@@@ হাইড্রার গ্যাস্ট্রোডার্মিস বা অন্তঃত্বক-এর পেশি-আবরণী কোষ আর কি নামে পরিচিত?
(ক) পুষ্টি কোষ (খ) গ্রন্থি কোষ (গ) সংবেদী কোষ (ঘ) জনন কোষ উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: গ্যাস্ট্রোডার্মিসের বেশীর ভাগ অংশ জুড়ে থাকে পুষ্টি কোষ। প্রতিটি কোষ স্তম্ভাকার এবং একটি বড় নিউক্লিয়াস ও গহ্বরযুক্ত। সংযুক্ত প্রান্ত থেকে সূক্ষ্ম, সংকোচনশীল তন্তুবিশিষ্ট পেশী প্রবর্ধন সৃষ্টি হয়ে মেসোগ্লি¬য়ার সমকোণে অবস্থান করে।
@@@ ভেতরের মুক্ত প্রান্তের গঠনের উপর ভিত্তি করে পুষ্টি কোষগুলোকে কতভাগে ভাগ করা যায়?
(ক) ২ (খ) ৩ (গ) ৪ (ঘ) ৫ উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: ক. ফ্ল্যাজেলীয় কোষ (Flagellated
cell): এগুলোর মুক্ত প্রান্তে ১-৪ টি সুতার মতো ফ্ল্যাজেলা সংযুক্ত থাকে।
খ. ক্ষণপদীয় কোষ (Pseudopodial
cell): এদের মুক্ত প্রান্ত ক্ষণপদযুক্ত।
@@@ হাইড্রার পুষ্টি কোষের কাজের ক্ষেত্রে সঠিক নয় কোনটি?
(ক) পেশী প্রবর্ধনগুলো সংকোচন-প্রসারণের মাধ্যমে দেহকে সরু ও মোটা করে।
(খ) মুখ ও কর্ষিকার গোড়ায় অবস্থিত পেশি-প্রবর্ধনগুলো নিজের ছিদ্র বন্ধ করতে স্ফিংক্টার -এর মতো কাজ করে।
(গ) ফ্ল্যাজেলীয় কোষের ফ্ল্যাজেলা আন্দোলিত হয়ে খাদ্যবস্তু ক্ষুদ্র কণায় পরিণত করে।
(ঘ) পিচ্ছিল মিউকাস ক্ষরণ করে। উত্তর: (ঘ)
@@@ প্রয়োজনে এ কোষ আন্দোলিত হয়ে মুখছিদ্রপথে পানি প্রবেশ করায়-
(ক) পুষ্টি কোষ (খ) গ্রন্থি কোষ (গ) সংবেদী কোষ (ঘ) জনন কোষ উত্তর: (ক)
@@@ কোন কোষ হাইড্রার খাদ্য পরিপাক করে?
(ক) মিউকাস (খ) সংবেদী (গ) গ্রন্থি (ঘ) ক্ষণপদীয় উত্তর: (ঘ)
ব্যাখ্যা: ক্ষণপদীয় কোষের ক্ষণপদ খাদ্যকণা গলাধঃকরণ করে অন্তঃস্থ খাদ্যগহ্বরে পরিপাক করে।
@@@ হাইড্রার গ্রন্থি কোষ-
(ক) বিক্ষিপ্তভাবে পুষ্টিকোষের ফাঁকে ফাঁকে এসব কোষ অবস্থান করে।
(খ) এগুলোর সংখ্যা মূল দেহ এবং হাইপোস্টোমে সর্বাধিক, পদতলে স্বল্প এবং কর্ষিকায় অনুপস্থিত।
(গ) গ্রন্থিকোষ অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র ও পেশী-প্রবর্ধনবিহীন।
(ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
@@@ হাইড্রার গ্রন্থিকোষ কত ধরনের?
(ক) ২ (খ) ৩ (গ) ৪ (ঘ) ৫ উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: দুরকম হয়ে থাকে-
ক) মিউকাস ক্ষরণকারী :
এগুলো প্রধানত হাইপোস্টোম অঞ্চলে অবস্থিত এবং পিচ্ছিল মিউকাস ক্ষরণ করে।
খ) এনজাইম নিঃসারী :
অন্যান্য স্থানের কোষগুলো এ ধরনের যা থেকে পরিপাকের জন্য এনজাইম ক্ষরিত হয়।
@@@ .......................... গ্রন্থিকোষ নিঃসৃত মিউকাস খাদ্যদ্রব্য পিচ্ছিল করে গলাধঃকরণে সাহায্য করে।
(ক) কর্ষিকার (খ) হাইপোস্টোমের (গ) পদতলের (ঘ) দেহকান্ডের উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: অন্যান্য স্থানে গ্রন্থিকোষ সিলেন্টেরণে এনজাইম-এর ক্ষরণ ঘটিয়ে পরিপাকে সাহায্য করে।
@@@ এন্ডোডার্মিসের প্রয়োজনীয় যে কোনো কোষ গঠন করাই এর কাজ-
(ক) পেশী-আবরণী কোষ (খ) পুষ্টি কোষ (গ) ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ (ঘ) গ্রন্থি কোষ উত্তর: (গ)
@@@ প্রকৃতপক্ষে এসব কোষ এপিডার্মিস থেকে আগত কোষ-
(ক) পেশী-আবরণী কোষ (খ) পুষ্টি কোষ (গ) ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ (ঘ) গ্রন্থি কোষ উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: এগুলো পেশী-আবরণী কোষের ফাঁকে ফাঁকে অবস্থান করে। এগুলো গোলাকার বা ত্রিকোণাকার এবং সুস্পষ্ট নিউক্লিয়াস, মসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা, মুক্ত রাইবোসোম ও কিছু মাইটোকন্ড্রিয়া বহন করে।
@@@হাইড্রার গ্যাস্ট্রোডার্মিসের এই কোষের কাজ, ‘সম্ভবত পানির সাথে সিলেন্টেরণে প্রবেশিত খাদ্য ও অন্যান্য পদার্থের গুণাগুণ যাচাই করে স্নায়ুকোষে প্রেরণ করে এবং স্নায়ুকোষ উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে’।
(ক) গ্রন্থি কোষ (খ) সংবেদী কোষ (গ) পুষ্টি কোষ (ঘ) ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ উত্তর: (খ)
ব্যাখ্যা: এগুলো পেশী-আবরণী কোষের ফাঁকে ফাঁকে অবস্থিত। প্রতিটি কোষ লম্বা ও সরু। কোষের মুক্ত প্রান্ত থেকে নির্গত সূক্ষ্ম সংবেদী রোম সিলেন্টেরণে উদগত এবং মেসোগ্লিয়া সংলগ্ন প্রান্ত থেকে নির্গত রোম স্নায়ুতন্তুর সাথে যুক্ত থাকে।
@@@ সংবেদী কোষে সংগৃহীত উদ্দীপনা স্থানান্তর করা কোন কোষের কাজ?
(ক) গ্রন্থি কোষ (খ) পুষ্টি কোষ (গ) স্নায়ু কোষ (ঘ) ইন্টারস্টিশিয়াল কোষ উত্তর: (গ)
ব্যাখ্যা: এসব কোষ মেসোগ্লিয়া ঘেঁষে অবস্থিত, সংখ্যায় খুব কম। অনিয়ত আকারবিশিষ্ট এবং একটি ক্ষুদ্র কোষদেহ ও দুই বা ততোধিক সূক্ষ্ম শাখান্বিত তন্তু নিয়ে গঠিত। তন্তুগুলো পরস্পর মিলে স্নায়ু-জালিকা গঠন করে।
@@@ হাইড্রার মেসোগ্লিয়া কী কাজ করে?
(ক) মেসোগ্লিয়া দেহের অবলম্বনে সহায়তা করে এবং এক ধরনের নমনীয় কঙ্কাল হিসেবে কাজ করে।
(খ) মেসোগ্লিয়া দুটি কোষস্তরের ভিত্তিরূপে কাজ করে।
(গ) স্নায়ুকোষ ও সংবেদী কোষতন্তুসমূহ এবং পেশি-আবরণী কোষের সংকোচনশীল মায়োফাইব্রিল ধারণ করে।
(ঘ) ক,খ,গ উত্তর: (ঘ)
@@@ মেসোগ্লিয়ায় অবস্থিত .............. কোষের সংকোচনশীল মায়োফাইব্রিলের সংকোচনে দেহ বা কর্ষিকা খাটো হয় ফলে দেহ বাঁকানো সম্ভব হয়।
(ক) গ্রন্থি (খ) সংবেদী (গ) ইন্টারস্টিশিয়াল (ঘ) পেশি-আবরণী উত্তর: (ঘ)
৫৪। Hydra-র দেহের কেন্দ্রে অবস্থিত ফাঁকা গহ্বরকে কি বলে?
(ক) সিলেন্টেরন (খ) সিলোম (গ) স্পঞ্জোসিল (ঘ) হিমোসিল উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা: এটি গ্যাস্ট্রোডার্মিসে পরিবৃত থাকে। এতে খাদ্যের বহিঃকোষীয় পরিপাক ঘটে এবং খাদ্যসার, শ্বসন ও রেচন পদার্থ পরিবাহিত হয় বলে একে গ্যাস্ট্রোভাস্কুলার গহ্বর বা পরিপাকসংবহন গহ্বর বলা হয়। কর্ষিকায় সিলেন্টেরন প্রসারিত থাকে বলে এগুলো ফাঁপা হয়। দেহের উপরিভাগে অবস্থিত একমাত্র মুখছিদ্রের মাধ্যমে সিলেন্টেরন বাইরে উন্মুক্ত হয়।