@@@ অলিগোস্যাকারাইড-এ কতটি মনোস্যাকারাইড থাকে?
(ক) ২-৫ (খ) ৩-১০ (গ) ৫-১৫ (ঘ) ৫০-১০০ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: যে সব কার্বোহাইড্রেটকে হাইড্রোলাইসিস করলে ৩ থেকে ১০ টি মনোস্যাকারাইড অণু পাওয়া যায় তাদেরকে অলিগোস্যাকারাইড বলে। সাধারণত ৩ থেকে ১০ টি মনোস্যাকারাইড এক একটি অলিগোস্যাকারাইড গঠন করে। একাধিক মনোস্যাকারাইড তাদের গ্লাইকোসাইডিক লিংকেজ দিয়ে পরস্পর সংযুক্ত থাকে। একটি মনোস্যাকারাইডের হাইড্রক্সিল গ্রুপের সাথে অপর একটি মনোস্যাকারাইডের হাইড্রক্সিল গ্রুপের সংযুক্তিকে গ্লাইকোসাইডিক লিংকেজ বলে। অলিগোস্যাকারাইডগুলোকে তাদের মধ্যে বিদ্যমান মনোস্যাকারাইডের সংখ্যা দিয়ে শ্রেণিবিভাগ করা হয়; যেমন- তিনটি মনোস্যাকারাইড থাকলে ট্রাইস্যাকারাইড বলে, চারটি থাকলে টেট্রাস্যাকারাইড বলে ইত্যাদি।
@@@ র্যাফিনোজে কোনটি থাকে?
(ক) এক অণু গ্লুকোজ (খ) এক অণু ফ্রুক্টোজ
(গ) এক অণু গ্যালাক্টোজ (ঘ) ক,খ ও গ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: ট্রাইস্যাকারাইডকে আর্দ্রবিশ্লেষণ করলে তিন অণু মনোস্যাকারাইড পাওয়া যায়। যেমন র্যাফিনোজ (C18H32O16)। একে আর্দ্রবিশ্লেষণ করলে পাওয়া যাবে এক অণু গ্লুকোজ, এক অণু ফ্রুক্টোজ এবং এক অণু গ্যালাক্টোজ।
@@@ স্ট্যাকিওজ এ কতটি গ্যালাক্টোজ থাকে?
(ক) ১টি (খ) ২টি (গ) ৩টি (ঘ) ৪টি উত্তর: (খ)
টেট্রাস্যাকারাইড: এ সকল অলিগোস্যাকারাইডকে আর্দ্রবিশ্লেষণ করলে চার অণু মনোস্যাকারাইড পাওয়া যায়। যেমন- স্ট্যাকিওজ (এটি ১অণু গ্লুকোজ, ১ অণু ফ্রুক্টোজ ও ২ অণু গ্যালাক্টোজ নিয়ে গঠিত)।
@@@ কোনটি পলিস্যাকারাইড?
(ক) স্টার্চ (খ) সেলুলোজ (গ) গ্লাইকোজেন (ঘ) উপরের সবগুলো উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: অনেকগুলো মনোস্যাকারাইড একত্রে পলিমারভুক্ত হয়ে গঠন করে পলিস্যাকারাইড। অন্যভাবে বলা যায়, যে কার্বোহাইড্রেটকে আর্দ্রবিশ্লেষণ করলে অনেকগুলো (দশের অধিক) মনোস্যাকারাইড অণু পাওয়া যায় তাকে পলিস্যাকারাইড বলে। এরা উচ্চ আণবিক ওজন (high
molecular weight) বিশিষ্ট জৈব রাসায়নিক পদার্থ। পলিস্যাকারাইড সাধারণত পানিতে অদ্রবণীয় এবং এরা মিষ্টি নয়। স্টার্চ, সেলুলোজ, গ্লাইকোজেন ইত্যাদি হলো গুরুত্বপূর্ণ পলিস্যাকারাইড।
@@@ প্রকৃতিতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়-
(ক) স্টার্চ (খ) সেলুলোজ (গ) গ্লাইকোজেন (ঘ) পেকটিন উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: সেলুলোজ প্রকৃতিতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। স্টার্চের পরিমাণ দ্বিতীয় পর্যায়ে।
@@@ নিচের কোনটি উদ্ভিদের কোষপ্রাচীর গঠনের সাথে জড়িত?
(ক) সেলুলোজ (খ) হেমিসেলুলোজ (গ) পেকটিন (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
@@@ অ্যামাইলোজ এবং অ্যামাইলোপেকটিন নামক দুটি পলিস্যাকারাইডের সমন্বয়ে গঠিত পদার্থের নাম-
(ক) গ্লাইকোজেন (খ) সুক্রোজ (গ) স্টার্চ (ঘ) গ্লুকোজ উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: ফটোসিনথেসিস প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট চিনির অধিকাংশই পরিবর্তিত হয়ে স্টার্চ এ পরিণত হয়। স্টার্চ সাধারণত ঘনীভূত দানা (starch
grain) হিসেবে উদ্ভিদ কোষে বিরাজ করে এবং এদের দানার আকার ও আকৃতি বিভিন্ন উদ্ভিদে বিভিন্ন রকম। বীজ, ফল, কন্দ (tuber) প্রভৃতি সঞ্চয়ী অঙ্গে স্টার্চ জমা থাকে।
@@@ স্টার্চের প্রধান উৎস কোনটি?
(ক) ধান (খ) গম (গ) আলু (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: ধান, গম, আলু স্টার্চের প্রধান উৎস। সালোকসংশ্লেষণে তৈরি অধিকাংশ গ্লুকোজই স্টার্চে রূপান্তরিত হয়। বিভিন্ন স্টার্চের আকার-আকৃতিতে বিরাট পার্থক্য দেখা যায়। আয়োডিন দ্রবণে স্টার্চ গাঢ় নীলবর্ণ ধারণ করে। স্টার্চ হাইড্রোলাইসিসের ফলে গ্লুকোজ-এ পরিণত হয়।
@@@ অ্যামাইলোপেকটিন সাধারণত কতটি গ্লুকোজ অণু নিয়ে তৈরি হয়?
(ক) ২০০-১০০০ (খ) ২০০-২০০০ (গ) ২০০০-২০০০০ (ঘ) ২০০০-২,০০,০০০ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: অসংখ্য গ্লুকোজ অণু নিয়ে স্টার্চ গঠিত। অ্যামাইলোজের গ্লুকোজ অণুগুলো পরস্পর কার্বনের ১-৪ স্থানে সংযুক্ত হয়। সাধারণত ২০০ থেকে ১০০০ গ্লুকোজ অণু নিয়ে একটি অ্যামাইলোজ তৈরি হয়। এর অণু শৃঙ্খল অশাখ। অ্যামাইলোপেকটিন সাধারণত ২০০০ থেকে ২,০০,০০০ গ্লুকোজ অণুবিশিষ্ট হয়। অ্যামাইলোপেকটিনের গ্লুকোজ অণুগুলো কার্বনের ১-৪ বন্ধন ছাড়াও α-১-৬ বন্ধনে যুক্ত থাকে। এর অণু-শৃঙ্খল শাখান্বিত।
@@@ আলু, ধান, গম, ভূট্টা, যব ইত্যাদির স্টার্চে শতকরা কত ভাগ অ্যামাইলোজ থাকে?
(ক) ১০ ভাগ (খ) ২২ ভাগ (গ) ৭৮ ভাগ (ঘ) ৯০ ভাগ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: এবং ৭৮ ভাগ অ্যামাইলোপেকটিন থাকে। অ্যামাইলোজ থাকায় স্টার্চের দ্রবণে আয়োডিন যোগ করলে কালবর্ণ (কাল-নীল) ধারণ করে। কিন্তু অ্যামাইলোপেকটিনের সাথে বিক্রিয়া করে আয়োডিন লাল বা পার্পল রং প্রদান করে। স্টার্চের আণবিক সংকেত
(C6H10O5)n। স্টার্চের দীর্ঘ অণু বিভিন্ন আকৃতি ও আয়তনের স্থায়ী কণিকা গঠন করে থাকে। স্টার্চ আণুবীক্ষণিক এবং প্রজাতি বিশেষে কণিকার গঠনে পার্থক্য থাকে। যেমন- গোল আলুর স্টার্চ কণিকা বৃহত্তম আর চালের স্টার্চ কণিকা ক্ষুদ্রতম।
@@@ স্টার্চের ধর্ম নয় কোনটি?
(ক) স্টার্চ গন্ধহীন, বর্ণহীন, স্বাদহীন এবং সাদা পাউডার জাতীয় জৈব-রাসায়নিক পদার্থ।
(খ) সাধারণ তাপমাত্রায় স্টার্চ পানি, ইথার ও অ্যালকোহলে অদ্রবণীয়।
(গ) আয়োডিন দ্রবণে স্টার্চ লাল বর্ণ ধারণ করে।
(ঘ) উচ্চ তাপমাত্রায় স্টার্চ ভেঙ্গে ডেক্সট্রিন ও ম্যালটোজ হয়ে গ্লুকোজ-এ পরিণত হতে পারে। উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: আয়োডিন দ্রবণে স্টার্চ নীল বর্ণ ধারণ করে। ফেলিং দ্রবণ স্টার্চ কর্তৃক বিজারিত হয় না।
@@@ উদ্ভিদদেহে সঞ্চিত খাদ্য হিসেবে বিরাজ করে-
(ক) গ্লাইকোজেন (খ) সুক্রোজ (গ) স্টার্চ (ঘ) গ্লুকোজ উত্তর: (গ)
@@@ আয়োডিন দ্রবণে স্টার্চ ......... বর্ণ ধারণ করে।
(ক) লাল (খ) নীল (গ) বেগুনি (ঘ) কালো উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: কারণ স্টার্চের অ্যামাইলোজ উপাদান আয়োডিন অণুকে আবদ্ধ করে জটিল যৌগ গঠন করে। ফলে আয়োডিন পরমাণুগুলোর ইলেকট্রন অরবিটালের পরিবর্তন ঘটে এবং সূর্যালোক শোষণ করে নীল বর্ণ সৃষ্টি করে।
@@@ লঘু অ্যাসিড ও এনজাইম দ্বারা স্টার্চকে আর্দ্রবিশ্লেষিত করেল প্রথমে ................., পরে ম্যালটোজ ও শেষে D-গ্লুকোজ উৎপন্ন হয়।
(ক) ডেক্সট্রিন (খ) ডেক্সট্রোজ (গ) সেলুলোজ (ঘ) সুক্রোজ উত্তর: (ক)
@@@ স্টার্চের ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক তথ্য নয় কোনটি?
(ক) স্টার্চ প্রধানত খাদ্য হিসেবে গৃহীত হয়।
(খ) অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানে যেমন- গ্লুকোজ, অ্যালকোহল ও চোলাই মদ তৈরিতে স্টার্চ ব্যবহৃত হয়।
(গ) স্টার্চ সেলুলোজে পরিণত হয়ে জীবদেহে শক্তি ও কার্বন অণু সরবরাহ করে থাকে।
(ঘ) কাগজ ও আঠা প্রস্তুত করতেও স্টার্চ ব্যবহৃত হয়। উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: স্টার্চ গ্লুকোজে পরিণত হয়ে জীবদেহে শক্তি ও কার্বন অণু সরবরাহ করে থাকে।
@@@ উদ্ভিদের ভার বহনের দায়িত্ব পালন করে নিচের কোনটি?
(ক) গ্লুকোজ (খ) সেলুলোজ (গ) স্টার্চ (ঘ) গ্লাইকোজেন উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: সেলুলোজ উদ্ভিদের একটি প্রধান গাঠনিক পদার্থ। উদ্ভিদের কোষপ্রাচীর সেলুলোজ দিয়ে গঠিত। অসংখ্য β-D গ্লুকোজ অণু পরস্পর β-১-৪ কার্বন বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সেলুলোজ তৈরি করে। উদ্ভিদের অবকাঠামো নির্মাণে সেলুলোজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদ্ভিদদেহে যেহেতু কোনো কঙ্কাল নেই, সেহেতু উদ্ভিদের ভার বহনের দায়িত্ব পালন করে সেলুলোজ।
@@@ তুলায় সেলুলোজের পরিমাণ কত?
(ক) ৩০-৪০% (খ) ৪০-৭০% (গ) ৬০% (ঘ) ৯৪% উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: তুলায় সেলুলোজের পরিমাণ ৯৪%, লিনেনে ৯০% এবং কাঠে ৬০%। তৃণলতায় ৩০-৪০% আর জৈব বস্তু সমৃদ্ধ মাটিতে ৪০-৭০% থাকে।
@@@ সেলুলোজ ঘন সালফিউরিক এসিড বা হাইড্রোক্লোরিক এসিড বা সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্বারা হাইড্রোলাইসিস করে ............ পরিণত করা যায়।
(ক) গ্লুকোজে (খ) ফ্রুক্টোজে (গ) ম্যানোজে (ঘ) ল্যাকটোজে উত্তর: (ক)
@@@ নিচের কোনটি মানুষ হজম করতে পারেনা গরু-ছাগল হজম করতে পারে?
(ক) স্টার্চ (খ) সুক্রোজ (গ) সেলুলোজ (ঘ) ম্যালটোজ উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: মানুষের পরিপাক নালীর বিভিন্ন অংশে (মুখগহ্বর পাকস্থলী ও অন্ত্র) সেলুলেজ এনজাইম না থাকায় সেলুলোজ পদার্থ হজম হয় না; তবে সেলুলোজ গরু-ছাগলে পুষ্টি হিসেবে কাজ করতে পারে।
@@@ বস্ত্র ও আসবাবপত্র শিল্পের প্রধান উপাদান হলো-
(ক) স্টার্চ (খ) সুক্রোজ (গ) সেলুলোজ (ঘ) ম্যালটোজ উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: আর তাই মানব সভ্যতায় এর অবদান অপরিসীম।
@@@ পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বিরাজ করে-
(ক) সেলুলোজ (খ) স্টার্চ (গ) কাইটিন (ঘ) গ্লাইকোজেন উত্তর: (ক)
@@@ সেলুলোজের ধর্ম কোনটি?
(ক) সেলুলোজ স্বাদহীন, গন্ধহীন, সাদা ও কঠিন জৈব-রাসায়নিক পদার্থ।
(খ) এটি পানিতে অদ্রবণীয়, অবিজারক পদার্থ, আণবিক ভর দুই লক্ষ থেকে কয়েক লক্ষ।
(গ) এটি মিষ্টি বিবর্জিত এবং বিজারণ ক্ষমতাহীন। (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
@@@ আয়োডিন দ্রবণ প্রয়োগে সেলুলোজ কি রং দেয়?
(ক) নীল (খ) লাল (গ) বেগুনি (ঘ) কোন রং দেয় না উত্তর: (ঘ)
@@@ এটি ফাইবার সদৃশ ও শক্ত-
(ক) সেলুলোজ (খ) স্টার্চ (গ) কাইটিন (ঘ) গ্লাইকোজেন উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: সেলুলোজ উদ্ভিদের গাঠনিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। উদ্ভিদকে দৃঢ়তা ও সুরক্ষা প্রদান করে এবং ভার বহন করে।
@@@ সেলুলোজের ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক তথ্য কোনটি?
(ক) সেলুলোজ দিয়ে তন্তু তৈরি হয়, যা বস্ত্রশিল্পের প্রধান কাঁচামাল।
(খ) এটি নাইট্রেট বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
(গ) এটি অ্যাসিটেট ফটোগ্রাফিক ফিল্মে ব্যবহার করা হয়। (ঘ) উপরের সবগুলো উত্তর: (ঘ)
@@@ নিচের কোনটি সেলুলোজের ব্যবহার?
(ক) ফিল্টার পেপার, টিস্যু পেপার, ফটোগ্রাফিক ফিল্ম, প্যাকেজিং এর দ্রব্যসমূহ সেলুলোজ দিয়ে তৈরি হয়।
(খ) নির্মাণ সামগ্রী ও আসবাবপত্র তৈরিতে সেলুলোজ প্রধান উপাদান হিসেবে যান্ত্রিক সাহায্য প্রদান করে থাকে।
(গ) কাঠখেকো পতঙ্গের পৌষ্টিকনালীতে থাকা এক ধরনের পরজীবী সেলুলেজ নামক উৎসেচক নিঃসৃত করে কাঠ হজমে সাহায্য করে।
(ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
@@@ সেলুলোজের ব্যবহার কোনটি?
(ক) থিন লেয়ার ক্রোমাট্রোগ্রাফিতে স্টেশনারি ফেজ হিসেবে সেলুলোজ ব্যবহৃত হয়।
(খ) ছত্রাক ও ব্যাক্টেরিয়া থেকে উৎপাদিত সেলুলোজ বর্তমানে বায়োটেকনোলজিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
(গ) গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
@@@ নিচের কোনটির সঞ্চিত খাদ্য উপাদান গ্লাইকোজেন?
(ক) প্রাণিদেহ (খ) সায়ানোব্যাকটেরিয়া (গ) ঈস্ট (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: গ্লাইকোজেন হলো একটি পুষ্টিজাত পলিস্যাকারাইড। এটি প্রাণিদেহের প্রধান সঞ্চিত খাদ্য উপাদান হলেও সায়ানোব্যাকটেরিয়া (নীলাভ সবুজ শৈবাল) ও কতিপয় ছত্রাকের (ঈস্ট) সঞ্চিত খাদ্য হিসেবে বিরাজ করে।
@@@ গ্লাইকোজেন সম্পর্কে নিচের কোন তথ্যটি সঠিক নয়?
(ক) গ্লাইকোজেনের মূল গাঠনিক একক হলো β-D-গ্লুকোজ।
(খ) অ্যামাইলোপেকটিনের মতো এর শৃঙ্খলও শাখান্বিত।
(গ) α-১-৬ লিংকেজের মাধ্যমে শাখার সৃষ্টি হয়।
(ঘ) প্রতি শাখায় সাধারণত ১০ থেকে ২০ টি গ্লুকোজ অণু থাকে। উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: গ্লাইকোজেনের মূল গাঠনিক একক হলো α-D-গ্লুকোজ। হাইড্রোলাইসিস শেষে গ্লাইকোজেন হতে কেবল α-D-গ্লুকোজ অণু পাওয়া যায়। এর আণবিক সংকেত (C6H10O5)n ।
@@@ কোথায় বেশি গ্লাইকোজেন জমা থাকে?
(ক) লিভারে (খ) পেশিতে (গ) লিভার ও পেশিতে (ঘ) হৃৎপিন্ডে উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: প্রাণিদেহের লিভার ও পেশিতে বেশি করে গ্লাইকোজেন জমা থাকে যা প্রয়োজনে গ্লুকোজে পরিণত হয়ে কার্বন ও শক্তি সরবরাহ করে। এজন্য গ্লাইকোজেনকে প্রাণিজ স্টার্চ বলে।
@@@ গ্লাইকোজেনের ধর্ম সম্পর্কে নিচের কোন তথ্যটি সঠিক নয়?
(ক) গ্লাইকোজেন পানিতে সম্পূর্ণরূপে অদ্রবণীয়।
(খ) এটি সাদা পাউডার জাতীয় জৈব-রাসায়নিক পদার্থ।
(গ) আয়োডিন দ্রবণ প্রয়োগে লালচে বেগুনি বর্ণ ধারণ করে।
(ঘ) ঠান্ডা পানিতে এটি কলয়েড সাসপেনশন তৈরি করে। উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: গ্লাইকোজেন পানিতে আংশিক দ্রবণীয়। তাপ দিলে এর লাল বর্ণ চলে যায়। ঠান্ডা অবস্থায় কালো বর্ণ ফিরে আসে। আংশিক আর্দ্র-বিশ্লেষিত হয়ে ম্যালটোজ, আর পূর্ণ আর্দ্র-বিশ্লেষিত হয়ে α-D-গ্লুকোজ অণু প্রদান করে।
@@@ গ্লাইকোজেন গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়ায় আর্দ্র-বিশ্লেষিত হয়ে ................ অণু সৃষ্টি করে।
(ক) সেলুলোজ (খ) সেলোবায়োজ (গ) অ্যামাইলো পেকটিন (ঘ) গ্লুকোজ উত্তর: (ঘ)
@@@ গ্লাইকোজেনের ব্যবহার কোনটি?
(ক) পেশিতে সঞ্চিত গ্লাইকোজেন পেশির কাজে শক্তি যোগায়।
(খ) যকৃতে গ্লাইকোজেন ভেঙ্গে গ্লুকোজে পরিণত করে।
(গ) এরা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
(ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
@@@ বিজারণ ক্ষমতার ভিত্তিতে কার্বোহাইড্রেট কত প্রকার?
(ক) দুই (খ) তিন (গ) চার (ঘ) পাঁচ উত্তর: (ক)
@@@ বেনেডিকট বিকারক এবং ফেহলিং বিকারকের সাথে বিক্রিয়া করে-
(ক) গ্লুকোজ (খ) ফ্রুক্টোজ (গ) সুক্রোজ (ঘ) ক ও খ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: যেসব কার্বোহাইড্রেটে কমপক্ষে একটি মুক্ত অ্যালডিহাইড (-CHO) বা কিটোন (=CO) গ্রুপ থাকায় ক্ষারীয় আয়নকে বিজারিত করতে পারে তাদেরকে রিডিউসিং শ্যুগার বা বিজারক শর্করা বলে। যেমন- গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ প্রভৃতি। এরা বেনেডিকট বিকারক এবং ফেহলিং বিকারকের সাথে বিক্রিয়া করে।
@@@ কোনটি নন-রিডিউসিং শ্যুগার বা অবিজারক শর্করা?
(ক) গ্যালাক্টোজ (খ) সুক্রোজ (গ) ট্রেহালোজ (ঘ) খ ও গ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: যেসব কার্বোহাইড্রেটে একটিও মুক্ত (-CHO) বা কিটোন (=CO) গ্রুপ না থাকায় ক্ষারীয় আয়নকে বিজারিত করতে পারে না তাদেরকে নন-রিডিউসিং শ্যুগার বা অবিজারক শর্করা বলে। যেমন- সুক্রোজ, ট্রেহালোজ প্রভৃতি। সুকরোজ তৈরির সময় দুুটি মনোস্যাকারাইড তথা α-D গ্লুকোজের ১ নং কার্বনের -OH এবং β-D- ফ্রুক্টোজের ২নং কার্বনের -OH থেকে এক অণু পানি অপসারিত হয়। ফলে কার্বন দুটির মধ্যে একটি গ্লাইকোসাইডিক বন্ধনী বা অক্সিজেন ব্রিজ (-O-) গঠিত হয়ে সুকরোজ সৃষ্টি হয়। এর ফলে এদের মুক্ত -CHO বা =CO গ্রুপ থাকে না। এদেরকে প্রাথমিক অবস্থায় আর্দ্রবিশ্লেষণের প্রয়োজন হয়। এরপর অন্য যৌগকে বিজারিত করতে পারে।
@@@ গ্লুকান, জাইলান প্রভৃতি হলো-
(ক) সেলুলোজ (খ) হেমিসেলুলোজ (গ) পেকটিন (ঘ) সেলোবায়োজ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: উদ্ভিদের কোষ প্রাচীরে সেলুলোজ এবং পেকটিন পদার্থ ব্যতীত অন্যান্য পলিস্যাকারাইডকে হেমিসেলুলোজ বলে। যেমন- গ্লুকান, জাইলান ইত্যাদি।
@@@ ছত্রাকের কোষ প্রাচীর, কাঁকড়া, লোবস্টার প্রভৃতির বহিঃকঙ্কালে থাকে-
(ক) কেরাটিন (খ) কাইটিন (গ) কিউটিন (ঘ) পেকটিন উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: এটি নাইট্রোজেনবিশিষ্ট পলিস্যাকারাইড। এটি বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে থাকা দ্রব্যের একটি। ছত্রাকের কোষ প্রাচীর এবং কাঁকড়া, লোবস্টার ইত্যাদির বহিঃকঙ্কালে কাইটিন থাকে।
@@@ তরুণাস্থির প্রধান দ্রব্য কোনটি?
(ক) গ্লুকোসামিন (খ) গ্যালাক্টোসামিন (গ) ক ও খ (ঘ) কিউটিন উত্তর: (খ)
@@@ আরএনএ-র গঠন উপাদান কোনটি?
(ক) ডিঅক্সিরাইবোজ (খ) রাইবোজ (গ) সুক্রোজ (ঘ) সুডোহেপ্টুলোজ উত্তর: (খ)