@@@ এনজাইমের কার্যকারিতার প্রভাবক-
(ক) তাপমাত্রা, পিএইচ, অ্যাকটিভেটর (খ) পানিt, ধাতু, ইনহিবিটর
(গ) এনজাইম, প্রোডাক্ট ও সাবস্ট্রেটের ঘনত্ব (ঘ) উপরের সবগুলো উত্তর: (ঘ)
@@@ এনজাইমের পরম তাপমাত্রা কত ডিগ্রি সে.?
(ক) ২০-৩০ (খ) ২৫-৩০ (গ) ৩৫-৪০ (ঘ) ৫০-৬০ উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: ৪০ ডিগ্রি সে. এর উপরে এবং ০ ডিগ্রি সে. বা তার নিচের তাপমাত্রায় এনজাইমের কার্যকারিতা দারুণভাবে কমে যায়। ৩৫ ডিগ্রি সে-৪০ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় এনজাইমের বিক্রিয়ার হার সবচেয়ে বেশি। তাই এই তাপমাত্রাকে পরম তাপমাত্রা বলা হয়।
@@@ পেপসিন এর অপটিমাম পিএইচ কত?
(ক) ২ (খ) ৪.৫ (গ) ৫ (ঘ) ৮ উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: অতিরিক্ত অম্ল বা অতিরিক্ত ক্ষার-এ এনজাইমের কার্যকারিতা নষ্ট হয়। এক একটি এনজাইমের এক একটি নির্দিষ্ট অপটিমাম pH থাকে। পেপসিন ২.০, ইনভারটেজ ৪.৫, সেলুবায়েজ ৫.০, ইউরিয়েজ ৭.০, ট্রিপসিন ৮.০।
@@@ এনজাইম কোথায় নিষ্ক্রিয় থাকে?
(ক) ভেজা বীজে (খ) শুকনো বীজে (গ) ভেজা ও শুকনো বীজে (ঘ) পোকায় খাওয়া বীজে উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: কোষে পরিমিত পানির উপস্থিতিতে এনজাইমের কার্যকারিতা স্বাভাবিক থাকে। শুকনো বীজে পানি না থাকায় এনজাইম নিষ্ক্রিয় থাকে।
@@@ নিচের কোন ধাতুর উপস্থিতি এনজাইমের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়?
(ক) সিলভার (খ) জিংক (গ) কপার (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: কোনো কোনো ধাতুর (যেমন- Mg++,
Mn++) উপস্থিতি এনজাইমের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আবার কোনো কোনো ধাতুর (যেমন- Ag,
Zn, Cu) উপস্থিতি এনজাইমের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
@@@ কোনটি সঠিক?
(ক) সাবস্ট্রেটের ঘনত্ব বাড়লে এনজাইমের কর্মক্ষমতা বাড়ে।
(খ) প্রোডাক্ট এর পরিমাণ বেড়ে গেলে বিক্রিয়ার হার কমে যেতে পারে।
(গ) অ্যাকটিভেটরের উপস্থিতিতে এনজাইমের বিক্রিয়ার হার বাড়ে।
(ঘ) উপরের সবগুলো উত্তর: (ঘ)
@@@ যে এনজাইম প্রোটিনকে ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিডে পরিণত করে তাকে বলে-
(ক) ক্যাটালেজ (খ) অ্যামাইলেজ (গ) জাইমেজ (ঘ) প্রোটিয়েজ উত্তর: (ঘ) ব্যাখ্যা: বীজের সঞ্চিত প্রোটিন অঙ্কুরোদগমের সময় প্রোটিয়েজ এনজাইমের কার্যকারিতায় ভেঙে যায় এবং তা দ্রুত ভ্রƒণে স্থানান্তরিত হয়ে প্রয়োজনানুযায়ী নতুন প্রোটিন তৈরি করে। আমরা যে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাই তাও প্রোটিয়েজ এনজাইমের কার্যকারিতায় হজম হয়; ফলে আমাদের দেহ গঠিত হয়।
@@@ নিচের কোনটি প্রোটিয়েজভুক্ত এনজাইম?
(ক) পেপসিন (খ) ট্রিপসিন (গ) প্যাপেইন (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
@@@ অ্যামাইলোজের ওপর যে এনজাইমটি ক্রিয়া করে-
(ক) ক্যাটালেজ (খ) অ্যামাইলেজ (গ) জাইমেজ (ঘ) সেলুলেজ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: স্টার্চ এর প্রধান উপাদান হলো অ্যামাইলোজ। কোনো কোনো স্টার্চ এর সবটুকুই অ্যামাইলোজ দিয়ে তৈরি। গ্লুকোজ একক সোজা চেইন এর পলিমার সৃষ্টি করে স্টার্চ গঠন করে। যে এনজাইম অ্যামাইলোজের ওপর কার্যকর ভূমিকা পালন করে তাকে অ্যামাইলেজ বলে। অ্যামাইলেজ দু’ধরনের: যথা- আলফা অ্যামাইলেজ ও বিটা অ্যামাইলেজ। আলফা-অ্যামাইলেজ সাবস্ট্রেটকে ভেঙে প্রথমে ডেক্সট্রিনে পরিণত করে। বিটা-অ্যামাইলেজ পরে ডেক্সট্রিনকে ভেঙে মল্টোজে পরিণত করে।
@@@ জীবকোষে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড অণুকে বিজারিত করে যে এনজাইম-
(ক) ক্যাটালেজ (খ) অ্যামাইলেজ (গ) জাইমেজ (ঘ) সেলুলেজ উত্তর: (ক)
@@@ কতক ছত্রাক, বিশেষ করে ঈস্ট জাতীয় ছত্রাক কোষে .................. এনজাইম বিদ্যমান।
(ক) ক্যাটালেজ (খ) অ্যামাইলেজ (গ) জাইমেজ (ঘ) সেলুলেজ উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: জাইমেজ এনজাইম একটু জটিল প্রকৃতির। ঈস্ট জাতীয় ছত্রাকে বিদ্যমান যে এনজাইম শর্করাকে ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ায় ইথাইল অ্যালকোহল ও CO2-এ পরিণত করে তাকে জাইমেজ বলে। অ্যালকোহল উৎপাদন ও বেকারি শিল্পে জাইমেজ এনজাইম ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
@@@ ফলের রস তৈরি কোন এনজাইমটি দ্বারা ঘোলাটে অবস্থা দূর করা হয়?
(ক) ক্যাটালেজ (খ) পেকটিন (গ) জাইমেজ (ঘ) সেলুলেজ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: আম, কমলালেবু, আপেল, আঙ্গুর প্রভৃতি ফলের রস তৈরিতে এনজাইম ব্যবহার করা হয়। এসব ফলের রস তৈরিকালে পেকটিন নামক এনজাইম ব্যবহার করলে রসের ঘোলাটে অবস্থা কেটে যায় এবং রস পরিষ্কার ও স্বাদযুক্ত হয়।
@@@ পনির তৈরিতে কোন এনজাইমটি ব্যবহৃত হয়?
(ক) রেনিন (খ) অ্যামাইলেজ (গ) জাইমেজ (ঘ) ক্যাটালেজ উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: পনির তৈরিতে এনজাইম রেনিন ব্যবহৃত হয়। রেনিন দুধের ননীকে জমাট বাঁধতে সহায়তা করে এবং পরে ননী থেকে পনির তৈরি করা হয়।
@@@ নিচের কোন এনজাইমটি হজমে সাহায্য করে?
(ক) পেপসিন (খ) অ্যামাইলেজ (গ) পেপেইন (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
@@@ ইউরিয়েজ ও ইউরিকেজ নামক এনজাইম ব্যবহার করা হয়-
(ক) ইউরিয়া শনাক্তকরণে (খ) ইউরিক অ্যাসিড শনাক্তকরণে (গ) ক ও খ (ঘ) ক্যান্সার শনাক্তকরণে উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: বর্তমানে ক্লিনিক্যাল বিশ্লেষণে এনজাইম ব্যবহার করা হয়। রক্তে ইউরিয়া ও ইউরিক অ্যাসিড শনাক্তকরণে ইউরিয়েজ ও ইউরিকেজ নামক এনজাইম ব্যবহার করা হয়।
@@@ চোখের ছানির অস্ত্রোপচারে কোন এনজাইম ব্যবহৃত হয়?
(ক) পেপসিন (খ) অ্যামাইলেজ (গ) পেপেইন (ঘ) ট্রিপসিন উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: আমেরিকার চক্ষু চিকিৎসক ড. যোসেফ স্পিনা ১৯৮০ সালে এনজাইম ট্রিপসিন প্রয়োগ করে চোখের ছানির অস্ত্রোপচার করেন। ড. যোসেফ স্পিনার অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে সূক্ষ্ম সুঁচ দ্বারা ০.০২৫ সেমি প্রশস্ত ছিদ্র করে অন্য একটি সূক্ষ্ম ফাঁপা সুঁচের সাহায্যে অতি সামান্য পরিমাণ ট্রিপসিন চোখের লেন্সে প্রয়োগ করেন। ট্রিপসিন চোখের অন্যান্য অংশের কোনো ক্ষতি না করে লেন্সের খোলা অংশ গলিয়ে ফেলে। এরপর এই সুঁচ দিয়ে টেনে খোলা অংশ বের করে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়।
@@@ মস্তিষ্ক ও ধমনীর জমাট রক্ত গলাতে .......................... নামক এনজাইমের ব্যবহারে জাপানো সফলতা পেয়েছে।
(ক) ক্যাটালেজ (খ) ইউরোবাইলেজ (গ) জাইমেজ (ঘ) সেলুলেজ উত্তর: (খ)
Comments
Post a Comment