১। বিজ্ঞানের যে শাখায় কোষস্থ বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক উপাদানগুলোর বর্ণনা, পঠন-পাঠন ও গবেষণা করা হয় তাকে বলা হয়-
(ক) সেলক্যামিস্ট্রি (খ) বায়োক্যামিস্ট্রি (গ) মাইক্রোবায়োলজি (ঘ) হিস্টোলজি উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: বায়োক্যামিস্ট্রি বা জৈব রসায়ন।
২। দেহের শতকরা কত অংশ পানি?
(ক) ৩০-৪০ (খ) ৪০-৫০ (গ) ৫০-৬০ (ঘ) ৬০-৯০ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: সজীব উদ্ভিদদেহ বিশ্লেষণ করলে প্রধান যে উপাদান পাওয়া যায় তা হলো পানি। দেহের প্রায় শতকরা ৬০-৯০ অংশ হলো পানি। বাকি যে অংশ অবশিষ্ট থাকে তাকে কঠিন বস্তু বলে।
৩। কতটি মৌলিক পদার্থ বিভিন্নভাবে মিলিত হয়ে অসংখ্য জৈব উপাদান সৃষ্টি করেছে?
(ক) ১০টি (খ) ৭টি (গ) ১৭টি (ঘ) ১০৯টি উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: ১৭টি মৌলিক পদার্থ, যেমন- কার্বন, হাইড্রজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, ক্লোরিন, ম্যাঙ্গানিজ, বোরন, সালফার, মলিবডেনাম, কপার ও জিংক মিলে সৃষ্টি করেছে অসংখ্য জৈব উপাদান। জৈব রাসায়নিক পদার্থগুলোর মধ্যে কার্বোহাইড্রেট, লিপিড, অ্যামিনো অ্যাসিড, প্রোটিন, নিউক্লিক অ্যাসিড, অন্যান্য জৈব অ্যাসিড, বিভিন্ন এনজাইম ইত্যাদি প্রধান।
৪। জীবদেহের প্রধান জৈব পদার্থ হলো-
(ক) কার্বোহাইড্রেট (খ) লিপিড (গ) প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: অজৈব পদার্থের মধ্যে পানি অন্যতম। সাধারণত দুগ্ধজাত খাদ্য, মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, শস্যদানা, শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে অজৈব লবণ বা খনিজ লবণ বিদ্যমান থাকে। জীবদেহের প্রধান জৈব পদার্থ হলো কার্বোহাইড্রেট, লিপিড, প্রোটিন এবং নিউক্লিক অ্যাসিড।
৫। সাধারণভাবে, কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত যৌগকে কার্বোহাইড্রেট বলে; যেখানে কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের অনুপাত-
(ক) ১:২:১ (খ) ২:১:২ (গ) ১:২:২ (ঘ) ২:১:১ উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: জীবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ গাঠনিক উপাদান ও সঞ্চয়ী উপাদান হলো কার্বোহাইড্রেট। আমাদের খাদ্য তালিকার প্রধান উপাদানও কার্বোহাইড্রেট। সাধারণভাবে, কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত যৌগকে কার্বোহাইড্রেট বলে; যেখানে কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের অনুপাত ১:২:১। যেমন- গ্লুকোজ (C6H12O6)। তবে অনেক যৌগ আছে যেখানে এমন অনুপাত না থাকলেও সেটা কার্বোহাইড্রেট; যেমন- সুক্রোজ (C12H22O11)। আবার এমন অনুপাত থাকলেও সেটা কার্বোহাইড্রেট নয়; যেমন- ফরম্যালডিহাইড (HCHO), অ্যাসিটিক অ্যাসিড (CH3COOH) ইত্যাদি।
৬। আধুনিক ধারণা অনুসারে কার্বোহাইড্রেট হলো-
(ক) অ্যালডিহাইড বা ইথার জাতীয় যৌগ (খ) কিটোন বা ইথার জাতীয় যৌগ
(গ) অ্যালডিহাইড বা কিটোন জাতীয় যৌগ (ঘ) অ্যালডিহাইড বা এস্টার জাতীয় যৌগ উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: আধুনিক ধারণা অনুসারে নাইট্রোজেন বা সালফার সমৃদ্ধ সামান্য কিছু যৌগকেও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যর কারণে কার্বোহাইড্রেটের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাই বর্তমান ধারণা অনুযায়ী, যে সকল অ্যালডিহাইড বা কিটোন জাতীয় যৌগে কতগুলো হাইড্রোক্সিল গ্রুপ থাকে অথবা যারা আর্দ্রবিশ্লেষিত হয়ে কতগুলো হাইড্রোক্সিল গ্রুপযুক্ত অ্যালডিহাইড বা কিটোন উৎপন্ন করে সেসব যৌগকে কার্বোহাইড্রেট বলে।
৭। কার্বোহাইড্রেট হলো এক অণু পানির সাথে এক অণু কার্বন (CH2O) এই অনুপাতে গঠিত বিভিন্ন প্রকার যৌগ। এই সাধারণ ফর্মুলাটি কেবলমাত্র ................... -এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
(ক) পলিস্যাকারাইডস (খ) ডাইস্যাকারাইডস (গ) মনোস্যাকারাইডস (ঘ) অলিগোস্যাকারাইডস উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: হাইড্রেটস অব কার্বন থেকে কার্বোহাইড্রেট নামকরণ হয়েছে। এর অর্থ দাঁড়ায় ‘কার্বনের জলায়ন’ অর্থাৎ এক অণু পানির সাথে এক অণু কার্বন (CH2O) এই অনুপাতে গঠিত বিভিন্ন প্রকার যৌগ। এই সাধারণ ফর্মুলাটি কেবলমাত্র মনোস্যাকারাইডস- এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (যেমন- গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ইত্যাদি)। একাধিক মনোস্যাকারাইড সহযোগে যে সব কার্বোহাইড্রেট গঠিত হয় ঐ সব ক্ষেত্রে এই সাধারণ ফর্মুলা প্রযোজ্য নয়। যখন এক অণু গ্লুকোজ ও এক অণু ফ্রুক্টোজ গ্লাইকোসাইডিক বন্ধনীর মাধ্যমে একত্র হয়ে এক অণু সুকরোজ গঠন করে তখন এই সাধারণ ফর্মুলা কার্যকরী হয় না, কারণ বন্ধনী সৃষ্টিকালে এক অণু পানি (H2O) বের হয়ে যায়, তাই সুকরোজ- এর ফর্মুলা দাঁড়ায়: C12H22O11।
৮। সারা বিশ্বে সকল জৈব বস্তুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়-
(ক) কার্বোহাইড্রেট (খ) লিপিড (গ) প্রোটিন (ঘ) ভিটামিন উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: সারা বিশ্বে সকল জৈব বস্তুর মধ্যে কার্বোহাইড্রেট সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় যা জীবদেহে গাঠনিক উপাদান ও সঞ্চয়ী উপাদান হিসেবে থাকে।
৯। অধিকাংশ উদ্ভিদদেহে শুকনো ওজনের কত ভাগ কার্বোহাইড্রেট থাকে?
(ক) ২০-৩০ (খ) ৫০-৮০ (গ) ৪০-৫০ (ঘ) ৫-১০ উত্তর: (খ)
১০। শর্করার বৈশিষ্ট্য কোনটি?
(ক) এটি দানাদার, তন্তুময় ও পাউডার জাতীয় পদার্থ। (খ) এরা স্বাদে মিষ্টি বা স্বাদহীন।
(গ) তাপ প্রয়োগে অঙ্গারে পরিণত হয়। (ঘ) উপরের সবগুলো। উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: এটি দানাদার (চিনি), তন্তুময় (সেলুলোজ) ও পাউডার জাতীয় পদার্থ। এরা স্বাদে মিষ্টি (সুক্রোজ) বা স্বাদহীন (সেলুলোজ)।
তাপ প্রয়োগে অঙ্গারে পরিণত হয়। পানিতে অধিকাংশই দ্রবণীয় (সরল ও অলিগো কার্বোহাইড্রেট)।
১১। এসিডের সাথে মিশে শর্করা কি গঠন করে?
(ক) ইথার (খ) এস্টার (গ) অ্যালকালয়েড (ঘ) ক ও খ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: এসিডের সাথে মিশে এস্টার গঠন করে। এরা আলোক সক্রিয় ও আলোক সমাণুতা প্রদর্শন করে।
১২। জীবদেহে কার্বোহাইড্রেট-এর কাজ নয় কোনটি?
(ক) জীব দেহের শক্তির প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে (জারিত হয়ে শক্তি উৎপন্ন করে)।
(খ) উদ্ভিদের সাপোটিং টিস্যুর গাঠনিক উপাদান হিসেবে কাজ করে।
(গ) উদ্ভিদদেহ গঠনকারী পদার্থগুলোর কার্বন কাঠামো প্রদান করে।
(ঘ) জীবদেহের প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপন্ন করে। উত্তর: (ঘ)
১৩.১। জীবদেহে কার্বোহাইড্রেটের কাজ সম্পর্কে নিচের কোন তথ্যটি সঠিক নয়?
(ক) প্রাণিদেহে হাড়ের সন্ধিস্থলে লুব্রিকেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
(খ) উদ্ভিদ দেহে সঞ্চয়ী পদার্থ হিসেবে বিরাজ করে।
(গ) ক্যালভিন চক্র, ক্রেবস চক্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ চক্রে কার্বোহাইড্রেট সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
(ঘ) বিভিন্ন প্রকার এনজাইমের গাঠনিক অংশ হিসেবে থাকে। উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: বিভিন্ন প্রকার কো-এনজাইমের গাঠনিক অংশ হিসেবে কার্বোহাইড্রেট থাকে। যেমন- ATP,
NADP, FAD ইত্যাদি। ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যামিনো অ্যাসিড বিপাকেও সাহায্য করে।
১৩.২। নিউক্লিক অ্যাসিডের অন্যতম উপাদান রাইবোজ ও ডিঅক্সিরাইবোজ হলো ........... জাতীয় শর্করা
(ক) ট্রায়োজ (খ) টেট্রোজ (গ) পেন্টোজ (ঘ) হেক্সোজ উত্তর: (গ)
১৪। স্বাদের ওপর ভিত্তি করে কার্বোহাইড্রেট কত প্রকার?
(ক) ২ (খ) ৩ (গ) ৪ (ঘ) ৫ উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: দু’প্রকার, যথা-
(১) শ্যুগার: এরা স্বাদে মিষ্টি, দানাদার এবং পানিতে দ্রবণীয়, যেমন- গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুকরোজ ইত্যাদি;
(২) নন-শ্যুগার: এরা স্বাদে মিষ্ট নয়, অদানাদার এবং পানিতে অদ্রবণীয়, যেমন- স্টার্চ, সেলুলোজ, গ্লাইকোজেন ইত্যাদি।
১৫। রাসায়নিক গঠন অণুর ভিত্তিতে কার্বোহাইড্রেটকে প্রধানত কত প্রকার?
(ক) ২ (খ) ৩ (গ) ৪ (ঘ) ৫ উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: চার শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো- ১। মনোস্যাকারাইড; ২। ডাইস্যাকারাইড; ৩। অলিগোস্যাকারাইড এবং ৪। পলিস্যাকারাইড।
১৬। মনোস্যাকারাইডে কার্বনের সংখ্যা-
(ক) ৩-১০ (খ) ৫-২০ (গ) ১০-৩০ (ঘ) ৩০০-৪০০ উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: মনোস্যাকারাইডে কার্বনের সংখ্যা ৩-১০। কার্বনের সংখ্যা অনুযায়ী মনোস্যাকারাইডকে তিন কার্বনবিশিষ্ট ট্রায়োজ, চার কার্বনবিশিষ্ট টেট্রোজ, পাঁচ কার্বনবিশিষ্ট পেন্টোজ, ছয় কার্বনবিশিষ্ট হেক্সোজ, সাত কার্বনবিশিষ্ট হেপ্টোজ ইত্যাদি ভাগে ভাগ করা হয়।
১৭। মনোস্যাকারাইডসমূহে থাকে-
(ক) একটি মুক্ত অ্যালডিহাইড গ্রুপ (খ) একটি মুক্ত কিটোন গ্রুপ (গ) একাধিক হাইড্রোক্সিল গ্রুপ
(ঘ) একটি মুক্ত অ্যালডিহাইড গ্রুপ বা কিটোন গ্রুপ এবং একাধিক হাইড্রোক্সিল গ্রুপ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: যে কার্বোহাইড্রেটকে হাইড্রোলাইসিস করলে আর কোনো সরল কার্বোহাইড্রেট একক পাওয়া যায় না সেগুলোই মনোস্যাকারাইড। মনোস্যাকারাইড অন্যান্য জটিল কার্বেহাইড্রেট তৈরির গাঠনিক ইউনিট হিসেবে কাজ করে। এর সাধারণ সংকেত হচ্ছে: CnH2nOn। মনোস্যাকারাইডসমূহে একটি মুক্ত অ্যালডিহাইড গ্রুপ (-CHO) বা কিটোন গ্রুপ (-CO-) এবং একাধিক হাইড্রোক্সিল গ্রুপ (-OH) থাকে। জীবদেহের অধিকাংশ মনোস্যাকারাইড অপ্টিক্যাল আইসোমারের উ সিরিজভুক্ত।
১৮। নিচের কোনটি রিডিউসিং শ্যুগার?
(ক) গ্লুকোজ (খ) ফ্রুক্টোজ (গ) গ্যালাক্টোজ (ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: মনোস্যাকারাইডগুলোতে অ্যালডিহাইড গ্রুপ (-CHO) বা কিটোন গ্রুপ (>C=O) মুক্তভাবে থাকায় এরা বিজারক পদার্থ হিসেবে কাজ করে। কাজেই অ্যালডিহাইড বা কিটো গ্রুপযুক্ত কার্বোহাইড্রেটকে রিডিউসিং শ্যুগার বলা হয়। বেনেডিক্ট দ্রবণের Cu(OH)2 (কিউপ্রিক হাইড্রোক্সাইড) উক্ত শ্যুগারের -CHO বা >C=O গ্রুপের সাথে বিক্রিয়া করে কিউপ্রাস অক্সাইড (Cu2O)-এ পরিণত হয়, যা লাল বর্ণের অধঃক্ষেপ হিসেবে জমা হয়। রিডিউসিং শ্যুগার পরীক্ষা করতে তাই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মনোস্যাকারাইডসমূহ সাধারণত মিষ্টি স্বাদবিশিষ্ট।
১৯। সরল ট্রায়োজের উদাহরণ হলো-
(ক) গ্লিসার্যালডিহাইড (খ) গ্লিসারোল (গ) ডাইহাইড্রোক্সি অ্যাসিটোন (ঘ) ক ও গ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: তিন কার্বনবিশিষ্ট মনোস্যাকারাইডকে বলা হয় ট্রায়োজ। গ্লিসার্যালডিহাইড এবং ডাইহাইড্রোক্সি অ্যাসিটোন হলো দুটি সরল ট্রায়োজ। এরা দ্রবণীয় মনোস্যাকারাইড। উদ্ভিদে এরা ফসফেট এস্টার হিসেবে কাজ করে। গ্লিসার্যাল্ডিহাইড-এর ১নং কার্বনে একটি কার্বনাইল অক্সিজেন যুক্ত হয়ে একে অ্যালডিহাইড গ্রুপ নির্দেশ করে এবং ডাইহাইড্রোক্সি অ্যাসিটোনের ২নং কার্বনে কার্বনাইল অক্সিজেন যুক্ত হয়ে একে কিটোন গ্রুপ নির্দেশ করে। কাজেই গ্লিসার্যাল্ডিহাইড হলো একটি অ্যালডোজ এবং ডাইহাইড্রোক্সি অ্যাসিটোন হলো একটি কিটোজ।
২০। কোনটি রিডিউসিং গ্রুপ?
(ক) অ্যালডিহাইড (খ) কিটোন (গ) ক ও খ (ঘ) ইথার উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: অ্যালডিহাইড এবং কিটোন গ্রুপকে বলা হয় রিডিউসিং গ্রুপ কারণ এরা সহজেই কতিপয় যৌগের সাথে জারিত হয়ে যায় এবং ঐ যৌগ বিজারিত হয়। তাই অ্যালডিহাইড ও কিটোন গ্রুপযুক্ত চিনিকে বলা হয় রিডিউসিং শ্যুগার বা বিজারক শর্করা।
২১। ইরিথ্রোজ হলো একটি
(ক) ট্রায়োজ (খ) টেট্রোজ (গ) পেন্টোজ (ঘ) হেপ্টোজ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: টেট্রোজ (tetrose, C4H8O3): চার কার্বনবিশিষ্ট মনোস্যাকারাইডকে বলা হয় টেট্রোজ। ইরিথ্রোজ হলো একটি টেট্রোজ। উদ্ভিদে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি ইরিথ্রোজ-৪ ফসফেট হিসেবে বিরাজ করে। ক্যালভিন চক্রে এর ভূমিকা আছে।
২২। নিচের কোনটি পেন্টোজ শ্যুগারের উদাহরণ?
(ক) জাইলোজ (খ) রাইবোজ (গ) রাইবুলোজ (ঘ) উপরের সবগুলো। উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: পেন্টোজ (pentose, C5H10O5): পাঁচ কার্বনবিশিষ্ট মনোস্যাকারাইডকে বলা হয় পেন্টোজ। জাইলোজ, রাইবোজ, ডিঅক্সিরাইবোজ, রাইবুলোজ ইত্যাদি হলো পেন্টোজ শ্যুগার-এর উদাহরণ।
২৩। রাইবোজ আবিষ্কার করেন কে?
(ক) সোয়ান (খ) এমিল ফিসার (গ) হাওয়ার্থ (ঘ) নিকলসন উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: রাইবোজ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ কার্বনবিশিষ্ট পেন্টোজ শ্যুগার। ১৮৯১ সালে এমিল ফিসার এটি আবিস্কার করেন।
২৪। আরএনএ-র গঠন একক-
(ক) ডিঅক্সিরাইবোজ (খ) রাইবোজ (গ) সুক্রোজ (ঘ) গ্যালাক্টোজ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: এটি রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিডের (RNA) একটি গঠন একক। এর আণবিক সংকেত: C5H10O5। এতে একটি এলডিহাইড গ্রুপ থাকায় এদের অ্যালডোপেন্টোজ বলা হয়।
২৫। রাইবোজ শ্যুগার গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে উৎপন্ন করে-
(ক) লেভুলিনিক এসিড (খ) কার্বোক্সিলিক এসিড (গ) ফারফিউরাল এসিড (ঘ) ম্যালিক অ্যাসিড উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: রাইবোজ শর্করার গলনাঙ্ক ৯৫ ডিগ্রি সে., গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড এর সাথে বিক্রিয়া করে ফারফিউরাল অ্যাসিড উৎপন্ন করে।
২৬। RNA -তে নিউক্লিয়োটাইড বা নিউক্লিয়োসাইড তৈরিতে অংশগ্রহণ করে-
(ক) রাইবোজ (খ) ডিঅক্সিরাইবোজ (গ) রাইবুলোজ (ঘ) জাইলুলোজ উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: এটি নির্দিষ্ট পিউরিন বা পাইরিমিডিন বেস এর সাথে যুক্ত হয়ে একটি নিউক্লিয়োসাইড উৎপন্ন করে। নিউক্লিয়োসাইডের সাথে একটি অজৈব ফসফেট যুক্ত হয়ে নিউক্লিয়োটাইডে পরিণত হয়। কার্বন বিজারণের মাধ্যমে শর্করা তৈরি প্রক্রিয়াতেও রাইবোজ ভূমিকা পালন করে। ATP,
NAD+, NADP+, FAD, Co-A ইত্যাদি জৈব অণুর সাথেও রাইবোজ যুক্ত থাকে।
২৭। নিচের কোনটির আণবিক সংকেত C5H10O4 ?
(ক) রাইবোজ (খ) ডিঅক্সিরাইবোজ (গ) রাইবুলোজ (ঘ) জাইলুলোজ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: ডিঅক্সিরাইবোজ আর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পেন্টোজ শ্যুগার। এর আণবিক সংকেত: C5H10O4। এতে একটি অ্যালডিহাইড গ্রুপ থাকায় একে ডিঅক্সিঅ্যালডোপেন্টোজও বলে। এটি রাইবোজ শ্যুগার-এর মতোই, পার্থক্য শুধু এই যে, এর ২নং কার্বনে হাইড্রক্সিল গ্রুপের পরিবর্তে কেবল একটি হাইড্রোজেন পরমাণু আছে। ডিঅক্সি অর্থ হলো অক্সিজেন ছাড়া অর্থাৎ ২নং কার্বনে কোনো অক্সিজেন নেই।
২৮। কোন শ্যুগারটি ছাড়া ডিএনএ গঠন সম্ভন নয়?
(ক) রাইবোজ (খ) ডিঅক্সিরাইবোজ (গ) রাইবুলোজ (ঘ) গ্লুকোজ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: এর ১নং কার্বন অবস্থানে যে কোনো একটি পিউরিন বা পাইরিমিডিন বেস (A,
T, G, C) যুক্ত হলে একটি ডিঅক্সিনিউক্লিয়োসাইড সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় ৫নং কার্বন অবস্থানে অজৈব ফসফেট যুক্ত হলে একটি ডিঅক্সিনিউক্লিয়োটাইড সৃষ্টি হয়। DNA-নিউক্লিক অ্যাসিডের নিউক্লিয়োটাইড গঠনের অংশ হিসেবে বিরাজ করে ডিঅক্সিরাইবোজ শ্যুগার। এই শ্যুগার ছাড়া DNA গঠন সম্ভব নয়।
২৯। নিচের কোনটি হেক্সোজ নয়?
(ক) ফ্রুক্টোজ (খ) ম্যানোজ (গ) গ্যালাক্টোজ (ঘ) সুক্রোজ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: ৬ কার্বনবিশিষ্ট মনোস্যাকারাইডকে বলা হয় হেক্সোজ। গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, ম্যানোজ, গ্যালাক্টোজ হলো প্রধান হেক্সোজ। এরা উদ্ভিদ কোষে মুক্ত অবস্থায় অথবা অন্য জটিল কার্বোহাইড্রেট-এর অংশ হিসেবে বিরাজ করে। সাধারণত গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজকে মুক্ত অবস্থায় সামান্য পরিমাণে পাওয়া যায়।
৩০। কোনটির আরেক নাম ডেক্সট্রোজ?
(ক) গ্লুকোজ (খ) ফ্রুক্টোজ (গ) ল্যাক্টোজ (ঘ) গ্যালাক্টোজ উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: গ্লুকোজ বা ডেক্সট্রোজ একটি উল্লেখযোগ্য মনোস্যাকারাইড। উদ্ভিদ কোষে দ্রবণীয় অবস্থায় একে পাওয়া যায়। এর আণবিক সংকেত: C6H12O6। এটি একটি অ্যালডোহেক্সোজ কারণ এতে অ্যালডিহাইড গ্রুপ আছে। এটি একটি রিডিউসিং শ্যুগার।
৩১। গ্রেইপ শ্যুগার-
(ক) গ্লুকোজ (খ) ফ্রুক্টোজ (গ) ল্যাক্টোজ (ঘ) গ্যালাক্টোজ উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: বিভিন্ন প্রকার পাকা ফল ও মধুতে প্রচুর গ্লুকোজ থাকে। পাকা আঙ্গুরে গ্লুকোজের পরিমাণ শতকরা ১২-৩০ ভাগ। একে অনেক সময় গ্রেইপ শ্যুগার বা আঙ্গুরের শর্করা বলা হয়। উদ্ভিদে গ্লুকোজ কখনো সঞ্চিত পদার্থ হিসেবে বিরাজ করে না।
৩২। শ্বসনের প্রাথমিক পদার্থ হলো-
(ক) গ্লুকোজ (খ) ফ্রুক্টোজ (গ) ল্যাক্টোজ (ঘ) গ্যালাক্টোজ উত্তর: (ক)
৩৩। নিচের কোন তথ্যটি সঠিক নয়?
(ক) প্রকৃতিতে সবুজ উদ্ভিদ থেকে গ্লুকোজ উৎপাদিত হয়।
(খ) গবেষণাগারে হাইড্রোলাইসিস করে সুক্রোজ ও স্টার্চ থেকে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ প্রস্তুত করা যায়।
(গ) গ্লুকোজ সাদা দানাদার পদার্থ, স্বাদে মিষ্টি এবং পানিতে সহজেই দ্রবণীয়।
(ঘ) গ্লুকোজ অ্যালকোহলে অদ্রবণীয় কিন্তু ইথারে দ্রবণীয়। উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: অ্যালকোহলে সামান্য দ্রবণীয় কিন্তু ইথারে অদ্রবণীয়।
৩৪। গ্লুকোজের ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক তথ্য কোনটি?
(ক) বিভিন্ন ফল সংরক্ষণে গ্লুকোজ ব্যবহার করা হয়।
(খ) ক্যালসিয়াম গ্লুকোনেট হিসেবে ওষুধ শিল্পে গ্লুকোজ ব্যবহৃত হয়।
(গ) ভিটামিন ‘সি’ তৈরি করার জন্য গ্লুকোজ ব্যবহৃত হয়। (ঘ) উপরের সবগুলো। উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: রোগীর পথ্য হিসেবে গ্লুকোজ-এর বহুল ব্যবহার প্রচলিত। গ্লুকোজ কার্বোহাইড্রেট বিপাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩৫। α/β-D গ্লুকোজ সৃষ্টি হয়-
(ক) গ্লুকোজের ১নং ও ৫নং কার্বন কাছাকাছি এলে।
(খ) গ্লুকোজের ২নং ও ৫নং কার্বন কাছাকাছি এলে।
(গ) গ্লুকোজের ১নং ও ৬নং কার্বন কাছাকাছি এলে।
(ঘ) গ্লুকোজের ২নং ও ৫নং কার্বন কাছাকাছি এলে। উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: গ্লুকোজের ১নং এবং ৫নং কার্বন কাছাকাছি এলে (দ্রবণে সাধারণত কাছাকাছি আসে) এদের মধ্যে একটি অক্সিজেন সেতু তৈরি হয়। এর ফলে ১নং কার্বনে একটি -OH সৃষ্টি হয়। নতুন সৃষ্ট এই --OH ১নং কার্বনের α (আলফা) বা β (বিটা) অবস্থানে থাকতে পারে। -OH গ্রুপের এই α এবং β অবস্থানের কারণে গ্লুকোজের ভৌত, রাসায়নিক এবং জৈবিক বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটে; যেমন- β-গ্লুকোজ গঠন করে সেলুলোজ, কিন্তু α -গ্লুকোজ গঠন করে স্টার্চ। সেলুলোজ কোষের গাঠনিক বস্তু এবং স্টার্চ কোষের সঞ্চয়ী খাদ্য বস্তু।
৩৬। গ্লুকোজের দূরবর্তী অপ্রতিসম কার্বন কোনটি?
(ক) ৩নং কার্বন (খ) ৪নং কার্বন (গ) ৫নং কার্বন (ঘ) ৬নং কার্বন উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: গ্লুকোজের ৫নং কার্বন হলো দূরবর্তী ‘অপ্রতিসম’ কার্বন। এই ৫নং কার্বনে সংযুক্ত -OH মূলক ডান দিকে থাকলে তাকে বলা হয় D-গ্লুকোজ। পাঁচ নং কার্বনে সংযুক্ত -OH মূলক বাম দিকে থাকলে তাকে বলা হয় খ গ্লুকোজ। D-গ্লুকোজ দক্ষিণাবর্ত (dextrorotatory) হয় যাকে d বা ‘+’ চিহ্ন দিয়ে বোঝানো হয়। L-গ্লুকোজ বামাবর্ত (laevorotatory) হয় যাকে l বা ‘-’ চিহ্ন দিয়ে বোঝানো হয়। দক্ষিণাবর্ত অর্থ হলো যৌগটি আলোক সক্রিয় এবং ঘূর্ণনের দিক ‘ডান’; বামাবর্ত অর্থ হলো যৌগটি আলোক সক্রিয় এবং ঘূর্ণনের দিক ‘বাম’। গ্লুকোজের d বা l র্ফম অপটিকাল রোটেশন (optical
rotation) ছাড়া অন্যান্য সকল ভৌত বৈশিষ্ট্য একই প্রকার। উদ্ভিদে সব সময়ই D-গ্লুকোজ থাকে।
৩৭। নিচের কোনটি ফ্রুট শ্যুগার?
(ক) গ্লুকোজ (খ) ফ্রুক্টোজ
(গ) ম্যানোজ (ঘ) গ্যালাক্টোজ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: গ্লুকোজের ন্যায় ফ্রুক্টোজও ৬ কার্বনবিশিষ্ট মনোস্যাকারাইড। এর আণবিক সংকেত C6H12O6 (গ্লুকোজের মতোই)। এটিও একটি রিডিউসিং শ্যুগার। এর গঠনে রয়েছে একটি কিটো গ্রুপ ((>C = O)। একে কিটোহেক্সোজও বলা হয়। অধিকাংশ পাকা মিষ্টি ফল ও মধুতে ফ্রুক্টোজ থাকে। তাই এর আরেক নাম ফলের চিনি বা ফ্রুট শ্যুগার (fruit
sugar)।
৩৮। বীট ও আখের কান্ড রসে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়-
(ক) ল্যাকটোজ (খ) ফ্রুক্টোজ (গ) ম্যানোজ (ঘ) গ্যালাক্টোজ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: গ্লুকোজ থেকে সহজেই ফ্রুক্টোজ তৈরি হয় আবার সুক্রোজ হাইড্রোলাইসিস এর ফলেও ফ্রুক্টোজ তৈরি হয়। এটি সুক্রোজ এর একটি গঠন উপাদান। গ্লুকোজের মতো ফ্রুক্টোজও D এবং L দু’প্রকার আছে। প্রথম ফ্রুট তথা ফল থেকে শনাক্ত করা হয়েছিল বলে নাম করা হয় ফ্রুক্টোজ। ফ্রুক্টোজ সমপরিমাণ গ্লুকোজের সাথে যুক্ত হয়ে চিনি গঠন করে। তাই একে বীট ও আখের কান্ড রসে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
৩৯। ফ্রুক্টোজের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে নিচের কোন তথ্যটি সঠিক নয়?
(ক) এটি একটি সাদা বর্ণের, দানাদার, স্ফটিকাকার ও মিষ্টি জাতীয় পদার্থ।
(খ) পানিতে সহজেই দ্রবণীয়।
(গ) শীতল অ্যালকোহলে দ্রবণীয়।
(ঘ) কনফেকশনারিতে নানা ধরনের মিষ্টান্ন জাতীয় জিনিস প্রস্তুত করার জন্য ফ্রুক্টোজ ব্যবহার করা হয়। উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: গরম অ্যালকোহলে দ্রবণীয়।
৪০। গ্লুকোজের আইসোমার কোনটি?
(ক) ফ্রুক্টোজ (খ) সুক্রোজ (গ) ম্যালটোজ (ঘ) সেলুলোজ উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের আণবিক সংকেত এক হলেও এদের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। তাই এদেরকে আইসোমার বলে।
৪১। সুক্রোজকে আর্দ্রবিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়-
(ক) গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ (খ) গ্লুকোজ ও গ্যালাক্টোজ (গ) ফ্রুক্টোজ ও গ্যালাক্টোজ (ক) গ্লুকোজ ও ল্যাক্টোজ উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: সুক্রোজকে আর্দ্রবিশ্লেষণ করলে সমপরিমাণে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ তৈরি হয়।
৪২। ম্যানোজ হলো-
(ক) পেন্টোজ (খ) হেক্সোজ (গ) হেপ্টোজ (ঘ) টেট্রোজ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: ম্যানোজ একটি হেক্সোজ। এর আণবিক সংকেত C6H12O6। এটি একটি অ্যালডোজ শ্যুগার।
৪৩। গ্যালাক্টোজ হলো একটি-
(ক) পেন্টোজ (খ) হেক্সোজ (গ) হেপ্টোজ (ঘ) টেট্রোজ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: গ্যালাক্টোজ আর একটি হেক্সোজ। এর আণবিক সংকেত C6H12O6। এটিও একটি অ্যালডোজ শ্যুগার।
৪৪। নিচের কোনটি গাঠনিক আইসোমার নয়?
(ক) গ্লুকোজ (খ) ফুক্টোজ (গ) ম্যানোজ (ঘ) সুক্রোজ উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, ম্যানোজ, গ্যালাক্টোজ হলো গাঠনিক আইসোমার। এদের সবার গাঠনিক ফর্মুলা C6H12O6 কিন্তু এদের এটমিক বিন্যাস ভিন্ন।
৪৫। সেডোহেপ্টোলোজ হলো-
(ক) পেন্টোজ (খ) হেক্সোজ (গ) হেপ্টোজ (ঘ) টেট্রোজ উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: সাত কার্বনবিশিষ্ট মনোস্যাকারাইডকে বলা হয় হেপ্টোজ। সেডোহেপ্টোলোজ হলো একটি হেপ্টোজ শ্যুগার।