১. হাইড্রা কোন ধরনের প্রতিসাম্যতা প্রদর্শন করে?
ক. গোলীয় খ. অরীয়
গ. দ্বিপার্শ্বীয় ঘ. অপ্রতিসাম্য
উত্তর ঃ খ
২. হাইড্রা ......... মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা ও প্রায় ১ মিলিমিটার চওড়া।
ক. ১০ - ৩০ খ. ২০ - ৪০
গ. ৩০ - ৫০ ঘ. ৪০ - ৬০
উত্তর ঃ ক
৩. একটি পরিণত হাইড্রার দেহকে প্রধানত কতটি অংশে ভাগ করা যায় ?
ক. ৩ খ. ৪
গ. ৫ ঘ. ৬
উত্তর ঃ ক। হাইপোস্টোম, দেহকান্ড ও পদতল।
৪. হাইড্রার হাইপোস্টোমের গোড়ার চতুর্দিক ঘিরে ........................ টি সরু, সংকোচন-প্রসারণক্ষম, দেহ অপেক্ষা দ্বিগুণ বা তিনগুণ লম্বা ও ফাঁপা সুতার মতো কর্ষিকা অবস্থিত।
ক. ৩ - ৪ খ. ৪ - ৫
গ. ৫ - ৭ ঘ. ৬ - ১০
উত্তর ঃ ঘ। কর্ষিকার বহিঃপ্রাচীরে অসংখ্য ছোট ছোট টিউমারের মতো নেমাটোসিস্ট ব্যাটারী থাকে। প্রত্যেক ব্যাটারীতে থাকে কয়েকটি করে বিভিন্ন ধরনের নেমাটোসিস্ট।
৫. কখন হাইড্রার দেহে বৃদ্ধিরত বা পূর্ণাঙ্গ মুকুল দেখা যায়?
ক. গ্রীষ্মকালে খ. বর্ষাকালে
গ. শরৎকালে ঘ. শীতকালে
উত্তর ঃ ক। গ্রীষ্মকালে যখন পর্যাপ্ত খাদ্য পাওয়া যায় তেমনি অনুকূল পরিবেশে দেহের প্রায় মধ্যবর্তী অঞ্চল থেকে এক বা একাধিক বৃদ্ধিরত বা পূর্ণাঙ্গ মুকুল দেখা যায়। প্রত্যেক মুকুল একেকটি নতুন সদস্যের জন্ম দেয়। মুকুলোদগম হাইড্রার অন্যতম অযৌন জনন প্রক্রিয়া।
৬. কখন হাইড্রার দেহে শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয় দেখা যায়?
ক. শীতকালে খ. হেমন্তকালে
গ. শরৎকালে ঘ. হেমন্ত ও শীতকালে
উত্তর ঃ ঘ। হেমন্ত ও শীতকালে দেহকান্ডের উপরের অর্ধাংশে এক বা একাধিক কোণাকার শুক্রাশয় এবং নিচের অর্ধাংশে এক বা একাধিক গোলাকার ডিম্বাশয় নামক অস্থায়ী জননাঙ্গ দেখা যায়।
৭. হাইড্রার দেহপ্রাচীরে কোষগুলো কতটি স্তরে বিন্যস্ত থাকে?
ক. ২ খ. ৪
গ. ৩ ঘ. ৬
উত্তর ঃ ক। । বাইরের স্তরকে এপিডার্মিস এবং ভেতরেরটিকে গ্যাস্ট্রোডার্মিস বলে। এ দুই স্তরের মাঝখানে থাকে মেসোগ্লিয়া নামক স্বচ্ছ, কোষবিহীন(সাধারণত) ও জেলীসদৃশ পদার্থ যা স্তরদুটিকে সিমেন্টের মতো আটকে রাখে।
৮. হাইড্রার এপিডার্মিস কত ধরনের কোষ নিয়ে গঠিত ?
ক. ৫ খ. ৬
গ. ৭ ঘ. ৮
উত্তর ঃ গ
৯. পেশী আবরণী কোষের কাজ নয় কোনটি?
ক. প্রবর্ধনগুলো সংকোচন-প্রসারণের মাধ্যমে দেহের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটিয়ে পেশীর মতো কাজ করে।
খ. পুনরুৎপত্তি ও মুকুল সৃষ্টিতে অংশ নেয়।
গ. মিউকাস দানা কিউটিকল ক্ষরণ করে ও দেহ পিচ্ছিল রাখে।
ঘ. একাধিক নেমাটোসিস্ট বহন করে।
উত্তর ঃ খ
১০. প্রয়োজনে অন্য যেকোনো ধরনের বহিঃত্বকীয় কোষে পরিণত হয় Ñ
ক. গ্রন্থি কোষ খ. স্নায়ু কোষ
গ. ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ ঘ. সংবেদী কোষ
উত্তর ঃ গ। পুনরুৎপত্তি ও মুকুল সৃষ্টিতে অংশ নেয়। কিছুদিন পরপর অন্যান্য কোষে পরিণত হয়ে দেহের পুরনো কোষের স্থান পূরণ করে।
১১. গ্রন্থিকোষ কোথায় অবস্থান করে?
ক. মুখছিদ্রের চারদিকে খ. পদতলে
গ. কর্ষিকায় ঘ. মুখছিদ্রের চারদিকে ও পদতলে
উত্তর ঃ ঘ
১২. গ্রন্থিকোষের কাজ নয় কোনটি?
ক. মিউকাস ক্ষরণ করে দেহকে কোনো বস্তুর সংঙ্গে লেগে থাকতে সাহায্য করে।
খ. বুদবুদ সৃষ্টি করে ভাসতে সাহায্য করে।
গ. ক্ষণপদ সৃষ্টি করে চলনে অংশ গ্রহণ করে।
ঘ. একাধিক নেমাটোসিস্ট বহন করে।
উত্তর ঃ ঘ। এছাড়াও মুখছিদ্রের গ্রন্থিকোষের নিঃসরণ খাদ্য গলধঃকরণে সাহায্য করে।
১৩. পরিণত ডিম্বাণুর সাথে কতটি পোলার বডি যুক্ত থাকে?
ক. ২ খ. ৪
গ. ৩ ঘ. ৬
উত্তর ঃ গ।
১৪. হাইড্রার দেহের কোথায় নিডোসাইট থাকে না?
ক. মুখছিদ্রের চারদিকে খ. পদতলে
গ. কর্ষিকায় ঘ. মুখছিদ্রের চারদিকে ও পদতলে
উত্তর ঃ খ। হাইড্রার পদতল ছাড়া বহিঃত্বকের সর্বত্র বিশেষ করে কর্ষিকার পেশী-আবরণী কোষের ফাঁকে ফাঁকে বা ঐসব কোষের ভেতরে এগুলো অনুপ্রবিষ্ট থাকে।
১৫. আদর্শ নেমাটোসিস্টের সুতার গোড়ায় বড় বড় কতটি কাঁটার মতো বার্ব থাকে ?
ক. ২ খ. ৪
গ. ৩ ঘ. ৬
উত্তর ঃ গ
১৬. নেমাটোসিস্টের গহ্বরটি যে বিষাক্ত রসে পূর্ণ থাকে-
ক. হিমোজয়েন খ. হেপারিন
গ. হিপনোটক্সিন ঘ. হাইপারজিন
উত্তর ঃ গ
১৭. পরিস্ফুটনরত নিডোসাইটকে বলে -
ক. নিডোব্লাস্ট খ. নিডোক্লাষ্ট
গ. অস্টিওসাইট ঘ. কোনটিই নয়
উত্তর ঃ ক
১৮. হিপনোটক্সিন নামক বিষাক্ত তরল কি দ্বারা গঠিত?
ক. প্রোটিন খ. ফেনল
গ. প্রোটিন ও ফেনল ঘ. কোনটিই নয়
উত্তর ঃ গ
১৯. নেমাটোসিস্টের কোন অংশটি ট্রিগারের মত কাজ করে?
ক. ল্যাসো খ. পেশীসূত্র
গ. বার্ব ঘ. নিডোসিল
উত্তর ঃ ঘ
২০. নিক্ষিপ্ত সূত্রকের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানী ভার্ণার ১৯৬৫ সালে নিডেরিয়া জাতীয় প্রাণীদের দেহ থেকে কত ধরনের নেমাটোসিস্ট সনাক্ত করেছেন?
ক. ২৩ খ. ৪১
গ. ৩০ ঘ. ১৬
উত্তর ঃ ক। হাইড্রার দেহে চার ধরনের নেমাটোসিস্ট।
২১. হাইড্রার চার ধরনের নেমাটোসিস্টের মধ্যে এগুলোই বৃহত্তম -
ক. ভলভেন্ট খ. স্টিনোটিল বা পেনিট্র্যান্ট
গ. স্ট্রেপটোলিন গ্লুটিন্যান্ট ঘ. স্ট্রেরিওলিন গ্লুটিন্যান্ট
উত্তর ঃ খ
২২. এর ভেতরে হিপনোটক্সিন নামক বিষাক্ত রস থাকে-
ক. ভলভেন্ট খ. স্টিনোটিল বা পেনিট্র্যান্ট
গ. স্ট্রেপটোলিন গ্লুটিন্যান্ট ঘ. স্ট্রেরিওলিন গ্লুটিন্যান্ট
উত্তর ঃ খ
২৩. হিপনোটক্সিনের কাজ কোনটি?
ক. শিকারকে অবশ করা
খ. শিকারকে মেরে ফেলা
গ. শিকারকে আটকে রাখা
ঘ. শিকারকে দেহের বাইরে বের করে দেয়া
উত্তর ঃ ক
২৪. শিকারকে জড়িয়ে ধরে রাখতে সাহায্য করে-
ক. ভলভেন্ট খ. স্টিনোটিল বা পেনিট্র্যান্ট
গ. স্ট্রেপটোলিন গ্লুটিন্যান্ট ঘ. স্ট্রেরিওলিন গ্লুটিন্যান্ট
উত্তর ঃ ক
২৫. এক প্রকার আঠালো রস ক্ষরণ করে চলনে এবং শিকার আটকাতে সাহায্য করে-
ক. ভলভেন্ট খ. স্টিনোটিল বা পেনিট্র্যান্ট
গ. স্ট্রেপটোলিন গ্লুটিন্যান্ট ঘ. স্ট্রেরিওলিন গ্লুটিন্যান্ট
উত্তর ঃ গ,ঘ
২৬. গ্যাস্ট্রোডার্মিস কত ধরনের কোষ নিয়ে গঠিত?
ক. ৫ খ. ৬
গ. ৭ ঘ. ৮
উত্তর ঃ ক
২৭. গ্যাস্ট্রোডার্মিসের বেশীর ভাগ অংশ জুড়ে কোষগুলো অবস্থিত -
ক. সংবেদী কোষ খ. ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ
গ. গ্রন্থি কোষ ঘ. পুষ্টি কোষ
উত্তর ঃ ঘ। পুষ্টি কোষ বা পেশী-আবরণী কোষ।
২৮. ভেতরের মুক্ত প্রান্তের গঠনের উপর ভিত্তি করে পুষ্টি কোষসমূহকে কত ভাগ করা যায়?
ক. ২ খ. ৪
গ. ৩ ঘ. ৬
উত্তর ঃ ক। যথা-
ক) ফ্ল্যাজেলীয় কোষ ঃ এদের মুক্ত প্রান্তে ১-৪ টি সুতার মতো ফ্ল্যাজেলা সংযুক্ত থাকে।
খ) ক্ষণপদীয় কোষ ঃ এদের মুক্ত প্রান্ত ক্ষণপদযুক্ত।
২৯. পেশী আবরণী কোষের বৈশিষ্ট্য নয়-
ক. পেশী প্রবর্ধনগুলো সংকোচন-প্রসারণের মাধ্যমে দেহকে সরু ও মোটা করে।
খ. ফ্ল্যাজেলীয় কোষের ফ্ল্যাজেলা আন্দোলিত হয়ে খাদ্যবস্তু ক্ষুদ্র কণায় পরিণত করে।
গ. ফ্ল্যাজেলীয় কোষ প্রয়োজনে আন্দোলিত হয়ে মুখছিদ্রপথে পানি প্রবেশ করায়।
ঘ. শিকারকে দেহের বাইরে বের করে দেয়া
উত্তর ঃ ঘ।
৩০. গ্রন্থি কোষের ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক নয়?
ক. এগুলোর সংখ্যা মূল দেহ এবং হাইপোস্টোমে সর্বাধিক
খ. পদতলে স্বল্প এবং কর্ষিকায় অনুপস্থিত।
গ. ক্ষুদ্র ও পেশী-প্রবর্ধন বিহীন, কিন্তু ২-১ টি ফ্ল্যাজেলাযুক্ত।
ঘ. এন্ডোডার্মিসের প্রয়োজনীয় যে কোনো কোষ গঠন করে।
উত্তর ঃ ঘ। এটি ইন্টারস্টিশিয়াল কোষের কাজ।
৩১. গ্রন্থি কোষ কত রকমের হয়?
ক. ২ খ. ৪
গ. ৩ ঘ. ৬
উত্তর ঃ ক। যথা-
ক) মিউকাস নিঃসারী ঃ এগুলো প্রধানত সূক্ষ্ম ও হাইপোস্টোম অঞ্চলে অবস্থিত এবং পিচ্ছিল মিউকাস ক্ষরণ করে।
খ) এনজাইম নিঃসারী ঃ অন্যান্য স্থানের কোষগুলো এ ধরনের যা থেকে পরিপাকের জন্য এনজাইম ক্ষরিত হয়।
হাইপোস্টোমের গ্রন্থিকোষ নিঃসৃত মিউকাস খাদ্যদ্রব্য পিচ্ছিল করে গলাধঃকরণে সাহায্য করে।
অন্যান্য স্থানে গ্রন্থিকোষ সিলেনটেরণে এনজাইম ক্ষরণ করে পরিপাকে সাহায্য করে।
৩২. হাইড্রায় কোন ধরনের জনন দেখা যায়?
ক. যৌন খ. অযৌন
গ. যৌন ও অযৌন ঘ. মুকুলোদগম
উত্তর ঃ গ।
৩৩. হাইড্রার অযৌন জনন কতভাবে হয়?
ক. ২ খ. ৪
গ. ৩ ঘ. ৬
উত্তর ঃ ক। যথা- মুকুলোদগম ও বিভাজন
৩৪. মুকুল সৃষ্টি এবং মাতৃ হাইড্রা থেকে বিচ্যুত হয়ে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে প্রায় কত সপ্তাহ সময় লাগে?
ক. ২ খ. ৪
গ. ৩ ঘ. ৬
উত্তর ঃ গ।
৩৫. ট্রেম্বলে কত সালে সর্ব প্রথম হাইড্রার পুনরুৎপত্তি ক্ষমতার কথা উল্লেখ করেন?
ক. ১৬৪৪ খ. ১৭৪৪
গ. ১৮৪৪ ঘ. ১৯৪৪
উত্তর ঃ খ। হাইড্রার স্বাভাবিক মৃত্যু নাই।
৩৬. হাইড্রার বিভাজন কতভাবে হতে পারে?
ক. ২ খ. ৪
গ. ৩ ঘ. ৬
উত্তর ঃ ক। যথা- অনুদৈর্ঘ্য বিভাজন ও অনুপ্রস্থ বিভাজন।
৩৭. হাইড্রার ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক নয়?
ক. অধিকাংশ হাইড্রা উভলিঙ্গ
খ. এদের স্বনিষেক ঘটে না
গ. প্রধানত গ্রীষ্মকালে যৌন জনন ঘটে।
ঘ. জননাঙ্গগুলো বিভিন্ন সময়ে পরিপক্কতা লাভ করে।
উত্তর ঃ গ। শরৎকালে খাদ্যের অপ্রতুলতার সময়ে।
৩৮. সাধারণত দেহের উপরের অর্ধাংশে ও হাইপোস্টোমের কাছাকাছি এক বা একাধিক স্থানের এপিডার্মাল ইন্টারস্টিশিয়াল কোষের দ্রুত বিভাজনের ফলে এক বা একাধিব মোচাকৃতি ........ সৃষ্টি হয়।
ক. শুক্রাশয় খ. ডিম্বাশয়
গ. শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয় ঘ. মুকুল
উত্তর ঃ ক। এর শীর্ষে একটি বোঁটা বা নিপল এবং পরিণত শুক্রাশয়ের অভ্যন্তরে অসংখ্য শুক্রাণু থাকে।
৩৯. পদতলের সামান্য উপরে এপিডার্মিসের একটি বা দুটি স্থানের কিছু ইন্টারস্টিশিয়াল কোষের বারংবার বিভাজনের ফলে সাধারণত একটি বা দুটি গোলাকার সৃষ্টি করে।
ক. শুক্রাশয় খ. ডিম্বাশয়
গ. শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয় ঘ. মুকুল
উত্তর ঃ খ। প্রত্যেক ডিম্বাশয় থেকে একটি করে ডিম্বাণু সৃষ্টি হয়।
৪০. কত ঘন্টার মধ্যে ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করতে না পারলে শুক্রাণু বিনষ্ট হয়ে যায়?
ক. ২৪-৭২ খ. ৪৮-৭২
গ. ৩৬-৯৬ ঘ. ২৪-৪৮
উত্তর ঃ ঘ। একাধিক শুক্রাণু ডিম্বাণুর আবরণ ভেদ করলেও একটিমাত্র শুক্রণুর নিউক্লিয়াসই ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াসের সাথে একীভূত হয়ে নিষেক সম্পন্ন করে এবং একটি ডিপ্লয়েড জাইগোট গঠন করে।
৪১. হাইড্রার গ্যাস্ট্রুলাকে কি বলে?
ক. স্ট্রেপটোগ্যাস্ট্রুলা খ. স্টেরিওগ্যাস্ট্রুলা
গ. এপিগ্যাস্ট্রুলা ঘ. এন্ডোগ্যাস্ট্রুলা
উত্তর ঃ খ। গ্যাস্ট্রুলাটি মাতৃদেহের সাথে যুক্ত থাকে। এ ধরনের গ্যাস্ট্রুলাকে স্টেরিওগ্যাস্ট্রুলা বলা হয়।
৪২. সিস্টে আবৃত হাইড্রার ভ্রƒণটি কোথায় থাকে?
ক. মাতৃদেহের সাথে লেগে থাকে
খ. মাছের দেহের সাথে লেগে থাকে
গ. জলজ উদ্ভিদের সাথে লেগে থাকে
ঘ. মাতৃহাইড্রা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জলাশয়ের তলদেশে চলে যায়।
উত্তর ঃ ঘ
৪৩. কখন হাইড্রার ভ্রূণের কোনরূপ বিকাশ ঘটে না?
ক. গ্রীষ্মকালে খ. বর্ষাকালে
গ. শরৎকালে ঘ. শীতকালে
উত্তর ঃ ঘ। বসন্তের শুরুতে অনুকূল তাপমাত্রায় সিস্টের ভেতরে ভ্রƒণের পরবর্তী পরিস্ফুটন ঘটে। ভ্রƒণটি ক্রমশ লম্বা হতে থাকে এবং এর অগ্রপ্রান্তে হাইপোস্টোম, মুখছিদ্র ও কর্ষিকা এবং পশ্চাৎপ্রান্তে পাদচাকতি গঠিত হয়। ভ্রƒণের এই দশাকে হাইড্রুলা বলে।
৪৪. কোনটি সঠিক নয়?
ক. হাইড্রা মাংসাশী প্রাণী
খ. হাইড্রার প্রধান খাদ্য হচ্ছে ক্ষুদ্র ক্রাস্টাসীয় সন্ধিপদী।
গ. ভলভেন্ট নেমাটোসিস্ট শিকারের উপাঙ্গ জড়িয়ে গতিরোধ করে
ঘ. স্টিনোটিল নেমাটোসিস্ট আঠালো রস ক্ষরণ করে আটকে ফেলে।
উত্তর ঃ ঘ। স্ট্রেপটোলিন গ্লুটিন্যান্ট ও স্ট্রেরিওলিন গ্লুটিন্যান্ট।
৪৫. হাইড্রার খাদ্য পরিপাকের সময় অন্তঃত্বকের ............... থেকে এনজাইম নিঃসৃত হয়।
ক. গ্রন্থি কোষ খ. স্নায়ু কোষ
গ. ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ ঘ. সংবেদী কোষ
উত্তর ঃ ক। পরিপাক পর্ব দুটি ধাপে সম্পন্ন হয়, যথা- (১) বহিঃকোষীয় পরিপাক ও (২) অন্তঃকোষীয় পরিপাক।
৪৬. কিসের প্রভাবে শিকারের মৃত্যু ঘটে?
ক. হিপনোটক্সিন খ. হরমোন
গ. এনজাইম ঘ. ক ও গ
উত্তর ঃ গ।
৪৭. হাইড্রার খাদ্যগহ্বরের মাধ্যম প্রথমে কেমন থাকে?
ক. আম্লিক খ. ক্ষারীয়
গ. আম্লিক বা ক্ষারীয় ঘ. কোনটিই নয়
উত্তর ঃ ক। পরে ক্ষারীয় ধারণ করে
৪৮. স্নেহ জাতীয় খাদ্যের পরিপাক কোথায় হয়?
ক. সিলেন্টেরণে খ. খাদ্য গহ্বরে
গ. ক ও খ ঘ. পরিপাক হয় না
উত্তর ঃ খ।
৪৯. লম্বা দূরত্ব অতিক্রমের জন্য হাইড্রা সাধারণত যে পদ্ধতি অবলম্বন করে-
ক. সমারসল্টিং বা ডিগবাজী খ. গ্লাইডিং বা অ্যামিবয়েড
গ. নতমুখী ঘ. লুপিং বা হামাগুড়ি
উত্তর ঃ ঘ। এ চলন কতকটা শুঁয়ো পোকার গমন পদ্ধতির মতো।
৫০. এটি হাইড্রার সাধারণ ও দ্রুত চলন প্রক্রিয়া।
ক. সমারসল্টিং বা ডিগবাজী খ. গ্লাইডিং বা অ্যামিবয়েড
গ. নতমুখী ঘ. লুপিং বা হামাগুড়ি
উত্তর ঃ ক।
৫১. এ প্রক্রিয়ায় হাইড্রার আরোহন ও অবরোহন সম্পন্ন হয়।
ক হেচড়ান খ. গ্লাইডিং বা অ্যামিবয়েড
গ. নতমুখী ঘ. লুপিং বা হামাগুড়ি
উত্তর ঃ ক।
৫২. এ ক্ষেত্রে হাইড্রা তার দেহের ভর পদতলের উপর না রেখে কর্ষিকার উপর স্থাপন করে এবং কর্ষিকাকে পায়ের মতো ব্যবহার করে উল্টাভাবে ধীরে ধীরে চলতে পারে।
ক হেচড়ান খ. গ্লাইডিং বা অ্যামিবয়েড
গ. নতমুখী ঘ. লুপিং বা হামাগুড়ি
উত্তর ঃ গ।
৫৩. এ প্রক্রিয়ায় দেহপ্রচীরের এক পাশের কোষগুলোর সংকোচন এবং বিপরীত পাশের কোষগুলোর প্রসারণের ফলে সাপের মতো এক ধরনের চলন সম্পন্ন হয়।
ক হেচড়ান খ. গ্লাইডিং বা অ্যামিবয়েড
গ. ক্রমসংকোচন ঘ. লুপিং বা হামাগুড়ি
উত্তর ঃ গ।