@@@ একাধিক সাবইউনিটযুক্ত এনজাইমকে বলা হয়-
(ক) অ্যালোস্টেরিক এনজাইম (খ) কনজুগেটেড প্রোটিন (গ) অ্যাপোএনজাইম (ঘ) কো-ফ্যাক্টর উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: কিছু কিছু এনজাইম আছে যাদের একাধিক সাবইউনিট থাকে। এদের আকৃতি ও কাজ সহজেই পরিবর্তনশীল হতে পারে। এ ধরনের এনজাইমকে বলা হয় অ্যালোস্টেরিক এনজাইম। অ্যালোস্টেরিক এনজাইমের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে ইফেক্টর নামক বিশেষ অণু। ইফেক্টর, এনজাইমের অ্যাকটিভ সাইট ছাড়া অ্যালোস্টেরিক সাইট-এ সংযুক্ত হয়ে অ্যাক্টিভেটর হিসেবে অথবা ইনহিবিটর হিসেবে কাজ করে।
@@@ যে কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্পন্ন করতে কিছুটা অতিরিক্ত শক্তির দরকার হয়। এই অতিরিক্ত শক্তিকে বলে-
(ক) একসেস শক্তি (খ) কার্যকরী শক্তি (গ) আবশ্যকীয় শক্তি (ঘ) কোনটিই নয় উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: কার্যকরী শক্তি বলে। এনজাইম-সাবস্ট্রেট এর কার্যকরী শক্তি কম। তাই কম কার্যকরী শক্তিসম্পন্ন সাবস্ট্রেট অণু এনজাইমের সাথে যুক্ত হয়ে এনজাইম-সাবস্ট্রেট যৌগ সৃষ্টি করে, ফলে বিক্রিয়ার হার বেড়ে যায়।
@@@ এ জাতীয় এনজাইম কোনো পদার্থের সাথে হাইড্রোজন, অক্সিজেন কিংবা ইলেকট্রন সংযুক্ত করে অথবা কোনো পদার্থ থেকে এগুলো বিযুক্ত করে-
(ক) অক্সিডোরিডাকটেজ (খ) ট্রান্সফারেজ (গ) আইসোমারেজ (ঘ) হাইড্রোলেজ উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: অক্সিডোরিডাকটেজ এনজাইম: অক্সিজেন সংযোগ বা হাইড্রোজেন বিয়োজন বা ইলেকট্রন অপসারণকে বলা হয় অক্সিডেশন বা জারণ। আবার হাইড্রোজেন সংযোগ বা অক্সিজেন বিয়োজন বা ইলেকট্রন যোগ হলো রিডাকশন বা বিজারণ। বাংলায় এদেরকে জারণ বিজারণ এনজাইম বলা হয়। যেমন- সাইটোক্রোম অক্সিডেজ, ফসফোগ্লিসার্যাল্ডিহাইড ডিহাইড্রোজিনেজ।
@@@ এ জাতীয় এনজাইম কোনো একটি পদার্থ হতে একটি গ্রুপকে (যেমন- NH2) অপসারিত করে অন্য একটি পদার্থের সাথে সংযুক্ত করতে সহায়তা করে-
(ক) অক্সিডোরিডাকটেজ (খ) ট্রান্সফারেজ (গ) আইসোম ারেজ (ঘ) হাইড্রোলেজ উত্তর: (ক)
@@@ সুক্রেজ, প্রোটিয়েজ, ফসফেটেজ, এস্টারেজ প্রভৃতি কি জাতীয় এনজাইম?
(ক) অক্সিডোরিডাকটেজ (খ) ট্রান্সফারেজ (গ) আইসোমারেজ (ঘ) হাইড্রোলেজ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: হাইড্রোলাইটিক এনজাইম বা হাইড্রোলেজ এনজাইম: এজাতীয় এনজাইম কোনো পদার্থের বিশেষ বন্ডের সাথে পানির অণু সংযুক্ত করে তাকে হাইড্রোলাইসিস করতে সহায়তা করে। সুক্রেজ, প্রোটিয়েজ, ফসফেটেজ, এস্টারেজ ইত্যাদি এ জাতীয় এনজাইম।
সুক্রোজ + পানি সুকরেজ→ গ্লুকোজ + ফ্রুক্টোজ
@@@ এ শ্রেণির এনজাইম হাইড্রোলাইসিস ও জারণ-বিজারণ ছাড়াই অন্য কায়দায় সাবস্ট্রেটের মূলককে ট্রান্সফার করে থাকে-
(ক) লাইয়েজ (খ) ট্রান্সফারেজ (গ) আইসোমারেজ (ঘ) লাইগেজ উত্তর: (ক)
@@@ অ্যালডোজ এবং কিটোজ শ্যুগার এর আইসোমেরিক পরিবর্তন সাধন করে-
(ক) লাইয়েজ (খ) ট্রান্সফারেজ (গ) আইসোমারেজ (ঘ) লাইগেজ উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: আইসোমারেজ এনজাইম: এ জাতীয় এনজাইম অ্যালডোজ এবং কিটোজ শ্যুগার এর আইসোমেরিক পরিবর্তন সাধন করে।
গ্লুকোজ-৬-ফসফেট ←ফসফোগ্লুকো-আইসোমারেজ→ ফ্রুক্টোজ-৬-ফসফেট
@@@ দুই বা ততোধিক সাবস্ট্রেটকে সংযুক্ত করে নতুন যৌগ সৃষ্টি করে-
(ক) লাইয়েজ (খ) ট্রান্সফারেজ (গ) আইসোমারেজ (ঘ) লাইগেজ উত্তর: (ঘ)
@@@ কোনো পদার্থের সাথে কার্বন ডাইঅক্সাইড অণু যুক্ত করতে অথবা কোনো পদার্থ হতে কার্বনডাইঅক্সাইড বিযুক্ত করতে সহায়তা করে-
(ক) লাইয়েজ (খ) ট্রান্সফারেজ (গ) আইসোমারেজ (ঘ) কার্বোক্সিলেজ উত্তর: (ঘ)
@@@ এ জাতীয় এনজাইমসমূহ কোনো পদার্থকে এর এপিমারে পরিণত করতে সহায়তা করে-
(ক) এপিমারেজ (খ) ট্রান্সফারেজ (গ) আইসোমারেজ (ঘ) কার্বোক্সিলেজ উত্তর: (ক)
@@@ কোনো পদার্থের সাথে ফসফেট গ্রুপ যুক্ত বা কোনো পদার্থ হতে ফসফেট গ্রুপ বিচ্ছিন্ন করতে সাহায্য করে-
(ক) ফসফোরাইলেজ (খ) ট্রান্সফারেজ (গ) আইসোমারেজ (ঘ) কার্বোক্সিলেজ উত্তর: (ক)
Comments
Post a Comment