অ্যাডরেনাল (সুপ্রারেনাল) গ্লান্ড হলো মেরুদন্ডী প্রাণীদের এক ধরনের অঙ্গ যা হরমোন ক্ষরণ করে। মানুষসহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে এই গ্লান্ডের সংখ্যা হলো এক জোড়া যা প্রতিটি কিডনীর নিকটবর্তী স্থানে অবস্থান করে। কিন্তু অনেক মেরুদন্ডী প্রাণীদের অনেকগুলো অ্যাডরেনাল গ্রন্থি থাকে।
সব চতুষ্পদীদের ক্ষেত্রে প্রতিটি অ্যাডরেনাল গ্রন্থির দুইটি উপাংশ থাকে যা ঘনিষ্ঠভাবে লাগানো থাকে।উপাংশ দুটি হলো কর্টেক্স এবং মেডুলা। তবে ঘনিষ্ঠভাবে লাগানো থাকলেও দুইটি উপাংশের কাজ কিন্তু পুরোপুরি আলাদা।
(ক) কর্টেক্স: স্তন্যপায়ী প্রাণীদের অ্যাডরেনাল গ্রন্থির বাইরের অংশটির নাম হলো কর্টেক্স। ভ্রূণতাত্ত্বিকভাবে এর উৎপত্তি সিলোমিক রেখা থেকে। এই অংশটি বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েড হরমোন ক্ষরণ করে যেগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায় যদিও হরমোনগুলির কাজের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য আছে। হরমোনগুলো নিম্নরূপ:
সেক্স হরমোন: বিশেষত: অ্যানড্রোজেন যা স্তন্যপায়ীদের ক্ষেত্রে স্ত্রী ও পুরুষ উভয়েই উপস্থিত থাকে।
গ্লুকোকর্টিকয়েডস: এই গ্রুপের হরমোনের মধ্যে রয়েছে কর্টিসন ও হাইড্রোকর্টিসন। এই হরমোনগুলো প্রোটিন ও ফ্যাট থেকে কার্বোহাইড্রেট তৈরিতে উদ্দীপনা যোগায়। এছাড়া অন্যান্য প্রভাবও রয়েছে।
মিনারেলোকর্টিকয়েডস: এই গ্রুপের দুটি হরমোন হলো অ্যালডোস্টেরন এবং ডিঅক্সিকর্টিকোস্টেরন। এই দুটি হরমোন শরীরের লবণ ও পানির ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।
(খ) মেডুলা: অ্যাডরেনাল গ্রন্থির ভেতরের অংশটির নাম হলো মেডুলা। ভ্রূণতাত্ত্বিকভাবে এর উৎপত্তি হলো স্নায়ুকলার নিউরাল ক্রেস্ট থেকে। এই অংশটি অ্যাডরেনালিন ও নরঅ্যাডরেনালিন হরমোন ক্ষরণ করে। সিমপ্যাথেটিক সিস্টেম দ্বারা এর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হয়। যুদ্ধ কর অথবা পালিয়ে যাও এ রকম জরুরি পরিস্থিতিতে মেডুলারি টিস্যুগুলো কার্যকর হয়ে ওঠে এবং উক্ত হরমোনদুটি ক্ষরণ করে। সম্পূর্ণ জীবনের জন্য এই হরমোন অত্যাবশ্যকীয় নয়।
সব চতুষ্পদীদের ক্ষেত্রে প্রতিটি অ্যাডরেনাল গ্রন্থির দুইটি উপাংশ থাকে যা ঘনিষ্ঠভাবে লাগানো থাকে।উপাংশ দুটি হলো কর্টেক্স এবং মেডুলা। তবে ঘনিষ্ঠভাবে লাগানো থাকলেও দুইটি উপাংশের কাজ কিন্তু পুরোপুরি আলাদা।
(ক) কর্টেক্স: স্তন্যপায়ী প্রাণীদের অ্যাডরেনাল গ্রন্থির বাইরের অংশটির নাম হলো কর্টেক্স। ভ্রূণতাত্ত্বিকভাবে এর উৎপত্তি সিলোমিক রেখা থেকে। এই অংশটি বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েড হরমোন ক্ষরণ করে যেগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায় যদিও হরমোনগুলির কাজের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য আছে। হরমোনগুলো নিম্নরূপ:
সেক্স হরমোন: বিশেষত: অ্যানড্রোজেন যা স্তন্যপায়ীদের ক্ষেত্রে স্ত্রী ও পুরুষ উভয়েই উপস্থিত থাকে।
গ্লুকোকর্টিকয়েডস: এই গ্রুপের হরমোনের মধ্যে রয়েছে কর্টিসন ও হাইড্রোকর্টিসন। এই হরমোনগুলো প্রোটিন ও ফ্যাট থেকে কার্বোহাইড্রেট তৈরিতে উদ্দীপনা যোগায়। এছাড়া অন্যান্য প্রভাবও রয়েছে।
মিনারেলোকর্টিকয়েডস: এই গ্রুপের দুটি হরমোন হলো অ্যালডোস্টেরন এবং ডিঅক্সিকর্টিকোস্টেরন। এই দুটি হরমোন শরীরের লবণ ও পানির ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।
(খ) মেডুলা: অ্যাডরেনাল গ্রন্থির ভেতরের অংশটির নাম হলো মেডুলা। ভ্রূণতাত্ত্বিকভাবে এর উৎপত্তি হলো স্নায়ুকলার নিউরাল ক্রেস্ট থেকে। এই অংশটি অ্যাডরেনালিন ও নরঅ্যাডরেনালিন হরমোন ক্ষরণ করে। সিমপ্যাথেটিক সিস্টেম দ্বারা এর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হয়। যুদ্ধ কর অথবা পালিয়ে যাও এ রকম জরুরি পরিস্থিতিতে মেডুলারি টিস্যুগুলো কার্যকর হয়ে ওঠে এবং উক্ত হরমোনদুটি ক্ষরণ করে। সম্পূর্ণ জীবনের জন্য এই হরমোন অত্যাবশ্যকীয় নয়।
Comments
Post a Comment