প্রশ্ন: ব্রংকাইটিস কী?
প্রশ্ন: শ্বাসনালির সংক্রমণকে ব্রংকাইটিস বলে।
প্রশ্ন: ব্রংকাইটিস কেন হয়?
উত্তর: অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ধূলাবালি মিশ্রিত আবহাওয়া, ঠাণ্ডা লাগা এবং ধূমপান থেকে ব্রংকাইটিস রোগ হতে পারে।
প্রশ্ন: ব্রংকাইটিস রোগের কারণ কী?
উত্তর: এক ধরনের ভাইরাস থেকে এ রোগ হয়।
প্রশ্ন: ব্রংকাইটিস রোগের লক্ষণগুলো কী?
উত্তর: ব্রংকাইটিস রোগের লক্ষণগুলো হলো-
- কাশি ও শ্বাস কষ্ট হয়।
- কাশির সাথে কফ থাকে।
- জ্বর হয়, রোগী ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে থাকে।
প্রশ্ন: ব্রংকাইটিস রোগের প্রতিকার কী?
উত্তর: ব্রংকাইটিস হলে-
- ধূমপান বন্ধ করতে হবে।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রশ্ন: হাঁপানি বা এ্যাজমা রোগের কারণ কী?
উত্তর: হাঁপানি ছোঁয়াচে বা জীবাণুবাহিত রোগ নয়। বিশেষ কোনো খাবার, বাতাসে উপস্থিত ধূলাবালি অথবা ফুলের রেণু প্রশ্বাসের সাথে ফুসফুসে প্রবেশ করলে হাঁপানি হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণ সর্দি থেকে হাঁপানি হতে পারে।
প্রশ্ন: বছরের বিশেষ ঋতুতে বা ঋতু পরিবর্তনের সময় রোগ বেড়ে যায়। উত্তর: হাঁপানি বা এ্যাজমা।
প্রশ্ন: হাঁপানি রোগের লক্ষণগুলো কী কী?
উত্তর: হাঁপানি রোগ হলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়:
- হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।
- শ্বাসকষ্টে দম বন্ধ হওয়ার মতো হয়।
- রোগী জোরে জোরে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করে।
- ফুসফুসের বায়ুথলিতে ঠিকমত অক্সিজেন সরবরাহ হয় না বা বাঁধাগ্রস্থ হয়। ফলে রোগীর কষ্ট হয়।
- শ্বাস নেওয়ার সময় রোগীর পাঁজরের মাঝের চামড়া ভিতরের দিকে ঢুকে যায়।
- কাশির সাথে কখনো কখনো সাদা কফ বের হয়।
- জ্বর থাকে না।
- রোগী কোনো শক্ত খাবার খেতে পারে না। কখনো কখনো বমি হয়।
- রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে।
প্রশ্ন: হাঁপানি রোগের প্রতিকার কী?
উত্তর: হাঁপানি রোগের প্রতিকার নিম্নরূপ:
- আলো-বাতাসপূর্ণ গৃহে বসবাস করা।
- যে সকল জিনিসের সংস্পর্শে আসলে বা খেলে হাঁপানি বাড়ে, তা থেকে বিরত থাকা। যেমন- পশমি কাপড়।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলা।
- ধোঁয়া, ধূলাবালি ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা।
- ধূমপান পরিহার করা।
- ঔষধ সেবনে শ্বাসকষ্টের কিছুটা লাঘব হয় বটে, কিন্তু রোগ পুরোপুরি ভালো হয় না। তাই শ্বাসকষ্ট লাঘবে রোগীর সাথে সব সময় ঔষধ রাখা অত্যন্ত জরুরি।