@@@ কে সর্বপ্রথম এনজাইম শব্দটি ব্যবহার করেন?
(ক) বিজ্ঞানী কুন (খ) বিজ্ঞানী লিউয়েন হুক (গ) বিজ্ঞানী সোয়ান (ঘ) বিজ্ঞানী বেন্দা উত্তর: (ক)
@@@ নিচের কোনটি জৈব অনুঘটক?
(ক) হরমোন (খ) এনজাইম (গ) ভিটামিন (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (খ)
@@@ এনজাইমের ভৌত বৈশিষ্ট্য বা এনজাইমের ধর্ম-
(ক) এনজাইম হলো প্রধানত প্রোটিনধর্মী।
(খ) জীবকোষে এনজাইম কলয়েড রূপে অবস্থান করে।
(গ) এর কার্যকারিতা pH দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সকল এনজাইমই pH ৬-৯ এর মধ্যে বেশি ক্রিয়াশীল।
(ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
@@@ এনজাইমের বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে সত্য নয়-
(ক) এরা তাপ প্রবণ ।
(খ) সাধারণত ৩৫-৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় অধিক ক্রিয়াশীল।
(গ) অধিক তাপে এনজাইম নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু কম তাপে নষ্ট হয় না।
(ঘ) এনজাইম অনেক বেশি মাত্রায় বিদ্যমান থেকে বিক্রিয়ার হারকে ত্বরান্বিত করে। উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: এনজাইম খুব অল্প মাত্রায় বিদ্যমান থেকে বিক্রিয়ার হারকে ত্বরান্বিত করে। এনজাইম কেবলমাত্র বিক্রিয়ার হারকে ত্বরান্বিত করে কিন্তু বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থার পরিবর্তন করে না। এনজাইমের কার্যকারিতা সুনির্দিষ্ট অর্থাৎ কোনো একটি নির্দিষ্ট এনজাইম শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট বিক্রিয়া বা নির্দিষ্ট বিক্রিয়া গ্রুপকে প্রভাবিত করে, অন্য বিক্রিয়াকে নয়।
@@@ এনজাইমের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য কোনটি?
(ক) সব এনজাইমই প্রোটিন জাতীয়, তাই প্রোটিন গঠনকারী অ্যামিনো অ্যাসিডই এনজাইমসমূহের মূল গাঠনিক উপাদান।
(খ) একটি সুনির্দিষ্ট এনজাইমের অ্যামিনো অ্যাসিড সংখ্যা ও অনুক্রম সুনির্দিষ্ট।
(গ) ভিন্ন ভিন্ন এনজাইমের অ্যামিনো অ্যাসিডের সংখ্যা ও অনুক্রম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
(ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
@@@ নিচের কোনটি এনজাইমের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য?
(ক) এনজাইম অম্লীয় ও ক্ষারীয় উভয় পরিবেশেই ক্রিয়াশীল।
(খ) কো-এনজাইম, কো-ফ্যাক্টর ইত্যাদির উপস্থিতিতে এনজাইমের ক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
(গ) এনজাইম সাধারণত পানি, গ্লিসারল ও লঘু অ্যালকোহলে দ্রবণীয়।
(ঘ) উপরের সবগুলো উত্তর: (ঘ)
@@@ এনজাইম যার ওপর ক্রিয়া করে তাকে বলা হয়-
(ক) সাবস্ট্রেট (খ) ইনহিবিটর (গ) সাবইউনিট (ঘ) অ্যালোস্টেরিক এনজাইম উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: যে সাবস্ট্রেট তথা যে পদার্থের ওপর এনজাইম ক্রিয়া করে তার শেষে- ‘এজ’ (ধংব) যোগ করে এনজাইমের নামকরণ করা হয়। যেমন-
সুকরোজ এর সাথে ‘এজ’ যোগ করে = সুকরেজ
ইউরিয়া এর সাথে ‘এজ’ যোগ করে = ইউরিয়েজ
আরজিনিন এর সাথে ‘এজ’ যোগ করে = আরজিনেজ
টাইরোসিন এর সাথে ‘এজ’ যোগ করে = টাইরোসিনেজ
লিপিড এর সাথে ‘এজ’ যোগ করে = লাইপেজ
প্রোটিন এর সাথে ‘এজ’ যোগ করে = প্রোটিয়েজ
@@@ ফসফোইনল পাইরুভিক অ্যাসিড থেকে পাইরুভিক অ্যাসিড তৈরির বিক্রিয়ার এনজাইমের নাম-
(ক) পাইরুভিক অ্যাসিড কাইনেজ (খ) ফসফোফ্রুক্টোকাইনেজ (গ) ফসফোগ্লুকো-আইসোমারেজ (ঘ) হেক্সোকাইনেজ উত্তর: (ক)
@@@ যে এনজাইম শুধু প্রোটিন দিয়ে গঠিত তাকে বলা হয়-
(ক) সরল এনজাইম (খ) কনজুগেটেড প্রোটিন (গ) অ্যাপোএনজাইম (ঘ) অ্যাক্টিভেটর উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: সব এনজাইমই প্রোটিন। যে এনজাইমের সম্পূর্ণ অংশই শুধু প্রোটিন দিয়ে গঠিত তাকে সরল এনজাইম বলে। যেমন- সুক্রেজ, অক্সিডেজ।
@@@ কোনো কোনো এনজাইমে প্রোটিন অংশের সাথে একটি অপ্রোটিন অংশ সংযুক্ত থাকে। এ ধরনের এনজাইমকে বলা হয়-
(ক) সরল এনজাইম (খ) কনজুগেটেড প্রোটিন (গ) অ্যাপোএনজাইম (ঘ) অ্যাক্টিভেটর উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: এ ধরনের এনজাইমকে (তথা প্রোটিনকে) বলা হয় কনজুগেটেড প্রোটিন।
@@@ কনজুগেটেড প্রোটিন এর প্রোটিন অংশকে কি বলে?
(ক) সরল এনজাইম (খ) কনজুগেটেড প্রোটিন (গ) অ্যাপোএনজাইম (ঘ) অ্যাক্টিভেটর উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: অ্যাপোএনজাইম বলে।
@@@ কনজুগেটেড প্রোটিনের অপ্রোটিন অংশকে বলে-
(ক) প্রোসথেটিক গ্রুপ (খ) কনজুগেটেড প্রোটিন (গ) অ্যাপোএনজাইম (ঘ) ক অথবা গ উত্তর: (ক)
@@@ প্রোসথেটিক গ্রুপ কোনো ধাতুর আয়ন মেটাল হলে তাকে বলা হয়-
(ক) সরল এনজাইম (খ) কনজুগেটেড প্রোটিন (গ) অ্যাপোএনজাইম (ঘ) কো-ফ্যাক্টর উত্তর: (ঘ)
@@@ FAD,
NAD ইত্যাদি হলো-
(ক) কো-এনজাইম (খ) কনজুগেটেড প্রোটিন (গ) অ্যাপোএনজাইম (ঘ) অ্যাক্টিভেটর উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: এনজাইমের প্রোসথেটিক গ্রুপটি কোনো জৈব রাসায়নিক পদার্থ হলে তাকে কো-এনজাইম বলা হয় । কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কো-এনজাইম হলো-
FAD = Flavin Adenine Dinucleotide
FADH2 =
Reduced Flavin Adenine Dinucleotide
FMN = Flavin
Mononucleotide (vitamin B2 monophosphate)
NAD = Nicotinamide
Adenine Dinucleotide
NADH + H+ =
Reduced Nicotinamide Adenine Dinucleotide
NADP = Nicotinamide
Adenine Dinucleotide Phosphate
NADPH + H+ =
Reduced Nicotinamide Adenine Dinucleotide Phosphate
CoA = Co-A = Co-enzyme A
ATP = Adenosine
Triphosphate
@@@ এনজাইমের কাজের কৌশলে সাবস্ট্রেট অণু এনজাইমের কোথায় সংযুক্ত হয়?
(ক) অ্যাকটিভ সাইটে (খ) ইনঅ্যাকটিভ সাইটে (গ) ইনহিবিটরে (ঘ) কোনটিই নয় উত্তর: (ক)
@@@ এনজাইমের কাজে যারা বিঘ্ন ঘটায় তাদেরকে বলে-
(ক) Amphotetic (খ) initiator (গ) inhibitor (ঘ) ক,খ অথবা গ উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: কিছু কিছু পদার্থ এনজাইমের কাজে বাধাদান করে বা বিঘ্ন ঘটায়। এদেরকে ইনহিবিটর বলে। ইনহিবিটর এনজাইমের অ্যাকটিভ সাইট-এ আগেই সংযুক্ত হয়ে যায়, ফলে সাবস্ট্রেট ঐ অ্যাকটিভ সাইট-এ আর যুক্ত হতে পারে না। ফলে এনজাইম কাজ করতে পারে না। আবার কতক ইনহিবিটর (বাধাদানকারী) অ্যাকটিভ সাইট ছাড়া অন্য কোনো স্থানে সংযুক্ত হয়ে এনজাইমের অ্যাকটিভ সাইট নষ্ট করে ফেলে, কাজেই সাবস্ট্রেট সেখানে যুক্ত হতে পারে না।
Comments
Post a Comment