প্রশ্ন: ভিটামিন ডি সম্পর্কে লিখ।
উত্তর: ভিটামিন ‘ডি’:
ভোজ্য তেল, দুগ্ধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য, বিভিন্ন মাছের তেল, ডিমের কুসুম, মাখন, ঘি, চর্বি এবং ইলিশ মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
কাজ:
= অস্থি ও দাঁতের কাঠামো গঠন করে।
= অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়ায়।
= রক্ত প্রবাহে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
অভাবজনিত রোগ:
ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাবে লোহার শোষণ, সঞ্চয় ও হিমোগ্লোবিন তৈরিতে বিঘ্ন ঘটে।
প্রশ্ন: রিকেটস রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে লিখ।
উত্তর: রিকেটস:
লক্ষণ:
= ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের হাড় নরম হয়ে যায় এবং বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
= পায়ের হাড় ধনুকের মতো বেঁকে যায় এবং দেহের চাপে অন্যান্য হাড়গুলো বেঁকে যায়।
= হাত-পায়ের অস্থিসন্ধি বা গিট ফুলে যায়।
= বুকের হাড় বা পাঁজরের হাড় বেঁকে যায়।
প্রতিকার: এ অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
প্রতিরোধ: শিশুকে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো উচিত। সূর্যরশ্মি থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই শিশুকে কিছুক্ষণের জন্য রৌদ্রে খেলাধুলা করতে দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন: অস্টিওম্যালেশিয়া কী? অস্টিওম্যালেশিয়া রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর: অস্টিওম্যালেশিয়া:
বয়স্কদের রিকেটস অস্টিওম্যালেশিয়া নামে পরিচিত। এই রোগের লক্ষণগুলো নিম্নরূপ-
= ভিটামিন ডি এর অভাবে ক্যালসিয়াম শোষণে বিঘ্ন ঘটে।
= ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের সঞ্চয় কমতে থাকে।
= থাইরয়েড গ্রন্থির কাজের পরিবর্তন ঘটে।
= অস্থি দুর্বল হয়ে অস্থির কাঠিন্য কমে যায় এবং হালকা আঘাতেই অস্থি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
প্রতিকার:
= উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
= উপযুক্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
= প্রয়োজনে উক্ত উপাদানগুলোর জন্য ঔষধ সেবন করা একান্ত জরুরি।
প্রতিরোধ:
= শিশুকাল থেকেই ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া সুনিশ্চিত করতে হবে।
= শিশুদেরকে কিছুক্ষণের জন্য রৌদ্রে খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে।