ থাকে।
উত্তর ঃ ঘ। তেলাপোকার হিমোসিল দুটি অনূপ্রস্থ পর্দা দিয়ে তিনটি প্রকোষ্ঠ বা সাইনাস এ বিভক্ত।
হৃৎযন্ত্রের তলদেশ বরাবর অবস্থিত পর্দাকে পৃষ্ঠীয় পর্দা এবং স্নায়ুরজ্জুর ঠিক উপরে বিস্তৃত পর্দাকে অঙ্কীয় পর্দা বলে। এদের উপস্থিতির ফলে সৃষ্ট সাইনাস তিনটি নিম্নরূপ-
ক) পেরিকার্ডিয়াল সাইনাস ঃ এটি পৃষ্ঠীয় পর্দার ঠিক উপরে অবস্থিত। এতে হৃৎযন্ত্র অবস্থান করে।
খ) পেরিভিসেরাল সাইনাস ঃ এটি পৃষ্ঠীয় পর্দার নিচে অবস্থিত এবং পৌষ্টিকনালীকে ধারণ করে।
গ) পেরিনিউরাল সাইনাস ঃ এটি অঙ্কীয়পর্দার নিচে অবস্থিত গহ্বর। এতে স্নায়ুরজ্জু অবস্থান করে।
৪৭. তেলাপোকার রক্ত কতটি উপাদানে গঠিত?
ক. দুটি খ. তিনটি
গ. একটি ঘ. চারটি
উত্তর ঃ ক। যথা- বর্ণহীন প্লাজমা এবং এর মধ্যে ভাসমান বর্ণহীন প্রায় নয় মিলিয়ন রক্তকণিকা বা হিমোসাইট।
৪৮. তেলাপোকার রক্তের আপেক্ষিক গুরুত্ব কত?
ক. ১.৫-৩.৫ খ. ৫.৫ - ৬.৫
গ. ৭.৫- ৮.০ ঘ. ৪.২ - ৫.০
উত্তর ঃ গ
৪৯. কোনটি সঠিক নয়?
ক. হিমোগ্লোবিন বা অন্য কোন ধরনের শ্বসন কণিকা না থাকায় তেলাপোকার রক্ত বর্ণহীন।
খ. পৃষ্ঠীয় বাহিকা দেহের মধ্য পৃষ্ঠীয় অবস্থানে রক্ষিত একটি মেসোডার্ম উদ্ভূত নালী এবং প্রধান স্পন্দনশীল অঙ্গ।
গ.পৃষ্ঠীয় বাহিকা দুটি অংশেবিভক্ত, যথা-অ্যাওর্টা ও হৃৎযন্ত্র।
ঘ. অ্যাওর্টা অস্টিয়াযুক্ত একটি সোজা নল।
উত্তর ঃ ঘ। অস্টিয়াবিহীন।
৫০. তেলাপোকার হৃৎযন্ত্র কতটি ক্রমান্বয়ে সাজানো ফানেলাকার কাঠুরীতে বিভক্ত?
ক. ১০ খ. ১১ গ. ১২ ঘ. ১৩
উত্তর ঃ ঘ। প্রথম ৩টি কুঠুরী বক্ষে ও বাকি ১০টি উদরে অবস্থিত।
৫১. অন্তর্বাহী অস্টিয়ার সংখ্যা কত জোড়া?
ক. ১০ খ. ১১ গ. ১২ ঘ. ১৩
উত্তর ঃ গ।
* প্রত্যেক কুঠুরীর দুপাশের খাঁজে একটি করে মোট ১২ জোড়া কপাটিকাযুক্ত ছিদ্র থাকে, এগুলো অন্তর্বাহী অস্টিয়া। এরা রক্তকে পেরিকার্ডিয়াল সাইনাস থেকে হৃৎযন্ত্রে প্রবেশ করতে দেয়; কিন্তু উল্টো পথে আসতে দেয় না।
* হৃৎযন্ত্রের অঙ্কীয় পার্শ্বতলে কপাটিকাবিহীন কতকগুলো জোড় অস্টিয়া থাকে, এগুলো বহির্বাহী অস্টিয়া। হৃৎযন্ত্রের কুঠুরীর সংখ্যার সাথে এদের সংখ্যার কোনো মিল নেই।
৫২. হৃৎযন্ত্রের বহির্বাহী অস্টিয়া থেকে কত জোড়া পার্শ্ব বাহিকা সৃষ্টি হয়?
ক. ৫ খ. ৬ গ. ৭ ঘ. ৮
উত্তর ঃ খ। এদের ২ জোড়া বক্ষে ও ৪ জোড়া উদরে অবস্থিত এবং হিমোসিলে উন্মুক্ত।
৫৩. তেলাপোকার দেহে অ্যালারী পেশীর সংখ্যা কত জোড়া?
ক. ১০ খ. ১১ গ. ১২ ঘ. ১৩
উত্তর ঃ গ। টার্গামের অঙ্কীয় তলের দুপাশ থেকে অ্যালারী পেশী নামক ত্রিকোণা পাখার মতো বিশেষ ধরনের পেশী সৃষ্টি হয়ে পেরিকার্ডিয়াল সাইনাস প্রাচীরে যুক্ত হয়।
৫৪. হৃৎযন্ত্রের স্পন্দন প্রতি মিনিটে কত বার?
ক. ১০০ - ১১০ খ. ১১০ - ১১৫
গ. ১১৫ - ১২০ ঘ. ১২০ - ১২৫
উত্তর ঃ ক। এবং দেহে একবার রক্ত সংবহন সম্পন্ন হতে ৩০-৬০ মিনিট সময় লাগে।
৫৫. তেলাপোকার স্পাইরাকল বা শ্বাসরন্ধ্র থাকে কত জোড়া?
ক. ১০ খ. ১১ গ. ১২ ঘ. ১৩
উত্তর ঃ ক। দুজোড়া বক্ষীয় অঞ্চলে (১ম জোড়া অগ্র ও মধ্যবক্ষের এবং ২য় জোড়া মধ্য ও পশ্চাৎবক্ষের সংযোগস্থলে) এবং আটজোড়া উদর অঞ্চলে (১ম আটটি উদরীয় খন্ডকে ) অবস্থিত।
৫৬. তেলাপোকার দেহে ট্রাকিয়া বা শ্বাসনালী থাকে-
ক. ৬ জোড়া খ. ১০ জোড়া
গ. ১২ জোড়া ঘ. অসংখ্য
উত্তর ঃ ঘ
তেলাপোকার ট্রাকিয়ালতন্ত্র নিম্নোক্ত অঙ্গগুলো নিয়ে গঠিত ঃ
১। দশজোড়া স্পাইরাকল বা শ্বাসরন্ধ্র
২। অসংখ্য ট্রাকিয়া বা শ্বাসনালী
৩। অসংখ্য ট্রাকিওল কোষ এবং
৪। অসংখ্য ট্রাকিওল
৫৭. তেলাপোকার উদরের স্পাইরাকলগুলো ট্রাকিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার আগে একটি প্রকোষ্ঠ তে মুক্ত হয়।
ক. অ্যাট্রিয়াল খ. প্রান্তীয় থলি
গ. ট্রাকিওল ঘ. কোনটিই নয়
উত্তর ঃ ক
৫৮. তেলাপোকার প্রধান শ্বসন অঙ্গ কোনটি?
ক. শ্বাসরন্ধ্র খ. ট্রাকিয়া
গ. ট্রাকিওল ঘ. ট্রাকিওল কোষ
উত্তর ঃ খ
৫৯. ট্রাকিয়ার প্রাচীর কতটি স্তরে গঠিত?
ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫
উত্তর ঃ খ।যথা- (ক) অন্তঃস্থ কাইটিনময় ইনটিমা (খ) মধ্যস্থ চাপা বহুভূজাকার কোষে গঠিত এপিথেলিয়াম এবং (গ) বহিঃস্থ ভিত্তি ঝিল্লি।
৬০. প্রধান প্রধান ট্রাকিয়ায় ইন্টিমার দৈর্ঘ্য বরাবর সর্পিল বলয় নির্মিত হয়। এগুলোকে বলে।
ক. সিবেরিয়াম খ. পালভিলাস
গ. টিনিডিয়া ঘ. গোনাপোফাইসিস
উত্তর ঃ গ। ইন্টিমায় টিনিডিয় থাকায় ট্রাকিয়া কখনও চুপসে যায় না।
৬১. মোট কতজোড়া অনুদৈর্ঘ্য ট্রাকিয়াল কান্ড দেহের দৈর্ঘ্য বরাবর বিস্তৃত হয়। যেমন-
ক. তিনজোড়া খ. চারজোড়া
গ. পাঁচজোড়া ঘ. ছয়জোড়া
উত্তর ঃ ক।
* একজোড়া পার্শ্বীয় অনুদৈর্ঘ্য ট্রাকিয়াল কান্ড
* একজোড়া পৃষ্ঠীয় অনুদৈর্ঘ্য ট্রাকিয়াল কান্ড এবং
* একজোড়া অঙ্কীয় অনুদৈর্ঘ্য ট্রাকিয়াল কান্ড।
৬২.সমগ্র দেহে বায়ু প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করে-
ক. শ্বাসরন্ধ্র খ. ট্রাকিয়া
গ. ট্রাকিওল ঘ. ট্রাকিওল কোষ
উত্তর ঃ খ
৬৩. নিম্নের কোনটি সঠিক নয়?
ক. ট্রাকিওল এর প্রাচীর কাইটিন ও ইন্টিমাবিহীন এবং প্রত্যেক শাখার শেষ প্রান্তে তরলে পূর্ণ লম্বা থলি বা প্রান্তীয় থলি থাকে।
খ. ট্রাকিওল দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে প্রবেশ করে সরাসরি কোষের সংস্পর্শে আসে।
গ. শ্বাস রঞ্জক না থাকায় তেলাপোকার রক্ত শ্বসনে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে না।
ঘ. শ্বাস গ্রহণ ও শ্বাসত্যাগ উভয় প্রক্রিয়াই প্রধানত ট্রাকিয়া দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়।
উত্তর ঃ ঘ। শ্বাস গ্রহণ ও শ্বাসত্যাগ উভয় প্রক্রিয়াই প্রধানত স্পাইরাকল দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়।
৬৪. কোনটি সঠিক?
ক. আরশোলার প্রথম বক্ষীয় এবং প্রথম উদরীয় স্পাইরাকল(শ্বাসরন্ধ্র) সব সময় খোলা থাকে।
খ. ট্রাকিয়ার মাধ্যমে পরিবাহিত হওয়ার সময় বেশ কিছু পরিমাণ অক্সিজেন প্রাচীর ভেদ করে প্রথমে দেহগহ্বর ও পরে দেহপ্রাচীর ভেদ করে বাইরে চলে যায়।
গ. তেলাপোকায় দুইজোড়া অঙ্কীয় অনুদৈর্ঘ্য ট্রাকিয়াল কান্ড থাকে।
ঘ তেলাপোকার কোষীয় শ্বসনের ফলে অক্সিজেন উৎপন্ন হয়।
উত্তর ঃ ক। বাকিগুলো প্রয়োজনে পেশীর নিয়ন্ত্রণে খোলা বা বন্ধ হয়।
৬৫. তেলাপোকার দেহে কোষ বিপাকের ফলে উৎপন্ন প্রধান বর্জ্য পদার্থÑ
ক. ইউরিয়া খ. অ্যামোনিয়া
গ. ইউরিক এসিড ঘ. ইউরোক্রোম
উত্তর ঃ গ
৬৬. তেলাপোকার প্রধান রেচন অঙ্গÑ
ক. মালপিজিয়ান কণিকা
খ. মালপিজিয়ান নালিকা
গ. হেপাটিক সিকা
ঘ. নেফ্রন
উত্তর ঃ খ
৬৭. মালপিজিয়ান নালিকার অবস্থান কোথায়?
ক. পৌষ্টিকনালীর ক্রপ ও গিজার্ডের সংযোগস্থলে।
খ. পৌষ্টিকনালীর গিজার্ড ও মেসেন্টেণের সংযোগস্থলে।
গ. পৌষ্টিকনালীর মেসেন্টেরণে।
ঘ. পৌষ্টিকনালীর মেসেন্টেরণ ও প্রোক্টাডিয়ামের সংযোগস্থলে।
উত্তর ঃ ঘ। এগুলো ১২-১৫ টি করে ৬-৮ টি গুচ্ছে সজ্জিত লম্বা সুতার মতো এবং হিমোলিম্ফে মুক্ত বদ্ধ প্রান্ত ও পৌষ্টিকনালীতে যুক্ত খোলাপ্রান্ত বিশিষ্ট হলুদ রংয়ের নালিকা।
৬৮. মালপিজিয়ান নালিকাগুলোর সৃষ্টি কোথা থেকে?
ক. মেসেন্টেরণ খ. স্টোমোডিয়াম
গ. গিজার্ড ঘ. প্রোক্টোডিয়াম
উত্তর ঃ ঘ
৬৯. ইউরেট কোষ কোথায় থাকে?
ক. ইউরোকোস গ্রন্থি খ. স্নেহবস্তু
গ. নেফ্রোসাইট ঘ. কিউটিকল
উত্তর ঃ খ
স্নেহবস্তু বিভিন্ন ধরনের কোষ নিয়ে গঠিত। এসবের মধ্যে ইউরেট কোষ নামে বিশেষ ধরনের কোষগুলো হিমোসিল থেকে রেচনদ্রব্য গ্রহণ করে তাকে ইউরিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত করে এবং আজীবন কোষের মধ্যেই জমা রেখে দেয়।
৭০. পুরুষ তেলাপোকার ছত্রাকার গ্রন্থিতে কোনটি থাকে?
ক. ইউরোকোস গ্রন্থি খ. স্নেহবস্তু
গ. নেফ্রোসাইট ঘ. কিউটিকল
উত্তর ঃ ক
এগুলো লম্বা নালিকার মতো অবস্থান করে এবং হিমোসিল থেকে রেচনদ্রব্য শোষণ করে ইউরিক অ্যাসিডরূপে জমা করে। সঙ্গমের সময় তা শুক্রাণুর উপর ছড়িয়ে দেয়।
৭১. তেলাপোকার স্নায়ুতন্ত্র কতটি প্রধান ভাগে বিভক্ত?
ক. দুই খ. তিন গ. চার ঘ. পাঁচ
উত্তর ঃ খ। যথা Ñ ক) কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র, খ) প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র এবং গ) স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র।
৭২. তেলাপোকার সংবেদী অঙ্গগুলোকে কার্যগতভাবে কত ভাগে ভাগ করা যায় ?
ক. দুই খ. তিন গ. চার ঘ. পাঁচ
উত্তর ঃ গ। ফটোরিসেপ্টর বা আলোক সংবেদী অঙ্গ, মেকানোরিসেপ্টর, থার্মোরিসেপ্টর, কেমোরিসেপ্টর
৭৩. তেলাপোকার প্রধান আলোক সংবেদী অঙ্গÑ
ক. পুঞ্জাক্ষি খ. ওসেলাস
গ. পুঞ্জাক্ষি ও ওসেলাস ঘ. ব্রিসল কাটা
উত্তর ঃ গ
৭৪. প্রত্যেক পুঞ্জাক্ষি প্রায় হাজার ষড়ভূজাকার দর্শন একক বা ওমাটিডিয়া নিয়ে গঠিত।
ক. দুই খ. তিন গ. চার ঘ. পাঁচ
উত্তর ঃ ক
৭৫. ওমাটিডিয়ামের লেন্সের মতো কাজ করেÑ
ক. কর্ণিয়াজেন কোষ খ. ক্রিস্টালাইন কোণ
গ. কর্ণিয়া ঘ. র্যাবডোম
উত্তর ঃ গ
৭৬. ক্রিস্টালাইন কোণ কোষের সংখ্যা কত?
ক. দুই খ. তিন গ. চার ঘ. পাঁচ
উত্তর ঃ গ
৭৭. এদের ক্ষরণ থেকে র্যাবডোম গঠিত হয়।
ক. কর্ণিয়াজেন কোষ খ. ক্রিস্টালাইন কোণ
গ. কর্ণিয়া ঘ. রেটিনুলার কোষ
উত্তর ঃ ঘ
৭৮. এর মাধ্যমে আলো গৃহীত হয়।
ক. র্যাবডোম খ. ক্রিস্টালাইন কোণ
গ. কর্ণিয়া ঘ. রেটিনুলার কোষ
উত্তর ঃ ঘ
৭৯. নিম্নের কোনটি সঠিক নয়?
ক. তেলাপোকা স্তিমিত আলোয় সুপারপজিশন প্রতিবিম্ব গঠন করে।
খ. উজ্জ্বল আলোয় এপোজিশন প্রতিবিম্ব গঠন করে
গ. ওসেলাস আলোকের তারতম্য অনুধাবন করে
ঘ. শ্র“তি রোম অ্যানাল স্টাইলের কোটরে অবস্থিত।
উত্তর ঃ ঘ। সারকির কোটরে অবস্থিত এক বিশেষ রোমগুচ্ছের নাম শ্র“তি রোম। এগুলো স্পর্শ ও বায়ুর সামান্য তারতম্য অনুভব করতে পারে।
৮০. কোনটি সঠিক নয়?
ক. তেলাপোকা একলিঙ্গ প্রাণী
খ. যৌন দ্বিরূপতার জন্য এদের স্ত্রী ও পুরুষ সদস্যকে সহজেই বাহ্যিকভাবে সনাক্ত করা যায়।
গ. শুক্রাশয় ৪র্থ ও ৫ম উদরীয় খন্ডকের প্রতিপাশে পিঠের দিকে অবস্থিত।
ঘ. পুংজনন থলি ৮ম ও ৯ম উদরীয় খন্ডকের মাঝখানে অবস্থিত।
উত্তর ঃ ঘ। এটি ৯ম ও ১০ম উদরীয় খন্ডকের মাঝখানে অবস্থিত।
৮১. এটি শুক্রাধারে শুক্রাণু বহন করে।
ক. শুক্রনালী খ. ক্ষেপন নালী
গ. জনন ছিদ্র ঘ. শুক্রাশয়
উত্তর ঃ ক
৮২. পুং জননছিদ্রটি পায়ুর অঙ্কীয়দেশে খন্ডকের সংযোগস্থলে উন্মুক্ত হয়েছে।
ক. ৩য় ও ৪র্থ খ. ৪র্থ ও ৫ম
গ. ৮ম ও ৯ম ঘ. ৯ম ও ১০ম
উত্তর ঃ ঘ
৮৩. কোনটি সঠিক নয়?
ক. গোনাপোফাইসিস বহির্যৌনাঙ্গের মতো সঙ্গমে সাহায্য করে।
খ. গোনাপোফাইসিস ক্ষরিত পদার্থ শুক্রাণুর পুষ্টি দানে এবং স্পার্মাটোফোর গঠনে সাহায্য করে।
গ. কংগ্লোবেট গ্রন্থি এর সঠিক কাজ আজও জানা যায়নি।
ঘ. শুক্রাধারের বহির্গাত্রে অসংখ্য সুতার মতো একটি সাদা ছত্রাক বা মাশরূম গ্রন্থি গঠন করে।
উত্তর ঃ খ
৮৪. স্ত্রী তেলাপোকার হালকা হলুদ রংয়ের দুটি বড় ডিম্বাশয় স্নেহবস্তু দিয়ে আবৃত হয়ে উদরীয় খন্ডকের অঙ্কীয়দেশের দুপাশে অবস্থান করে।
ক.৪র্থ থেকে ৬ষ্ঠ খ. ৫ম থেকে ৭ম
গ. ৫ম থেকে ৮ম ঘ. ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম
উত্তর ঃ ক
৮৫. প্রত্যেক ডিম্বাশয় কতটি সরু ও লম্বা মালাকৃতি নলের মতো অণুডিম্বাশয় বা ওভারিওল নিয়ে গঠিত।
ক. সাতটি খ. আটটি
গ. নয়টি ঘ. দশটি
উত্তর ঃ খ। প্রতিটি ওভারিওলে পরিস্ফুটনরত ডিম্বাণু সারিবদ্ধভাবে সাজানো থাকে এবং শেষেরটি পরিপক্ক ডিম্বাণু।
৮৬. ডিম্বাণু কোথায় উৎপন্ন হয়?
ক. ডিম্বনালীতে খ. অণুডিম্বাশয়গুলোতে
গ. জনন থলিতে ঘ. শুক্রধাণীতে
উত্তর ঃ খ
৮৭. উওথেকা কোথায় গঠিত হয়?
ক. ডিম্বনালীতে খ. অণুডিম্বাশয়গুলোতে
গ. জনন থলিতে ঘ. শুক্রধাণীতে
উত্তর ঃ গ
৮৮. সঙ্গমকালে পুরুষ তেলাপোকা থেকে গৃহীত শুক্রাণু ধরে রাখে।
ক. ডিম্বনালী খ. অণুডিম্বাশয়গুলো
গ. জনন থলি ঘ. শুক্রধাণী
উত্তর ঃ ঘ
৮৯. এগুলো সঙ্গমে এবং সঠিক স্থানে নিষিক্ত ডিম স্থাপনে সাহায্য করে।
ক. ডিম্বনালী খ. অণুডিম্বাশয়গুলো
গ. জনন থলি ঘ. গোনাপোফাইসিস
উত্তর ঃ ঘ।
৯০. এদের নিঃসরণ উওথেকা গঠন করে।
ক. কংগ্লবেট গ্রন্থি খ. ছত্রাক গ্রন্থি
গ. কোলেটেরিয়াল গ্রন্থি ঘ. শুক্রাশয়
উত্তর ঃ গ
৯১. উওথেকার অভ্যন্তরভাগ কতটি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত থাকে?
ক. ১২ খ. ১৬ গ. ১৮ ঘ. ২০
উত্তর ঃ খ।প্রকোষ্ঠগুলো লম্বালম্বি দুসারিতে সজ্জিত হয়।
৯২. উওথেকা নির্মাণে প্রায় কত ঘন্টা সময় লাগে?
ক. ২৪ খ. ৪৮ গ. ৭২ ঘ. ৯৬
উত্তর ঃ ক। নির্মাণের পর স্ত্রী তেলাপোকা ৪ ঘন্টা থেকে ৪ দিন পর্যন্ত সেটি বহন করে।
৯৩. কোনটি সঠিক নয়?
ক. তেলাপোকার রূপান্তর অসম্পূর্ণ বা হেমিমেটাবোলাস ধরনের
খ. নিম্ফে পূর্ণাঙ্গ প্রাণীর মতোই মুখোপাঙ্গ ও পুঞ্জাক্ষি থাকে, তবে ডানা ও পরিণত জননাঙ্গ থাকে না ।
গ. জাইগোট থেকে নিম্ফ বেরোতে সাধারণত একমাস সময় লাগে।
ঘ. পরিত্যক্ত খোলসকে স্টেডিয়াম বলে।
উত্তর ঃ ঘ।
* পরিত্যক্ত খোলসকে এক্সুভি বলে।
* দুই খোলস মোচনের অন্তবর্তী কালকে বলে স্টেডিয়াম।
* খোলস মোচন অগ্রবক্ষীয় গ্রন্থির একডাইসন হরমোনের প্রভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।
৯৪. তেলাপোকার নিম্ফ কতবার খোলস বদলায়?
ক. ৪ - ৬ খ. ৬ - ৯
গ. ১১ - ১২ ঘ. ১৫ - ২০
উত্তর ঃ গ
* তেলাপোকার নিম্ফ ১১-১২ বার খোলস বদলায়। পরিণত তেলাপোকার কোনো বৃদ্ধি বা খোলস মোচন হয় না ।তেলাপোকার জীবন ইতিহাস তিনটি অধ্যায়ে সম্পন্ন হয় ঃ ডিমÑনিম্ফÑইমাগো।
৯৫. নিম্ফ থেকে পূর্ণাঙ্গ তেলাপোকার রূপ নিতে কত মাস বা তারও বেশী সময় লাগে?
ক. ৬ খ. ৭ গ. ৮ ঘ. ৯
উত্তর ঃ ঘ।