ভিটামিন ‘এ’ সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন: ভিটামিন ‘এ’ এর উৎস ও কাজ বর্ণনা কর।

উত্তর: ভিটামিন এ:

উৎস:

= মাছের তেল ও প্রাণিজ স্নেহে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়।

= লালশাক, পুঁইশাক, পালংশাক, টমেটো, গাজর, বীট ও মিষ্টি কুমড়া প্রভৃতি শাকসবজি ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। (ক্যারোটিন ভিটামিন ‘এ’ তে পরিবর্তিত হতে পারে।)

= বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন- পেঁপে, আম, কাঁঠালে ভিটামিন ‘এ’ থাকে।

= মলা ও ঢেলা মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ থাকে।

কাজ:

= দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখা।

= ত্বক ও শ্লেষাঝিল্লিকে সুস্থ রাখা।

= দেহকে বিভিন্ন সংক্রামক রোগের হাত থেকে রক্ষা করা।

= খাদ্যদ্রব্য পরিপাক ও ক্ষুধার উদ্রেক করা।

= রক্তে স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখা।

= দেহের পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।


প্রশ্ন: রাতকানা রোগ কী? রাতকানা রোগ সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।

উত্তর: রাতকানা:

= রাতকানা হলো ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত একটি রোগ।

        = স্বল্প আলোতে বিশেষ করে রাতে আবছা আলোতে দেখতে না পাওয়া রাতকানা রোগের লক্ষণ।

= শিশুরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।

= দীর্ঘদিন ধরে রাতকানা চলতে থাকলে চোখ সম্পূর্ণরূপে অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

= এ রোগে আক্রান্ত শিশুকে সবুজ শাকসবজি ও রঙিন ফলমূল খাওয়ানো উচিত।

= ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। 

= আমাদের দেশে টিকা দিবসে বিভিন্ন টিকা কেন্দ্রে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।


প্রশ্ন: জেরপথালমিয়া রোগ কী? জেরপথালমিয়া রোগ সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।

উত্তর: 

জেরপথালমিয়া:

= ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব ঘটলে চোখের কর্নিয়ার আচ্ছাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জেরপথালমিয়া রোগের সৃষ্টি হয়। এ রোগে-

- কর্নিয়ার উপর শুষ্ক স্তর পড়ে।

- চোখ শুকিয়ে যায় এবং পানি পড়া বন্ধ হয়ে যায়।

- চোখে আলো সহ্য হয় না।

- চোখে পুঁজ জমে।

- চোখের পাতা ফুলে যায়।

= এ অবস্থায় উপযুক্ত চিকিৎসা করালে এ রোগ থেকে উপশম পাওয়া যেতে পারে। তবে সময় মতো চিকিৎসা না হলে শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে।